মহর্ষি জরৎকারু ও নাগরাজ বাসুকির ভগিনী জরৎকারুর পুত্র। ব্রহ্মা ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যে, বাসুকির ভগিনী জরৎকারুর গর্ভে তপস্বী জরৎকারুর যে পুত্র জন্মাবে সেই ধার্মিক সর্পগণকে রক্ষা করবে। তাই বাসুকি মহর্ষি জরৎকারুর দেখা পেয়ে তাঁর হাতে ভগিনীকে সম্প্রদান করেন। জরৎকারু পত্নীকে বলেছিলেন যে, পত্নী কোনও অপ্রিয় কাজ করলেই তিনি তাঁকে ছেড়ে চলে যাবেন। একদিন সুর্যাস্তকালে পত্নী জরৎকারু নিদ্রিত মহর্ষিকে জাগালেন যাতে তিনি সন্ধ্যাকৃত্য সময়মত করতে পারেন। কিন্তু জরৎকারু নিদ্রাভঙ্গ হওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়ে পত্নীকে বললেন যে, তিনি ওঁকে পরিত্যাগ করবেন। বাসুকি ভগিনী জানতেন যে, সর্পকুল প্রতীক্ষা করে আছে ওঁর সন্তানের জন্য। কিন্তু তাঁর অনেক অনুরোধ সত্বেও মহর্ষি আর থাকতে রাজি হলেন না। তবে যাবার আগে পত্নীকে আস্বস্ত করে গেলেন যে, তাঁর গর্ভে এক পরম ধর্মাত্মা বেদজ্ঞান ঋষি আছেন। পিতা জরৎকারু “অস্তি” বলে চলে গিয়েছিলেন বলে, পুত্রের নামকরণ হল আস্তীক। আস্তীক ভৃগুর পুত্র চ্যবনের কাছে শাস্ত্রশিক্ষা করেন এবং মায়ের আদেশে জনমেজয়ের সর্প-নিধন যজ্ঞ থেকে সর্পকুলকে রক্ষা করেন।