2 of 2

ক্রমশ আলোর দিকে – তুষার রায়

ক্রমশ আলোর দিকে – তুষার রায়

রেলওয়ে গুমটি, টেলিগ্রাফ পোস্ট বেয়ে চলে যাওয়া তারের রেখা, আর দু-পাঁচটা নিষ্পত্র গাছের আঁকিবুকি ডাল সব কেমন সিল্যুট দেখাচ্ছে। বিপরীতে, অর্থাৎ পশ্চিমে, নেমে যাচ্ছে উজ্জ্বল কমলা রঙের সূর্য। সারাটা দৃশ্যে কিছুটা সিঁদুরে আভা লেগে রয়েছে এখনও, কিন্তু একটু পরেই মরিচার মতো বাদামি হয়ে আসবে সবকিছু, তারপর ছায়া-ছায়া ভোর-ভোর সন্ধ্যা এসে অনেক ডিটেল খেয়ে নেবে দৃশ্যবস্তুর। আজ ছ’দিন ধরে দৃশ্য ও আলোর এ-বর্ণনা দেখেছে সুবিনয়। তাই আজ বেলা দুটো থেকে বসে দৃশ্যটার কম্পোজিশন স্কেচ করে নিয়ে তেল রং চাপাচ্ছে নিবিষ্ট মনে।

ছবিটা জমেছে মন্দ না। বেশ খুশি-খুশি মনে চারমিনারে শেষ টান দিয়ে ফের কাজে মন দিল সে।

গোটা আট-দশ মালবোঝাই ট্রাক এসে দাঁড়িয়েছে গুমটিতে। গেট বন্ধ। চারটে পঞ্চান্নর মেল ট্রেনটা পাস করে গেলে গেট খুলবে। দূরে বাঁকের ও-ধারে এঞ্জিনের ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে শুধু। গেটটা খুলে অনায়াসে গাড়িগুলোকে পার করিয়ে নিতে পারত। কিন্তু রেলওয়ে গেটম্যান জবরদস্ত ডিউটি করে। গোঁফে চাড়া দিয়ে লোকটা বিচিত্র উপেক্ষার চোখে ট্রাকগুলোর দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে।

হাতের কাজ বন্ধ করে ওর দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইল সুবিনয়। লোকটা বিচিত্র। একটু আগে ওর কাছে জল চেয়েছিল সুবিনয়। লোকটা খাটিয়ায় বসে গাঁজায় দম দিচ্ছিল। আরও দুটি লোক বসেছিল খাটিয়ায়। গুমটিম্যান লোকটি বেশ মাতব্বরি সবজান্তা গলায় দিল্লির হালচাল রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে কিছু বলছিল। ভাবভঙ্গি এমন ছিল যেন জ্ঞান দিচ্ছে।

জল চাইতে, কথায় বাধা পেয়ে তীক্ষ্ন চোখে সুবিনয়ের আপাদমস্তক দেখে নিয়ে, বাঁ-হাত তুলে ওকে অপেক্ষা করতে ইশারা করেছিল লোকটা।

খাটিয়ায় বসা সেই দুজন শ্রোতার একজন অধৈর্যভাবে জিগ্যেস করেছিল, ওকর বাদ কা ভৈল?

গুমটিম্যান হাতের কলকেটা আর-একজনের হাতে দিয়ে গম্ভীরভাবে বলেছিল, আরে, রামরতনোয়া তো পিসিডেন কা ডারাইভর, ওকর কা পরওয়া। অর্থাৎ, কোন এক রামরতন তো প্রেসিডেন্টের ড্রাইভার, তার আবার কাকে পরোয়া। লোক দুটো তাই শুনে হতভম্বের মতো তাকিয়েছিল, লোকটা—মানে গুমটিম্যান—তখন চোখ টিপেছিল বিচিত্র এক ইশারায়।

না, আলো কমে আসছে দ্রুত, রঙের টোন বোঝা যাচ্ছে না। কাজ বন্ধ করে রেলওয়ে গুমটির দিকে তাকাল সুবিনয়। গুমটিম্যান বন্ধ গেটে হেলান দিয়ে ট্রাক থেকে নেমে আসা একটা লোকের সঙ্গে কথা বলছে। ওর কথার শব্দ শোনা যায় এখান থেকে, হাঁ এক বাঙালিবাবু। ফটো খিচলছে। এ-কথাগুলো শুনে সুবিনয় বুঝতে পারল যে, তার কথাই ওকে বলছে গেটম্যান।

সুবিনয় দেখতে পেল গেটম্যানের আঙুল-নির্দেশে তাকে দেখছে সেই ড্রাইভারগোছের লোকটা। পাঞ্জাবি ধরনের ঢোলা সালওয়ার-কামিজ পরা দীর্ঘদেহী লোকটার চোখ দুটো বেশ বড়-বড় আর জ্বলজ্বলে। বিকেল বেশ ঘন হয়ে এলেও এসব বেশ স্পষ্ট দেখতে পেল সুবিনয় তার তীক্ষ্ন দৃষ্টির সাহায্যে। কেমন যেন চেনা-চেনা চেহারা লোকটার। কোথাও যেন দেখেছে কখনও ওকে বলে মনে হল সুবিনয়ের। কিন্তু ঠিক মনে করতে পারল না।

একটা সিগারেট ধরিয়ে নিয়ে টিউবগুলো গুছিয়ে বাক্সটা বন্ধ করল। বসে কাজ করার মতো ছোট ফোলডিং ইজেলটা ভাঁজ করে নিয়ে একহাতে বাক্স ও ইজেল এবং অন্যহাতে ক্যানভাসটা ঝুলিয়ে নিল সুবিনয়। ট্রেনটা ততক্ষণে চলে এসেছে। আস্তে আসছে এঞ্জিনটা, অত্যধিক শব্দ করতে-করতে। গলগল করে ধোঁয়া বেরুচ্ছে চিমনি দিয়ে।

রেললাইনের পাশে যে-উঁচুমতো জায়গাটায় বসে কাজ করছিল সুবিনয়, সেখান থেকে নীচে নামবার একটা ধাপ কাটা-কাটা পায়ে-চলা পথ আছে।

সন্তর্পণে সুবিনয় নামার জন্য তৈরি হল। ট্রেনটা গুমটির কাছাকাছি চলে এসেছে, গেটম্যান হাতে একটা সবুজ ফ্ল্যাগ নিয়ে নাড়ছে।

পশ্চিম আকাশে ম্যাড়মেড়ে হয়ে এসেছে ক্ষণপূর্বের উজ্জ্বল আগুন রং। এসব দেখে চোখ নামাতেই সে দেখতে পেল, সেই ড্রাইভারগোছের লোকটা কখন যেন নীচে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, সুবিনয়ের থেকে আট-দশ ফুট নীচে সেই ধাপ-কাটা পথটার গোড়ায়, যেখান দিয়ে সুবিনয় নামবে।

ট্রেনটা ঘসঝস-ঘসঝস শব্দ আর চাকার ধাতব ঝঞ্ঝনা তুলে পাস করে যাচ্ছে সামনে দিয়ে। কোক কয়লার তীব্র ধোঁয়াশে গন্ধের মধ্যে থেকে সুবিনয় দেখতে পেল, লোকটা স্থিরদৃষ্টিতে তাকেই দেখছে।

তখনও সুবিনয় চিনতে পারেনি লোকটাকে। ট্রেনটা পার হয়ে গেল। সুবিনয় এবার ধাপ বেয়ে নামতে লাগল সন্তর্পণে। হঠাৎ লোকটা বিশ্রী কেমন ধাতব খনখনে শব্দে হেসে উঠল। হাসছে তাকে দেখেই।

এইবার অকস্মাৎ ঝপ করে মনে পড়ে গেল, সেই হাসির বিশ্রী শব্দ আর দাঁড়িয়ে থাকার ভঙ্গিতে লোকটাকে চিনতে পারল। কাছাকাছি থেকে সেই বাঁ-গালে কাটার দাগটাও দেখতে পেয়ে নিঃসন্দেহ হয়ে সুবিনয়ের সারা শরীরের রক্ত যেন হিম হয়ে এল। আর রক্ষা নেই আজ! সেই কথামতো বিশুয়া আজ ফিরে এসেছে। বেলঘরিয়ার সেই কুখ্যাত বিশুয়া—বিশ্বনাথ মাস্তান। তারকাটা ও ওয়াগন ব্রেকার পার্টি-লিডার, কুখ্যাত সেই বিশ্বনাথ। তখন একডাকে সারাটা মহল্লা চিনত ওকে। সে প্রায় বছর-আটেক আগেকার কথা। একদিন রাতে তারকাটার সময়ে সদলে ওদেরকে ধরিয়ে দিয়েছিল ওখানকার ভিজিলেন্স পার্টি। স্থানীয় সেই ভিজিলেন্স পার্টির সেক্রেটারি ছিল সুবিনয়।

দ্রুত সেই চলচ্ছবি যেন মুহূর্তে মানসপটে ভেসে উঠল সুবিনয়ের। পুলিশ এসে পড়ার আগে ওদের দলবলকে আটকে রাখতে একটা ছোটখাট খণ্ডযুদ্ধ বেধে গিয়েছিল যেন। বিশ্বনাথের বেপোরোয়া ভোজালি চালানোয় ডিফেন্স পার্টির একটি ছেলে সাংঘাতিক জখম হয়।

কিন্তু কাউকে সেদিন পালাতে দেয়নি সুবিনয়রা। অতঃপর পুলিশবাহিনী এসে পড়ে সদলবলে বিশ্বনাথকে গ্রেপ্তার করে।

কোর্টে কেস ওঠার পর আদালতে একদিন জেলভ্যানে ওঠার সময়ে বিশ্বনাথ শাসিয়েছিল সুবিনয়কে। বলেছিল, শালা ফাঁসি তো আর হবে না, কোনওদিন তো বেরুব আবার, তখন দেখা হবে, দোস্ত, পুরো বদলা নেব। কেউ আটকাতে পারবে না, আবার দেখা হবে।

ট্রেন চলে গেছে। মলিন হয়ে এসেছে বিকেলের আলো। আর শিমুলতলার আগের স্টপ লাহাবনীর মতো অখ্যাত জায়গায় এমন পরিবেশে আজ হঠাৎ অকস্মাৎ দেখা হয়ে গেল প্রায় আট বছর পরে।

কই নামুন, একটু বাতচিৎ হোক, হ্যাঃ হ্যাঃ। —কথা শেষ করে সেই বিশ্রী হাসির আওয়াজ তুলে কোমরে দু-হাত দিয়ে দাঁড়াল বিশ্বনাথ।

বড়-বড় চোখ যেন জ্বলে-জ্বলে উঠছে। কথাবার্তার ধরনে মনে হয় ও মদ খেয়ে আছে। ফাঁকা জায়গা, ওধারে দাঁড়ানো ট্রাকগুলোতে ওরই স্যাঙাত লোকজন। কী করবে, কী বলবে কিছুই বুঝে উঠতে না পেরে ফাঁকা শ্বাস নিল সুবিনয়।

আসল ভয়ের একটা অনুভূতি আছে। আগে কোনওদিন সেটার স্বাদ পায়নি সে। কিন্তু আজ এই ফাঁকা নির্জন জায়গায় ওই লোকটার সামনে এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে-থাকতে সারা শরীরে সেই চিনচিনে ঝিমঝিমে ভাবটাকে অনুভব করল সুবিনয়। বিশুয়া বা বিশ্বনাথ আজ প্রতিশোধ নেবে। কোনওরকমের প্রতিরোধের চিন্তাই এখানে অর্থহীন। ট্রাকগুলোতে ওরই সব দোস্ত স্যাঙাত। ওঃ, আর ফিরে যাওয়া হবে না। মিনতির সঙ্গে দেখা হবে না আর। বিয়ের পর কথামতো দুজনে সাজাতে পারবে না ফ্ল্যাট। কেবল ল্যান্ডস্কেপ ছবির প্রদর্শনীর যে-পরিকল্পনা ছিল অ্যাকাডেমিতে, তা-ও হয়ে উঠবে না। গুঙিয়ে উঠতে লাগল এইসব চিন্তা সুবিনয়ের মাথায়। এতদিন সংগ্রাম করে আজ সে নামি এক পাবলিসিটি ফার্মের চিফ আর্টিস্ট হতে পেরেছে। মিনতি…মিনতির সুন্দর মুখটা ভেসে উঠল যেন মানসপটে, বুকের মধ্যে মুচড়ে উঠল সুবিনয়ের। আর হ্যাঁ, মরিয়া হয়ে উঠল সে হঠাৎ। দেওয়ালের সামনে পিঠ দিয়ে দাঁড়ানো বেড়ালের মতো মরিয়াপনায় ফুঁসে উঠে সুবিনয় তার হাতের ক্যানভাসটা পাশে রেখে দিল, কিন্তু ঢালু জায়গা বলে ক্যানভাসটা গড়িয়ে চলল নীচের দিকে।

হ্যাঃ হ্যাঃ হ্যাঃ—ভয় পাচ্ছেন কেন?—খ্যাকখ্যাক হাসির সঙ্গে বিশুয়া বলল এ-কথা।

সুবিনয় খর গলায় বলল, তুমি অপরাধ করেছিলে, তার সাজা পেয়েছ। আমি যদি না-ও থাকতাম সেদিন, তাহলেও তুমি রেহাই পেতে না। কারণ, পুলিশ তোমাকে ধরার জন্যে হন্যে হয়ে উঠেছিল।—এ-কথা বলে সুবিনয় নেমে আসবে, না ফের ওপরে উঠে যাবে ভেবে পেল না।

ফস করে একটা সিগারেট ধরাচ্ছে বিশুয়া বা বিশ্বনাথ, দেশলাই-কাঠির আলোয় তার গালে সেই কাটা দাগটা ভয়ঙ্কর দেখাল। গলগল করে একমুখ ধোঁয়া ছেড়ে বিশুয়া বলল, আপনি নেমে আসুন, কথা আছে আপনার সঙ্গে, কোনও ভয় নেই।

‘কোনও ভয় নেই’ কথাটায় সুবিনয়ের মনে হল যে, ওকে নামাবার জন্য বুঝি স্তোক দিচ্ছে বিশুয়া। চারপাশের কিছুই স্পষ্টভাবে দেখা যায় না। আকাশের আলো মরে এসেছে, সব কেমন আবছা-আবছা দেখায়, তার মধ্যেই সুবিনয় দেখতে পেল, জনা-পাঁচেক লোক এসে দাঁড়িয়েছে রেললাইনের কাছে—একজনের হাতে একটা লম্বা মতো জিনিস। একজন হিন্দিতে বিশুয়াকে জিগ্যেস করল, চাক্কা বদল দেই?—নহি নহি, বিশুয়া তাকে বলল—ওকর পম্প খুলদে জরা। তারপর বিশুয়া সুবিনয়ের উদ্দেশে বলল—আরে, নেমে আসুন না, মশায়। কতদিন পরে দেখা হল।

সুবিনয় ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না, কী করা দরকার। এভাবে এখানে দাঁড়িয়ে থেকেও কি লাভ আছে কিছু? ওরা এদিক দিয়ে উঠে এলেই ধরা পড়ে যাবে। পিছন দিক দিয়ে পালানো যাবে না, সেখানে দুর্ভেদ্য কাঁটাঝোপ। নামতে হবেই। এবং…।

সুবিনয় সিদ্ধান্তে এল, সে গিয়ে বিশুয়ার মুখোমুখি দাঁড়াবে। যা খুশি ওরা করুক, তবে সে-ও হাত গুটিয়ে মার খাবে না। আর ওপরে এখানে দাঁড়িয়ে থাকার চেয়ে নীচে নেমে যাওয়া অনেক কাজের হবে, অন্তত ফাঁকা দেখে পালানোও যেতে পারে কোনওদিকে।

খুব তীক্ষ্ন চোখ ওদের ওপর রেখে সন্তর্পণে কিন্তু দৃঢ়তার সঙ্গে নামতে লাগল সুবিনয়। ক্যানভাসটা গড়িয়ে নীচে নামতে-নামতে একটা আশশ্যাওড়ার ঝোপে আটকেছিল, কাঁচা রঙে হয়তো দাগ হয়ে গেছে ভেবে আপশোস হল সুবিনয়ের। বিশুয়া চড়াই বেয়ে একটু উঠে ক্যানভাসটা নামিয়ে আনল। তারপর দু-হাত দিয়ে খুলে ধরে সেটা দেখতে লাগল। কিন্তু আবছা অন্ধকারে ঠাহর না পেতে সে বলে উঠল, কিছুই দেখা যাচ্ছে না, আলোতে দেখা হবে আপনার আঁকা ছবি।

গেটম্যান গেট খুলে দিয়েছে অনেকক্ষণ। কিন্তু ট্রাকগুলো একটাও নড়েনি। বোধহয় বিশুয়ার জন্যই অপেক্ষা করছে সব। সুবিনয় অতঃপর নেমে এল। বগলে সেই মুড়ে নেওয়া ইজেল ও অ্যাটাচি কেসের মতো বাক্সটা। দু-চার পা পিছিয়ে গিয়ে দাঁড়াল বিশুয়া, ওকে নামবার জায়গা দিয়ে।

এভাবে দেখা হয়ে যারে ভাবতে পারেননি, না?

বিশুয়ার এ-কথায় থমকে গেল সুবিনয়। সে কোনও জবাব না দিয়ে নেমে এসে ওর মুখোমুখি দাঁড়াল।

এখানে কোথায় উঠেছেন?—বিশুয়া জিগ্যেস করল।

সুবিনয় বলল, এখানে নয়, শিমুলতলায় এসেছি আজ দিন-পাঁচেক হল, এখানের দৃশ্য ভালো লেগে যাওয়ায় দুদিন ধরে এখানে এসে-এসে ছবিটা আঁকছি।

আশ্চর্য, সুবিনয় বিশুয়ার প্রশ্ন করার ধরনে কেমন সহৃদয়তার মতো অনুভব করল।

ওর কথার জবাবে অতএব বিশুয়াও বলল, এই লাইনে এখন আমার পাঁচটা ট্রাক পি ডব্লিউ ডি-র মাল বইছে। আপনার প্রতি আমার কোনও শত্রুতার মনোভাব নেই। আমার পাপের শাস্তি আমি পেয়েছি, বাবু। যাক, আপনি আজ চলুন আমার ডেরায়! মুরগি-টুরগি রান্না হচ্ছে, আর তার সঙ্গে…,—বলে কথা শেষ না করে সিগারেটের প্যাকেট এগিয়ে দেয় বিশ্বনাথ।

মাসিক গোয়েন্দা

পুজো সংখ্যা, ১৯৭৮

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *