দ্বিতীয় খন্ড
উত্তরপর্ব
2 of 3

কৃষ্ণাংশের – শোভা সংবাদ

।। কৃষ্ণাংশস্য–শোভা সংবাদ।।

অষ্টাবিংশব্দকে প্রাপ্তে কৃষ্ণাংশে বলবত্তরে। কার্ভিক্যামিন্দুবারে চ কৃত্তিকাব্যতিপাত্তভে।।১।। কৃষ্ণাংশোহযুতসেনাঢ়য়ঃ স্বর্ণবত্যা সমন্বিতঃ। বিবাহ মুকটস্যৈব সন্ত্যাগায় যযৌ মুদা।।২।। পবিত্র মুৎপলারণ্যং বাল্মীকিমুনি সেবিতম্। গংগাকূলে ব্রহ্মাময়ং লৌহকীলকমুত্তমম্।।৩।।

।। কৃষ্ণাংশের শোভা সংবাদ।।

এই অধ্যায়ে কৃষ্ণাংশের শোভা নামক বেশ্যা সমাগম সংবাদও পুরাণাচার্য এবং পুরানের ভেদ বর্ণনা করা হয়েছে।

সূতজী বললেন–বলবান্ কৃষ্ণাংশ অষ্টাবিংশ বর্ষ বয়ঃপ্রাপ্ত হলে কার্তিকী পূর্ণিমা তিথিতে সোমবার দিন তথা কৃত্তিকা ব্যতিপতি নক্ষত্রে কৃষ্ণাংশ দশসহস্র সেনা যুক্ত হয়ে স্বর্ণবতীর সাথে বিবাহ মুকুট সম্যক প্রকার ত্যাগ করার জন্য প্রসন্ন মনে গিয়েছিলেন। বাল্মীকি মুনি কর্তৃক সেবিত পরম পবিত্র উৎপলারন্য ছিল। সেখানে গঙ্গা তটে উত্তম লৌহকীলক স্থানে সেই শুদ্ধ আত্মা পুষ্পবতীর সঙ্গ গিয়ে স্নান করেছিলেন এবং ব্রাহ্মণদের জন্য এক সহস্র গোদান করেছিলেন।। ১-৪।।

তত্র গত্বা স শুদ্ধাত্মা পুষ্পবত্যা সমন্বিতঃ। গোসহস্ৰং চ বিপ্রেভ্যো দদৌ স্নানে প্রসন্নধীঃ।। ৪।। এতস্মিন্নস্তরে প্রাপ্তা ম্লেচ্ছজাতিসমুদ্ভবা। শোভা নাম মহারম্যা বেশ্যা পরমসুন্দরী।।৫।। সা দদর্শ পরং রম্যং কৃষ্ণাংশং পুরুষোত্তমম্। তদ্‌দৃষ্টিমোহমাপন্না ব্যকুলা চাভবৎক্ষণাৎ।।৬। মূৰ্চ্ছিতাং তাং সমালোক্য কৃষ্ণাংশঃ সর্বমোহনঃ। স্বনিবাসমুপাগম্য বিপ্ৰাণায় পৃষ্টবান্।।৭।। অষ্টাদশ পুরাণানি কেন প্রোক্তানি কিং ফলম্। ব্রৃত মে বিদুষাং শ্রেষ্ঠা বেদশাস্ত্রপরায়ণাঃ।।৮। ইতি শ্রুত্বা বচো রম্যং বিদ্বাংসঃ শাস্ত্রকোবিদাঃ। অব্রুবন্ বচনং রম্যং কৃষ্ণাংশং সমগম্।।৯।। পরাশরেণ রচিতং পুরাণং বিষ্ণুদৈবতম্। শিবেন রচিতং স্কান্দং পখং ব্রহ্মামুখোভবম্।।১০।।

ইতি মধ্যে ম্লেচ্ছ জাতিতে জন্মগ্রহণকারী মহাসুন্দরী এবং অত্যন্ত রম্য শোভা নাম্নী বেশ্যা সেখানে এসেছিলেন। তিনি অত্যন্ত সুন্দর, পুরুশোত্তম কৃষ্ণাংশকে দর্শন করলেন। কৃষ্ণাংশের দৃষ্টিতে মোহ প্রাপ্ত তিনি সেইক্ষনেই ব্যকুল হয়ে গেলেন। সর্বমোহন কৃষ্ণাংশ তাকে মূর্ছিত হতে দেখে নিজ নিবাস স্থানে তাকে নিয়ে এসে বিপ্রকে ডেকে বলেছিলেন–হে বিদ্বান্ শ্রেষ্ঠ, আপনি সর্ববেদ এবং শাস্ত্রে পারদর্শী। আপনি আমাকে বলুন। এই রম্য বচন শ্রবণ করে বেদশাস্ত্রে পন্ডিত এবং পরম বিদ্বান্ সর্বধর্মজ্ঞাতা কৃষ্ণাংশকে বলেছিলেন যে, বিষ্ণুপুরাণ পরাশর মুণি রচনা করেছিলেন। ভগবান্ শিব স্কন্দ পুরাণ রচনা করেছিলেন এবং পদ্মপুরাণ ব্রহ্মার মুখ থেকে উৎপন্ন হয়েছিল। ভাগবৎ মহাপুরাণ শুকমুণি দ্বারা কথিত। ব্ৰহ্ম পুরাণ ভগবান্ ব্রহ্মা রচনা করেন। গরুড় পুরাণ ভগবান্ শ্রীহরি রচনা করেন–এই ছয়পুরাণ সাত্বিক সম্ভবপুরাণ।। ৫-১১।।

শুক্রপ্রোক্তং ভাগবতং ব্রাহ্মং বৈ ব্রহ্মণাকৃতম্। গারুড়ং হরিণা প্রোক্তং ষড় বৈ সাত্ত্বিকসম্ভবাঃ।।১১।। মৎস্যঃ কূমো নৃসিংহশ্চ বামনঃ শিব এব চ। বায়ুরেতৎ পুরাণানি ব্যাসেন রচিতানি বৈ।।১২।। রাজসাঃ ষট্ স্মৃতা বীর কর্মকান্ডময়া ভুবি। মার্কন্ডেয়ং চ বারাহং মার্কন্ডেয়েন নির্মিতম্।।১৩।। আগ্নেয়মঙ্গিরাশ্চৈব জনয়ামাস চোত্তমম্। লিংগব্রহ্মান্ডকে চাপি তন্ডিনা রচিতে শুভে। মহাদেবেন লোকার্থে ভবিষ্যং রচিতং শুভম্।।১৪।। তামসাঃ ষট্ স্মৃতাঃ প্রাজ্ঞৈঃ শক্তিধর্মপরায়ণাঃ। সর্বেষাং চ পুরাণানাং শ্রেষ্ঠং ভাগবতং স্মৃতম্।।১৫।। ঘোর ভূবি কলৌ প্রাপ্তে বিক্ৰমো নাম ভূপতিঃ। কৈলাসাদ্ ভূবমাগত্য মুনীন্ সর্বান্ সমাহৄয়ৎ।।১৬।।

মৎস্য-কূর্ম নৃসিংহ বামন শিব এবং বায়ু এই পুরাণগুলি শ্রীব্যাস মুনি দ্বারা বিরচিত। এই ছয় প্রকার পুরাণ রাজস পুরাণ। হে বীর, এই ভূ-মন্ডল কার্যকান্ডে পরিপূর্ণ। মার্কন্ডেয় এবং বারাহ মার্কন্ডেয় দ্বারা নির্মিত। অঙ্গিরা মুনি আগ্নেয় পুরাণ রচনা করেন। লিংগ এবং ব্রহ্মান্ডক তন্ডি দ্বারা নির্মিত এবং সর্বলোকের জন্য মহাদেব ভবিষ্য পুরাণ রচনা করেন।। বিদ্বানগণ এই ছয় প্রকার পুরাণকে তামস পুরাণ বলেছেন এবং এগুলি শক্তিধর্মপরায়ন এই সমস্ত পুরানের মধ্যে ভাগবত পুরাণ পরমশ্রেষ্ঠ পুরাণ।। ১২-১৫।।

এই ভূ-মন্ডলে ঘোর কলিযুগে বিক্রম নামক রাজা কৈলাস থেকে ভূমিতে এসে সমস্ত মুনিগণকে আহ্বান করলেন। সেই সময় সমস্ত মুণিগণ নৈমিষারণ্যে বসবাস করতেন, তাঁরা শ্রীসূতজীকে অষ্টাদশ মহাপুরাণ এবং উপপুরাণ কথা বর্ণনা করা জন্য প্রেরণ করেন।। ১৬-১৭।।

তদা তে মুনয়সর্বে নৈমিষারন্যবাসিনঃ। সূতং সঞ্চোদয়ামাসুস্তেষাং তচ্ছ্রবণায় চ। প্রোক্তান্যুপপুরাণানি সূতেনাষ্টাদশৈব চ।।১৭।। ইতি শ্রুত্বা তু বচনং কৃষ্ণাংশো ধর্মতৎপরঃ। শ্রুত্বা ভাগবতং শাস্ত্রং সপ্তমেহহি মহোত্তমম্।।১৮।। দদৌ দানানিবিপ্রেভ্যো গোসুবর্ণময়ানি চ। ব্রাহ্মণান্ ভোজয়ামাস সহস্রং বেদতৎ পরান্।।১৯।। তদা তু ভিক্ষুকী ভূত্বা শোভা নাম মদাতুরা। মায়াং কৃতবতী প্রাপ্য কৃষ্ণাংশো যত্ৰ বৈ স্থিতঃ।।২০।। ধ্যাত্বা মহামদং বীরং পৈশাচং রুদ্রকিং করম্। মায়াং সা জনয়ামাস সর্বপাষাণ কারিণীম্।।২১। দষ্ট। স্বর্ণবতী দেবীতাং মায়াং শোভয়োদ্ ভবাম্। ছিত্ত্বা চাহ্লাদ্য বামাংগীং স্বগেহং গন্তুমুদ্যতা।।২২।।

এই প্রকার শ্রবণ করে ধর্ম পরায়ন কৃষ্ণাংশ মহোত্তন ভাগবত শাস্ত্ৰ সাতদিনে শ্রবণ করেছিলেন এবং বিপ্রগণকে গো তথা সুবর্ণ দান করেছিলেন। বেদ তৎপর এক সহস্র ব্রাহ্মণকেও ভোজন করিয়েছিলেন।। ১৮-১৯।।

সেই সময় মদাতুরা শোভা নাম্নী ভিক্ষু বেশে সেখানে এসে মায়া করতে লাগলেন। তিনি রুদ্রকিংকর পৈশাচ বীর মহামদের ধ্যান করে তাকে নিয়ে এসে সকলকে পাষাণকারিনী মায়ায় বশীভূত করেছিলেন।। ২০ -২১।।

স্বর্ণবতীদেবী শোভার সবমায়া ছেদন করেদিয়েছিলেন এবং প্রসন্ন হয়ে সেই বামাঙ্গী নিজগৃহে যাবার জন্য উদ্যত হয়েগেল।। সেই বেশ্যা শোকাবিষ্ট স্বর্ণবতীর স্বর্ণমন্ত্র স্থিত উত্তম রম্য তথা বহুমূল্য শৃঙ্গের মায়া দ্বারা সংহরণ করে সেই ধূর্তা বাহ্লীক দেশে চলে গেলেন।। যখন তিনি কল্পক্ষেত্রে এলেন তখন নেত্রসিংহের পুত্রী তারা শৃঙ্গার চুরির কথা জানতে পেরে অত্যন্ত দুঃখিত হলেন।। ২২-২৪।।

সা বেশ্যা তু শুচাবিষ্টা তস্যাঃ শৃংগারমুত্তমম্। স্বর্ণযন্ত্রস্থিতং রম্যং লক্ষদ্রব্যোপমূল্যকম্। সংহৃত্য মায়য়া ধূর্তা দেশং বাহ্লীকৰ্মায়য়ৌ।।২৩।। কল্পক্ষেত্রমুপাগম্য নেত্রসিংহসমুদভবা। বেশ্যা মম শৃংগারং হৃতং জ্ঞাত্বা সু দুঃখিতা।।২৪।। কৃষ্ণাংশ বচনং প্রাহ গচ্ছ গচ্ছ মহাবল। গৃহীত্বা মম শৃংগার শীঘ্রমাগচ্ছ মাংপ্ৰতি।।২৫।। গুটিকেয়ং ময়া বীর রচিতা তাং মুখেন চ। ধূর্তমায়াবিনাশায় তব মংগলহেতবে।।২৬।। ইতি শ্রুত্বা তয়া কৃত্বাকৃষ্ণাংশঃ সৰ্ব মোহনঃ। শূকর ক্ষেত্রমাগম্য যত্র বেশ্যাং দদৰ্শ হ।।২৭।। সা তু বেশ্যা চ তং বীরং দৃষ্ট্বা কন্দর্পকারিণম্। রচয়িত্বা পুণর্মায়াং তদন্তিকমুপাগতা।।২৮।।

তিনি কৃষ্ণাংশকে বলেছিলেন যে, হে মহাবলবান্ তুমি শীঘ্র গিয়ে আমার শৃঙ্গার ফেরৎ নিয়ে এস।। ২৫।।

হেবীর, আমি এক গুটিকা রচনা করেছি, সেটি মুখে ধারণ কর, যাতে করে সেই ধূর্তার মায়া বিনষ্ট হবে।। ২৬।।

স্বর্ণবতীর সেকথা শ্রবণ করে গর্বমোহন কৃষ্ণাংশ সেইরূপ করেছিলেন। তিনি শূকর ক্ষেত্রে এসে সেই বেশ্যাকে দেখেছিলেন। তিনিও কন্দর্পকান্তি কৃষ্ণাংশকে দেখে নিজ মায়া বিস্তার করে তাঁর কাছে এসেছিলেন।। ২৭- ২৮।।

তদা সা নিষ্ফলী ভূয় রুরোদ করুণং বহু। রুদন্তী তাং সমালোক্য দয়ালুঃ স প্রসন্নধীঃ।।২৯।। গৃহীত্বা সর্বশৃংগারং বচনং প্ৰাহ নিৰ্ভয়ঃ। কিং রোদিষি মহাভাগে সত্যং কথয় মা চিরম্।।৩০।। সাহ মে সহরো নাম ভ্রাতা প্রাণসমপ্রিয়ঃ। নাটয়েশ্চ পঞ্চসাহস্রৈঃ সহিতো মরণং গতঃ।।৩১।। অতো রৌমি মহাভাগসম্প্রাপ্তা শরণং ত্বয়ি। ইত্যুক্ত্বা মায়য়া ধূর্তা কৃত্বা শবময়ান ত্যজান্।।৩২।। তস্মৈ প্রদর্শয়ামাস নিজকার্যপরায়ণা। রুদিত্বা চ পুনস্তত্র প্রাণাংস ত্যক্তং সমুদ্যতা।।৩৩।। দয়ালুসঃ চ কৃষ্ণাংশ স্তামাহ করুণং বচঃ। কথং তে জীবয়িয্যক্তি শোভনে কথয়াশু মে।।৩৪।। সাহ বীর তবাস্যে তু সংস্থিতা গুটিকা শুভা। দেহি মে কৃপয়া বীর জীবয়িষ্যন্তি তে তয়া।।৩৫।।

কৃষ্ণাংশ নির্ভীক চিত্তে বলেছিলেন যে, হে মহাভাগে, তুমি কেন রোদন করছ? বিলম্ব না করে আমাকে সত্য বল।। ২৯-৩০।।

তিনি বলেছিলেন–আমার সহর নামক ভ্রাতা, আমার প্রাণপ্রিয় ছিল। পাঁচসহস্র নাটয়োর সাথে সে মৃত্যু প্রাপ্ত হয়েছে। হে মহাভাবা এই কারণে আমি রোদন করছি।এখন আমি তোমার শরণে এসেছি। একথা শ্রবণ বলে সেই ধূর্তা মায়া দ্বারা শবমায়ান্ত্যজ করে নিজ কার্য পরায়ণ সেই কৃষ্ণাংশকে দেখিয়ে দিলেন। এবং পুনরায় তিনি রোদন করে নিজ প্ৰাণ ত্যাগ করতে প্রস্তুত হল। ‘ ৩১-৩৩।।

দয়ালু কৃষ্ণাংশ ভাকে করুণা পূর্ণ বচনে বলেছিলেন -হে শোভনে, আমাকে শীঘ্র তুমি বল যে তারা কিভাবে জীবিত হবে। তিনি বললেন হেবীর, তোমার মুখে একটি শুভ গুটিকা আছে। হেবীর, আপনি সেটি আমাকে প্রদান করুন। তার দ্বারা এরা জীবিত হয়ে যাবে।। ৩৪-৩৫।।

ইত্যুক্তস্তু তয়া বীরো দদৌ তস্যৈ চ তদ্বসু। তদা প্রসন্না ধূর্তা কৃত্বা শুকময়ং বপুঃ। পঞ্চরস্থমুপাদায় কৃষ্ণাংশং কামবিহ্বলা।।৩৬।। বাহ্লীক দেশমাগম্য সারটঠনগরং শুভম্। উবাস চ স্বয়ং গেহ কৃত্বা দিব্যময়ং বপুঃ।।৩৭।। নিশীথে সমনুপ্রাপ্তে কৃত্বা তং নবরূপিনম্। আলিলিংগ হি কামার্তা কৃষ্ণাংশ ধর্মকোবিদম্।।৩৮।। দষ্টাতাংস তথাভূতাং কৃষ্ণাংশো জগদম্বিকাম্। তুষ্টাব মনসা ধীরো রাত্রিসূক্তেন নম্ৰধীঃ।।৩৯।। তদা সা স্বেজিনী ভূত্বা ত্যক্ত্বা কৃষ্ণাংশমুত্তমম্। পুনঃ শুকময়ং কৃত্বা চিচিনীবৃক্ষমারুহৎ।।৪০ ।। তদা স্বর্ণবতী দেবী বোধিতা বিষ্ণুমায়য়া। কৃত্বা শ্যেনী ময়ং রূপং তত্র গত্বা মুদান্বিতা। দদর্শ শুকভূতং চ কৃষ্ণাংশং যোগতৎপরম্।।৪১।।

একথা বলার পর সেই বীর বেশ্যা শোভাকে সেই ধনপ্রদান করলেন। তাতে পরমপ্রসন্ন সেই ধূর্তা বেশ্যা তার দ্বারা শুকময় শরীর প্রস্তুত করে কৃষ্ণাশকে নিয়ে কামবিহ্বল হয়ে তিনি বাহ্লীক দেশে চলে এলেন এবং সেখানে শুভসাগর নগরে বাস করতে লাগলেন। পুনরায় তিনি ঘরে নিজ দিব্য শরীর ধারণ করে অর্ধরাত্রে তাকে নরকরূপে প্রস্তুত করে কামার্ত হয়ে সেই ধর্মপন্ডিত কৃষ্ণাংশকে আলিঙ্গন করতে লাগলেন।। ৩৬-৩৮।।

কৃষ্ণাংশ সেই কামাতৃকে দেখে জগদম্বিকার স্ববন করলেন এবং বিনম্র মনে রাত্রি সুক্তের দ্বারা দেবীর স্তুতি করলেন। সেই সময় শোভা স্বেভিনী হয়ে উত্তম কৃষ্ণাংশকে ত্যাগ করে তাকে পুনরায় শুকময় শরীরে পরিণত করলেন এবং তিনি চিটনী বৃক্ষে আরূঢ় হলেন।। ৩৯-৪০।।

তখন দেবী স্বর্ণবতী বিষ্ণুমায়াতে বোধিত হয়ে নিজে শ্যেণীময় শরীর ধারণ পূর্বক প্রসন্নচিত্তে সেখানে পৌছালেন। তিনি যোগতৎপর শুকরূপী কৃষ্ণাংশকে সেখানে দেখেছিলেন।। ৪১।।

এতস্মিন্নন্তরে বেশ্যা পুনঃ কৃত্বা শুভং বপুঃ নরভূতং চ কৃষ্ণাংশং বচনং প্ৰাহ নম্ৰধীঃ।।৪২।। অয়ে প্রাণপ্রিয় স্বামিন্ ভজ মাং কামবিহ্বলাম্। পাহি মাং রতিদানেন ধর্মজ্ঞোসি ভবান্ সদা।। ৪৩।। ইত্যুক্তসঃ তু তামাহ বচনং শৃণু শোভনে আর্যবত্মস্থিতোহং বৈ বেদমার্গরায়নঃ।।৪৪।। বিবাহিতাং শুভাং নারী ষো ভজেত ঋতৌ নহি। স পাপী নরকং যাতি তিৰ্য্যগ্ যোনিময়ং স্মৃতম্। অতঃ পরস্ত্রিয়া ভোগো জ্ঞেয়ো বৈ নিরয় প্রদঃ।। ৪৫।। ইতি শ্রুত্বা তু সা প্রাহ বিশ্বামিত্রেণ ধীমতা। শৃংগিণা চ মহাপ্রাজ্ঞ বেশ্যাসংগঃ কৃতঃ পুরা। ন কোহপি নরকং প্রাপ্তস্তস্মান্মাং ভজ কামনীম্।।৪৬।।

ইতি মধ্যে সেই বেশ্যা পুনরায় নিজ শুভ শরীর ধারণ করে কৃষ্ণাংশকে নবরূপে নির্মাণ করে নম্রভাবে বললেন হে প্রাণপ্রিয় স্বামিন্, কামবিহ্বলা আমাকে উপভোগ করো। আপনি তো ধর্মজ্ঞাতা, এই সময় রতিদান আমাকে প্রদান করে আমাকে রক্ষা করুণ।। ৪২-৪৩।।

সেই বেশ্যা একথা বললে সেই কৃষ্ণাংশ বলেছিলেন, হে শোভনে, তুমি আমার কথা শ্রবণ করো, আমি আর্যমার্গে স্থিত, এবং সদা বেদ মার্গে বিচরণ করি। যে পুরুষ নিজ বিবাহিতা শুভনারী ঋতুকালে উপভোগ করেন না সেই পাপী নরকগামী হন, যা তির্যক ধোনি বলা হয়। এই কারণে পরস্ত্রীকে ভোগকারী পুরুষ নরকগামী হন। কৃষ্ণাংশের এরূপ বচন শ্রবণ করে সেই বেশ্যা বলেছিলেন–হে ধীমান্, বিশ্বমিত্র ঋষি এবং শৃঙ্গী পূর্বে বেশ্যাগমন করেছিলেন। এসে করে তাঁরা কেউই নরকগামী হননি।।৪৪-৪৬।

পুনশ্চাহ স কৃষ্ণাংশঃ কৃতং পাপং তপোবলাৎ তাভ্যাং চ মুনিযুগ্মাভ্যামসথোহিংসা প্রতম্।।৪৭।। অৰ্দ্ধাংগ পুরুষস্য স্ত্রী মৈথুন চ বিশেষতঃ। অহমার্য ভবতী বেশ্যা চ বহুভোগনী।।৪৮।। ঋচি শব্দশ্চ পূর্বাস্যাজ্জাত ঋগজঃ সনাতনঃ। যোগজশ্চৈব যঃ শব্দো দক্ষিনাস্যাদ্যজুর্ভবঃ।।৪৯।। তদ্ধিতান্তশ্চ যশ শব্দ পশ্চিমাস্যাচ্চ সামজঃ। ছন্দোভূতাশ্চ যে শব্দাস্তেসর্বে ব্রাহ্মণপ্রিয়াঃ। কেবলো বর্ণমাত্রশ্চ স শব্দোহ থর্বজঃ স্মৃতঃ।।৫০।। পঞ্চমাস্যাচ্চ যে জাতাঃ শব্দাঃ সংসারকারিণঃ। তে সৰ্বে প্ৰাকৃতা জ্ঞেয়াশ্চতলক্ষবিভেদিনঃ।।৫১।। হিত্বা তান্যো হি শুদ্ধাত্মা চতুর্দেপরায়ণঃ। স বৈ ভবাটবীং ত্যক্ত্বা পদং গচ্ছত্যনাময়ম্।।৫২।।

পুনরায় কৃষ্ণাংশ বললেন, সেই সকল ঋষিগণ নিজ তপবলে কৃতপাপ খন্ডন করেছিলেন। সেই দুই মুণি তো পরম তপস্বী ছিলেন এবং সমর্থ ছিলেন কিন্তু এই সময় আমি অসমর্থ। পুরুষের অর্ধঅঙ্গ বলে স্ত্রীকে স্বীকার করা হয়, বিশেষ করে মৈধুনের সময় এইরূপ মান্য করা হয়। আমি তো আর্য এবং তুমি বহুগামিনী বেশ্যা।। ঋচি শব্দ পূর্বস্য থেকে সমুৎপন্ন এবং তাঁরা ঋগজ সনাতন, যারা শব্দ যোগজ দক্ষিণাস্য থেকে যজুর্ভব এবং যে শব্দ তদ্ধিতান্ত এবং পশ্চিমাস্য থেকে ছন্দোভূত শব্দ সমুৎপন্ন তাঁরা সকলে ব্রাহ্মণের প্রিয়। কেবল যিনি বর্ণমাত্র সেই শব্দ অথর্বজ।। পঞ্চম মুখ থেকে যে শব্দ উৎপন্ন হয়েছিল তারা সকলে সংসারকারী। চারলক্ষ বেদমুক্ত এই সকল প্রাকৃত জানা উচিৎ। যে ব্যক্তি সেই সকল ত্যাগ করে চতুর্বেদ পরায়ণ হন, তিনি এই সংসারকারী অটবী ত্যাগ করে অনাময় পদ প্রাপ্ত হন।। ৪৭-৫২।।

ন বদেদ্যবয়ীং ভাষাং প্রানৈঃ কন্ঠগতেরপি। গজৈরাপীড়য়মানোহপি ন গচ্ছেজ্জৈন ন মন্দিরম্।।৫৩ ইত্যেবং স্মৃতি বাক্যানি মুনিনা পঠিতানি বৈ। কথং ত্যাজ্যো ময়া ধর্মঃ সর্বলোক সুখপ্রদঃ।।৫৪।। ইতি শ্রুত্বা তু সা বেশ্যা ম্লেচ্ছায়াশ্চাংশসম্ভবা। শোভনা নাম রম্ভোরুমহাক্রোধমুপাযযৌ।।৫৫।। বেতসৈস্তাড়য়িত্বা তং পুনঃ কৃত্বা শুকং স্বয়ম্। ন দদৌ ভোজনং তস্মৈ ফলাহারং শুকায় বৈ।।৫৬।। তদা স্বর্ণবতী দেবী কৃত্বা নারীময়ং বপুঃ। মশকীকৃত্য তং বীরং তত্রৈবান্তদধে তু সা।।৫৭।। পুনঃ শ্যেনীবপুঃ কৃত্বা তদ্দেশাদ্যাতুমুদ্যতা। পৃষ্ঠমারোপ্য মশকং ময়ূরনগরং যযৌ।।৫৮।।

যাবনী ভাষা কদাপি বলা উচিঃ নয়, প্রাণ কন্ঠগত হলেও তা বলা উচিৎ নয়। মদমত্ত হস্তি দ্বারা আক্রান্ত হলেও কদাপি জৈন মন্দিরে যাওয়া উচিৎ নয়, তাতে হস্তির দ্বারা প্রাণগত হলেও না। এই প্রকার স্মৃতিবাক্য মুনিগণ উপদেশ দিয়েছেন, সুতরাং আমার আর্যধর্ম কিভাবে ত্যাগ করব। কেননা ধর্ম হল সকল লোককে সুখ প্রদান কারী।। ৫৩-৫৫।।

কৃষ্ণাংশের এই সকল কথা শ্রবণ করে ম্লেচ্ছ সমুৎপন্ন রম্ভা সদৃশ উরূযুক্ত শোভনা নান্মী বেশ্যা প্রচন্ড ক্রদ্ধ হলেন। তিনি কৃষ্ণাংশকে বেত্রাঘাত করে পুনরায় শুকময় রূপে পরিণত করলেন এবং নিজে ফলাহার করলেও তাকে খাবার জন্য কোনো ভোজন দিলেন না।। ৫৫-৫৬।।

সেই সময় স্বর্ণবতী নিজ নারীময় শরীর ধারণ করে সেই বীরকে একটি মশক রূপে তৈরী করে সেখানেই অন্তর্হিত হলেন। এর পর তিনি শ্যেণীরূপ ধারণ করে যাবার জন্য উদ্যত হলেন। তিনি মশককে পৃষ্ঠে আরোপিত করে ময়ূর নগরে চলে গেলেন।। সেখানে বলী মকরন্দ কৃষ্ণাংশের সঙ্গে নেত্রপালসিংহের পুত্রী স্বর্ণবতীকে দেখে তাদের চরণ স্পর্শ করে নিজ গৃহে স্থান দিলেন।। ৫৭-৫৯।।

মকরন্দস্তু তাং দৃষ্ট্বা কৃষ্ণাংশেন সমন্বিতাম্। নেত্রপালস্য তনয়াং নাম্না স্বর্ণবতীং বলী। চরণাবুপসংগৃহ্য স্বগেহে তামবাসয়ৎ।।৫৯।। শোভনাপি চ সম্বুধ্য পঞ্জরান্তমুপস্থিতা। ন দদর্শ শুকং রম্যং মুচ্ছিতা চাপত ডুবি।।৬০।। কিংকরোমি ক্বগচ্ছামি বিনা তং রমণং পরম্। ইত্যেব বহুধালপ্য মদহীনপুরং যযৌ।।৬১।। তত্র স্থিতং চ পৈশাচাং মায়ামদবিশারদম্। মহামদং চ সংপূজ্য স্বগেহং ত্যক্তুমুদ্যতা।।৬২।। মহামদস্ত সন্তুষ্টো গত্বা বৈ শিবমন্দিরম্। মরুস্থলেশ্বরং লিংগং তুষ্টাবাৰ্যভাষয়া।।৬৩।। তদা প্রসন্নো ভগবান বচনং প্ৰাহ সেবকম্। স্বর্ণবত্যা হৃতৌ বীরঃ কৃষ্ণাংশশ্চার্যধমগঃ। ময়া সহ সমাগচ্ছ ময়ূরনগরং প্রতি।।৬৪।।

শোভা বেশ্যা জাগরিত হয়ে পঞ্জরান্তে উপস্থিত হলে সেখানে রম্য শুকরূপী কৃষ্ণাংশকে দেখতে পেলেন না। তখন মূর্ছিত হয়ে তিনি ভূপতিতা হলেন। তিনি বিলাপ করতে করতে বললেন, এখন আমি কি করব কি বলব, সেই পরম রমণ বিনা আমি কিভাবে থাকব। এই প্রকারে সে রোদন করে মহীনপুরে চলে গেলেন।। ৬০-৬১।।

সেখানে স্থিত মায়ামদ বিশারদ পিশাচকে অর্চনা করে নিজ শরীর জাগ করতে তিনি উদ্যত হলেন। তার পূজাতে মহামদ পিশাচ প্রভূত সন্তুষ্ট হয়ে শিবমন্দিরে গিয়ে মরস্থলেশ্বর লিংগকে ঋষভ ভাষাতে স্তুতি করলেন।। ৬২।।

সেই সময় ভগবান্ প্রসন্ন হয়ে তাঁর সেবককে বললেন, আর্যধর্মানুগামী বীর কৃষ্ণাংশকে স্বর্ণবতী হরণ করেছেন, আমার সাথে তুমি ময়ূর নগরে এসো। সেই পিশাচ একথা শুনে পাঁচহাজার নট তথা সেই শোভনাকে নিয়ে সহুরণ সমন্বিত হয়ে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হল।। ৬৩-৬৫।।

ইত্যুক্তস্তেন পৈশাচো নটেঃ পঞ্চসহস্ৰকৈঃ। তয়া সহ যযৌ তূর্ণং সহুরেণং সমন্বিতঃ।।৬৫।। ইন্দুলশ্চ তথাহ্লাদো বোধিতো বিষ্ণুমায়য়া। ত্রিলক্ষবল সংযুক্তোদেবসিংহেন সংযুতঃ। ময়ূরনগরং প্রাপ্য মকরন্দমুপাযযৌ।।৬৬। তদা তু শোভনা বেশ্যা সত্তুরেণ বলৈঃ সহ। চকার ভৈরবীং মায়াং সর্বশত্রুভয়ং করীম্।।৬৭।। সর্বতশ্চোত্থিতো বাতো মহামেঘসমন্বিতঃ। পতন্তি বহুধা চোল্কাঃ শর্করাবর্ষণে রতাঃ।।৬৮।। দৃষ্ট্বা তাং ভৈরবীং মায়াং তমোভূতাং সমস্ততঃ। মকরন্দশ্চ বলবান্নথস্থঃ স্বয়মাযযৌ।।৬৯।। শনি ভল্লেণ তাং মায়াং ভস্ম কৃত্বা মহাবলঃ। গৃহীত্বা সহুরং ধূর্তং সবলং গেহমাপ্তবান্।।৭০।।

এদিকে বিষ্ণু মায়ার দ্বারা ইন্দুল তথা আহ্লাদ বোধিত হয়ে তিনলক্ষ সেনাবল সংযুক্ত হয়ে তথা দেবসিংহকে নিয়ে ময়ূর নগরে মকরন্দের কাছে চলে গেলেন। সেই সময় শোভনা নাম্নী বেশ্যা সহুরেণ সেনার সাথে সেখানে পৌঁছে শত্রুভয়কারী ভৈরবী মায়া করলেন। ভয়ানক মেঘময় বায়ু সেখানে উত্থিত হল, এছাড়া সেখানে ধূলিবর্ষণকারী উল্কা পতিত হতে লাগল।। ৬৬-৬৮।।

সেই ভৈরবী মায়া দেখে সকল দিক অন্ধকার ময় হয়ে গেলে মকরন্দ রথস্থিত হয়ে সেখানে আগত হলেন। সেই মহাবলবান্ মানিভল্পের দ্বারা সেই মায়াকে ভস্ম করে সেই ধূর্ত সহুরকে সবলে ধরে ফেলে গৃহগত হলেন।। ৬৯-৭০।।

তদা তু শোভনা নারী কামমায়াং চকার হ। বহুলাঃ সংস্থিতা বেশ্যা গীতনৃত্য বিশারদাঃ।।৭১।। মোহিতাঃ ক্ষত্রিয়াঃ সর্বে মুমুহুলাস্যদর্শনাৎ। দেবসিংহাচ্চ কৃষ্ণাংশাদৃতে জড়তাং গতঃ।।৭২।। তদা স্বর্ণবতী দেবী কামাক্ষী ধ্যানতৎপরা। পুনরুত্থাপ্যতান্ সর্বান্ গৃহীত্বা শোভনাং পুনঃ। ময়ুরধ্বজ মাগম্য নিগড়ৈস্তান ববন্ধ হ।।৭৩।। মহামদস্ত তজ্জাত্বা রুদ্রধ্যানপরায়ণঃ। চকার শাম্বরীং মায়াং নানাসত্ত্ববিধায়িনীম্।।৭৪।। ব্যাখ্যাঃ সিংহা বরাহাশ্চ বানরা দংশকা নরঃ। সর্পাগৃধ্রাস্তথা কাকা ভক্ষয়ত্তি সমস্ততঃ।।৭৫।। তদা স্বর্ণবতী দেবী কামাক্ষীধ্যানতৎ পরা। সসর্জ সমরজাং মায়াং তন্মায়াধ্বংসিনীং রণে।।৭৬।।

সেই সময় শোভনা বহুবেশ্যার দ্বারা নৃত্য গীতের মাধ্যমে কামমায়া করেছিলেন। তাদের লাস্য দর্শনে সমস্ত ক্ষত্রিয় মোহিত হয়ে মূর্ছিত হয়ে গেলেন। দেবসিংহও কৃষ্ণাংশ বিনা সকলে জড়তা প্রাপ্ত হলেন।। ৭১- ৭২।।

সেই সময় দেবী স্বর্ণবতী কামাক্ষীর ধ্যান করে তাঁদের পুনরায় জাগরিত করে শোভনাকে ধরে ফেললেন। ময়ূরধ্বজে এসে তাকে নিগড়ে বেঁধে ফেললেন।। ৭৩।।

মহামদ এই সবকিছু বুঝতে পেরে রুদ্রদেবের ধ্যান পরায়ন হলেন এবং তিনি পুনরায় নানা প্রকার সত্ত্ব বিধায়িনী শাম্বরী মায়া করলেন। সেই মায়াতে ব্যাঘ্র সিংহ -বরাহ বানর দংশক নর সর্প গৃধ্র সকলকে ভক্ষণ করতে লাগল। পুনরায় স্বর্ণবতী দেবী কামাক্ষী দেবীর ধ্যান করে সেই ভয়কে ধ্বংস কারী স্মরজা মায়া সৃজন করলেন।। ৭৪-৭৬।।

তয়া তাক্ষাঃ সমুৎপন্না শরভাশ্চ মহাবলাঃ। সিংহাদীন ক্ষয়ামাসুন্ধুজশ্চৈব সহস্রশঃ।।৭৭ ।। হাহাভূতে চ তৎসৈন্যৈদিক্ষু বিদ্ৰাবিতে সতি। শোভনা চাভবদ্দাসী স্বর্ণবত্যাশ্চ মায়িনী।।৭৮।। সহুরস্তৈর্নটেঃ সার্দ্ধং তাহ্লাদেনৈব চূর্ণিতঃ। তেষাৎ রুধিরকুম্ভাশ্চ ভূমিমধ্যে সমারুহন্।।৭৯।। এবং চ মুনিশার্দূল চতুর্মাঃ স্বভবদ্ৰণঃ। বৈশাখে মাসি সংপ্রাপ্তে তে নারী গেহমার্য্য।। ইতি তে কথিতং বিপ্ৰ চান্যনি শ্রোতুমিচ্ছসি। ৮০।।

সেই মায়ার প্রভাবে তাক্ষ এবং মহাবলবান্ শরভ সমুৎপন্ন হয়ে সিংহাদি সকলকে ভক্ষণ তথা সহস্র বীরকে মেরে ফেলল।। ৭৭।।

সেই সময় সেনামধ্যে হাহাকার উত্থিত হল এবং সকলে বিভিন্ন দিকে পলায়ন করল। তখন সেই মায়িনী শোভনা স্বর্ণবতীর দাসী হয়ে গেলেন এবং সেই তথা সহুর তথা সমস্ত নর আহ্লাদের দ্বারা চূর্ণিত হল। তাদের রক্তে রম্ভভূমি মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল।। ৭৮-৭৯।।

হে মুনি শার্দূল, এই প্রকারে সেই যুদ্ধ চার মাস ধরে হয়েছিল। অতঃপর বৈশাখমাস আগত হলে সকল বীর নিজ গৃহে ফিরে এলেন। হে বিপ্ৰ, এই সকল ঘটনা আমি তোমাকে বললাম, এখন তুমি কোন্ ঘটনা শ্রবণ করার ইচ্ছা প্রকাশ কর?।। ৮০।।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *