ধর্ম ও দর্শন
বিজ্ঞান
সাহিত্য
1 of 2

গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক

গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক

যাঁর প্রচারিত ধর্মমতকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল শিখ নামের একটি জাতি, সেই ধর্ম প্রচারকের নাম গুরু নানক। এই মহান পুরুষ যে ধর্ম প্রচার করেছিলেন একদিন তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতের পঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশ জুড়ে।

ধর্মগুরু নানকের জন্ম ১৪৬৯ সালের ১৫ এপ্রিল তালবন্দি নামের এক গ্রামে। তালবন্দি গ্রামটি বর্তমানে পাকিস্তানের অন্যতম বৃহৎ নগরী লাহোর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। বর্তমানে এটি ‘নানকানা’ নামে পরিচিত।

নানকের জন্ম হয়েছিল এক ধনাঢ্য ক্ষত্রিয় পরিবারে। বাবার নাম ছিল কালু বেদী তিনি ছিলেন পাঞ্জাবের এক রাজপুত শাসকের উচ্চপদস্থ কর্মচারী। নানকের মায়ের নাম ছিল ত্রিপতা।

বাল্যকালে তিনি লালিত-পালিত হয়েছিলেন তাঁর বড় বোন নানকীর কাছে। নানকী তাঁর মাতামহের বাড়িতে জন্মেছিলেন বলে সবাই তাঁকে এই নামে ডাকত। আর বড় বোন নানকীর কাছে লালিত-পালিত হতে গিয়ে নানকীর ভাই হিসেবে গুরু নানকও সকলের কাছে নানক বলে পরিচিতি লাভ করেন। সেই থেকেই তাঁর নাম নানক।

গুরু নানকের জন্ম নিয়ে কিছু কিছু কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। মানবশিশু জন্মের পরই কেঁদে ওঠে। কিন্তু নানকের বেলায় ঘটেছিল বিপরীত ঘটনা। অর্থাৎ নবজাত নানক মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই হাসতে শুরু করেছিলেন। প্রচলিত নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়েছিলেন তিনি।

এরপর জ্যোতিষী নবজাতকের ভাগ্য গণনা করতে এসে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, এই শিশু এমন প্রভাবশালী ব্যক্তি হবেন, যার কাছে সমস্ত পৃথিবী এসে মাথা নত করবে।

বয়স বাড়ার সাথে সাথেই এমন লক্ষণ সত্যি সত্যি তাঁর মধ্যে দেখাও গিয়েছিল। তিনি ছোটবেলা থেকেই সাধু-সন্ন্যাসীদের মতো আচরণ করতেন। বুড়ো মানুষের মতো গুরুগম্ভীর থাকতেন। মানুষকে উপদেশ দিতেন। শৈশব-কালের চপলতা তাঁর মধ্যে কখনও ছিল না। পাশাপাশি তাঁর আরও একটি বড় গুণ ছিল। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু। পরের দুঃখ দেখলে খুবই বিচলিত হয়ে পড়তেন। পকেট-খরচের জন্য তিনি বাবার কাছ থেকে প্রতিদিন যা পেতেন, তার সবকিছু বিলিয়ে দিতেন গরিব-দুঃখীদের মধ্যে। কেউ এসে তাঁর কাছে কিছু চাইলে কখনও তাদেরকে বিমুখ করতেন না। পরের দুঃখ মোচন করাতেই ছিল তাঁর আনন্দ।

তাঁর যখন সাত-আট বছর বয়স, তখন তাঁকে পাঠশালায় ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু লেখাপড়ার দিকে কোনো মনোযোগ ছিল না তাঁর। নিয়মিত স্কুলেও যেতেন না। গেলেও পড়া মুখস্থ করতে পারতেন না।

স্কুল ফাঁকি দিয়ে নির্জনে বসে ধ্যান করতেন। এভাবেই একাকী চলে যেতেন গভীর জঙ্গলে, যাতে করে কেউ তাঁকে খুঁজে না পায়, তাঁকে বিরক্ত করতে না পারে।

ছেলের এই অবস্থা দেখে খুব ভাবনায় পড়ে গেলেন বাবা কালু বেদী। তিনি ভাবলেন, নিশ্চয়ই তাঁর ছেলের মাথায় কোনো গোলমাল হয়েছে। মাথাটা বোধহয় খারাপ হয়ে গেছে। তাই ছেলের চিকিৎসার জন্য ডেকে আনলেন স্থানীয় এক কোবরেজ মশাইকে। তিনি এসেই তার নাড়ি পরীক্ষা করার জন্য নানকের হাত দেখতে চাইলেন। কিন্তু নানক কোবরেজ মশাইকে হাত দেখতে দিলেন না। তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয়ে সরিয়ে নিলেন নিজের হাত। তারপর কোবরেজ মশাইকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করলেন।

নানকের লেখাপড়া আর অগ্রসর হলো না। তবু কিছুদিন তিনি বৈদ্যনাথ পণ্ডিতের কাছে সংস্কৃত এবং কুতুবুদ্দিন মোল্লার কাছে ফারসিভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।

একটু বড় হবার পর পিতা তাঁকে জমি চাষাবাদের কাজে লাগিয়ে দিলেন। কিন্তু এ কাজও ভালো লাগল না নানকের। এমনকি ব্যবসা কিংবা চাকরি কোনো কাজ করতেই রাজি হলেন না। সংসারিক কোনো কাজই তাঁর ভালো লাগত না।

একবার কালু বেদী নানককে ৪০ টাকা দিয়ে লাহোর শহরে পাঠান ব্যবসা করার জন্য। বলে দেন, শহর থেকে এমন কিছু কিনে আনতে, পরে যা বিক্রি করলে লাভ হয়। যাওয়ার সময় নানকের সাথে বাড়ির চাকর বালা নামের ছেলেটাকেও তার সঙ্গে দিয়ে দেন। নানক শহরে এসে খুঁজতে থাকেন একপথ থেকে আরেক পথ। কোন্ জিনিস কিনবেন, কোন্ জিনিস কিনলে লাভ হবে, তার কিছুই ঠিক করতে পারলেন না।

এমন সময় দেখলেন, পথের পাশে বসে আছে অনেকগুলো গরিব-দুঃখী মানুষ। তাদের সবাই তিনদিন ধরে উপোস। খাবার জোটাতে পারেনি। তাই ক্ষুধায় কাতর। নানক বালাকে সঙ্গে নিয়ে ওদের কাছে এসে দাঁড়ালেন। অনেকক্ষণ ধরে পথের গরিব লোকগুলোকে লক্ষ করলেন। পরে বালাকে বললেন, বালা দ্যাখ, ওই যে পথের পাশে গরিব লোকগুলো বসে আছে, ওরা ক্ষুধায় কষ্ট পাচ্ছে। তুই বল দেখি ওদের ক্ষুধার কষ্ট দূর করার চেয়ে বড় ভাগ্যের কাজ আর কী হতে পারে? এটাই তো সবচেয়ে লাভের কাজ। পরের দুঃখ মোচন করার চেয়ে বড় লাভের কাজ আর কিছুই নেই।

তখন তিনি ব্যবসার মূলধন ৪০ টাকা খরচ করে ওদের খাইয়ে সন্তুষ্ট করে মনের আনন্দে বাড়ি ফিরে এলেন।

ছেলের কথা শুনে বাবাতো রেগে আগুন। অনেক তিরস্কারও করলেন ছেলেকে। সব তিরস্কার মুখ বুজে সহ্য করলেন নানক। কারণ বাবার বকুনির চেয়ে পরের দুঃখ মোচন করে আসতে পারার আনন্দ তাঁর কাছে অনেক বড়। এমনি করে কেটেছিল তাঁর বাল্যকাল।

এই ছন্নছাড়া জীবন নিয়ে নানক সংসারও পেতেছিলেন, বিয়েও করেছিলেন চৌনী নামের এক ক্ষত্রিয় মেয়েকে। হয়েছিলেন দুটি পুত্রসন্তানের জনক। তাদের নাম ছিল শ্রীচাঁদ ও লক্ষ্মীচাঁদ। কিন্তু তবু সংসার তাঁকে ধরে রাখতে পারল না। সংসারের মোহ আর সুখের চেয়ে তাঁর কাছে বড় হয়ে দেখা দিল ভবিষ্যৎ-চিন্তা।

আর এই চিন্তাতেই তিনি ছাড়লেন ঘর-সংসার, স্ত্রী-পুত্র। ঘর থেকে বের হয়ে ঈশ্বরের আরাধনায়, সত্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন পথে-পথে। দেশ থেকে দেশান্তরে। তিনি ভ্রমণ করলেন মক্কা, বাগদাদ এবং ভারতবর্ষের নানা স্থান। এমনকি প্রবাদ আছে, তিনি নাকি পশ্চিমে সুদূর রোম এবং পূর্বে চিন পর্যন্তও ভ্রমণ করেছিলেন। নানা দেশ ঘুরেফিরে দীর্ঘদিন পর আবার ফিরে এলেন পাঞ্জাবে ১৫২০ সালে।

তাঁর আরবের বিভিন্ন দেশ সফর নিয়েও নানা গল্প প্রচলিত। তিনি মক্কা থেকে মদিনা হয়ে ঘুরতে ঘুরতে একদিন ইরাকের রাজধানী বাগদাদে পৌছুলেন।

এ-সময় ইরাকের বাদশাহ্, ছিলেন অত্যন্ত ধনলোভী। প্রজাদের ওপর অত্যাচার করে ধনদৌলত সংগ্রহ করে জমা করতেন রাজ-কোষাগারে। ধনদৌলত জমা করা ছিল তাঁর নেশা। প্রজারা বাদশাহ্ অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল।

বাগদাদে এসে নানক এই ধনলোভী বাদশার কথা শুনলেন। গুরু নানক বাদশাহকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এক মজার কৌশল অবলম্বন করলেন। তিনি রাজপ্রাসাদের সামনে বসে গেলেন আড্ডা জমিয়ে। তারপর রাজপথের যত ইটপাথর ছিল, তা কুড়িয়ে এনে জমা করতে লাগলেন চারপাশে। প্রাসাদের দোতলা থেকে বাদশাহ্ এসব দেখেন আর হাসেন। মনে করলেন কোথাকার এক পাগল এসে জুটেছে এখানে।

একদিন তিনি পাগল নানককে ডেকে বললেন, ওরে পাগল, এসব ইটপাথর একত্র করছিস কেন? এসব কি তোর মরার পরে সঙ্গে যাবে?

তখন গুরু নানকও হেসে বললেন, শুনেছি, আপনিও অনেক ধনদৌলত জমা করেছেন কোষাগারে। যদি মৃত্যুর পর আপনি ঐসব সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন, তা হলে আমিও কেন এসব ইটপাথর নিয়ে যেতে পারব না?

বাদশাহ্ একথা শুনে খুবই লজ্জিত হলেন এবং নিজের ভুল বুঝতে পারলেন। তিনি আরও বুঝতে পারলেন, যাঁকে তিনি এতক্ষণ পাগল ভেবেছিলেন, তিনি সত্যিকার পাগল নন। তিনি নিশ্চয়ই কোনো মহাপুরুষ। শেষ পর্যন্ত তিনি জানতে পারলেন গুরু নানকের সত্যিকার পরিচয়। বাদশাহ্ এসে ক্ষমা চাইলেন নানকের কাছে। এর পরই তিনি নিজের সমস্ত ধন-সম্পত্তি গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বিলিয়ে দিলেন।

বাগদাদ থেকে ফিরে আসার সময় বাদশাহ্ গুরু নানককে একটি চোগা (ঢিলাঢালা পোশাক) উপহার দিয়েছিলেন। ঐ চোগা এখনও ডেরাবাবা নামক গুরুদ্বারে রক্ষিত আছে।

এরপর বাকি জীবনটা তিনি পাঞ্জাবেই কাটিয়েছিলেন। তিনি তাঁর স্থায়ী আস্তানা পেতেছিলেন মধ্য পাঞ্জাবের কর্তারপুর গ্রামে। কথিত আছে, গুরু নানকেরই এক ধনী শিষ্য তাঁর জন্য তৈরি করে দিয়েছিলেন এই গ্রামটি। গড়ে দিয়েছিলেন গুরুর মন্দির।

এর পরই তিনি প্রচার করতে থাকেন তাঁর ধর্মমত। তাঁর উদারপন্থি ধর্মমত অনুসারে—ভগবান এক। অদ্বিতীয় তিনি। এমনকি তাঁর কোনো আকারও নেই। নানক আসলে হিন্দু ও ইসলাম ধর্মের সমন্বয়ে অর্থাৎ এ দুটো ধর্ম থেকেই সমানভাবে সার কথাগুলো নিয়েই সৃষ্টি করেছিলেন তাঁর নতুন মতবাদ। সকল ধর্মের প্রতিই ছিল তাঁর অগাধ বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা। তিনি তাঁর ধর্মমতে তাই সকল ধর্মের সমন্বয় সাধন করতে চেষ্টা করেছিলেন।

শুরু নানকের প্রচারিত এই ধর্মমতের নাম শিখ ধর্ম। শিখ শব্দের অর্থ শিষ্য। তাঁর শিষ্যরাই শিখ নামে পরিচিত। তিনি জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকলকেই তাঁর শিষ্য করতেন। তবে জাঠ সম্প্রদায়ের লোকজনই বেশি সংখ্যায় তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন।

গুরু নানক বলতেন, ভগবানকে পাবার জন্য সৎ গুরুর ওপর নির্ভর করতে হয়। তিনিই শিষ্যকে ঈশ্বরের সন্ধান বলে দেন।

তিনি আরও বলতেন, ধর্মের মূলকথা হলো—আধ্যাত্মিক শুদ্ধতা। আত্মার উন্নতি ও বিকাশ। বাইরের পূজা-উপাসনা এবং মন্দির, গির্জা-মসজিদে প্রার্থনা করার চেয়ে আত্মার শুদ্ধিই বড় কথা।

একসময় নানকের এই মতবাদ দারুণভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তা ছড়িয়ে পড়ে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত থেকে দিল্লি পর্যন্ত।

নানকের সমস্ত উপদেশ ও বাণীর সংকলন নিয়ে প্রকাশিত হয় একটি গ্রন্থ। এটিকেই বলা হয় আদিগ্রন্থ বা গ্রন্থসাহেব।

শিখদের দশম গুরুর নাম গোবিন্দ সিংহ। তিনি প্রচার করেন, শিখদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে, তাদেরকে একটি শক্তিশালী জাতিতে পরিণত করতে হবে। তাদের সামরিক শিক্ষার প্রয়োজন আছে।

এভাবেই নিরীহ শিখরা দুর্ধর্ষ জাতিতে রূপান্তরিত হলো। তাদের নতুন নামকরণ হল খালসা। খালসা শব্দের অর্থ ঈশ্বরের সম্পত্তি। আর তাদের চিহ্ন হল বড় চুল-দাড়ি, খাটো জাঙ্গিয়া, হাতে লোহার বালা, চুলে চিরুনি আর কোমরে কৃপাণ। আজও শিখেরা এটা মেনে চলে। শিখদের প্রধান ধর্ম-মন্দির পাঞ্জাবের অমৃতসরের ‘স্বর্ণমন্দির’।

গুরু নানকের জীবন সম্পর্কে আরও অনেক মজার মজার গল্প প্রচলিত।

লালু ছুতার নামের গুরু নানকের ছিল এক প্রিয় শিষ্য। সে ছিল খুবই গরিব। এই লালু ছুতারের বাড়িতেই গুরু নানক একদিন অতিথি হলেন।

তাঁর বাড়ির পাশেই ছিল নানকের আরেক শিষ্য। তাঁর নাম ছিল মালিক ভাগো। তিনি ছিলেন মস্ত বড়লোক। এলাকার এক বিত্তশালী দেওয়ান।

মালিক ভাগো হাজার অনুরোধ করেও গুরুকে তাঁর বাড়িতে নিতে পারলেন না। অথচ তারই পাশে এক দরিদ্র মিস্ত্রি লালুর বাড়িতে তিনি খুদকুঁড়ো খেতে গেলেন। এতে তাঁর আত্মসম্মানে দারুণ আঘাত লাগল। তখন নানক মালিক ভাগোকে তাঁর বাড়ি থেকেও খাবার আনতে বললেন। মালিক ভাগো গুরুর জন্য খুব দামি কিছু খাবার নিয়ে এলেন।

নানক তখন তাঁর সামনেই করলেন এক মজার কাণ্ড। তিনি খাবারগুলোকে হাতে নিয়ে নিঙড়াতে লাগলেন। আর কী আশ্চর্য! সেই ঘিয়ে ভাজা লুচি-পরোটা থেকে ঝরঝর করে পড়তে লাগল টাটকা লাল রক্ত। ব্যাপারটা দেখে মালিক ভাগোর মুখ গেল শুকিয়ে। তিনি তার পরই লালু ছুতারের শুকনো রুটি নিয়েও হাতে নিঙড়াতে লাগলেন। কিন্তু এই শুকনো রুটি থেকে গড়িয়ে পড়তে লাগল সাদা দুধের ধারা।

এই কাণ্ড দেখে মালিক ভাগোর চৈতন্যোদয় হলো। তিনি তখনই গুরুর পায়ে লুটিয়ে পড়ে ক্ষমা চাইলেন। তিনি যে ধন-ঐশ্বর্যের অহংকার করেছিলেন, তার জন্য অনুশোচনা করলেন। তার অন্তর নির্মল হলো, আত্মা হলো পরিশুদ্ধ। তিনি হলেন খাঁটি শিখ।

মহান গুরু নানকের মৃত্যু হয় ৬৯ বছর বয়সে ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *