খামেনের মমি
ইউরোপ থেকে বেড়িয়ে ফিরছি। ফেরবার মুখে একবার জাহাজ থেকে নেমে নীলনদের দেশ—অর্থাৎ মিশর দেশকে দেখতে গেলুম।
প্রাচীন মিশর আর নেই! যে মিশরের অতীত কীর্তি, বিপুল সভ্যতা, বিচিত্র শিল্প-গৌরব, দিগ্বিজয়ী রাজগণ ও পরাক্রমশালী পুরোহিতবৃন্দ সমস্ত জগতের বিস্ময় ও শ্রদ্ধা আকর্ষণ করে, তাকে আজ কেবল ইতিহাসের পৃষ্ঠায় খুঁজে পাওয়া যায়। তার পিরামিড ও দেবপূজার মন্দির আজও অক্ষয় হয়ে মরুভূমির প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। চিত্রে ও ভাস্কর্যে তার সন্তানদের আজও দেখা যায়, সেদিনকার নীলনদ আজও সেই একই সংগীত গেয়ে সমুদ্রের সন্ধানে ছুটে চলে, কিন্তু প্রাচীন মিশরীদের একজনও বংশধর পৃথিবীর বুকে আজ বর্তমান নেই। একটা অত বড়ো জীবন্ত জাতি কেমন করে এমন নিঃশেষে বিলুপ্ত হয়ে গেল, তা ভাবলে রহস্য বলে মনে হয়। আজ যাদের মিশরী বলে ডাকা হয়, তারা হচ্ছে এক সম্পূর্ণ নতুন ও আধুনিক জাতি।
এই নতুন জাতির দেশে গিয়ে সেই মৃত পুরাতন জাতির অনেক শিল্পকীর্তি ও গৌরবের নিদর্শন দেখলুম। মনটা কেমন উদাস হয়ে গেল। কার্নাকের মন্দিরের সামনে বসে বসে খানিকক্ষণ পুরাতন মিশরকে ভাবতে চেষ্টা করলুম।
হঠাৎ একজন বৃদ্ধ বেদুইন আমার সামনে এসে দাঁড়াল। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমাকে লক্ষ করলে। তারপর আমার কাছে সরে এসে চুপি চুপি বললে, ‘হুজুর, ‘‘মমি’’ কিনবেন? খুব ভালো ‘‘মমি’’!’
সেকালকার নানান জিনিস কেনা ছিল আমার একটা মস্ত বাতিক। ‘মমি’ কাকে বলে সকলেই জানেন বোধ হয়। প্রাচীন মিশরীরা বিশ্বাস করত, মানুষের প্রাণ বেরিয়ে গেলেও সে মরে না। শেষ বিচারের দিন দেবতাদের কাছে গিয়ে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তিকে জবাবদিহি করতে হয়। ওসিরিস হচ্ছেন শেষ বিচারকর্তা ও অমর জীবনের দেবতা। প্রাচীন মিশরীরা মানুষের মৃতদেহগুলোকে রাসায়নিক ঔষধের প্রভাবে নষ্ট হতে দিত না। কবরের ভিতরে সেই অক্ষয় দেহগুলোকে তারা রেখে দিত—চূড়ান্ত বিচারের দিন ওসিরিসের সামনে গিয়ে আবার তারা জীবন্ত হয়ে নিজেদের কাহিনি বলবে বলে। এইরকম রাসায়নিক ঔষধের প্রভাবে সুরক্ষিত মৃতদেহেরই নাম ‘মমি’। পুরাতন সমাধি খুঁড়ে এমনি অসংখ্য মমি পাওয়া গিয়েছে। পৃথিবীর সব দেশেরই জাদুঘরে ও খেয়ালি লোকের বাড়িতে খুঁজলে এইরকম মমি আজ দেখতে পাওয়া যাবে। কলকাতার জাদুঘরেও একটি মমি আছে—যদিও সেটি আজ আর আস্ত নেই।
অনেক দিন থেকে আমারও একটি মমি কেনবার শখ ছিল। যথেষ্ট দর কষাকষির পর বেদুইন বুড়োর কাছ থেকে যে মমিটা আমি কিনলুম, তার ভিতরে কিছু নূতনত্ব ছিল। এটি হচ্ছে একটি অত্যন্ত বামনের মমি—মাথায় আড়াই ফুটের বেশি হবে না। চার হাজার বছর আগে এই বামন অবতারটি প্রাচীন মিশরের কৌতুকপূর্ণ দৃষ্টি আকর্ষণ করত। এরকম সুরক্ষিত মমি বড়ো একটা চোখে পড়ে না। দেখলেই মনে হয় প্রাণ পেলে আজও যেন এ হেসে-খেলে-চলে-বেড়াতে পারে।
এই বামনের মমি নিয়ে সানন্দে ভারতগামী জাহাজে গিয়ে উঠলুম।
২
লোকে বলে, আমার বাড়িটি নাকি একটি ছোটোখাটো মিউজিয়াম। অতীতের ও বর্তমানের নানান দেশের নানান অদ্ভুত জিনিস নিয়ে আমার বৈঠকখানাটি সাজানো। তারই মাঝখানে একটি ‘গ্লাস-কেসে’র ভিতরে আমি সেই বামনের মমিটিকে দাঁড় করিয়ে রাখলুম।
মা তো রেগেই অস্থির! অত্যন্ত ভয় পেয়ে তিনি বলতে লাগলেন, ‘ছি, ছি, গেরস্তের বাড়িতে কোন দেশের কোন জাতের একটা শুকনো পচা মড়া এনে রাখা! সংসারের অকল্যাণ হবে যে রে!’
অনেক বন্ধুও বিদ্রোহ প্রকাশ করলে। কোনো কোনো বেশি ভীতু বন্ধু সন্ধ্যার পর আর আমার বৈঠকখানায় ঢুকতে রাজি হতেন না। আমি কিন্তু সমান অটল। সকলকে বোঝাতে লাগলুম, কোনো ভয় নেই, মরা গোরু ঘাস খায় না। চার হাজার বছর আগে যে মরেছে, এই বিংশ শতাব্দীতে আর সে কারুকে ভয় দেখাতে পারবে না।
কিন্তু মাসখানেক পর থেকে একটা নতুন ব্যাপার লক্ষ করতে লাগলুম। যখন মমিটা কিনেছিলুম, তখন এই বামন মূর্তির দুই চোখ ছিল বন্ধ। কিন্তু আজকাল দেখছি, এর চোখ দুটো ধীরে ধীরে খুলে আসছে! মাস-দুয়েক পরে সেই বামন সম্পূর্ণরূপে চোখ মেলে তাকালে! যদিও সে চোখে পলক পড়ে না এবং তাতে জীবনের কোনো লক্ষণই নেই, তবু এমন অস্বাভাবিক ব্যাপার দেখে আমারও মনটা কেমন খুঁতখুঁত করতে লাগল। কিন্তু আমার এক ডাক্তার বন্ধু শেষটা আমাকে বুঝিয়ে দিলে, জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্যেই এই ব্যাপারটা ঘটেছে। জলবায়ুর পরিবর্তনে দরজা-জানলার কাঠ যেমন ফাঁক হয়ে যায়, এও তেমনি আর কী!
ডাক্তার-বন্ধুর কথা শুনে আমার মনের খটকা গেল বটে, কিন্তু দিন কয় পরে আর এক আশ্চর্য কাণ্ড!
অনেক রাতে হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে গেল। বিছানায় শুয়ে শুয়েই শুনলুম, বাইরের ঘর থেকে কীসের শব্দ আসছে! যেন কেউ কোনো আলমারির কাচের ওপরে ঘনঘন করাঘাত করছে—ঝন-ঝন-ঝন-ঝন-ঝন-ঝন!
কী ব্যাপার? বৈঠকখানায় চোর-টোর ঢুকল নাকি? ধড়মড়িয়ে বিছানার ওপরে উঠে বসলুম।
সঙ্গে-সঙ্গে রাত্রির স্তব্ধতা ভেঙে আরও জোরে আর একটা শব্দ হল। ঝন-ঝন করে যেন একরাশ কাচ ভেঙে পড়ল! আমি আর স্থির থাকতে পারলুম না, চোর ধরবার জন্যে দ্রুতপদে বাইরের ঘরে গিয়ে হাজির হলুম।
তাড়াতাড়ি আলো জ্বেলে কিন্তু চোর-টোর কিছুই দেখতে পেলুম না; কেবল ‘গ্লাস-কেস’টা ভাঙা এবং বামনের মমিটা ঘরের মেঝের ওপরে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে!
অবাক হয়ে গেলুম বটে, তবু মনকে এই বলে প্রবোধ দিলুম যে, হয়তো কোনোগতিকে মমিটা টলে কাচের ওপরে এসে পড়াতে ‘গ্লাস-কেস’টা ভেঙে এই ব্যাপার ঘটেছে।
পরদিন ‘গ্লাস-কেস’টা মেরামত করিয়ে মমিটাকে তার ভিতর আবার রেখে দিলুম। কারুকে ব্যাপারটা জানানো দরকার মনে করলুম না। যদি বলি, হাজার হাজার বছরের পুরোনো মমি আমার ‘গ্লাস-কেস’ ভেঙে পালাবার চেষ্টা করেছে, তা হলে লোকে আমাকে পাগলের ওষুধ খেতে বলবে! সত্য-সত্যই তা অসম্ভব!
৩
শরীরটা সেদিন ভালো ছিল না। সন্ধ্যার সময়ই রাত্রের আহারাদি সেরে নিয়ে, বৈঠকখানায় সোফায় বসে বিশ্রাম করছিলুম।
হঠাৎ দরোয়ান এসে জানালে, একজন বিদেশি লোক আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইছে। আগন্তুকের একখানা কার্ড সে আমায় দিলে। তাতে লেখা রয়েছে—এমিন পাশা, কাইরো।
বিস্মিত হলুম। ইজিপ্টের রাজধানী কাইরো, সেখানকার কারুকে আমি চিনি না। কে এই এমিন পাশা? আমার কাছে তার কী দরকার? যাহোক, দারোয়ানকে বললুম, তাকে ভিতরে পাঠিয়ে দিতে।
মিনিটখানেক পরে যে মূর্তি ঘরের দরজার কাছে এসে দাঁড়াল তাকে দেখবার কল্পনা আমি করিনি। মাথায় সে প্রায় সাড়ে ছয় ফুট উঁচু, তার ওপরে একটা ‘ফেজ’ টুপি থাকার দরুন তাকে আরও বেশি লম্বা দেখাচ্ছিল। চওড়ায় তার দেহ রীতিমতো শীর্ণ। একটা কার্টার দিয়ে প্রায় তার সারা মুখ ও গলা ঢাকা। তার ভিতর থেকে দেখা যাচ্ছে কেবল চশমা-পরা দুটো তীক্ষ্ণ চোখ এবং নাক ও গালের সামান্য অংশ মাত্র। পরনে হাঁটু পর্যন্ত ঝোলানো একটা কোট ও ইজের। আগন্তুককে দেখেই মনের ভিতর কেমন একটা অজানা অদ্ভুত ভাব জেগে উঠল!
অত্যন্ত ভরাট গলায় আগন্তুক ইংরেজিতে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনিই কি মি. সেন?’
আগন্তুকের চোখের দৃষ্টি এত প্রখর, যে সেদিকে তাকানো যায় না! চোখ নামিয়ে আমি বললুম, ‘বসতে আজ্ঞা হোক মি. এমিন পাশা! আপনার জন্যে আমি কী করতে পারি?’
এমিন পাশা আমার সামনের একখানা চেয়ারে বসে পড়লেন। তারপর ধীরে ধীরে বললেন, ‘মি. সেন, সুদূর কাইরো থেকে আপনার সঙ্গে আমি দেখা করতে এসেছি।’
আমি সবিস্ময়ে বললুম, ‘আমার এতটা সম্মানের কারণ কী?’
এমিন পাশা সামনের টেবিলের ওপরে ঝুঁকে পড়ে বললেন, ‘মি. সেন, খামেনের মমি আপনার কাছেই আছে?’
‘খামেন? খামেন কী?’
‘খামেন ছিল চার হাজার বছর আগে মিশরের এক বামন পুরোহিত। মাস কয় আগে খামেনের সমাধি থেকে তার মমিটা একজন বেদুইন চুরি করেছে। ওসিরিসের অভিশাপে সেই হতভাগ্য বেদুইন আজ আর বেঁচে নেই, কিন্তু খবর পেলুম খামেনের মমিটা আপনার কাছেই আছে।’
আমি বললুম, ‘কিন্তু সেই মমিটা আমি টাকা দিয়ে কিনেছি।’
এমিন পাশা পকেট থেকে একতাড়া নোট বার করে বললেন, ‘কত টাকা পেলে আপনি খামেনের মমি আবার ফিরিয়ে দিতে পারেন?’
আমি একটু বিরক্ত স্বরে বললুম, ‘মমিটা বেচব বলে আমি কিনিনি। টাকার লোভ আমাকে দেখাবেন না।’
এমিন পাশা তাঁর দুই কনুই টেবিলের ওপরে স্থাপন করে হাত দু-খানা কপালের ওপর এমনভাবে রাখলেন যে, তাঁর চোখ দুটোও আমার চোখের আড়াল হয়ে গেল। সেই অবস্থায় তিনি বললেন, ‘মি. সেন, খামেনের মমির ওপরে আপনার কোনোই দাবি নেই।’
আমি হেসে বললুম, ‘টাকা দিয়ে কিনেও ওর ওপরে যদি আমার দাবি না থাকে, তবে দাবি আছে কার?’
অত্যন্ত গম্ভীর স্বরে এমিন পাশা বললেন, ‘মি. সেন, ও মমির ওপরে কোনো মানুষেরই দাবি নেই। মমি টাকা দিয়ে কেনবার জিনিস নয়। ওসিরিস তাকে গ্রহণ করেছেন।’
আমি হেসে উঠে বললুম, ‘ওসিরিস! সে তো সেকেলে রূপকথার দেবতা!’
এমিন পাশার সারা দেহের ওপর দিয়ে যেন একটা কম্পনের বিদ্যুৎ খেলে গেল। হঠাৎ চেয়ারের ওপরে সিধে হয়ে বসে কঠিন কর্কশ স্বরে বললেন, ‘না! ওসিরিস রূপকথার দেবতা নন! আজকের এই দু-দিনের সভ্যতা আধুনিক মানুষকে অন্ধ আর ভ্রান্ত করে তুলেছে, তাই তারা এমন কথা বলতে সাহস করে! ওসিরিস হচ্ছেন সর্বশক্তিমান, অমর জীবনদাতা! প্রাণ গেলেও মানুষের আত্মা বর্তমান থাকে। প্রত্যেক মানুষের আত্মা আর দেহ ওসিরিস গ্রহণ করেন। শেষ-বিচারের দিন পর্যন্ত সেই দেহ তাঁরই তত্ত্বাবধানে থাকে। ভূত-ভবিষ্যৎ-বর্তমানে তিনি ছাড়া আর কারুরই মানুষের মৃতদেহের ওপরে কোনো অধিকার নেই!’
আমি অবহেলা ভরে বললুম, ‘বেশ। তাহলে ওসিরিস নিজে এসে যেদিন দাবি করবেন, সেই দিন আমি খামেনের মমি তাঁকে ফিরিয়ে দেব।’
এমিন পাশা আচম্বিতে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে উঠে চিৎকার করে বললেন, ‘নির্বোধ মানুষ! তাই নাকি?’ বলেই তিনি একটানে তাঁর মুখের কার্টার ও মাথার টুপিটা খুলে ফেললেন এবং চশমাখানা টেনে একদিকে ছুড়ে ফেলে দিলেন।
তারপর আমার স্তম্ভিত দৃষ্টি এক অভাবিত ও অসম্ভব দৃশ্য দেখল। এমিন পাশার কাঁধের ওপর যে মুখখানা জেগে রয়েছে, তা কোনো জ্যান্ত মানুষের মুখের মতন নয়! সে হচ্ছে হাজার হাজার বছরের পুরোনো অত্যন্ত বিশুষ্ক এক নরদেহ—অর্থাৎ ভীষণ মমির মুখ! মাথার ওপর থেকে বিশীর্ণ মুখের দু-পাশে তৈলহীন পিঙ্গল কেশপাশ লটপট করে দুলছে এবং চিবুক থেকে তেমনি রুক্ষ শ্মশ্রুগুচ্ছ বুকের ওপরে ঝুলে পড়েছে!—এ মুখ আমি ইজিপ্টের জাদুঘরে দেখেছি, এ হচ্ছে ওসিরিসের প্রস্তর-মূর্তির মুখ!
মাথা ঘুরতে লাগল, সারা দেহ অবশ হয়ে এল—ধীরে ধীরে আমার জ্ঞান বিলুপ্ত হয়ে গেল এবং সেই সময়েই আমি এক অদ্ভুত, বীভৎস ও অমানুষী কণ্ঠস্বরে শুনতে পেলুম— ‘খামেন! খামেন! খামেন! জাগ্রত হও, তুমি আবার জাগ্রত হও!’
যখন আমার জ্ঞান হল, দেখলুম আমি সোফার ওপরে শুয়ে রয়েছি এবং মাথার কাছে বসে মা আমার মুখে-চোখে জলের ঝাপটা দিচ্ছেন।
সব কথা আমার মনে পড়ে গেল, তাড়াতাড়ি উঠে বসলুম।
মা উদবিগ্ন স্বরে বললেন, ‘হ্যাঁ বাবা, তোর কী হয়েছিল বাবা? এখানে অত গোলমাল হচ্ছিলই বা কেন, আর ওই ‘‘গ্লাস-কেস’’টাই বা ভাঙল কেমন করে?’
আমি এক লাফে দাঁড়িয়ে উঠে দেখি, ‘গ্লাস-কেস’টা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে এবং তার ভিতরে বামুনের সেই মমিটা আর নেই!
তাড়াতাড়ি ফিরে বললুম, ‘মা, মা, এখানে এসে তুমি আর কারুকে দেখতে পেয়েছ?’
মা কিছুই বলতে পারলেন না।
চেঁচিয়ে দরোয়ানকে ডাকলুম, তার মুখে জানলুম ফটক দিয়ে কেউ বাইরে বেরিয়ে যায়নি।
সারা বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেও এমিন পাশা বা সেই মমির কোনোই পাত্তা পাওয়া গেল না। ঘরের মেঝেয় শুধু কুড়িয়ে পেলুম, এমিন পাশার সেই টুপি, চশমা, কার্টার, জামা, ইজের ও একজোড়া জুতো!
আমি কি অসুস্থ দেহে কোনো বিশ্রী স্বপ্ন দেখেছি! না, কোনো চোর ছদ্মবেশে এসে আমাকে ভয় দেখিয়ে ঠকিয়ে মূল্যবান মমিটাকে চুরি করে নিয়ে গেল?
—