অপরূপ সুন্দরী এক অপ্সরা। অর্জুনকে দেখে মোহিত হয়ে ওঁর সঙ্গ কামনা করলে, অর্জুন ওঁকে মাতৃস্থানীয়া বলে ফিরিয়ে দেন। মাতৃস্থানীয়া এই জন্যে যে, উর্বশী এক সময়ে অর্জুনের পূর্বপুরুষ ইলা-পুত্র পুরূরবাকে বিবাহ করেছিলেন এবং আয়ু নামে ওঁদের এক পুত্র হয়। এই আয়ুই ছিলেন নহুষের পিতা – যাযাতির পিতামহ। অপ্সরারা চিরযৌবনা, তাই অর্জুনের প্রত্যাখ্যানে ক্ষুব্ধ হয়ে উর্বশী অর্জুনকে শাপ দেন। সেই শাপে অর্জুন কিছুদিনের জন্য ক্লিবত্ব প্রাপ্ত হন। বিভাণ্ডক মুনি এই উর্বশীকে দেখেই কামাবিষ্ট হয়েছিলেন। এক তৃষিতা হরিণী জলের সঙ্গে বিভাণ্ডকের স্খলিত শুক্র পান করে বিখ্যাত ঋষি ঋষ্যশৃঙ্গকে প্রসব করে।