কুশিকের পুত্র। অরণ্যবাসকালে ওঁর সত্যবতী নামে এক রূপবতী কন্যা হয়। সেই কন্যাকে চ্যবন-পুত্র ঋচীক বিবাহ করতে চাইলে গাধি কন্যাশুল্ক হিসেবে এমন এক সহস্র অশ্ব চাইলেন, যাদের দেহ হবে চন্দ্ররশ্মীর মত শুভ্র, কিন্তু কর্ণ হবে শ্যামলবর্ণ। গাধি ভেবেছিলেন যে, দরিদ্র ঋচীকের পক্ষে এই কন্যাশুল্ক জোগাড় করা সম্ভব হবে না, আর উনিও শাপগ্রস্থ না হয়ে কন্যাদানের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু ঋচীক এতে নিরস্ত না হয়ে বরুণের কাছে গিয়ে গাধির বর্ণনামত অশ্ব প্রার্থনা করলেন। বরুণ বললেন যে, যেখানে গিয়ে ঋচীক এই অশ্বগুলিকে চাইবেন, সেখানেই তিনি সেগুলিকে পাবেন। ঋচীক তখন কান্যকুব্জের কাছে জাহ্নবীতীরে গিয়ে সেই অশ্বগুলিকে চাইলেন। সঙ্গে সঙ্গে জাহ্নবী থেকে সেই অশ্বগুলি উত্থিত হল। সেগুলি নিয়ে গাধিকে দিতে, গাধি বাধ্য হয়ে ঋচীককে কন্যাদান করলেন।