আপনি কার পেশেন্ট

আপনি কার পেশেন্ট

এত লটবহর নিয়ে চললেন কোথায়?’

‘ভাই শরীরের অবস্থা খুব খারাপ, তাই এক সোসালিস্টের কাছে চলেছি। অনেক কষ্টে তিন মাস পরে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেয়েছি। তাও পাওয়া যেত না, এক ইনফ্লুয়েনসিয়াল ছাত্রের ইনফ্লুয়েনসে সম্ভব হয়েছে। কম ভাগ্য!’

‘সে ঠিক আছে, আমার বাবাকে এক সোসালিস্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছিলেন এক বছর পরে, তা বাবার পরমায়ুতে কুললো না, তিনি তিনমাসের মাথায় চলেই গেলেন। একবছর পরে অ্যাপয়েন্টড ডেটে চেম্বারে খুব ডাকা হাঁকা হল। বিনয় বসু, বিনয় বসু। যিনি ডাকছিলেন তিনি বললেন, লেট করলে নাম শেষে চলে যাবে। পরিচিত একজন বললেন, সাধে কি লেট করছে মা, তিনি যে লেট হয়ে গেছেন। নামের আগে একটা লেট বসান। সঙ্গে এত কী সব নিয়েছেন?’

‘দু-লিটার জল, খাবার, হাতপাখা, একটা মাদুর, এফ এম রেডিয়ো আর সেলুলার ফোন। ফুটপাথে বসে থাকতে হবে ভাই। বারো ঘণ্টা, চোদ্দো ঘণ্টা।’

‘নিশ্চয় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার।’

‘ধরেছ ঠিক।’

সেই দিন আসছে, যখন দেখা যাবে ফুটপাথের একপাশে অপেক্ষারত রোগীদের জন্যে কোনও সেবাসংস্থা ক্যাম্প খুলেছেন। গঙ্গাসাগরের সময় বা বাবা তারকনাথের সময় যেমন হয়। খাটিয়া আর ফুলের মালার ব্যবস্থাও থাকতে পারে। হয় ওদিকে ডাক্তারবাবুর কাছে যাবে, না হয় এদিকে শ্মশানে। এর সঙ্গে রাজনীতি জুড়ে দিতে পারলে রথ দেখা কলাবেচা দুটোই হবে। শ-দুয়েক রেডিস্টক তো রয়েইছে পথে বসে, এঁদের সঙ্গে আর শ-খানেক জুড়ে দিলেই হয়ে যাবে। ব্যানার, পোস্টার, ঝাণ্ডা, স্লোগান, একটা ইস্যু, চমৎকার একটা অবস্থান ধর্মঘট। টেনেটুনে পথে নামিয়ে আনতে পারলে পথ অবরোধও হয়ে যাবে।

‘একজন ভালো ডাক্তার দেখাচ্ছেন না কেন?’ এই প্রশ্ন যাঁরা করেন তাঁরা একালের ডাক্তারির কিছু জানেন না। উঠে হেঁটে গিয়ে, অপেক্ষা করে ডাক্তার দেখাবার শক্তিই যদি থাকবে তাহলে আর অসুস্থ হব কেন। চেম্বারে একশো বাড়িতে পাঁচশো। এরপর যদি অবশিষ্ট থাকে কিছু তাহলে ওষুধ আর পথ্য নয়তো শুয়ে শুয়ে প্রেসক্রিপশান পড়ো। অবশ্য হাতের লেখা যদি পড়তে পারো। ডাক্তারবাবুরা যদি কখনও কোনও আবেগের বশে প্রেমপত্র লেখেন তাহলে প্রেমিকাকে অবশ্যই কম্পাউন্ডার হতে হবে। তা না হলে পাঠোদ্ধার অসম্ভব। আর ডাক্তারি টার্মিনোলজি এসে পড়তে পারে। যেমন, সকালে এমপটি স্টম্যাকে তুমি যেন আমার অ্যান্টি ডিপ্রেসান্ট লাল ক্যাপসুল। সারাদিনে তোমার চিন্তা বারে বারে আসে—টি ডি এস, বি ডি এস। তুমি আমার ব্লাডসুগার, তুমি আমার হার্টের মার্মার, ফোনে তোমার গলা ভেসে না এলে একটা করে বিট মিস করে। তুমি আমার ইসকিমিয়া। তুমি আমরা হাইপারটেনশান। তুমি আমার অর বিকাল্যারিসওরিসের ময়েশ্চার। অনুক্ষণ তোমার চিন্তা আমার জিনজিভাইটিস! তোমার বুকসিনেটারে রইল আমার স্ফিনকটার ওরিস। এই চিঠি বুঝতে হলে প্রেমিকাকেও ডাক্তার হতে হবে।

তিনি হয়তো উত্তরে লিখবেন, পালমোনারি, আরটারিতে একার হুটোপাটি। সিন-সিশইয়ামের মতো জুড়ে গেছি আমরা অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে। এপিঠে ওপিঠে পের-ই কারডিয়াম মধ্যে টলটলে প্রেম। কেন তুমি ক্রনিয়ামে বসে অবিরত ঠুকছ হাতুড়ি। ফোরামেন ম্যাগনাসে এ কার অবরোধ! কেন যে বোঝো না আগে ডাক্তারবাবুরা যে কোনও কাগজে খ্যাঁচখোঁচ দু-চার ছত্তর লিখে দিয়ে দুটো টাকা পকেটে ভরতেন, আর বলতেন, আট আনা রিকশাওয়ালাকে দিয়ে দিন। অস্ত্র ছিল তিনটি, গলায় মহাদেবের সাপের মতো বিশ্বস্ত একটি স্টেথিসকোপ। কালো চামড়ার ব্যাগে অ্যালুমিনিয়ামের একটা কৌটো। তার মধ্যে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, ছুঁচ, আর অ্যামপুলস কাটার ছোট্ট করাত, স্পিরিটের শিশি, তুলো, আর সাদা একটা তোয়ালে। চিরকুটের কোড ল্যাঙেগায়েজ বুঝবেন ডিসপেনসারির অভিজ্ঞ কম্পাউন্ডার। মিকশ্চার একটা থাকবেই। হয় লাল, না হয় গোলাপি। শিশির গায়ে কাগজের দাঁতকাটা। এক এক দাঁত একবার জলসহ সেবা। মুখে ক্ষয়াক্ষয়া ছিপি। কর্কের তৈরি। শিশিটা পরেরবার ঘুরিয়ে আনতে পারলে দু-আনা লেস। ছোট কাগজের বাক্সে, চকখড়ির পুরিয়া। দু-বেলা দু পুরিয়া। জ্বরে উপবাস। পেটের অসুখে বার্লি। তিন দিনের দিন পথ্য। সাতদিনে রুগি ফিট। আবার টেম্পার নিচ্ছে, আবার হেঁকে বলছে, আমায় চেনো না, অ্যায়সা টাইট দোবো। ছেলের ক’দিন প্রহারের ছুটি মিলেছিল। বিছানায় কাত হয়ে নাকিসুরে পিতা বলছিলেন, খোঁকা দেঁখ তঁ তোঁর মাঁকে হাঁতের কাঁছে পাঁওয়া যাঁয় কিঁনা। ডজন ডজন চন্দ্রবিন্দু। প্রতাপ ডাক্তারের মিকশ্চার আর পাউডার খেয়ে প্রতাপ কতটা বাড়ল, সে বুঝল ছেলের পিঠ। মা বলতে লাগলেন, করো কী, সবে পথ্য করেছ। আর ক’টা দিন ধৈর্য ধরো না। ছেলেও পালাচ্ছে না। ছেলের পিঠও পালাচ্ছে না। কত্তা অমনি ঝাঁঝিয়ে উঠলেন, ইংরেজি প্রাোভার্বে কী আছে জানো—স্প্রেয়ার দি রড অ্যান্ড স্পয়েল দি চাইলড। শূন্য গোয়াল ইজ বেটার দ্যান দুষ্ট গরু। মা অমনি ছেলের লাল দাগড়া পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে বলছেন, কী করেছিস!

কত্তা বললেন, কী করেনি! ছ-মাস হয়ে গেল, ‘এ’ আর ‘এন’ টাই শিখতে পারলে না।

মায়ের হাত এইবার ছেলের মাথায়, কতবার বলেছি বাবা, গুরুজনকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হয়। আপনি, আজ্ঞে বলতে হয়। আমাদের যত পারিস ‘এ’ বল না? কিন্তু গুরুজনদের সব সময় ‘অ্যান’ বলবি। এইটুকু মনে রাখো—মা ‘এ’, বাবা ‘অ্যান’, এই সামান্য ব্যাপার। ‘ন’ খসে যাওয়াটা খুব অসম্মানের। কত্তা খেপে গিয়ে বললেন, তুমি যাও তো তোমার কাজে যাও। লেডি নেসফিল্ড। সে যুগ আর নেই, তখন ডাক্তারিতে কেউ নাম করলে বলা হত ডক্টর গুডিফ। তারপরে বলা হত বিধানচন্দ্র। ড: বি. সি. রায় ছিলেন প্রবাদপুরুষ। রোগীর চেহারা দেখে রোগীর ঘরের গন্ধ শুঁকে বলে দিতে পারতেন অসুখটা কী। যখন অতিব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী, দুটো দেশের মানুষ এক জায়গায়, জীবিকা, বাসস্থান ও নিরাপত্তার সমস্যায় জর্জরিত, সেই প্রচণ্ড চাপের সময়েও তিনি সকালের দিকে কয়েকজন রোগী দেখতেন। তিনি বসে আছেন দরজার দূর বিপরীতে, তাঁর টেবিলে। রোগী হেঁটে আসছে তাঁর দিকে। ঘরের মাঝামাঝি আসার আগেই তাঁর জানা হয়ে গেছে অসুখটা কী। টেবিলের সামনে দাঁড়ানো মাত্রই ওষুধের নাম লেখা চিরকুটটি হাতে ধরিয়ে দিতেন। দ্বিতীয় কোনও কথা নেই। অনেকের অবিশ্বাস হত। এমন দায়সারা চিকিৎসা। টেপাটিপি নেই, পেটে ঢাক বাজানো নেই, প্রশ্ন নেই, লাগছে, লাগছে! ক্যাঁক করে লিভারের কাছটা খামছে ধরা, যন্ত্রণায় লাফিয়ে ওঠা নেই। মা কালীর মতো জিভ বার করা নেই, চোখের তলা টেনে দেখা নেই, হাঁটুতে-হাঁটুতে ঠোকা নেই। পিঠে স্টেথো বসিয়ে গম্ভীর প্রাোফেসনাল গলায় বলা নেই, শ্বাস, জোরে জোরে, জোরে জোরে। পাঁজরায় আঙুল রেখে সন্তুর বাজানো নেই।

পাঁচ পয়সার ওষুধে পাঁচ হাজার টাকার ব্যামো সেরে গেলে বোঝা যেত তাঁর মহিমা। বিদ্যা তো চাই, তার সঙ্গে চাই সিক্সথ সেনস। এক ভদ্রলোকের মাথা ঘোরার ব্যামো আর সারে না। দাঁড়ালেই টলে পড়ে যান। চিকিৎসা আর খরচের কিছু বাকি রইল না। ডাক্তারবাবুরা রোগীটিকে দেখলেই বলতেন, ওই রে! আসছে রে! সব যার নর্মাল তার এটা বাতিক ছাড়া কিছু নয়। ম্যানিয়া। ভদ্রলোক চেষ্টা-চরিত্র করে ডক্টর রায়ের কাছে গেলেন। তিনি একটি কথাই বললেন, বিছানাটা ঘুরিয়ে নাও। সকলের খুব হাসাহাসি। এটা কোনও চিকিৎসা হল। ভদ্রলোক বিশ্বাস করে খাটটা ঘুরিয়ে নিলেন। ছিল উত্তর-দক্ষিণে। করে নিলেন পূর্ব-পশ্চিমে এবং ভালো হয়ে গেলেন।

একালের দেখনদারির কোনও তুলনা নেই। বিরাট প্যাডে, দশকর্মা ভাণ্ডারের ফর্দর মতো প্রেসক্রিপশান। বাঁদিকে গুহামানবের হস্তাক্ষরে ফাইন্ডিংস। সেখানে আবার ছবি আঁকা, গুহাচিত্রের মতোই। একটা অর্ধবৃত্ত। সেটা হল রোগীর তলপেট। চারপাশ থেকে তির এসে বিভিন্ন জায়গা বিদ্ধ করেছে। গুহামানব বরাহ শিকার করেছে। এরই মধ্যে একটা তিরের পিছনে একটা গোল্লা। সমস্যাটা ওই জায়গায়।

তাহলে?

তাহলে এখনই ওষুধ নয়। রোগী এইবার যাবেন ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে। গ্লাম্বার, কার্পেন্টার, ব্ল্যাকস্মিথ, ইলেকট্রিসিয়ান। কেউ দেখবেন ওয়্যারিং, কেউ দেখবেন জলের পাইপ, ড্রেনেজ সিস্টেম, কেউ দেখবেন পাম্প, ভালভ, ওয়াশার, কেউ করবেন মেগাটেস্ট কোথাও লিকেজ হচ্ছে কি না, অ্যারোনট পরীক্ষা করবেন বেলুন দুটো ফুলছে কি না। ওভার হেড ট্যাঙ্ক দেখবে মেশিন, তার আবার ক্যাট, ডগ, টাইগার, লায়ন আছে। ক্যাটস্ক্যান, ডগস্ক্যান, টাইগার স্ক্যান, মানে এক থাবায় কতটা টাকা খামচানো যায়। পেটে ডুবুরি নেমে অ্যাসিড সমুদ্র মাপবে। জলযানে ক’টা টর্পোডোর ফুটো হয়েছে।

এইবার আর রোগীকে দেখা নয়, রোগীর ফাইল দেখা।

‘কী হয়েছে স্যার?’

‘গ্যাসট্রাইটিস। শুনুন সহজ কথায় বোঝাই, আপনার পেটে আমরা একদল বিশেষজ্ঞকে নামাচ্ছি। এই যে দেখছেন সাদা বড়ি এটা হল প্ল্যাস্টার অফ প্যারিস। গর্তটর্ত যা হয়েছে সিল করে দেবে। এই সাদা লিকুইডটা মেরে দেবে সিমেন্ট প্রাইমার। এই ক্যাপসুলটা মারবে পালিশ। এই বড়িটা হল ব্ল্যাক ক্যাট, পেটের যে জায়গাটা দিয়ে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বেরোয়, সেইখানে দাঁড়িয়ে থাকবে সিকিউরিটি গার্ড। আর এই ক্যাপসুলটা চলে যাবে মাথায়, ওয়াচ টাওয়ারে। সেখান থেকে যে নির্দেশ পাঠায় অ্যাসিড নামক টেররিস্টকে, তার সেই সিগন্যাল যন্ত্রটিকে অকেজো করে দেবে। আর এই যে দেখছেন বৃহৎ ক্যাপসুল, এটি সাবমেরিন। আপনার ড্রেনেজ সিস্টেমকে অনবরত খোঁচাবে। বাথরুমে ফ্লাশের কাজ করবে। ক্যারেকটার গেলে যেমন কিছুই থাকে না, কিডনি গেলেও সেই একই অবস্থা।’

ওষুধের যেমন দাম তেমনি সব আধুনিক কোড নাম। এক ফাইল মাধুরী দীক্ষিত, একপাতা গোবিন্দা। দোকানের কর্মচারীদের ভাষা। মাধুরী দীক্ষিত মানে ভিটামিন ই, সৌন্দর্য ক্যাপসুল। সেবনে সিল্কের মতো স্কিন হবে। গোবিন্দা মানে জবরদস্ত অ্যান্টাসিড।

বহুকাল আগে প্লুটো একটি সুন্দর অনুচ্ছেদ লিখে গেছেন, ‘কেউ কি লক্ষ করে দেখেছেন, দু-ধরনের রোগী আছে—’স্লেভস’ অ্যান্ড ‘ফ্রিমেন’। এবং স্লেভ ডাক্তাররা কেউ ছুটছেন এই দাসদের বাড়িতে তার চিকিৎসার জন্যে অথবা ডিসপেনসারিতে অপেক্ষা করে আছেন তাদের প্রতীক্ষায়। এই ধরনের চিকিৎসকবর্গ রোগীদের সঙ্গে স্বতন্ত্রভাবে কথা বলেন না। রোগীকেও সুযোগ দেন না কথা বলার। শুনতেই চান না রোগীর কী হয়েছে! তিনি নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অনুসারে চিকিৎসার ফিরিস্তি দেন, যেন তিনি যা জানেন সেইটাই ঠিক এবং শেষ কথা। দোর্দণ্ডপ্রতাপ নৃপতির মতো বলবেন, যা বলছি, তাই করো। বলেই ছুটবেন আর এক রোগীর বাড়ি ওই একই ঔদ্ধত্য নিয়ে। (শ্রীরামকৃষ্ণ একই কথা অন্যভাবে বলেছেন, ঈশ্বর দুবার হাসেন, যখন ভায়ে ভায়ে দড়ি ধরে জমি বখরা করে নেয় আর বলে, ‘এদিকটা আমার ও ওই দিকটা তোমার, তখন একবার হাসেন। আর একবার হাসেন, যখন লোকের কঠিন অসুখ হয়ে পড়েছে, আত্মীয়-স্বজনেরা সকলে কান্নাকাটি কচ্ছে, বৈদ্য এসে বলছে, ‘ভয় কী? আমি ভালো করে দেব’! বৈদ্য জানে না যে, ঈশ্বর যদি মারেন তবে কার সাধ্য তাকে রক্ষা করে।) Like a tyrant, he rushes off with equal assurance to some other servant who is ill.

 প্ল্যুটো লিখছেন, But the other doctor, who is a freeman, যে ডাক্তার উদার, যে ডাক্তার স্বাধীনচেতা, যিনি স্বাধীনচেতা মানুষের রোগ নিরাময়ে নিরত, তিনি অবলম্বন করেন অন্য পদ্ধতি। তিনি রোগীর অতীতে চলে যান, অতীত থেকে বর্তমানে এসে অনুসন্ধান করেন অসুখের প্রকৃত উৎসটা কোথায়। তিনি রোগীর সঙ্গে, পরিবার, পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করেন, প্রয়োজনে রোগীর সঙ্গে আবার আলোচনা করেন and he will not prescribe for him until he has first convinced him.ব্যবসায়ী ডাক্তাররা এই পদ্ধতির চিকিৎসা দেখে হ্যাহ্যা করে হাসবেন, পাগল না কি। রোগের চিকিৎসা করছ, না দার্শনিকতা করছ—beginning at the beginning of the disease and discoursing about the whole nature of the body, he would burst into a hearty laugh. বোকা গাধা You are not having the sick man, but educating him, আরে ভাই! ও তো ডাক্তার হতে চাইছে না, চাইছে আরোগ্য লাভ করতে। [Laws : Book IV-Plato]

শ্রীরামকৃষ্ণ তিন রকম বৈদ্যের কথা বলেছেন—উত্তম, মধ্যম ও অধম। যে বৈদ্য এসে কেবল নাড়ী টিপে ঔষধ খেও বলে চলে যায়। আর কোনও খোঁজখবর না নেয়, সে অধম। কী আর করা যাবে। সংখ্যায় আমরা পিলপিল করছি আর অসুখ এখন অ্যারিস্টেক্র্যাসি। সুগার, হাইপারটেনশান, আলসার নিয়ে বসবাস। বড় ধর্মগুরুর আশ্রিত বড় ডাক্তারের আশ্রিত, দুটোই সমান গৌরবের। বিত্তবানের লক্ষণ। আর বাইপাস হয়ে গেলে তো কথাই নেই!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *