ব্রাহ্ম পর্ব
মধ্য পর্ব
প্রতিসর্গ পর্ব
1 of 3

কুন্ড সংস্কার বর্ণন

।। কুন্ড সংস্কার বর্ণনম্।।

।। কুন্ড সংস্কার বর্ণন।।

কুস্তানমেথ সংস্কারে বক্ষ্যে শাস্ত্রমতং যথা। অসংস্কৃতে চাথহানিস্তস্মাস্তংস্কৃত্য হোময়েৎ।।১।। অষ্টাদশ স্যু সংস্কারাঃ কুস্তানাং তত্র দশিতাঃ। তারেণাবেক্ষয়েৎস্থানং কুশতোয়ৈঃ প্রসেচয়েৎ।।।। ত্রিসূত্রীকরণং পশ্চাদবৃত্তসূত্রং নিপাতয়েৎ। বারেন কীলকং দধ্যান্নারসিংহেন কুডমলম্।।৩।। জিহ্বাং প্রকল্পয়েপ্তশ্চত্তস্মাদগ্নিং সমাহরেৎ। ন চ ম্লেচ্ছগৃহাদগ্নিং ন শূদ্রনিলয়াক্বচিৎ।।৪।।

এরপার আমি কুন্ডের সংস্কার বিষয়ে শাস্ত্রের মত বলবো, যে কুন্ড অসংস্কৃত তাতে হোম করলে ক্ষতি হয় তাই কুন্ডের সংস্কার করেই হোম করতে হবে।।১।। সেখানে কুন্ডের আঠারোটি সংস্কার দেখানো হয়েছে। তার দ্বারা স্থান আবেক্ষণ করতে হবে এবং কুশের জল দিয়ে প্রসেচন করতে হবে।।২।।

এর পিছনে ত্রিসূত্রীকরণ করবে এবং বৃত্ত সূত্রের নিপাতন করতে হবে, বার দিয়ে কীলক দেবে এবং নারসিংহ মন্ত্র দ্বারা কুড়মল দেবে।।৩।।

এরপর তাতে জিহ্বা প্রকল্পিত করতে হবে এবং তা দিয়ে অগ্নি সমাহরণ করবে। কোন ম্লেচ্ছ জাতির ঘর থেকে এবং কোনও শূদ্রের ঘর থকে কখনও অগ্নি নেওয়া যাবে না।।৪।।

নদীপর্বতশালাভ্যঃ স্ৰীহেস্তাগুরিবর্জয়েৎ। সংস্কৃত্য পরিগৃহীয়াত্রিধা কৃত্বা সমুদ্ধবেৎ।।৫।। তমগ্নিং পতিগৃহ্নীয়াদাত্মনোহভিমুখং যথা। বহ্নিবীজেন মতিমাঞ্জিববীজেন পোক্ষয়েৎ।।৬। বাগীশ্চরীমৃতস্রাতাং বাগীশ্চরসমাগতাম্। ধ্যাত্বা সমীরেনং দদ্যাক্তামমুৎপদ্যতে ততঃ।।৭।। কালবীজেন চৈশানাং যোনাবগ্নিং বিনিক্ষিপেৎ। পশ্চাদ্দেবস্য দেব্যাশ্চ দদ্যাদাচমনীযকম্।।৮।। পিতৃঙ্গল দহ দহ চযুগ্মমুদীর্থ চ। সর্বজ্ঞাজ্ঞপয় স্বাহা মন্ত্রোয়ং বহ্নিপূজনে।।৯।। বহ্নিবহিষি সংযুক্তা সাদিয়াস্তা সবিন্দঃ। বহ্নিমন্ত্রাঃ সমুদ্দিষ্টা দ্বিজানাং মন্ত্র ঈরিতঃ।।১০।।

নদী, পর্বত এবং শালা দ্বারা তথা স্ত্রীর হাত দিয়ে অগ্নি আনয়ন পরিবর্জিত করতে হবে। প্রথমে সংস্কার করে পরিগ্রহণ করতে হবে এবং তিন ভাগ করে সমুদ্ধৃত করবে।।৫।।

ঐ অগ্নি নিজ অভিমুখে করে প্রতিগ্রহণ করবে, বুদ্ধিমান পুরুষকে বহি বীজদ্বারা এবং শিব বীজ দ্বারা প্রোক্ষণ করতে হবে।।৬।।

বাগীশ্বর থেকে সমাগত ঋতুস্নানকারী বাগীশ্বরীর ধ্যান করে বায়ু দিতে হবে তাকে যাতে ভালোভাবে যথেচ্ছ উৎপন্ন হবে।।৭।।

কাল বীজ দ্বারা ঈশান দিকের যোনিতে ঐ অগ্নি নিক্ষিপ্ত করবে। এরপর দেবী এবং দেবগণের আচমনীয় দিতে হবে।।৮।।

হে পিতৃ পিঙ্গল! দহন কর, দহন কর, এভাবে পাঁচজোড়া বার বলে অর্থাৎ পাঁচ পাঁচ একে দু’বার বলে হে সর্বজ্ঞ! স্বাহাকে আজ্ঞা দাও, যা বহি পূজার মন্ত্র।।৯।।

বহ্নি, বর্হিষে সংযুক্ত যদিয়ান্ত এবং সবিন্দু বহ্নির মন্ত্র সমুদ্ধিষ্ট হয়। একে দ্বিজের মন্ত্র বলা হয়।। ১০।।

জিহ্বাস্তাস্ত্রিবিধাঃ প্রোক্তা যজ্ঞদত্তেন সত্তমাঃ। হিরণ্যামাজ্যহোমেষু হোময়েৎসংযতাত্মকঃ।।১১।। ত্রিমধ্বক্তৈযত্র হোমং কণিকায়াং চ হোময়েৎ। কনকাস্যাতু কৃষ্ণাস্যাদ্বিরন্যা শুভ্রতা তথা।।১২। বহুরূপাতিরূপা চ সাত্ত্বিকা যোগকর্মসু। বিশ্বমূর্তিস্ফুলিঙ্গিনৈৗ ধূম্রবণা মনোজবা।১৩।। লোহিতাস্যাক্তালীভাসস্য ইত্যপি। এতাঃ সপ্ত নিযুজ্ঞীত বিজ্ঞেয়া ক্রুরকমসু।।১৪।। সমিদ্ভেদেষু যা জিহ্বাস্তাস্তু তেনৈব যোজয়েৎ। হিরণ্যামাজ্যহোমেষু হোময়েস্তংযতাত্মকঃ।।১৫।। ত্রিমধ্বক্তৈযথা হোমং কণিকায়াংচ হোময়েৎ। শুদ্ধক্ষীরেন রক্তায়াং নৈত্যিৈেবষু প্রভা স্মৃতা।।১৬।। বহু রূপা পুষ্পহোমে কৃষ্ণা চান্নেন পায়সৈঃ। ইক্ষুহোমে পদ্মরাগা সুবর্ণা পদ্মহোমকে।।১৭।

ঐ জিহ্বা তিন প্রকার বলা হয় যা যজ্ঞ দত্ত দ্বারা বলা হয়েছে। হে সত্তম! আজ্য হোম সংযুতাত্মক হয়ে হিরণ্যের হোম করতে হবে।।১১।।

যেখানে ত্রিমধ্বক্ত দ্বারা হোম হয় সেখানে কণিকাতে হোম করতে হবে। কণকা হলে কৃষ্ণ হবে, হিরণ্য হলে শুভ্রতা হবে।। ১২।।

বহুরূপা, অতিরূপা এবং সাত্ত্বিকা যোগে কর্মে আছে, বিশ্বমূৰ্ত্তি, স্ফুলিঙ্গি নী, ধূম্রবর্ণযুক্তা, মনোজবা, লোহিতা হয়। করালা হয়, কালী ভাসের হয়। এই সাতে নিযুক্ত করবে যা ক্রুর কর্মে জানতে হবে।।১৩-১৪।।

সমিধের ভেদে যে জিহ্বা আছে তা তার দ্বারা যোজিত করবে। আজ্যহোমে সংযত আত্মাযুক্ত হয়ে হিরণ্যার হোম করতে হবে।।১৫।।

ত্রিমধ্বক্তো দ্বারা হোম কর্ণিকাতে করতে হবে। রক্তাতে শুদ্ধ ক্ষীর দিয়ে করবে এবং নৈত্যিকে প্রভা বলা হয়।। ১৬।।

পূণ্য হোমে বহুরূপা জিহ্বা আছে। অন্নের দ্বারা এবং পায়স দিয়ে হোমে কৃষ্ণা হয়। ইক্ষুহোমে পদ্মরাগ এবং পদ্মহোম সুবর্ণা হয়।।১৭।।

লোহিতা পদ্মহোমে চ শ্বেতা বৈ বিল্পএকৈ। ধূমিনী তিলহোমে চ কাষ্ঠহোমে করলিকা।।১৮।। লোহিতাস্যা পিতৃহোমে ততো জ্ঞেয়া মনোজবা। বৈশ্বানরঃ স্থিতং হোমে সমিদ্ধোমেষু সত্তমাঃ।।১৯।। সমানমাজ্যহোমে চ নিষণ্নং শেষবস্তু। আস্যাত্তু জুহুয়াদ্বহৌ পিপত্তি সর্বকমসু।।২০। কর্ণহোমে তু বৈ ব্যধিনেত্রে তদদ্বকীরিতম্। নাসিকায়াং সনঃ পীড়া মস্তকেহধ্বা ন সংশয়ঃ।।২১।। গুহ্যো বিপৎকরং চৈব তস্মাত্তত্র ন হোময়েৎ। সাধারণমথো বক্ষ্যে বহ্নেডিত্তোশ্চ কীতিতাঃ।।২২।। প্রবক্ষ্যামি বিধিং কৃৎস্নং যদ্বিশেষং পুনঃ শূনু। ঘৃতাহুতৌ হিরণ্যাখ্যা গগনা পানিহোমতঃ।।২৩।।

পদ্মহোম লোহিতা ও বেলপাতা দিয়ে করা হোমে শ্বেতা হয়। তিলের হোমে ধূমিনী এবং কাঠের হোমে করালা বলা হয়।। ১৮।।

পিতৃহোমে লোহিতাস্যা এবং এরপর মনোজবা জানতে হবে, যে হোম সমিদ্ধ তাতে হে সত্তমা! বৈশ্বানর স্থিত হোমে থাকে।।১৯।।

আজ্য হোমে সমান এবং শেষ বস্তুতে নিষন্ন থাকে। বহ্নিতে আজ্য দিয়ে হবন করতে হবে সে সমস্ত কর্মে পালন করে।।২০।।

কর্ণ হোমে ব্যাধি হয়। নেত্র হোমেও ঐভাবে বলা হয়েছে। নাসিকাতে মনের পীড়া হয় এবং মস্তকে মার্গ হয়, এতে লেশমাত্রও সংস্কার নেই।।২১।। গোপনে বিপত্তিকারী থাকে এজন্য তাতে হোম করা যাবে না। এখনও পর্যন্ত বহ্নির জিহ্বা বিষয়ে বিশদভাবে বলা হল এখন সাধারণ বলা হবে।।২২।। এখন আমি পূর্ণ বিধি বলবো যা কিছু বিশেষ আছে তা পুনরায় শ্রবণ কর। ঘৃতাহুতিতে হিরণ্য নামযুক্ত হয়। পানি হোমে হয় গগনা।।২৩।।

বক্রা খ্যাতা মহাহোমে কৃষ্ণাভা সা ক্ৰতৌ মতা সুপ্রভা মোদিকবিধৌ বহুরূপাতিরূপিকাঃ।।২৪।। পুষ্পপত্রবিধৌ হোমে বহ্নেজিহ্বাঃ প্রকীতিতাঃ। ন বা সংকল্পয়েৎকুন্ডে শূদ্রাকারবিভেদতঃ।।২৫।। ইন্দ্রকোষ্ঠং মস্তকং স্যাদীশাগ্নেয়ে চ মস্তকে। তৎকাষ্ঠপাশ্বে দ্বৈ নেত্রে দ্বৌ করৌ চ পদক্রমাৎ।।২৬।। অবিশিষ্টং ভবেৎপুচ্ছং মধ্যে চোদর সম্ভবম্। উদরে হোময়েৎ পুষ্টিমন্নং পায়সকং চ যৎ।।২৭।। লুত্বা ব্রীহিগনং তত্ৰ কণে পুষ্পাহুতিং লুনেৎ। বামকণে বামনেত্রে লুনেদজ্বাদিকং বুধঃ।।২৮।। শ্রবণে চৈব নেত্রে চ দক্ষিণে চেক্ষুখন্ডকম্। বামপাদে বামকরে অভিবারেষু শস্যতে।।২৯।।

মহাহোমে বক্তা বলেছেন, ক্রতুতে বহু কৃষ্ণাভা মানা হয়। মোদকবিধিতে সুপ্রভা হয়। বহুরূপা এবং অতিরূপিকা পুষ্পপত্র বিধিযুক্ত হোমে বহ্নির জিহ্বা পরিকীর্তিত করা হয়েছে অথবা শূদ্রকরের বিভেদ দ্বারা কুন্ডের সংকল্পন করা যাবে না।।২৪-২৫।

ইন্দ্র কোষ্ট মস্তক হয় এবং ঈশাগ্নেয় মস্তকহয়। সেই কাঠের পার্শ্বে দুটি নেত্র এবং পদ ক্রম থেকে দুটি হাত হয়।।২৬।।

এবং মধ্যে উদর থেকে সম্ভাব্য অবিশিষ্ট পুচ্ছ হয়। উদরে পুষ্টি অন্ন এবং পায়সের হোম করতে হবে।।২৭।।

যেখানে ব্রীহিগণের হবন করে সেখানে কর্ণে পূণ্যাহুতির হবন করতে হবে। বুদ্ধিমান পুরুষকে বামকর্ণে এবং বাম নেত্রে অব্জ প্রভৃতির হবন করতে হবে।।২৮।।

দক্ষিণ শ্রবণ ও নেত্রে ইক্ষুদন্ডের হবন করতে হবে। বাম পা এবং বাম হাতে হবন দ্বারা অভিচার কর্মে প্রশস্য অর্থাৎ প্রশংসার যোগ্য হয়।। ২৯।।

মারণে পুষ্পদেশে তু ন চান্যং হোময়েৎক্বচিৎ। বিপৎকরং বিজানীয়াদ্বনি সর্ববিনাশকৃৎ।।৩০ ।। চন্দনাগরূকপূরপাটলাথিকানিভঃ। পাবকস্য সুতো গন্ধ সমস্তাৎসুমহোদয়ঃ।।৩১।। প্রদক্ষিণস্ত্যক্তকল্পা ছত্ৰাকা শিথিলা শিখা। শুভদা যজমানস্য রাজস্যাপি বিশেষতঃ।।৩২।। ছিন্নবৃত্তাঃ শিখাঃ কূর্যামৃত্যুধন পরিক্ষয়ঃ। নিবাপ্যং মরনং বিদ্যাস্নহাধুমাকুলেহপি চ।।৩৩। এবং বিধেষু দোষেষু প্রায়শ্চিত্তং সমাচরেৎ। অষ্টাবিংশানুতীস্ত্যক্ত্বা ব্রাহ্মণানভোজয়েত্ততঃ।।৩৪।। মূলেনাজ্যেন জুহুয়াজ্জুহুয়াৎপঞ্চবিশতিম্। মহাস্নানং প্রকতব্যং ত্রিকালং হরিপূজনম্।।৩৫।।

মারণ পুষ্প দেশে অন্য কারুর কখনও হবন করা উচিৎ নয়। এভাবে হবন করা বিপত্তিকারী জানতে হবে। এই হবন সর্ব বিনাশকারী হয়।।৩০।।

চন্দন, অগরু, কর্পূর, পাটলা, যূথিকার তুল্য পাবকের যুত গন্ধ সব এবং সুন্দর মহান উদয়যুক্ত হয়।।৩১।।

প্রদক্ষিণ কল্প ত্যাগকারী, ছত্রাক, শিথিলা অগ্নির শিখা যজমানকে শুভ (মঙ্গল) দানকারী হয় এবং বিশেষ করে রাজ্য-এরও শুভদাত্রী হয়ে থাকে।।৩২।

ছিন্নবৃত্তযুক্ত শিখা মৃত্যু এবং ধনের পরিক্ষয় করে। মহান ধূম দ্বারা আকুলেও মরণকে নির্বাপ্য জানতে হবে।।৩৩।।

এই প্রকার দোষে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। আঠাশটি আহুতি ছাড়াও আবার ব্রাহ্মণকে ভোজন করাতে হবে।।৩৪।।

মূল দ্বারা আজ্য দিয়ে হবন করতে হবে এবং পঁচিশটির হবন করবে! মহাস্নান করতে হবে এবং ত্রিকালে হরির পূজনও করা হবে।।৩৫।।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *