দ্বিতীয় খন্ড
উত্তরপর্ব
2 of 3

কিল্কিলার শাসক বর্ণন

।। কিল্কিলা কে শাসকো কা বর্ণন।।

বৈক্রমে রাজ্যবিগতে চতুষষ্ঠয়ুত্তরং মুনে। দ্বাবিংশদব্দশতকং ভূতনন্দিস্তদা নৃপঃ।।১।। কুবেরয় ক্ষকান্ মৌনান্ ধন ধান্য সমন্বিতান। সার্দ্ধলক্ষান্ কলৌঘোরৈজিত্বা তান্যযুদ্ধকারিণঃ।।২।। কিল্কিলায়াং স্বয়ং রাজ্যং নাগংশৈশ্চকার হ। আগ্নেয্যাং দিশি বিখ্যাতা পুন্ডরীকেন নির্মিতা।।৩।। পুরী কিলকিলা নাম তত্র রাজা বভূব হ। পুন্ডরীকাদয়ো নাগাস্তস্মিন্নাজ্যং প্ৰশাসতি।।৪।। গেহে গেহে জনৈঃ সর্বৈঃ পূজনীয়া বভূবিরে। স্বাহা স্বধা বষট্কারো দেবপূজা মহীতলে।।৫।।

।। কিল্কিলার শাসক বৰ্ণনা।।

এই অধায়ে বৈক্ৰমীয় দ্বাবিংশত শতাব্দীতে কিলকিলাতে নন্দীশিশু নন্দ্যুৎপাতিত ঋশ্যোৎপতি বর্ণন করা হয়েছে।

শ্ৰী সূতজী বললেন হে মুনে, বিক্রম রাজ্য ২২৬৪ বর্ষ হলে সেই সমময় ভূতনন্দি রাজা হন। কুবের যক্ষ মৌনগণ যে ধনধান্য সমন্বি ছিে এবং, দেড়লক্ষ কলের দ্বারা জয়করে তাকে অযুদ্ধকারী করে দিয়েছিলেন এবং সেই রাজা নাগকংশের সাথে কিলকিলা পুরী নামে বিখ্যাত ছিল সেখানে তিনি নিরাজত্ব করেন। তার রাজ্যশাসনের ফলে পুন্ডরী কাদিগন ঘরে ঘরে জনে জনে পূজ্য হয়েছিল। মহীতলে স্বাহা স্বধা এবং বষটকার দেবপূজপ হতে লাগল।। ১-৩।।

ত্যক্ত্বা দেবানুপাগম্য সংস্থিতা মেরুমূর্দ্ধনি। শক্রাজ্ঞয়া কুবের স্তু শূকধান্যং সমস্ততঃ।।৬।। যক্ষৈঃ যড়শানাদায় দেবেভ্যঃ প্ৰদদৌ প্রভুঃ। মণিস্বর্ণাদিবস্তুনি মৌনরাজ্ঞ্যেষু মানি বৈ।।৭।। দত্তানি তানি কোশেষ পুনর্দেবশ্চকার হ। মন্ডলীকং পদং তেন সংস্কৃতং ভূতনন্দিনা।।৮।। শতার্থং তু ততো রাজা শিশু নন্দিবভূব হ। নাগপূজাং পুরস্কৃত্য তিরস্কৃত্য সুরান্ ডুবি।।৯।। চকার রাজ্যং বিংশাব্দং যশোনন্দিস্ততোহ নুজঃ। ভ্রাত্রাসনং স্বয়ং প্রাপ্তো নাগপূজাপরায়নঃ।।১০।। পঞ্চবিংশতিবর্ষনি স চ রাজ্যমচীকরৎ। ততস্তত্তনয়ো রাজা স বভূব প্রবীরকঃ।।১১।। একাদশাব্দং তদ্ৰাজ্যং কর্মভূম্যাং প্রকীর্তিতম্। কদাচিৎ স চ বাহ্লীকে সেনয়া সার্দ্ধমাগতঃ।।১২।।

তাদের ত্যাগ করে মেরুশিখরে স্থিত দেবগনের কাছে গিয়ে ইন্দ্রের আজ্ঞাতে কুবের সকল শূকধান্য যক্ষের দ্বারা ষড়াংশ নিয়ে দুইজনকেই দিয়েছিলেন এবং মনিস্বর্ণ ইত্যাদি বস্তু যা কিছু মৌন রাজ্যে ছিল তার সকল ষড়ংশ তাদের দিয়েছিলেন।। ৪-৭।।

সেই সকল কোশেতে পুনরায় দেব স্থাপন করেছিলেন। সেই দূতনন্দী মন্ডলী পদসংস্কৃত করেন। তিনি ৫০ বর্ষ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। অতঃপর শিশুনন্দি সেখানের রাজা হন। তিনি নাগপূজাকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন এবং দেবগণকে ভূমিতে তিরস্কার করেছিলেন।। ৮-৯।।

তত্র তৈরভবদ্যুর্দ্ধং পৈশাচৈম্লেচ্ছদারুনৈঃ। মাসমাত্রন্তরে ম্লেচ্ছা লক্ষসংখ্যা মৃতিং গতাঃ।।১৩।। তথা ষষ্ঠি সহস্রাশ্চ নাগভক্তা লয়ং গতাঃ। বাদলো নাম তদ্রাজা রোমজস্থো মহাবলঃ।।১৪।। যশোনন্দিমাহুয় দদৌ জালবতীং সুতাম্। গৃহীত্বা ম্লেচ্ছরাজস্য সুতাং গেহমুপাগতঃ।।১৫।। গর্ভো জাতস্তত স্তস্যাং বভূব তনয়ো বলী। বাহ্লীকো নাম বিখ্যাতো নাগপূজন তৎপরঃ।।১৬।। তদন্বয়ে নৃপা জাতা বাহ্লীকাশ্চ ত্ৰয়োগশ। চতুঃ শতানি বর্ষানি কৃত্বা রাজ্যং মৃতিং গতাঃ।।১৭।। অয়োমুখে চ বাহ্লীকে রাজ্যমত্র প্রশাসতি। তদাপিতৃগণা সর্বে কৃষ্ণচৈতন্যমাযযুঃ।।১৮।। নত্বোচুবচনং তত্র ভগবঞ্ছনু মে বচঃ। বয়ং পিতৃগণা ভূপৈনার্গবংশৈনিরাকৃতা।।১৯।।

পুনরায় তার ছোট ভাই মশোনন্দি ২০ বছর রাজত্ব করেন। তিনি ও ২৫বছর পর্যন্ত রাজ্য সুখ উপভোগ করেন। তার পর তার পুত্র প্রবীরক রাজা হন। ১১ বছর পর্যন্ত তিনি রাজ্য শাসনক করেন। কোনো এক সময় তিনি বাল্কীক দেশে সেনাগনের সাথে এসেছিলেন। সেখানে দারুণ পৈশাচ ম্লেচ্ছগণের সঙ্গে তিনি তার যুদ্ধ হয়েছিল। এক মাসের মধ্যে একলক্ষ সংখ্যা ম্লেচ্ছ মৃত্যু হন।। এছাড়া ৬০ হাজার ভাগ ভক্ত ও লয় প্রাপ্ত হল।। তাদের রাজা বাদল রোমজস্থ মহাবলবান্ ছিলেন।। ১০-১৪।।

বাদলযশোনন্দীকে ডেকে জালবতী পুত্রী দান করলেন। সেখানে সেই ম্লেচ্ছরাজ পুত্রীকে গ্রহণ করে নিজগৃহে এলেন। পুনরায় তিনি গর্ভ উৎপন্ন করে বলী পুত্রকে জন্ম দিলেন। তিনি বাল্কীক নামে বিখ্যাত হলেন এবং তিনি নাগ পূজনে রত হলেন।। ১৫-১৬।।

শ্রাদ্ধতপৰ্ণ কৰ্মাণি তৈবয়ং বৰ্দ্ধিতাঃ দা। পিতৃবৃদ্ধাৎ সোমবৃদ্ধিস্ততো দেবাশ্চ তৰ্দ্ধনাঃ।।২০।। দেববৃদ্ধাল্লোকবৃদ্ধিস্তস্মাদ্‌ ব্রহ্মা প্রজাপতিঃ। ব্রহ্মবৃদ্ধাৎ পরং হর্ষং গেহে গেহে জনে জনে।। ২১।। অতোহস্মান্ রক্ষ ভগবন্ প্রজাঃ পাহি সনাতনীঃ। ইতি শ্রুত্বা বচস্তেষাং যজ্ঞাংশো ভগবান্ হরিঃ।।২২।। পুষ্যমিত্রং ধর্মপরামার্যবংশবিবদ্ধনম্। জাতমাত্রঃ স বৈ বালঃ ষোড়শৰ্দ্ধৰ্বয়ো ভবৎ।। অয়োনির্যোনিভূতাং স্তানয়োমুখ পুরঃসরান।।২৪।। জিত্বা দেশন্নিরাকৃত্য স্বয়ং রাজ্যং গৃহীতবান্। যথা শিবাংশতো জাতো বিক্ৰমো নাম ভূপতিঃ।।২৫। শকান্ গন্ধর্ব পক্ষ্মীয়াজ্ঞিত্বা পূজ্যো বভূব হ। নাগপক্ষাংস্তথা ভূপান্ গোলকাস্যান্ ভয়ং করান্।।২৬ পুষ্যমিত্রস্তদা জিত্বাং সর্বপূজ্যোহ ভবদ ভুবি। সপ্ত বিংশচ্ছতং বর্ষং দ্বিসপ্তত্যুত্তরং তথা।।২৭।।

সেই বংশে তের বাহ্লীক রাজা হয়েছিলেন। তাঁরা ৪০০ বৎসর রাজ্যশাসন করেন এবং মৃত্যু প্রাপ্ত হন।। অয়োমুখ নামক বাল্কীক সেখানে রাজ্য শাসন করার সময় সমস্ত পিতৃগন কৃষ্ণ চৈতন্যের কাছে গেলন। তাঁরা কৃষ্ণ চৈতন্যকে প্রণাম করে বললেন–হে ভগবান আমাদের কথা শ্রবণ করুন। আমরা সমস্ত পিতৃগণ নাগবংশে জাত সমস্ত নৃপতিদের দ্বারা নিরাকৃত হয়েছি। শ্রাদ্ধ তর্পন কর্মদ্বারা আমরা সদাবর্ধিত হই। পিতৃগণের বৃদ্ধিতে সোমের বৃদ্ধি হয় যার দ্বারা আমরা বর্ধিত হই। দেবগণের বৃদ্ধিতে লোকবৃদ্ধি ঘটে থাকে এবং তার দ্বারা প্রজাপতি ব্রহ্মার বৃদ্ধি ঘটে। ব্রহ্মা বৃদ্ধিতে ঘরে ঘরে জনে জনে পরম হর্ষ উৎপন্ন হয়। হে ভগবান্ এই কারণে আমাদের রক্ষা করুন এবং সনাতনী প্রজাপালন করুন। তাদের এই বচন শ্রবন করে ভগবান যজ্ঞাংশ হরি বললেন–ধর্মপরায়ণ আর্যবংশের বিবর্ধন কারী পুষ্পমিত্র, সে বালক জন্মাবস্থাতে ৮ বৎসর বয়ঃপ্রাপ্ত। সেই অযোনি ভূত এবং তার থেকে যোনিভূত অযেঅমুখ পুরমকে জয় করে তাকে দেশ থেকে বার করে স্বয়ং রাজ্য গ্রহণ করে নিযেছলেন। শিবাংশ থেকে বিক্রম নামক রাজা জাত হন।। ১৭-২৪।।

রাজ্যং বিক্রমতো জাতং সমাপ্তিমগমত্তদা। পুষ্যমিত্রে রাজ্য পদং প্রাপ্তে সমভবত্তদা।।২৮।। শতবর্ষং রাজ্যপদং তেন ধর্মাত্মনা ধৃতম্। অযোধ্যা মথুরামায়া কাশী কাঞ্চী হাবস্তিকা।।২৯।। পুরী দ্বারাবতী তেন রাজ্ঞা চ পুনরুদ্ ধৃতাঃ। কুরুশূকরপখানি ক্ষেত্রানি বিবিধানি চ।।৩০।। নৈমিষোৎপলকৃদানাং বনক্ষেত্রানি ভূতলে। নানাতীর্থানি তেনৈব স্থাপিতানি সমস্ততঃ।।৩১।। তদা কলিঃ স গন্ধর্বো দেবকর্তাপিতৃদূষকঃ। ব্রাহ্মণং বপুরাস্থায় পুষ্যমিত্রমুপাগমৎ।।৩২। নত্বোবাচ প্রিয়ং বাক্যং শৃণু ভূপ দয়াপরঃ। আর্যদেশে পিতৃগণঃ পুজাহাঃ শ্ৰাদ্ধতপণঃ।।৩৩।।

তিনি গন্ধর্ব পক্ষীয় শকদের উপর বিজয় প্রাপ্ত করে স্বয়ং পূজ্য হলেন। সেই প্রকার নাগপক্ষীয় রাজগণকে তথা ভয়ংকর বোলিগণকে সেই সময় জয় করে পুষ্প মিত্র ভূতলে সর্বপূজ্য হলেন। সপ্ত বিংশতিশত এবং বহুতর উত্তম বর্ষ পর্যন্ত বিক্রম রাজত্ব করেন। অতঃপর তিনি সমাপ্তি প্রাপ্ত হন। পুণ্যা মিত্র রাজ্য পদ প্রাপ্ত হন। সেই ধর্মাত্মা একশতবর্ষ পর্যন্ত রাজ্য পদ উপভোগ করেন। অযোধ্যা মথুরা মায়া কাশী কাঞ্চী অবন্তিকা এবং দ্বারাবতী পুরী সকল এই রাজার দ্বারা পুনঃউদ্ধার হয়। এছাড়া অতিরিক্ত কুরু-সুকর -পদ্মক্ষেত্র পুনরুদ্ধার হয়েছিল।। ২৫-৩০।।

অজ্ঞানমিতি তজ্ঞেয়ং ভুবি যৎপিতৃ পূজনম্। মৃতা যে তু নরা ভূমৌ পূর্বকম বশানুগাঃ।।৩৪।। ভবন্তি দেহবন্তস্তে চতুরাশীতি লক্ষধা। ছঘনা ময়দেবেন পিতৃপূজা বিনির্মিতা।।৩৫।। বৃথা শ্রমং বৃথাকর্ম নৃণাং চ পিতৃ পূজনম্। ইতি শ্রুত্বা বচো ঘোরং বিহস্যাহ মহীপতিঃ।।৩৬।। ভবান্ মুখো মহামূঢ়ো ন জনীষে পরং ফলম্। ভূবলোকেন যে দৃষ্টাঃ শূন্যভূতাশ্চ ভাস্বরাঃ।।৩৭।। যে তু তে বৈ পিতৃগণাঃ পিন্ডরা পবিমানগাঃ সৎপুত্রশ্চ বিধানেন পিন্ডদানং চ যৎকৃতম্।।৩৮।। তদ্ধিমানং নভোজাতং সর্বানন্দ প্রদায়কম্। অব্দমাত্রং স্থিতিস্তেষাং পিন্ডপায়স রূপিনাম্।।৩৯।। গীতাষ্টাদশকাধ্যায়ৈ সপ্তশত্যাশ্চরিত্রকৈঃ। পাবিতং যত্তু বৈ পিন্ডং ত্ৰিতাব্দং চ তৎস্থিতিঃ।।৪০।।

এই ভূতলে নৈমিষোৎপল বৃন্দের বনে ক্ষেত্র তথা অনেক তীর্থ তিনি স্থাপিত করলেন।। সেই সময় সেই গন্ধবদেব এবং পিতৃদেবগণকে দূষিতকারী ব্রাহ্মণ শরীর ধারণ করে পুষ্যমিত্রের কাছে গেলেন। তাকে নমস্কার করে প্রিয়বচনে তিনি বললেন হে দয়াপরায়ণ ভূপ, শ্রবণ করুন, আর্যদেশে পিতৃগন শ্রাদ্ধ এবং তর্পন দ্বারা পূজা করার যোগ্য। এই ভূমন্ডলে পিতৃগণের যে পূজন তা অজ্ঞান। ভূমিতে পূর্বকর্ম বশ অনুগামী যে মনুষ্য মৃত তার ৮৪ লক্ষ যোনি ভেদে দেহধারী হন। মায়াদেব দ্বারা ছলে পিতৃগণের পূজা নির্মাণ করেছিলেন। মনুষ্য গণের দ্বারা সেই পিতৃগণের পূজন করা বৃথা ভ্রম এবং কর্য। এই প্রকারে সেই ঘোর বচন শ্রবণ করে সেই রাজা সহাস্যে বলেছিলেন–আপনি মহামূঢ় এবঙ অত্যন্ত মূর্খ। এর পরম ফল আপনি জানেন না। ভুবলোকে যে শূন্যভূত এবং ভাস্বর নয়, পিতৃগণ পিতরূপ পরিমানে গমনকারী, যে সৎপুত্র দ্বারা পূর্ণ বিধি বিধানে পিন্ড দান করেন।। ৩১- ৩৮।।

সেই বংগ লৌহ ধাতুর থেকে শতগুণ মূল্যের তিনি করেছিলেন। তিনি ৫০ বৎসর পর্যন্ত এই ভূমি সুখ উপভোগ করে পুনরায় সুর্যলোকে চলে যান। তাঁর বংশে ৬০ হাজার বেদে পরমপরায়ণ ছিলেন। পুষ্যমিত্রের রাজ্য ৭০০ বছর সেই বিমান নভমন্ডলে গিয়ে সর্বপ্রকার আনন্দ প্রদানকারী ছিল। পিন্ডপায়সকারী তার একবৎসরক পর্যন্ত সেখানে স্থিতি হয়েছিল। গীতার ১৮ অধ্যায় দ্বারা তথা দূর্গা সপ্তশতী চরিত্র দ্বারা পাবিত যে পিন্ড অতিশত বর্ষপর্যন্ত হয়েছিল।। ৩৯-৪০।।

পুষ্যমিত্রগতে রাজ্য দশোত্তরশত ত্রয়ম্। তস্মিন কালে লয়ং জশ্চান্ধ্রদেশশিবাসিনঃ।। ৪১।। শতাদ্ধাব্দং ততো ভূমিবিনা রাজা বভূব হ। তদা ক্ষুদ্রা নরা লুদ্বা লুণ্ঠিতাশ্চৌদারুনৈঃ।।৪২।। দারিদ্রমগমন ঘোরং বিনা স্বর্ণং চ ভূব ভূৎ। পুনর্দৈবশ্চ ভগবান্ প্রাথিত স্তানুবাচ হ।।৪৩।। দেশে কৌশলকে জাতঃ সূর্যাংশাচ্চ মহীপতিঃ। রাক্ষসারিরিতি খ্যাতো দেবমার্গপরায়ণঃ।।৪৪।। মমাজ্ঞয়া স বৈ রাজা ভবিষ্যতি মহীতলে। ইত্যুক্ত্বান্তদর্থে বিষ্ণুদেবলোকানুপাম‍।।৪৫।। রাক্ষসারিময়োধ্যায়াং স্থাপয়ামাস সুরের তম্। আন্ধ্ররাষ্ট্রে চ যদ্রধ্যং রাক্ষসৈশ্চ সমাহৃতম্।।৪৬।। তদ্রব্যং রাক্ষসাজ্ঞিত্বা গ্রামে গ্রামে চকার সঃ। তারধাতোঃ পঞ্চমূল্যং সুবর্ণং ভুবিতৎ কৃতম্।।৪৭।।

পুষ্যমিত্রের রাজ্য চলে যাওয়ার পর ৩১০ বর্ষ পর্যন্ত সেই সময় আন্ধ্রদেশ নিবাসী লোক লয়প্রাপ্ত হন।। ৪১।।

সেই সময় ভূমি ৫০ বছর পর্যন্ত রাজাহীন ছিল। সেই সময় ক্ষুদ্র নর দারুন চোর গণের দ্বারা লুব্ধ এবং লুণ্ঠিত হয়েছিল।। ৪২।।

সকল লোক প্রভূত দরিদ্রতা প্রাপ্ত হয়ে ভূমিতলে সুবর্ণহীন হয়ে গেল। পুনরায় দেবগণের দ্বারা ভগবানের প্রার্থনা করলে ভগবান্ তাঁদের বললেন কোশল দেশে সূর্যবংশের এক রাজা উন্ধাত হন তিনি রাক্ষসারি এই নামে প্রসিদ্ধ হন এবং দেবমার্গ পরায়ণ ছিলেন।

আমার আজ্ঞাতে সেই রাজা মহীতলে গেলেন।। এই কথা বলে ভগবান্ বিষ্ণু অন্তর্ধান হয়ে দেবলোকে চলে গেলেন।। ৪৩-৪৫।।

সেই রাক্ষসারিকে অযোধ্যাতে স্থাপিত করে আন্ধ্র রাষ্ট্রেতে যে দ্রব্য ছিল তা রাক্ষসগণ সমাহৃত করেছিলেন। তিনি সেই দ্রব্য জয়করে গ্রামে গ্রামে বিতরণ করলেন। তিনি ভূতলে তাপদ্রব্য অর্থাৎ পঞ্চমূল্য সুবর্ণ কর দিয়েছিলেন।। ৪৬-৪৭।।

আরাধাতোঃ শতং মূল্যং রাজাতং তেন বৈ কৃতম্ তাম্রধাতোঃ পঞ্চমূল্যমারধাতোশ্চ তৎ কৃতম্।।৪৮।। নাগধাতোঃ পঞ্চমূল্যং ভুবি তেনৈব নির্মিতম্। তাম্রং পবিত্রমধিকং নাগো বংস্তথোতম্।।৪৯।। লৌহধাতোঃ শতং মূল্যং বংগোহসৌ তেন সংস্কৃতঃ। শতাৰ্দ্ধাব্দং মহীং ভূক্ত্বা সূর্যলোক মুপাযযৌ।।৫০।। তদন্বয়ে যাষ্ঠনৃপা জাতা বেদপরায়নাঃ। পুষ্পমিত্রগতে রাজ্য চাব্দেসপ্তশর্তে গতে।।৫১। কৌশলান্বয় সম্ভূতা ভূপা স্বর্গমুযযুঃ। শতাৰ্দ্ধাব্দং ততো ভূমি মন্ডলীকং নৃপং বিনা।।৫২।। ক্ষুদ্রভূপাংশ্চ বুভূজে গেশো দেশে চ ভার্গবঃ। ততো বেদরদেশীয়ো নাম্না ভূপো বিশারদঃ।।৫৩।। আর্যদেশ মুপাগম্য লক্ষসৈন্যসমন্বিতঃ। ক্ষুদ্রভূপান্ বশীকৃত্য মন্ডলীকো বভূব হ।।৫৪।।

তাম্রধাতুর পঞ্চমূল্য এবং আরধাতু থেকে শতগুণ মূল্য রজত ধাতু কর দিয়েছিলেন।। ৪৮।।

নাগধাতুর থেকে পঞ্চগুণ মূল্য এই ভূতলে তার দ্বারা নির্মিত ছিল। তাম্রঅধিক পবিত্র নাগ এবং কংগত সেই প্রকারে উত্তম।। ৪৯।।

শাঙ্গ ধনুষ কেতু গদা চক্র ব্যতীত হরে কৌশল বংশে জাত সমস্ত ভূপ স্বর্গলোকে চলে যান। পুনরায় ৫০ বছর পর্যন্ত সেইভূমি মন্ডলীক নৃপতিহীন ছিল।। ৫০-৫২।।

নানা কলৈশ্চ কর্মাণি বিচিত্রানি মহীতলে। গ্রামে গ্রামে নরাশ্চক্রবর্ণ সংকর কারকাঃ।।৫৫।। ব্রহ্মক্ষত্রময়োবর্ণো নামমাত্রেণ দৃশ্যতে। বৈশ্যপ্রায়া নরা আর্যাঃ শূদ্র প্রায়াশ্চ কারিণঃ।।৫৬।। তদ্রাষ্ট্রে মনুজাশ্চাসন্নামমাত্রং সুরাচকাঃ। ষষ্ঠিবর্ষং পদং তেন কর্মভূম্যাং চ সৎকৃতম্।।৫৭।।

হে ভার্গব, ছোট ছোট রাজগণ দেশেদেশে এই ভূমি উপভোগ করতে লাগলেন। অতঃপর বৈদর দেশে সমুৎপন্ন তথা বৈদর দেশীয় নামক এক বিশারদ ভূপ এই আর্যদেশে এক লক্ষ সেনা সমন্বিত হয়ে এসেছিলেন। তিনি ক্ষুদ্ররাজগণকে জয় করে নিজ বংশে করলেন এবং সেখানে মন্ডলীক রাজা হলেন। পুনরায় বর্ণসংকর কারক নরগণ না না প্রকার কলের দ্বারা এই মীতলে পরম বিচিত্র কর্ম গ্রামে গ্রামে করেছিলেন।। ৫৩-৫৫।।

ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়ময় বর্ণ সেখানে সেই সময় কেবল নাম মাত্র ছিল। প্রায়ঃস বৈশ্য হয়েগিয়েছিলেন। শূদ্র প্রায়শ কার্যকরতে বনে চলে যান।। ৫৬।। তার রাষ্ট্রে মনুষ্য নাম মাত্র দেবঅর্চনা করতেন। এই প্রকারে ৬০ বছ পর্যন্ত সেই রাজা এই ভূমিতলে রাজ্য শাসন করেছিলেন।। ৫৭।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *