1 of 2

কাউণ্ট কোবরা – ২৭

সাতাশ

রোদেলা সোনালি বিকেল।

হ্যাণ্ডশেক করার পর রানা ও লিয়াকে পথ দেখিয়ে দোতলায় উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত বিশাল এক স্টাডিরুমে এনেছেন প্রফেসর লিয়োনার্দো ডিয়ানো। ইতালীয় সুরে কথা বললেও ইংরেজিতে তিনি যথেষ্ট সাবলীল। হাঁটার সময় ব্যবহার করেন ওয়াকিং স্টিক। প্রাচীন টুইড জ্যাকেটটা অন্তত, তিন সাইয বড়। রানা ও লিয়া টেবিলের এদিকে বসার পর, কাঁপা হাতে ক্রিস্টালের বোতল থেকে দুটো গ্লাসে সোনালি গ্র্যাপা ঢেলে ওদের সামনে রাখলেন তিনি।

রুপার অ্যান্টিক মোমদানীতে জ্বলছে চার্চে ব্যবহৃত সুগন্ধী মোমবাতি। ঘরে ভ্যানিলার সুবাস। টেবিলের পিছনে খিলানযুক্ত দুটো বড় জানালা। বাইরে গোছানো বিশাল বাগান। আড়ষ্ট পায়ে টেবিল ঘুরে বাগানের দিকে পিঠ দিয়ে নিজের চেয়ারে বসলেন প্রফেসর ডিয়ানো।

কড়া গ্র্যাপায় চুমুক দিয়ে চমকে গিয়ে গ্লাস নামিয়ে রাখল লিয়া। মনে মনে গুছিয়ে নিচ্ছে নিজের কথা।

চেয়ারে হেলান দিয়ে রানার দিকে তাকালেন প্রফেসর ডিয়ানো। জানালার কাঁচ ভেদ করে টেবিলে পড়েছে সোনালি রোদ। চকচক করছে মানুষটার দুই চোখ। রানার ওপর থেকে লিয়ার দিকে গেল দৃষ্টি। ‘সিনোরিটা বেকার, আপনি খুব ভাল করছেন অপেরায়।

‘ধন্যবাদ, স্যর,’ মৃদু হাসল লিয়া। ‘আমাকে সিনোরিটা বলার দরকার নেই, স্যর। শুধু লিয়া বলবেন, প্লিয। নিজেই জানি খুব ভাল করছি না। … তবে, এ বিষয়ে কথা বলতে এখানে আসিনি আমরা।’

‘আমারও তা-ই ধারণা,’ বললেন বৃদ্ধ।

‘ভুল না হয়ে থাকলে গত শীতে আপনার সঙ্গে দেখা করে আমার বড়ভাই। সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারবেন?’

‘ভাল ছেলে,’ দুঃখিত সুরে বললেন প্রফেসর ডিয়ানো ‘মাত্র দু’এক দিনের জন্যে এসেছিল। তবে ওই দুই দিনে প্রচুর আলাপ করেছি আমরা। খুশি হয়েছি মিউযিক সম্পর্কে ওর গভীর জ্ঞান দেখে। আমার জন্যে পিয়ানোতে বাজিয়েছিল গোল্ডবার্গের ভ্যারিয়েশন আর ক্ল্যামেন্টির সনেটাস। ও ছিল সত্যিকার একজন প্রতিভাবান পিয়ানিস্ট।’

‘একটা বই লিখতে গিয়ে রিসার্চের সময় আপনার কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছিল,’ বলল লিয়া।

‘হ্যাঁ, রহস্যময় কিছু ব্যাপারে জানতে চেয়েছে অ্যালেক।’

সেসব কি মোযার্টের সেই চিঠিতে ছিল?’ জানতে চাইল লিয়া।

মৃদু মাথা দোলালেন প্রফেসর। ‘ক’বছর আগে তোমার বাবার কাছ থেকে যে চিঠিটা কিনেছিলাম, তারই ফোটোকপি দেখায় অ্যালেক। তবে ওটার সত্যিকারের অর্থ বুঝতে পারেনি।’

‘আপনার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর অ্যালেকের কী হয়েছিল, তা কি জানেন, স্যর?’

দীর্ঘশ্বাস ফেললেন ডিয়ানো। জানি। ও মারা গেছে ভিয়েনায়।’

‘আমি এখন জানি, খুন করা হয়েছিল ওকে।’

বিস্মিত না হয়ে মাথা দোলালেন প্রফেসর। ‘আমারও তা-ই ধারণা।

‘কেন এমন মনে হলো আপনার, স্যর?’

‘কারণ, ওর কাছ থেকে একটা ই-মেইল পেয়েছিলাম। বলেছিল রহস্যজনক কিছু জেনেছে। মস্তবড় বিপদে আছে।’

‘সেটা কখন জানলেন, স্যর?’ জানতে চাইল রানা।

‘সেই একই রাতে মারা যায় অ্যালেক। এটা জানতে পেরে খুব দুঃখ পেয়েছিলাম।’ আস্তে করে মাথা নাড়লেন প্রফেসর।

‘আপনি কি জানেন, ওটা কী ধরনের বিপদ ছিল?’ জানতে চাইল রানা।

‘বলেনি কিছু। তবে মনে হয়েছিল খুব তাড়াহুড়ো করে চিঠি লিখেছে।’

বৃদ্ধের টেবিলে রাখা কমপিউটারের দিকে তাকাল রানা। ‘ওই ই-মেইল কি এখনও রয়ে গেছে?’

‘না। ও মারা যাওয়ার পর পরই ডিলিট করে দিই।’

‘আপনি নিশ্চয়ই জানেন, অ্যালেক হত্যার তদন্তে ওটা কাজে লাগত?’

‘লাগতই বলা যায় না,’ নরম সুরে বললেন প্রফেসর ডিয়ানো। ‘হয়তো লাগতে পারত।’

‘ওই চিঠি নিজের কাছে রাখলে বিপদ হবে বুঝতে পারেন আপনি, তাই না? এ-ও টের পান, যে বিপদে আছে অ্যালেক, তাতে নিজেও জড়িয়ে যাবেন।’ প্রফেসরের দিকে চেয়ে আছে রানা।

কোলে দু’হাত রেখে চুপ করে আছে লিয়া। ভাবছে, রানার কথায় হয়তো বিরক্ত হয়ে উঠবেন বৃদ্ধ মানুষটা।

হালকা হওয়া সাদা চুলে হাত বোলালেন প্রফেসর ডিয়ানো। ‘যা করেছি, সেজন্যে আমি লজ্জিত। সন্দেহ করেছিলাম খুন হয়েছে অ্যালেক, তবে হাতে শক্ত কোনও প্রমাণ ছিল না। ওই দুর্ঘটনার কোন সাক্ষী ছিল না। … নাম করা এক আধপাগল ইতালিয়ান বুড়োর কথা কে বিশ্বাস করবে, বলুন? তা ছাড়া, খুব ভয়ও পেয়েছিলাম।’

‘কীসের ভয় পেয়েছেন, স্যর?’ জানতে চাইল লিয়া।

‘খুন হওয়ার,’ বললেন ডিয়ানো, ‘ক’দিন পরেই কারা যেন ঢুকেছিল আমার বাড়িতে।’

‘এখানে?’

‘হ্যাঁ। ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়ায় রাতে ছিলাম হাসপাতালে। বাড়ি ফিরে দেখলাম তচনচ হয়েছে প্রতিটা ঘর। তন্নতন্ন করে কিছু খুঁজেছে তারা।’

‘মোযার্টের চিঠি বা অ্যালেকের ই-মেইলের জন্যে এসেছিল তারা?’ জানতে চাইল লিয়া।

‘চিঠিটা কি চুরি হয়ে গেছে?’ জিজ্ঞেস করল রানা।

‘না,’ মাথা নাড়লেন প্রফেসর। ‘অ্যালেক ই-মেইল করার পর মোয়ার্টের চিঠি সরিয়ে ফেলেছি গোপন জায়গায়। ওটা খুঁজে পাবে না আর কেউ।

‘বলবেন ওটা এখন কোথায়?’ জানতে চাইল রানা।

‘খুব নিরাপদ কোন জায়গায়।’ হাসলেন ডিয়ানো। ‘নিজের বাড়িতে ফিরেছে ওটা।’

আসলে কী বলা হলো, বুঝল না রানা।

‘এরপর বহুদিন নিজেকে অনিরাপদ মনে হয়েছে,’ বললেন প্রফেসর। ‘কারা যেন চোখ রেখেছিল আমার ওপর। ‘ওই চিঠির সঙ্গে সম্পর্ক আছে আমার ভাইয়ের খুনের,’ বলল লিয়া।

গম্ভীর হয়ে গেলেন ডিয়ানো। ‘তা বোধহয় ঠিক।’

‘এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারবেন, স্যর?’ বলল রানা।

দ্বিধায় পড়লেন প্রফেসর। কিছুক্ষণ ভাবলেন। তারপর বললেন, ‘তা হলে সংক্ষেপে বলছি। অ্যালেক বই লিখতে চেয়েছিল। জানত, মোযার্টের ব্যাপারে বহু বছর ধরেই স্টাডি করেছি আমি।

‘মোযার্ট খুনের বিষয়ে?’ বলল লিয়া।

‘শুধু তা-ই নয়, আমি জানতে চেয়েছি আঠারো শতকে ইউরোপের সেই সময় বা পরিবেশের কথা।

‘স্যর, ওই সময় নিয়ে ভাবছি না,’ বেরসিকের মত বলল রানা, ‘আমরা শুধু জানতে চাই কেন খুন হলো অ্যালেক।’

মাথা দোলালেন প্রফেসর। ‘তবে ভূমিকা হিসেবে দু’চার কথা না বললে গোটা ব্যাপারটা বোঝাতে পারব না।’

‘আমার ভাই বলেছিল, ও অনেক রিসার্চ করেছে মোযার্ট ও ফ্রিম্যাসনদের ব্যাপারে,’ বলল লিয়া।

‘মোযার্ট নিজেও ফ্রিম্যাসন ছিলেন,’ বললেন প্রফেসর, ‘মাত্র কয়েক বছরে হন মাস্টার ম্যাসন। তাঁর সঙ্গে ছিল ঘনিষ্ঠ একদল বন্ধু।

চেয়ারে নড়েচড়ে বসল অধৈর্য রানা। ‘এসবের সঙ্গে অ্যালেকের মৃত্যুর কী সম্পর্ক, স্যর?’

ওর উরুতে হাত রাখল লিয়া। ‘প্রফেসর বলুন, আমরা বরং শুনি।

মাথা দোলালেন ডিয়ানো। ‘অস্ট্রিয়ায় সতেরো শ’ আশির দিকে ফ্রিম্যাসনরা ছিলেন সমাজের প্রথম শ্রেণির বুদ্ধিজীবী। সমাজের প্রতিটা দিকে তাঁদের ছিল অবদান। ওই দলে ছিলেন অভিজাতরাও। বাদ ছিল না রাজনৈতিক নেতা, কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ সামরিক অফিসার, ব্যাঙ্কার ও ব্যবসায়ীরা। আরও ছিলেন লেখক, শিল্পী, সুরকার ও কবিরা।’

‘জানতাম না তাঁরা এত ক্ষমতাশালী ছিলেন,’ বলল লিয়া।

‘এবং সেটা ভাল করেই জানত অস্ট্রিয়ার সিক্রেট পুলিশ,’ বললেন প্রফেসর ডিয়ানো। ‘ফলে সম্রাট দ্বিতীয় জোসেফের কান ভারী করল তারা। দিনের পর দিন ফ্রিম্যাসনদের বিরুদ্ধে বাজে কথা শুনে শেষে খেপে উঠলেন তিনি। সময়টা ছিল খুব বিপজ্জনক। চারপাশে বিদ্রোহের আবহ। আর তাতে জড়িয়ে গিয়েছিলেন ম্যাসনরা। নতুন করে গড়ছেন একেবারেই নতুন এক সমাজ। তবে তাঁদের ওপর খেপে গেল অভিজাত সমাজের ক্ষমতাশালীরা। সেসময়ে ফ্রান্সে অভিজাতদের ধরে ধরে গিলোটিনে তুলছে সাধারণ মানুষ। ক্ষমতা হারাবার ভয় পেলেন অস্ট্রিয়ার সম্রাট। তাঁর নির্দেশে কচুকাটা করা হলো দেশের ফ্রিম্যাসনদেরকে। আর তখনই ক্ষমতায় বসলেন নতুন সম্রাট লিয়োপোল্ড দ্বিতীয়। আধুনিক মানসিকতার ফ্রিম্যাসনরা জানতেন না তাঁদেরকে কী দৃষ্টিতে দেখছেন নতুন সম্রাট। তাঁরা প্রচার করতে লাগলেন, নতুন সমাজে ভালবাসতে হবে সবাইকে। আর সেসময় মোযার্ট তৈরি করলেন তাঁর দ্য ম্যাজিক ফুট। ওই অপেরা দেখে নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে উঠল সাধারণ মানুষ। থিয়েটারে দিনের পর দিন চলল ওই পালা।’

‘মোযার্টের সেরা কীর্তি,’ বলল লিয়া।

‘তবে ফ্রিম্যাসনরা খুশি হলেও কমপোযিশন শেষ হওয়ার মাত্র তিন মাসের ভেতর মারা গেলেন মোযার্ট।’

‘আমি তো লিয়ার কাছে শুনেছি, ম্যাসনদের হাতেই খুন হন মোযার্ট,’ বলল রানা।

‘আমি পুরো ব্যাপারটা আসলে জানি না,’ স্বীকার করল লিয়া।

হাসলেন প্রফেসর ডিয়ানো। ‘ম্যাসনরা নন, মোযার্টকে খুন করে সম্রাটের অনুগত অভিজাত শ্রেণির একদল খুনি।’

‘এ ব্যাপারে কোনও প্রমাণ আছে?’ বলল রানা। ‘বলা হয় রিউমেটিক জ্বরে মারা যান মোযার্ট,’ বললেন প্রফেসর, ‘কিন্তু সেসময়ে তাঁর মত একদল প্রতিভাবান মানুষ মারা যান একইভাবে। সবাই ভাবতে শুরু করে বিষ প্রয়োগে খুন হচ্ছেন তাঁরা। আর মোযার্টের ওই চিঠিতেই ছিল পরিষ্কার প্ৰমাণ।’

‘চিঠিতে কী ধরনের প্রমাণ ছিল?’ জানতে চাইল লিয়া।

অবাক চোখে ওকে দেখলেন প্রফেসর। ‘পড়োনি ওটা?’

মাথা দোলাল লিয়া। ‘আমার ভাইয়ের কাছে ওটার ফোটোকপি ছিল। তবে ওটা পুড়ে গেছে।’

‘কিন্তু তোমার বাবা ওটা পড়তে দেননি তোমাকে?’

‘প্রফেসর, আমার বয়স তখন মাত্র উনিশ। অন্যান্য দিকে মনোযোগ ছিল।’ চট করে রানাকে দেখল লিয়া।

‘ও।’ ঘ্যাঁশঘ্যাঁশ করে দাড়ি সহ থুতনি চুলকালেন প্রফেসর ডিয়ানো। ‘তা হলে সংক্ষেপে বলছি। সেসময়ে চালু হলো অর্ডার অভ রা। রা ছিল মিশরীয় সূর্য-দেবতা। সেই ভাবধারা এসেছিল প্রাচীন মিশর থেকে। অস্ট্রিয়ায় ওই দলে যোগ দিত শুধু ধনী, অভিজাত মানুষেরা। এরা ছিল রাজানুগত। ফ্রিম্যাসনদের মত গণতন্ত্রকামী নয়। দেশের সত্যিকারের ক্ষমতা কিন্তু ছিল তাদেরই হাতে। আর সেজন্যেই সুযোগ পেলেই ফ্রিম্যাসনদের খুন করে তারা।’ চকচক করছে প্রফেসরের দু’চোখ। ‘মোযার্টের চিঠিতেই আছে প্রমাণ। সতেরো শ’ একানব্বুই সালে অভিজাতরা গঠন করে গোপন সংস্থা অর্ডার অভ রা। তারা সবাই শপথ করেছিল অস্ট্রিয়া থেকে মুছে দেবে ফ্রিম্যাসনদের সব ধরনের চিহ্ন। সতেরো শত একানব্বুই সালে মারা গেলেন মোযার্ট তার আগে নভেম্বর মাসে প্রিয় এক বন্ধুকে চিঠি লেখেন। যদিও তাঁর শেষ চিঠি হিসেবে যেটা ধরে নেয়া হয়, তা ছিল স্ত্রীকে লেখা একটা চিঠি। অক্টোবরের চোদ্দ তারিখের। যাই হোক, মোযার্টের শেষ চিঠি ছিল ঘনিষ্ঠ বন্ধু গুস্তাভ লুয়ের কাছে লেখা। তবে ওটা গন্তব্যে পৌঁছুবার আগেই নভেম্বরের একুশ তারিখে খুন হন প্রতিভাবান সেই ফ্রিম্যাসন। সেটা মোযার্ট মারা যাওয়ার চোদ্দ দিন আগে। ভয়ঙ্করভাবে নির্যাতন করার পর ছিঁড়ে নেয়া হয় তাঁর জিভ। সিক্রেট পুলিশবাহিনী এইসব খুনের দায় চাপিয়ে দেয় ফ্রিম্যাসনদেরই ওপর।’

উঠে পকেট থেকে সিডি ভরা প্লাস্টিকের কেস বের করল রানা। ‘স্যর, আপনি এটা দেখলে হয়তো কিছু জানাতে পারবেন। আপনার কমপিউটারটা ব্যবহার করতে পারি?’

‘নিশ্চয়ই,’ জোর দিয়ে বললেন প্রফেসর ডিয়ানো। কমপিউটার চালু করে ড্রাইভে সিডি-রম ভরল রানা। শুরু হলো ভিডিয়ো।

কয়েক মুহূর্ত পর বিস্ফারিত হলো প্রফেসরের দুই চোখ। ফ্যাকাসে হয়ে গেল মুখ।

ভিডিয়োর মানুষটার জিভ কেটে নেয়ার আগে পয করল রানা। আধহাত বেরিয়ে থাকা জিভের দিকে চেয়ে রইলেন ডিয়ানো। বিড়বিড় করে বললেন, ‘মাই গড! ছাগলের মাথা কেন ওখানে, সেটা কি বুঝতে পেরেছেন?’

‘স্যর, এ ব্যাপারে কিছু বলবেন?’ জিজ্ঞেস করল লিয়া।

মাথা দোলালেন লিয়োনার্দো ডিয়ানো। তবে তিনি কিছু বলার আগেই বিস্ফোরিত হলো তাঁর পেছনে জানালার কাঁচ। টেবিল ও মনিটরে ছিটকে লাগল রক্তের অসংখ্য লাল ফোঁটা।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *