ইচ্ছাপূরণ নগদে অথবা কিস্তিতে
মধ্যবিত্ত বাঙালির আকাঙ্ক্ষা একটু বেশি, যা অনেক সময় লোভের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। পাঁচ রকম খাব, ভালো পরব। সিনেমায় দেখেছি হিরো-রা বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসে, ডোরাকাটা বাথ-রোবের কোমরে ফাঁস বাঁধতে-বাঁধতে। বুকের দিকটা খোলা থাকে। সেখান থেকে উঁকি মারে দু-এক গুচ্ছ পুরুষালি রোঁয়া। ঝুল হাঁটুর নীচে কয়েক সেন্টিমিটার নামে। তারপরেই শুরু হয় হিরোর লিকলিকে না হয় গোদা পা। সেই পদযুগল মসৃণ হতে পারে, হতে পারে রোমশোভিত। সবই নির্ভর করছে নায়কের হরমোন গ্রন্থির রস নি:সরণের পরিমাণের ওপর। নায়ক কমলালেবু রঙের চটি টানতে টানতে কালোয়াতি শিস দিতে দিতে সুসজ্জিত বসার ঘরে ঢুকবেন। সেখানে ঘাসছাঁটা সবুজ কার্পেট। হ্যাঁচকা টানে দুধসাদা ফ্রিজের দরজা খুলবেন। জলতরঙ্গ বাজবে। যেন গোয়ালের গরু মাথা নাড়তে নাড়তে মাছি তাড়াচ্ছে। ফ্রিজ-কোষ্ঠে মিষ্টি একটি আলো জ্বলে উঠবে। নানা বর্ণের বোতলে জীবনের মধুর মায়া বলতে থাকবে : আছে হিরো, আছে ভিলেন। গেলাসে কমলালেবুর রস ঢালার কৎকৎ শব্দ হবে। বরফের ট্রে থেকে চিমটে দিয়ে একটা-দুটো আইস কিউব আলগোছে তুলে নিয়ে সেই রঙিন পানীয়ের ওপর হিরো আলতো করে ছেড়ে দেবেন। তারপর নেচে-নেচে, ‘আও জান মেরি’-র ছন্দে গিয়ে বসবেন ঝকঝকে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি লম্বা ক্যাম্প চেয়ারে। লতা বিতানের ফাঁক দিয়ে মধ্যদিনের সূর্য পায়ের কাছে পাতার আলপনা আঁকবে। ক্লোজআপে হিরোর মুখ। ডিরেকটার বলেছেন ব্রণ-টার ওপর ফোকাস করো, বহুত সেকসি। মুখ ধীরে ধীরে ডিজলভ করে যাবে, সোনমার্গ, গুলমার্গ কিম্বা খিলানমার্গের বরফে। স্টার্ট ফ্ল্যাশ ব্যাক। নায়িকা স্কি করতে-করতে নেমে আসছেন। চোখে হনলুলু চশমা।
আমরা সব চাই। এমন কি ওই ব্রণটাও চাই।
তোমার ইনকাম কত? বড় বেয়াড়া প্রশ্ন। কেটেকুটে হাতে যা মাল আসে, তাতে রোজ সকালে কমলালেবুর রস তো দূরের কথা, গোঁড়া লেবুর রসও জুটবে না। মধ্যবিত্তের লম্ভঝম্ভ সব মনে মনে। মনে মথুরা বানিয়ে রাখাল কৃষ্ণের বাঁশি শোনা। ছক কাটা জীবন। সকালে দু-বোতল ছানা-কাটা হরিণঘাটা। মাঝারি মাপের প্লাসটিক ব্যাগে ফর্মুলায় ফেলা বাজার। আলু, পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, উচ্ছে, এক আঁটি কলমি। আর দশ পয়সার কাঁচা লংকা। গৃহিণী রোজ হেঁকে মনে করিয়ে দেবেন, কাঁচা লংকা আনতে ভুলো না। বড় প্রিয় জিনিস। তারপর মাছের বাজারে গিয়ে ইলিশ দেখে থমকে দাঁড়ানো। আদেখলের মতো একটু খোঁজপাত—হ্যাঁ ভাই, গঙ্গার? রিয়েল গঙ্গার? দাম শুনে লাট খেয়ে কাটা পোনা। সেখান থেকে ধাক্কা খেয়ে চারাপোনা। এই চলবে, সারা জীবন এই ভাবেই গুণ টানতে হবে।
তবু এরই মধ্যে কুঁজো চিৎ হয়ে শুতে চায়। বোঁ বোঁ করে গামলার মতো ঘুরে যাবার সম্ভাবনা থাকলেও ইচ্ছে কে ঠেকাবে! যত কিছু বেহিসেবি ব্যাপারে মহিলারাই উসকানি দিয়ে থাকেন। সৃষ্টির আদিকাল থেকে আদম বেচারারা ইভের ফাঁদে পড়ে মার খাচ্ছে। আপেলটি সামনে ধরে মোহময়ী বলছে, একটা কামড় দাও। তারপর সবই সেই কৌপিন কা ওয়াস্তে।
আমাদের মতো মানুষের পুজোর সময়টা বড় মারাত্মক। ভাদ্র গিয়ে আশ্বিন এল, গৃহিণীর নাচানাচিও বাড়ল। সারা বছরই কথাকলি চলছে, আশ্বিনে চলছে ট্যাঙ্গো। শোনা আছে, কর্তা বোনাস পাবেন। কী পাবেন, জানার দরকার নেই। নেচে যাও, নাচিয়ে যাও। সারা বছর ধরে প্রস্তুতকারকরা ঢালাও বিজ্ঞাপন মারফত মগজ ধোলাইয়ের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। সেই ধোলাই হওয়া মগজ শরৎ এলেই দেশজুড়ে স্বামী-ধোলাই শুরু করে দেবে।
আলু, পটল, লাউ, কুমড়ো মানুষ প্রাণের দায়ে কিনবে। ইনজিনে কয়লা ঢালতেই হবে, কিন্তু রান্না গ্যাসে হবে, না তোলা উনুনে হবে, বাজার ফ্রিজ থেকে বেরুবে, না বাজার থেকে টাটকা উঠে আসবে, প্রেশারে রান্না হবে, না সাধারণভাবে রান্না হবে, এ নির্দেশ আসবে পরিবেশ থেকে, পাকা সেলসম্যানের কাছ থেকে, স্ট্যাটাস কনশাসনেস থেকে। দেয়ালে চুন পড়বে, না ইমালসান, বলবে আমার পদমর্যাদা। এমনকী, চুলে তেল দোব কি দোব না, তাও নির্ভর করছে, কোন সমাজে মেলামেশা করছি তার ওপর। সাবেককালের মানুষ বলতেন, আয় বুঝে ব্যয়, এখনকার মানুষ বলবে, ব্যয় বুজে আয়।
আমাদের অবস্থা এখনও আমেরিকার মতো হয়তো হয়নি। সেখানে উৎপাদন যেমন বেশি, মানুষের রোজগারও তেমনি বেশি। ভোগ জর্জরিত আমেরিকার জীবন দেখে আমাদের হয়ত করুণা হবে। দোকান উপচে ভোগ্যপণ্য ফুটপাথে বেরিয়ে এসেছে, রাস্তার দু-পাশে চিৎপাত হয়ে পড়ে আছে। মানুষের জানালা দরজা ফুঁড়ে খোঁচা মেরে আছে, নড়বার-চড়বার জায়গা নেই। প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, শিল্পে মন্দা কাটাবার জন্য কী করা উচিত?
তিনি উত্তর দিলেন, কিনে যাও।
আমেরিকাবাসীর আর তো কিছু কেনার নেই। কিনে কিনে মানুষ বিরক্ত। ঘরে-ঘরে একাধিক ওয়াশিং মেশিন, রেফ্রিজারেটার, ড্রায়ার, টেলিভিশান সেট, ওয়াশারড্রাই কমবোস, রেনজ, এয়ার কনডিশনার, ফ্রিজার।
প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হল, কী কিনবে?
তিনি উত্তর দিলেন, এনিথিং।
সেলসম্যানেরা তখন নেমে পড়লেন বাজারে। মিডিয়াম্যান-রা খেপে গেলেন। টেলিভিশানে সপ্তাহে পাঁচশোবার, পঁয়তাল্লিশজন কোরাসে চিৎকার শুরু করলেন—কেনার দিন মাইনের দিন। মাইনের দিন, আনন্দের দিন। আপনারা আজই কিনুন, যা হয় একটা কিছু কিনুন, কিনুন কিনুন কিনুন। হাকসলির ‘ব্রেভ নিউ ওয়ার্লড’-এ মগজ ধোলাইয়ের একটি পরিচ্ছেদ আছে—বুম-শিক্ষক শিশুর কানে মৃদু গলায়’ বলে চলেছেন—নতুন জামাকাপড় আমি পেতে ভালোবাসি। পুরনো কাপড়জামা বিশ্রি। পুরনো আমরা সব সময় ছুঁড়ে ফেলে দিই। এনডিং ইড বেটার দ্যান মেনডিং, এনডিং ইজ বেটার দ্যান মেনডিং।
আমরা মার্কিনিদের মতো ধনী নই। কয়েক কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র কয়েক শতাংশের হাতেই যা খুশি তাই কেনার মতো অঢেল অর্থ আছে। কয়েক শতাংশের কেনার ইচ্ছে আছে, আর যারা পড়ে রইলেন, তাঁদের ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখার অধিকার আছে। লাকসারি আইটেমস-এর উৎপাদন হার আর সামান্য বাড়লেই আমাদের উৎপাদকদের অবস্থা আমেরিকার মতোই হবে। মিচিগানে যেমন হয়েছিল। দোকানের বাইরে কামান নিয়ে সেলস একজিকিউটিভরা দাঁড়িয়ে আছেন, যেই একটা মোটরগাড়ি বিক্রি হল, অমনি তাঁরা দুম করে একবার কামান দাগলেন। ক্রেতাকে গান স্যালুট।
এ দেশে মধ্যবিত্ত ক্রেতাকে জালে ফেলার জন্যে সারা বছর সংবাদপত্রে চটকদার বিজ্ঞাপনের চার ফেলা হয়, পাশাপাশি রাখা হয়, সহজ কিস্তিতে সেই সব জিনিস কেনার ব্যবস্থা, যা অধিকাংশ মানুষই নগদে কেনার ক্ষমতা রাখেন না। এ দেশের স্লোগান—বোনাসের দিন, কেনার দিন। বোনাসের দিন, আনন্দের দিন। কাদের আনন্দ! গৃহিণীদের। দোকানে সাজো-সাজো রব, সেজেগুজে পাউডার-টাউডার মেখে, ওই আসে, ওই অতি হরষে—বোনাস-বউদি।
একটা যুগ গেল, যে যুগে বাঙালিকে প্রেশার কুকারে পেয়েছিল। দেখা হলেই এক প্রশ্ন : কীসে রান্না হল দাদা, প্রেশার কুকারে?
আজ্ঞে হ্যাঁ, কুইক-কুইক। তিনবার সিটি মারল, হাড় পর্যন্ত গলে পাঁক। বৃদ্ধ খাসি খাচ্ছেন। রোজ সকালে গৃহিণীর খাবি খাওয়াও বন্ধ হয়েছে।
পাশের ভদ্রলোক বললেন, আমার দুটি।
অ্যাঁ, দুটি স্ত্রী দাদা!
দুটি স্ত্রী! ঠেঙিয়ে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেব। দুটো প্রেশার কুকার। সকাল সাতটায় রান্নাঘর ওপেন হয়, সাতটা তিরিশের মধ্যে ফ্যাঁসফোঁস ফিনিস। মাল চলে গেল ফ্রিজে। নাও এবার খাও, এক মাস ধরে।
গলা খাটো করে ভদ্রলোক বললেন, আমার তিনি যে আবার সমাজসেবিকা। বাইরের বৃহত্তম জগৎ তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে—আয় চলে আয়, চলে আয়, ঘরের মঙ্গলশঙ্খ নহে তোর তরে। নহে এ বুড়োর অশ্রুচোখ, ভেঙে ফ্যাল, কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফ্যাল ভেঙে ফ্যাল। দেবতা মশাই দেবতা।
কে?
প্রেসার কুকার।
এ দেশের ওপর দিয়ে তিনটে যুগ চলে গেছে।
স্বদেশি যুগ, বোমা পিস্তল আর ভাগবত গীতার যুগ। দেশের শৃঙ্খল তিনটুকরো হয়ে পড়ে গেল। এসে গেল বিশৃঙ্খলার যুগ।
তারপর এল ইকমিক কুকার আর গীতার যুগ; নব্য সমাজের সঙ্গে যাঁদের বনিবনা হল না, তাঁরা দরমার ঘরের, চ্যাটাইয়ের শয্যায় মন্ত্রের সাধন শুরু করলেন, সঙ্গী একটি ইকমিক, এক কেজি টিকে, রেশানের চাল, গোটা দুই আলু আর একটি পকেট সাইজের গীতা। ত্রাহি মাং মধুসূদন।
নতুন সমাজ জেগে উঠল। কত্তা, গিন্নি, ফ্ল্যাট, একটি কি দুটি, একজন ফুলটাইমার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বায়নাদার গ্যাঁট্টাগোট্টা, ব্যাংক কিংবা ইনসিওরেনসের চাকরি, ইংলিশ মিডিয়াম, গ্যাস, প্রেশার কুকার। একেবারে ঝাড়া হাত পা জীবন। বছরে একবার বিদেশ ভ্রমণ।
চালু হল কিস্তিতে প্রেশার কুকার কেনার ধুম। দাম বাড়ল, মাইনেও বাড়ল, কুকার এখন বোনাসের টাকায় কেনা যায়। কিস্তির কচলাকচলিতে যেতে হয় না।
ইতিমধ্যে জীবনের আরও যেসব অনুষঙ্গ বাজারে ছাড়া পেয়েছে তাদেরও যে তুলতে হবে! টিভি, ফ্রিজ, স্টিরিও, টু ইন ওয়ান, স্টিল ক্যাবিনেট ফার্নিচার, এক চিলতে কার্পেট, কিছু ভালো বই।
তা থইয়া, তা থইয়া নাচে ভোলা। মহেশ্বরী নাচাচ্ছেন মহেশ্বরকে। আজ রেন্টুদের ফ্রিজ এল! ওই শোনো, কত্তা ‘বরফ বরফ’ করে চেঁচাচ্ছে। একটু আগে এসেছিল খালি বোতলের সন্ধানে। জানলে, বিশটা বোতল জমিয়েছি! এবার ফ্রিটজা কিনে ফ্যালো। বোনাস কবে?
বোনাসে হবে? জানো না, টেন পার্সেন্ট সিলিং করে দিয়েছে। পাবো তো মাত্র সাতশো!
তোমার বোনাস। আমার বোনাস। আর হায়ার পারচেজ।
তাতেও হবে না। স্টেবিলাইজার নিয়ে পাঁচ হাজার চারশো। ক্যাশ ডাউন দু-হাজার পাঁচশো, রেস্ট ইন টোয়েন্টিফোর ইকোয়াল ইনস্টলমেন্টস। তোমার সাতশো আমার সাতশো। চোদ্দশো। বাকি এগারোশো! তারপর মাসে কিস্তির টাকা দেবার পর কী খাবে, হাওয়া?
চব্বিশ মাস ফ্রিজকে রেস্টে রাখব। শুধু জল খাব। ঠান্ডা কনকনে জল।
গ্যারান্টার কে হবে?
আমি হব।
আজ্ঞে না, শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল হলে চলবে না। তোমার ভাইকে বলো না! এই কথাতেই স্বামীর স্ত্রী-পরীক্ষা হয়ে যায়। মোহমুদগর মাথায় এসে পড়ে। সহধর্মিণীর গুঁইগুঁই কুইকুই শুনে সন্দেহ হয়, আমি কি ফেরেব্বাজ!
একটা সময় ছিল, যে সময় ব্যাংক আর বেসরকারি অফিসের কর্মচারীরা মোটা টাকা বোনাস পেতেন। তাঁদের দাপটে পুজোর বাজার ফেটে যেত। কাউন্টারে সেলসম্যান বলতেন, আপনি একটু সরে দাঁড়ান, ওপাশে গিয়ে গামছা-টামছা দেখুন। আরে, এই বাবুকে বাঁদিপোতার গামছা দেখা।
আসুন, আসুন, বউদি আসুন। শঙ্কর, শাড়ির এক নম্বর লটটা নামা।
তৃষ্ণার যেন শেষ নেই। সেলাই কল, উলবোনা কল, ঘড়িই কত রকমের। ‘দম মারো দম’ ফেলে দিয়ে এনো কোয়ার্জ। কাঁটাওয়ালা ফেলে দিয়ে নিয়ে এসো কাঁটা শূন্য ডিজিট্যাল। এক এক পরিবারে বেড়াল ছানার মতো পায়ে-পায়ে ঘুরছে হরেক রকমের রেডিয়ো। বছর শেষে এক আঁটি লাইসেনস নিয়ে কর্তা চললেন ডাকঘরে। হাই ফাই স্টিরিও হাঁউ মাঁউ করে কানের পোকা বের করে দিচ্ছে। সপরিবারে শীতলা তলার রকে বসে আছেন, আর মাঝে-মাঝে পথচারীকে জিগ্যেস করছেন, তুমি ওদিক থেকে এলে, হাইফাই থেমেছে? সাদা কালো টিভি বলছে প্রস্তুত হও, রঙিনের বায়না এল বলে। সিলিং ফ্যানে রঙ ধরেছে। সবার রঙে রঙ মেলাতে হবে, ও আমার প্রিয়, রেস্ত মজুত রেখো।
মেরেছে বোনাসে। ভারত সরকার রস মেরে দিয়েছে। ষোলশোর ওপরে উঠছে না। বাড়ির সব লাগদাঁই মালই তো কিস্তির মাল। কিস্তিমাতের বাড়িতে একমাত্র নগদা মাল মিঞা আর বিবি। বিবি নাচার, মিঞা নাচেন। পাগলের মতো খুঁজে বেড়ান মিস্ত্রি। টিভির প্যালপিটিশান, ফ্রিজের পারসপিরেশান, স্টিরিওর কনসটিপেশান। আর্থার মিলারের ‘ডেথ অফ এ সেলসম্যান’ থেকে ধার করে বলতে ইচ্ছে করে :
Once in my life I would like to own something outright before it is broken. I Am always in a race with the Junkyard.