।। অকবর বাদশাহ বৰ্ণন।।
ইতি শ্রুত্বা বলিদৈত্যো দেবানাং বিজয়ং মহৎ। রোষণং নাম দৈত্যেন্দ্রং সমাহৄয় বচোহব্রবীৎ।।১।। সুতস্তিমিরলিঙ্গস্য সরূষো নাম বিশ্রুতঃ। ত্বং সি তত্র সমাগম্য দৈত্যকার্যং মহৎকুরু।।২।। ইতি শ্রুত্বা স বৈ দৈত্যো হৃদি বিপ্রাপ্তরোষণঃ। ন নাশ বেদমার্গস্থাদেহলীদেশমাস্থিতঃ।।৩।। পঞ্চবর্ষং কৃতং রাজ্যং তৎসুতো বাবরোহ ভবৎ। বিংশদব্দং কৃতং রাজ্যং হোমায়ুস্তৎসুতোহ ভবৎ।।৪।। হোমায়ুষা মদান্ধেন দেবতাশ্চ নিরাকৃতাঃ। তে সুরাঃ কৃষ্ণচৈতন্যং নদীহোপবনে স্থিতম্।।৫।।
।। আকবর বাদশাহ বৰ্ণন।।
এই অধ্যায়ে তিমির নিংগপুত্র মরুষাদির দেহলীতে রাজ্য বৃত্তান্ত তথা আকবর রাজ্য বৃত্তান্ত বর্ণন করা হয়েছে।
সূতজী বললেন–দৈত্য রাজবলি দেবতাদের বিজয় বার্তা শ্রবণ করে রোষণ নামক দৈতকে আহ্বান করে বললেন–তৈমুরলঙ্গের পুত্র সরুষ নামে প্রসিদ্ধ। তুমি সেখানে এসে দৈত্যদের মহান্ কার্য সম্পন্ন কর।।১- ২।।
একথা শ্রবণ করে দৈত্য হৃদয়ে বিশেষ রূপে রোষ প্রাপ্ত হয়ে দেহলীতে আস্থিত হয়ে বেদমার্গে স্থিতগণকে নাশ করে ৫ বছর পর্যন্ত তিনি সেখানে রাজ্য শাসন করেছিলেন। পুনরায় তার পুত্র বাবর জাত হন, তিনি ২০ বছর রাজত্ব করেন। তার পুত্র হুমায়ুন মদমত্ত হয়ে দেবতাদের নিরাদর করেছিলেন। দেবগণ কৃষ্ণচৈতন্য স্তুতি করতে লাগলেন। তিনি নদীয়ার উপবনে স্থিত ছিলেন। তাদের বহুস্তুতি শ্রবণ করে হরি স্বয়ং ক্রুদ্ধ হন। তিনি নিজ তেজ প্রভাবে তার রাজ্যকে বিঘ্নভূত করলেন।। ৩-৬।।
তুষ্টবুবহুধা তত্র শ্রুত্বা ক্রুদ্ধো হরিঃ স্বয়ম্। স্বতেজসা চ তদ্ৰাজ্যং বিঘ্নভূতং চকার হ।।৬। তৎসৈন্যজনিতৈলোকৈহোমায়ুশ্চ নিরাকৃতঃ। মহারাষ্ট্রেস্তদা তত্র শেষশাকঃ সমাস্থিতঃ।।৭।। দেহলীনগরে রম্যে ম্লেচ্ছো রাজ্যং চকার হ। ধর্মকার্যং কৃতং তেন তদ্ রাজ্যং পঞ্চহায়নম্।।৮।। ব্রহ্মচারী মুকুন্দশ্চ শংকরা চার্যগোত্রজঃ। প্রয়োগ চ তপঃ কুর্বন্ বিংশচ্ছিষ্যৈযুতঃ স্থিতঃ।।৯ বাবরেণ চ ধূর্তেন ম্লেচ্ছরাজেন দেবতাঃ। ভ্রংশিতাঃ স তদা জ্ঞাত্বা বহ্নৌ দেহং জুহাব বৈ।।১০। তস্য শিষ্যা গতা বহ্নৌ ম্লেচ্ছনাশনহেতুনা। গোদুগ্ধে চ স্থিতং রোম পীত্বা স পয়সা মুনিঃ।।১১।। মুকুন্দস্তস্য দোষেণ ম্লেচ্ছযানৌ বভূব হ। হোমাযুষশ্চ কাশ্মীরে সংস্থিত স্যৈব পুস্তকঃ।।১২।।
তার সেনাকে জনিত নিরাকৃত করলেন। সেই সময় মহারাষ্ট্রের দ্বারা শেষশাক সমাস্থিত হয়েছিল।। ৭।।
রম্য দেহলী নগরে ম্লেচ্ছগণ রাজ্য করেন। তারা ধর্মকার্য করেছিলেন। ৫ বৎসর পর্যন্ত তাদের রাজ্য ছিল। ব্রহ্মচারী মুকুন্দ শংকরাচার্যের গোত্র জাত হয়ে প্রয়াগে নিজ ২০শিষ্যগণের সঙ্গে তপ করেছিলেন।। ৮-৯।।
অত্যন্ত ধূর্ত ম্লেচ্ছ রাজা বাবর দেবতাগণকে ভ্রংশিত করেছিলেন। তিনি সেকথা জেনে নিজ শরীর অগ্নিতে হবন করেছিলেন।। ১০।।
জাতমাত্রে সুতে তস্মিন্ বাগুবাচাশরীরিণী। অকস্মাৎ চ বরো জাতঃ পুত্ৰোহয়ং সর্বভাগ্যবান্।।১৩। পৈশাচে দারুণে মার্গে ন ভূতো ন ভবিষ্যতি। অতঃ সোকবরো নাম হোমায়ুস্তনয়স্তব।।১৪।। শ্রীধরঃ শ্রীপতিঃ শম্ভুবরেণ্যশ্চ মধুব্রতী। বিমলো দেববান সোমো বর্দ্ধনো বর্তকো রুচিঃ।।১৫।। মান্ধাতা মানকারী চ কেশবো মাধবো মধুঃ। দেবাপিঃ সোমপাঃ শূরা মদনো যস্য শিষ্যকাঃ।।১৬।। স মুকুন্দো দ্বিজঃ শ্ৰীমান্ দৈবাত্ত্বদ্হেমাগতঃ। ইত্যাকাশবচো শ্রুত্বা হোমায়ুশ্চ প্রসন্নধীঃ।।১৭।। দদৌ দান ক্ষুধার্তেভ্যঃ প্রোস্না পুত্রমপালয়ৎ। দশাব্দে তনয়ে জাতে দেহলীদেশমাগতঃ।।১৮।। শেষশাকং পরাজিত্য স চ রাজা বভুব হ। অব্দং তেন কৃতং রাজ্যংতৎপুত্রশ্চ নৃপো ভবৎ।।১৯।।
তাঁর শিষ্যগণ ম্লেচ্ছগণকে নাশ করতে বহ্নিতে গেলেন। গোদুগ্ধে স্থিত রোমকে মুনি পায়ের সঙ্গে পান করলেন। তার দোষের ফলে মুকুন্দ ম্লেচ্ছ যোনিকে প্রাপ্ত হলেন।। হোমায়ু কাশ্মীরে ছিলেন। সেখানে তার পুত্র জাত হন।। তার পুত্র জাত হলে আকাশবানী হয়েছিল। এই পুত্র অকশা বর এবং সে ভাগ্যবান। সে দারুণ পৈশাচমার্গে এবং আগে থাকবে। এই কারণে হোমায়ু তোমার পুত্র আকবর নামে প্রসিদ্ধ হবে।। ১১-১৪।।
শ্রীধর -শ্রীপতি -শম্ভু-বরেন্য-মধুব্রতী বিমল-দেববান্ সোমবৰ্দ্ধন বর্ত্তক রুবি মান্ধাতা মানকারী কেশব মাধব মধু দেবাপি সোময়া শূর মদন এই নামধারী ধীমান মুকুন্দের শিষ্যগণ বশহয়ে তোমার গৃহে আসবে। এই প্রকার আকাশবানী শ্রবণ করে হোমায়ু অত্যন্ত প্রসন্ন হন। সেই হোমা ক্ষুধা পীড়িতকে দান করলেন এবং নিজ পুত্রকে সপ্রেমে পালন করলেন। সেই পুত্র দশবৎসর হলে দেহলী নগরীতে এলেন। তিনি শেষশাককে পরাজিত করে সেখানের রাজা হলেন। এক বর্ষ পর্যন্ত সেখানে রাজত্ব করে তার পুত্র রাজা হন। আকবর রাজ্য প্রাপ্ত হলে তার সাত পরমসুখ্য শিষ্যগণ এই সময় রাজার কাছে উপস্থিত হলেন। কেশব-মানসেন-বৈজবাসক-মাধব ম্লেচ্ছ ছিলেন। সেখানে হরিদাস তথা মধু মধ্বাচার্যের কুলে জাত তথা সমস্ত রাগের জ্ঞাতা ছিলেন। পূর্ব জন্মে যিনি দেবাপি নাম্নী ছিলেন, সেই বীরবল নাম্নী হয়ে সমুৎপন্ন হন।। ২১-২২।।
সম্প্রাপ্তেহকবরে রাজ্যং সপ্তশিষ্যাশ্চ তৎপ্রিয়াঃ। পূর্বজন্মনি যে মুখাস্তে প্রাপ্তা ভূপতিং প্রতি।।২০।। কেশবো মানসেনশ্চ বৈজবাস্ক তু মাধবঃ। ম্লেচ্ছাস্তে চ স্মৃতাস্তত্র হরিদাসো মধুস্তথা।।২১।। মধ্যাচাৰ্যকুলে জাতো বৈষ্ণবঃ সর্বরাগবিৎ। পূর্বজন্মনি দেবাপি স চ বীরবলোহভবৎ।।২২।। ব্রাহ্মণঃ পাশ্চিমাত্যো বৈ বাগদেবীবরদাপিতঃ। সোমপা মানসিংহশ্চ গৌতমান্ বয়সম্ভবঃ।।২৩।। সেনাপতিশ্চ নৃপতেরার্য ভূপনিরোমণেঃ। সুরশ্চৈব দ্বিজো জাতো দক্ষিণ শ্চৈব পন্ডিতঃ।।২৪।। বিল্বমংগল এবাপি নাম্না তনৃপতেঃ সখা। নায়িকাভেদনিপুনো বেশ্যানাং স চ পারগঃ।।২৫।। মদনো ব্রাহ্মণো জাতঃ পৌবাৰ্ত্য স চ নৰ্তকঃ। চন্দনো নাম বিখ্যাতো রহঃ ক্রীড়াবিশারদঃ।।২৬।।
তিনি পশ্চাত্ত্য ব্রাহ্মণ ছিলেন এবং বাগদেবীর বর দানে তিনি দর্পযুক্ত ছিলেন। সোম্পা এবং মানসিংহ গৌতম বংশ জাত হয়েছিলেন। সেই আর্যভূপ শিরোমণি নৃপতির সেনাপতি ছিলেন। যে সকল শূর ছিলেন তাঁরা দ্বিজ থেকে উৎপন্ন হন এবং দক্ষিণ দিকের পন্ডিত ছিলেন।। ২৩-২৪।।
অন্যদেশে গতাঃ শিষ্যাস্তেষাং পূর্বস্ত্রয়োদশ। অনপস্য সুতো জাতঃ শ্রীধরঃ শত্রুবেদিতঃ।।২৭।। বিখ্যাত স্তুলসীশর্মা পুরাণনিপুনং কবিঃ। নারী শিক্ষাং সমাদায় রাঘবানন্দ মাগতঃ।।২৮।। শিষ্যো ভূত্বা স্থিতঃ কাশ্যাং রামানন্দমতেস্থিতঃ। শ্রীপতিঃ স বভূবান্ধো মধ্বাচার্যমতে স্থিতঃ।।২৯।। সূরদাস ইতি জ্ঞেয়ঃ কৃষ্ণলীলাকরঃ কবিঃ। শম্ভুবৈ চন্দ্ৰভট্টস্য কুলে জাতো হরিপ্রিয়ঃ।।৩০।। রামানন্দমতে সংস্থো ভক্তকীর্তিপরায়ণঃ। বরেণ্য সোগ্রভূভ্ নামা রামানন্দ মতে স্থিতঃ।।৩১।। জ্ঞানধ্যানপরো নিত্যং ভাষাছন্দকরঃ কবিঃ। মধুব্রতী স বৈ জাতো কীলকো নাম বিশ্রুতঃ।।৩২।। রামলীলা করো ধীমান রামানন্দমতে স্থিতঃ। দেববান্ কেশবো জাতো বিষ্ণুস্বামীমতে স্থিতঃ।।৩৪।
বিল্বমঙ্গল ছিলেন বাজার সখা। তিনি নায়িকা ভেদ পন্ডিত ছিলেন তথা বেশ্যাগণের পারগামী ছিলেন। মদন নামক যিনি ছিলেন তিনিও এই জন্যে ব্রাহ্মণ হয়ে জাত হন। তিনি সৌবত্য এবং নর্তক ছিলেন। চন্দন নামে যে বিখ্যাত ছিলেন তিনি রহস্য ক্রীড়াতে মহা পন্ডিত ছিলেন। অন্যদেশে যে শিষ্য গিয়েছিলেন তারা সংখ্যায় তের ছিলেন। অনপাপ নামক পুত্ৰ শত্ৰু বেদিত শ্রীধর ছিলেন।। ২৫-২৭।।
তুলসী শর্মা ছিলেন পুরানে পরম পন্ডিত এবং কবি। রারী শিক্ষা গ্রহণ করে রাঘবানন্দের কাছে এসেছিলেন।। ২৮।।
তিনি রমানন্দের শিষ্য ছিলেন এবং কাশীতে রামানন্দ মতানুযায়ী হয়ে স্থিত হলেন। সেই শ্রীপতি অন্ধ হয়ে মধ্বাচার্যের মতে স্থিত হন। সুরদাস নামক যে ছিলেন তিনি ছিলেন কবি এবং তিনি কৃষ্ণলীলা পদ রচনা করেন। শম্ভু ছিলেন তিনি চন্দ্রভট্টের কুলে উৎপন্ন তিনি হরিপ্রিয় ছিলেন। ২৯-৩০।।
কবিপ্রিয়াদিরচনাং কৃত্বা প্রেতত্বমাগতঃ। রামজ্যোৎস্নাময়ং কৃত্বা স্বর্ণমুপাযযৌ।।৩৫।। সোমো জাতঃ স বৈ ব্যাসো নিস্বাদিত্যমতে স্থিতঃ। রহঃ ক্রীড়াময়ং গ্রন্থং কৃত্বা স্বৰ্গমুপাযযৌ।।৩৬।। বৰ্দ্ধনশ্চ স বৈ জাতো নাম্না চরণদাসকঃ জ্ঞানমালাময়ং কৃত্বা গ্রন্থং রৈদাসমার্গগঃ।।৩৭।। বর্তকঃ স চ বৈ জাভো রোপণস্য মতে স্থিতঃ। রত্নভানুরিতি জ্ঞেয়ো ভাষাকর্তা চ জৈমিনেঃ।।৩৮।। রুচিশ্চ রোচনো জাতো মধ্বাচার্যমতে স্থিতঃ। নানাজ্ঞানময়ীং লীলাং কৃত্বা স্বৰ্গমুপাযযৌ।।৩৯।। মান্ধাতা ভূপতিনাম কায়স্থঃ স বভূব হ। মধ্যাচার্যো ভাগবতং চক্রে ভাষাময়ং শুভম্।।৪০।।
অগ্রভূজ রামানন্দের মতানুযায়ী ছিলেন, তিনি ভক্তকীর্তি বর্ণন পরায়ণকারী ছিলেন। তিনি বরেণ্য জ্ঞানের ধ্যান পরায়ণ ছিলেন এবং নিজ ভাষা ছন্দো রচনাকারী কবি ছিলেন। মধুবতী থেকে সমুৎপন্ন কীলক নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন। সেই বুদ্ধিমান্ রামানন্দের মতে স্থিত হয়েরামলীলা করেছিলেন। বিমলজাত তিনি দিবাকর নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনিও স্বামী রামানন্দের মতানুসারী ছিলেন এবং সীতালীলা করেছিলেন। দেববান্ কেশব বিষ্ণুস্বামীর মতানুসারী ছিলেন, সেই কেশব কবি কবিপ্রিয়া প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করেন, যাতে করে এই স্বর্গ প্রাপ্তি ঘটে।
সোম ব্যাস হয়ে উৎপন্ন হন। তিনি নিম্বার্কাচার্যের মতানুযায়ী ছিলেন। তিনি রহস্য ক্রীড়ায় পরিপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন এবং স্বর্গলোক প্রাপ্ত হন। বর্দ্ধন চরণদাস জ্ঞানমালাময় গ্রন্থ রচনা করেন এবং তিনি রৈদাস মতানুযাসারী ছিলেন। বর্তক ছিলেন রোষণ মতানুসারী, রত্নভানু জৈমিনি ভাষ্য গ্রন্থ রচনা করেন। রুচি রোচন মধ্বাচার্যের মতানুসারী ছিলেন। তিনি অনেক প্রকার জ্ঞানময়ী লীলা রচনা করেন এবং অন্তে স্বর্গলোকে চলে যান। মান্ধাতা নামক ভূপতি কায়স্থ জাত হন। মধ্বাচার্য ভাগবত রচনা করেন।।৩১-৪০।।
মানকারো নারিভাবান্নারী দেহমুপাগতঃ। মীরানামেতি বিখ্যাতা ভূপতেস্তনয়া শুভা।।৪১।। মা শোভা চ তনৌ যস্যা গতিগর্জসমা কিল। সামীরা চ বুধেঃ প্রোক্তা মধ্বাচার্যমতে স্থিতা।।৪২।। এবং তে কথিতং বিপ্র ভাষাগ্রন্থ প্রকারণম্। প্রবন্ধ মংগলকরং কলিকালে ভয়ং করে।।৪৩।। স ভূপোহ কবরে নাম কৃত্বা রাজ্যমকটকম্। শতাৰ্দ্ধেন চ শিষ্যৈশ্চ বৈকুণ্ঠ ভবনং যযৌ।।৪৪।। সলোমা তনয়স্তস্য কৃতং রাজ্যং পিতুঃ সমম্। খুদকস্তনয়াস্তস্য দশাব্দং চ কৃতং পদম্।।৪৫।। চত্বারস্তনয়াস্তস্য নবরংগো হি মধ্যমঃ। পিতরং চ তথা ভ্রাতৃজ্ঞিত্বা রাজ্যমচীকরৎ।।৪৬।।
মানবার নারীভাবে ছিলেন এবং মেই কারণে তিনি নারী দেহ প্রাপ্ত হন। সেই নারী মীরা নামে বিখ্যাত হন, তিনি এক রাজপুত্রী ছিলেন। তার দেহ শোভাময় ছিল এবং তারগতি গজসমান ছিল তিনি বিদ্বান গণের দ্বারা মীরা নামে কথিত ছিল এবং তিনি মধ্বাচার্যের মতানুসারী ছিলেন।। ৪১-৪২।।
হে বিপ্ৰ, সেই ভাষাগ্রন্থের সমস্ত প্রকরণ আমি তোমাদের বর্ণনা করলাম। এই ভয়ংকর কলিযুগে সেটি মংগলকারী গ্রন্থ।। ৪৩।।
ভূপ আকবর নিষকন্টক রাজ্য করেন এবকং ৫০ বছর রাজ সুখ উপভোগ করেন শিষ্যগণের সঙ্গে বৈকুন্ঠে গমন করেন। তার পুত্রের নাম সলোমা। তিনিও পিতার ন্যায় রাজ্য পালন করেন। তার পুত্র খুর্দক দশবৎসর রাজত্ব করেন। তাঁরবার পুত্র ছিল, তন্মধ্যে নবরংগ (ঔরঙ্গজেব) মধ্যমপুত্র ছিলেন। তিনি পিতা এবং ভ্রাতাকে পরাজিত করে স্বয়ং রাজত্ব করেন।। ৪৪-৪৬।।
পূর্বজন্মনি দৈত্যোহ য়মন্ধকো রাজ্যমচীকরৎ। কর্ম ভূম্যাং তদংশেন দৈত্যরাজজ্ঞয়া যযৌ।।৪৭। তেনৈব বহুধা মূর্তীভ্ৰং শিতাশ্চ সমস্ততঃ। দৃষ্ট্বা দেবাস্তদাগত্য কৃষ্ণচৈতন্যমত্ৰুন্।।৪৮।। ভগবন্ দৈত্যরাজাংশঃ স জাতশ্চ মহীপতিঃ। ভ্রংশয়িত্বা সুরান্ বেদৈত্যপক্ষং বিবৰ্দ্ধতে।।৪৯।। ইতি শ্রুত্বা স যজ্ঞাংশো নদীহোপবনে স্থিতঃ। শশাপ তং দুরাচারং যথা বংশোক্ষয়ো ভবেৎ।।৫০।। রাজ্যমেকোন পঞ্চাশৎ কৃতং তেন দুরাত্মনা। সেবাজয়ো নাম নৃপো দেবপক্ষবিবৰ্দ্ধনঃ।।৫১।। মহারাষ্ট্রদ্বিজস্তস্য মুদ্ধবিদ্যাবিশারদঃ। হত্বা তং চ দুরাচারং তৎ পুত্রায় চ তৎপদম্।।৫২।।
পূর্ব জন্মে যিনি অন্ধক নামক দৈত্য ছিলেন তিনি এই বঙ্গভূমিতে দৈত্যরাজের আজ্ঞাতেই এসেছিলেন। তিনি অনেক দেব মূর্তি খন্ডন করেন। তখন দেবগণ তাঁর অত্যাচার দেখে কৃষ্ণ চৈতন্যের কাছে গিয়ে বলেছিলেন –হে ভগবান্, দৈত্যরাজাংশ মহীপতি দেবগণকে ভ্রংশ করে দৈত্য পক্ষকে বর্ধিত করছে।। ৪৭-৪৯।।
নদীযোপবনে স্থিত যজ্ঞাংশ সেকথা শ্রবণ করে দুরাচারী তাকে শাপ দিলেন যে, তোমার বংশ ক্ষয় হবে।। ৫০।।
সেই দুরাত্মা ৪৯ বছর রাজত্ব করেন সেবাজয় নামক যিনি ছিলেন তিনি দেবপক্ষ বৃদ্ধি করতে লাগলেন। তার এক মহারাষ্ট্র দ্বিজ ছিল, যিনি যুদ্ধ বিদ্যায় কুশল পন্ডিত ছিলেন। তিনি সেই দুরাচারীকে হনন করলেন এবং তার পুত্রকে সেই পদ দিলেন।। ৫১-৫২।।
দত্ত্বা যযৌ দাক্ষিণাত্যে দেশে দেববিবৰ্দ্ধনঃ। আলোমানামতনয়ঃ পঞ্চাদ্বং তৎপদং কৃতম্।।৫৩।। তৎপশ্চান মরণং প্রাপ্তো বিদ্রধেন রুজা মুনে বিক্রম্যগতে রাজ্যে সপ্তত্যুক্তরকং শতম্।।৫৪।। জ্ঞেয়ং সপ্তদশং বিপ্ৰয়দালোমা নৃতিং গতঃ। তালনস্য কুলে জাতো ম্লেচ্ছঃ ফলরুষোবলী।।৫৫।। মুকুলস্য কুলং হত্বা স্বয়ং রাজ্যং চকার হ। দশাব্দং চ কৃতং রাজ্যং তেন ভূপেন ভূতলে।।৫৬।। শত্রুভিমরণং প্রাপ্তো দৈত্যলোকমুপাগম। মহামদস্তনয়ো বিংশত্যব্দং কৃতং পদম্।।৫৭।। তদ্রাষ্ট্রে নাদরো নাম দৈত্য দেশ উপাগমৎ হত্বাচার্যংশ্চ সুরাজ্জিত্বা দেশং খুরজমাযযৌ।।৫৮।।
তাকে রাজপদে বসিয়ে তিনি দক্ষিণাত্য দেশজয় করতে চলেগেলেন। তার পুত্রর নাম লালোমা। তিনি ৫বছর পর্যন্ত রাজ্যভোগ করেন। হে মুনে, অতঃপর বিদ্রধরোগে তিনি মৃত্যুলাভ করেন। রাজা বিক্রম ১৭০ বছর রাজত্ব করেন, আলোমা মৃত্যু কালে আলোমা ৭০বৎসর বয় প্রাপ্ত ছিলেন। তালনের কুলে বলবান ফলরুষ জাত হন।। ৫৩-৫৫।।
তিনি মুকুন্দের কুল হনন করে স্বয়ং রাজ্যশাসন করেন। তিনি দশবৎসর পর্যন্ত রাজত্ব করেন।। ৫৬।।
অতঃপর তিনি শত্রুদের দ্বারা মৃত্যু প্রাপ্ত হলে দৈত্যলোকে চলে যান। তার পুত্র মহামদ ২০ বৎসর রাজত্ব করেন।। ৫৭।।
তার রাষ্ট্রে নাদর (নাদিরশাহ) নামক এক দৈত্য এসেছিলেন, তিনি সুরগণকে জয়করে তথা আর্যগণকে হনন করে অত্যন্ত অত্যাচার করেছিলেন। পুনরায় তিনি খুরজ দেশে আগত হলেন।। ৫৭-৫৮।।
মহামৎস্যো হি মদস্য তনয়স্তৎপিতুঃ পদম্। গৃহীত্বা পঞ্চবর্ষান্তং স চ রাজ্যং চকার হ।।৫৯।। মহারাষ্টেহতো দুষ্টস্তালনান্বয় সম্ভবঃ। দেহলীনগরে রাজ্যং দশাব্দং মাধবেন বৈ।।৬০।। কৃতং তত্ৰ তদা ম্লেচ্ছ আলোমা রাজ্যমাপ্তবান্ তদ্রাষ্টে বহবো জাতা রাজনো নিজদেশজাঃ।।৬১।। গ্রামপা বহবো ভূপা দেশেদেশে বভূবিরে। মন্ডলীকপদং তত্রাক্ষয়ং জাতং মহীতলে।।৬২।। ত্রিংশদব্দমতো জাতং গ্রামে গ্রামে নৃপে নৃপে তদা তু সকতলাদেবাঃ কৃষ্ণচতৈন্যমাযযুঃ।।৬৩।। যজ্ঞাংশশ্চ হরিঃ সাক্ষাজ জ্ঞাত্বা দুঃখং মহীতলে। মুহূর্তং ধ্যানমাগখ্য দেবান্ বচনমব্রবীৎ।।৬৪।।
মহামৎস্য নামক তার মদপুত্র জাত হন। তিনি নিজ পিতার পদগ্রহণ করেছিলেন। এবং পাঁচবৎসর রাজত্ব করেন। সেই দুষ্টতালনের বংশে জাত হন এবং মহারাষ্ট্রের দ্বারা মারা যান। পুনরায় দেহলী নগরীতে মাধব দশবৎসর পর্যন্ত রাজত্ব করেন। সেখানে সেই সময় ম্লেচ্ছ আলোমা রাজ্য শাসন করেছিলেন। তার রাজ্যে নিজ দেশজ অনেক রাজা ছিলেন।। ৫৯-৬১।।
গ্রামপালনকারী ভূপ দেশে দেশে জাত হন। এই মহীতলে সেখানে অক্ষয় মন্ডলীপদ সৃষ্টি হল।। গ্রামে গ্রামে এবং নৃপদের মধ্যে ত্রিশবসৎসরের ব্যতীত হয়েছিল। সেই সময় সমস্ত দেবগণ মহাপ্রভু কৃষ্ণ জৈচতন্যের কাঝে গিয়েছিল।। ৬২-৬৩।।
পুরা তু রাঘবো ধীমাজ্জীত্বা রাবাণরাক্ষসম্। কপীনুজ্জীবয়ামাস সুধাবৰ্ষৈ সমস্ততঃ।।৬৫।। বিকটো বৃজিলো জালো বরলীনা হি সিংহলঃ। জবঃ সুমাত্রশ্চ তথা নাম্না তে ক্ষুদ্রবানরাঃ।।৬৬।। রামচন্দ্রং বচঃ প্রাহুদেহি নো বাঞ্ছিতং প্রভো। রামো দশরথিঃ শ্রীমাজ জ্ঞাত্বা তেষাং মনোরথম্।।৬৭ দেবাংগনোদ্ভবা কন্যা রাবনাল্লোকরাবণাৎ।
দত্ত্বা তেভ্যো হরিঃ সাক্ষাদ্ বচনং প্রাহ হৰ্ষিতঃ।।৬৮।। ভগবান্নান্না চ মে দ্বীপা জালন্ধরবিনির্মিতাঃ। তেষু রাজ্ঞো ভবিষ্যন্তি ভবন্তো হিতকারিনঃ।।৬৯।। নন্দিন্যা গোশ্চরুন্ডাৎ বৈ জাতা ম্লেচ্ছা ভয়ানকাঃ। গুরুন্ডা তাতয়স্তেষাং তাস্তু তেষুসদা স্থিতাঃ।।৭০।। জিত্বা তাংশ্চ গুরুন্ডান্ বৈ কুরুধ্বং রাজ্যমুত্তমম্। ইতি শ্রুত্বা হরিং নত্বা দ্বীপেষু প্রযযুমুর্দা।।৭১।।
যজ্ঞাংশ সাক্ষাৎহরি এই মহীতলে যে দুঃখ ছিল তা জেনে এক মুহুর্ত ধ্যান করে দেবগণকে বলেছিলেন- প্রথমে ধীমান রাক্ষস রাজ সরাবণকে জয় করে মৃতবানরদের সুধাদৃষ্টি দ্বারা উজ্জীবিত করেছিলেন। সেই বানরদের নাম বিকর বৃজিল জাল বরলীন সিংহল জব সুমাত্র এবং তারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বানর ছিল। তাঁরা ভগবান্ রামচন্দ্রকে বললেন–হে ভগবান্, হে প্রভো, আপনি আমাদের বাঞ্ছিত বরদান দিন। দশরথপুত্র রামচন্দ তাদের মনোরথ জেনেছিলেন। লোকের জন্য ভয়ানক রাবণ দ্বারা এক দেবাঙ্গনা জাত হন। ভগবান্ শ্রীরামচন্দ্র তাকে দেখে পরমহর্ষিত হয়েছিলেন। সাক্ষাৎ হরি বললেন- আপনার নামে জ্ঞালঙ্কার দ্বারা নির্মিত দ্বীপে আপনাদের হিকারী রাজা জাত হবেন। নন্দিনী গৌ থেকে খন্ড ভয়ানক গুরুন্দ্র জাতির ম্লেচ্ছ জাত হন। তিনি দ্বীপে সদা স্থিত ছিলেন। আপনারা সেই গুরানোকে জয় করে সেখানে উত্তম রাজ্য করুন। শ্রীরামচন্দের কথা শ্রবণ করে তারা সকলে প্রসন্ন হয়ে সেখানে চলে গেলেন।। ৬৪-৭১।।
বিকটান্ বয়সম্ভূতা গুরুন্ডা বানরাননাঃ। বাণিজ্যার্থমিহায়াতা গৌরুন্ডা বৌদ্ধমাগিঃ।।৭২।। ইশেপুত্রমতে সংস্থাস্তেষাং হৃদয়মুত্তমম্। সত্যব্ৰতং কামজিতমক্রোধং সূর্যতৎ পরম্।।৭৩।। যুয়ং তত্রোষ্য কার্যং চ নৃণাং কুরুতে মা চিরম্। ইতি শ্রুত্বা তু তে দেবাঃ কুর্যুরাচিকমাদরাৎ।।৭৪।। নগৰ্য্যাং কলিকাতায়াং স্থাপয়ামাসুরুদ্যতাঃ। বিকটে পশ্চিমেদ্বীপে তৎপত্নী বিকটাবতী।।৭৫।। অষ্টকৌশালমার্গেন রাজমন্ত্রং চাকার হ। তৎপতিত্ত্ব পুলোমাচিঃ কালিকাতাং পুরীং স্থিতঃ।।৭৬।। বিক্রমস্য গতে রাজ্য শতমষ্টদশং কলৌ। চত্বারিংশং তথাব্দং চ তদা রাজা বভূব হ।।৭৭।।
বিকর বংশে জাত গুরন্দ বানর সমান মুখী ছিলেন। তিনি বানিজ্য করতে স্বয়ং সেখানে এসছিরেন এবং তিনি বৌদ্ধ ধর্ম বিশ্বাস করতেন।।৭২।।
পুনরায় তিনি ইশুর মত সংস্থিত হলেন। তাঁর হৃদয় অত্যন্ত উত্তম ছিল। সত্যব্রত কামজয়ী ক্রোধরহিত এবং সূর্য তৎপর ছিলেন। আপনি সেখানে বাস করে মনুষ্যকার্য করুন। এখন বিলম্ব করবেন না। একথা শ্রবণ করে তারা দেবকে আদর অর্চিক করলেন।। ৭৪।।
কলিকাতা নগরী স্থাপন করতে উদ্যত হলেন। পশ্চিমদ্বীপে বিকর রাজত্ব করতেন, তার পত্নী বিকটাবতী।। ৭৫।।
তিনি অষ্ট মার্গ থেকে রাজ মন্ত্র করেছিলেন। তার পতি পুলোমার্চি কলিকাতা পুরীতে স্থিত ছিলেন।। ৭৬।।
কলিযুগে বিক্রমের রাজ্য অষ্টাদশ শত চল্লিশ বর্ষ হলে তিনি রাজা হন।। ৭৭।।
তদন্বয়ে সপ্তনৃপা গুরুন্ডাশ্চ বভূবিরে। চতু ক্ষাষ্টিমিতং বর্ষং রাজ্যং কৃত্বালয়ং গতাঃ।।৭৮।। গুরুন্ডে চাষ্টমে ভূপে প্রাপ্তেন্যায়েন শাসতি। কলিপক্ষো বলিদৈত্যো মুরং নাম মহাসুরম্।।৭৯।। আরুহ্য প্রেষয়ামাস দেবদেশে মহোত্তম। স মুরো বার্ডিলং ভূপং বশীকৃত্য হৃদি স্থিতঃ।।৮০।। আর্যধর্মবিনাশায় তস্য বুদ্ধিং চকার হ। মূর্তিং সংস্থাস্তদা দেবাগত্যা যজ্ঞাংশযোগির্ণম্।।৮১।। নমস্কৃত্যা ব্রৃবসর্বে যথা প্রাপ্তো মুরোহ সুরঃ। জ্ঞাত্বা শশাপ কৃষ্ণাংশো গুরুন্ডান্ বৌদ্ধমার্গিণঃ।।৮২। ক্ষয়ং মাস্যন্তি তে সর্বে মুরস্য বশং গতাঃ। ইত্যুক্তে বচনে বস্মিন্ গুরুন্ডাঃ কালনোদিতাঃ।।৮৩।। স্বসৈন্যৈশ্চ ক্ষয়ং জবর্যমাত্রান্তরে খলাঃ। সর্বে ত্রিংশৎ সহস্রাশ্চ প্রযযুযমমন্দিরে।।৮৪।।
সেই বংশে সাতগুরুন্দ নৃপ ছিলেন। ৬৪ বৎসর পরিমাণ পর্যন্ত রাজ্য করে সবলয় প্রাপ্ত হল। গুরুন্দ পর্যন্ত আট জন রাজা হওয়ার পর ন্যায়ানুসারে শাসনকারী কলিপক্ষে বলি দৈত্য সুর নামক মহাসুরকে আরোহণ করে তাকে দেবদেশে পাঠিয়েছিলেন। সেই সুর বার্ডিল ভূপতিকে নিজ বশে নিয়ে এসে তার হৃদয়ে স্থিত হন। আর্যধর্ম বিশেষ রূপে নষ্টকারী বুদ্ধি তিনি করলেন। সেই সময় মূর্তিতে সংস্থিত দেবগণ যজ্ঞাংশ যোগীর কাছে গেলেন।।৭৮-৮১।।
তারা সকলে যজ্ঞাংশকে প্রণাম করে সুর অসুরের সকল কথা বললেন। কৃষ্ণাংশ সকল বৃত্তান্ত জ্ঞাত হয়ে বৌদ্ধ মাৰ্গানুসারে গুনুন্ডকে শাপ দিলেন। যেসকল সুর অসুরের বশে চলেগেছে তারা সকলে ক্ষয় প্রাপ্ত হবে। তারা এই কথা শ্রবণ করে কাল দ্বারা প্রেরিত খল গুরুন্ড নিজ সেনাগণের সাথে এক বর্ষের মধ্যে ক্ষয় প্রাপ্ত হলেন। তারা ত্রিশ সহস্র যমরাজ মন্দিরে চলে গেলেন।। ৮২-৮৪।।
বাগন্ডৈঃ স চ ভূপালো বার্ডিলো নাশমাপ্তবান্। গুরুন্ডো নবমঃ প্রাপ্তো ভেকলো নাম বীর্যবান্।।৮৫।। ন্যায়েন কৃতবান্ রাজ্যং দ্বাদশাব্দং প্রযত্নতঃ। আর্যদেশ চ তদ রাজ্যং বভূব ন্যায়শাসতি।।৮৬।। লার্ডলো নাম বিখ্যাতো গুরুন্ডো দশমোহিতঃ। দ্বাত্রিংশাব্দং চ তদ রাজ্যং কৃতং তেনৈব ধর্মিণা।।৮৭। লার্ডলে স্বগর্তে প্রাপ্তে মকরন্দকুলোদ্ভবাঃ। আর্যাঃ প্রাপ্তস্তদা মৌনা হিমতুংগনিবাসিনঃ।।৮৮।। বহুবর্ণাঃ সূক্ষ্মনসৌ বর্তুলা দীর্ঘমস্তকাঃ। এবং লক্ষণশ্চ সংপ্রাপ্তা দেহল্যাং বৌদ্ধমার্গিণঃ।।৮৯। আর্জিকো নাম বৈ রাজা তেষাং তত্র বভূব হ। তস্য পুত্রো দেবকনো গংগোত্রগিরি মর্দ্ধনি।।৯০।। দ্বাদশাব্দং তপো ঘোরং তেপে রাজ্যবিবৃদ্ধয়ে। তদা ভগবতী গংগা তপসা তস্য ধীমতঃ।।৯১।।
সেই বার্ডিল রাজা বাগদন্ডের দ্বারা নাশ প্রাপ্ত হলেন। এরপর নবমগুরুন্ড ভেকল চন্ডবীর্যবান ছিলেন। তিনি ন্যায়ানুসারে ১২ বৎসর পযূত রাজ্য মাসন করেন। আর্যদেশে ন্যায় শাসিত রাজ্য হয়েছিল।। ৮৫-৮৬।।
দশমগুরুন্ড পরম হিতকারী লার্ডল নামে বিখঅত ছিলেন। সেই ধর্মাত্মা ও ৩২ বৎসর পর্যন্ত সেখানে রাজ্য শাসন করেন। লার্ডল স্বর্গে গমন করলে মকরন্দ সেই বংশে জাত হন। তিনি মৌন ও হিমতুঙ্গ বাসী ছিলেন। তিনি বক্রবর্ণ, ছোট নাকযুক্ত বৌদ্ধমার্গানুরাগী গেহলীতে ছিলেন। সেখানে তাদের আর্চিক নামক রাজা ছিলেন। তাঁর পুত্র দেবকর্ণ গংপোত্র গিরিশি ঘরে ছিলেন।। ৮৭-৯০।।
স্বরূপং স্বেচ্ছয়া প্রাপ্য ব্রহ্মলোকং জগাম হ। কুবেরশ্চ তদাগত্য দত্ত্বা তস্মৈ মহৎ পদম্।।৯২।। আর্মাণাং মন্ডলীকং চ তত্রৈবান্তরধীয়ত।। মন্ডলীকো দেবকনো বভূব জনপালকঃ।।৯৩।। ষষ্টয়ষ্ঠং চ কৃতং রাজ্যং তেনরাজ্ঞা মহীতলে। তদন্বয়েহষ্ট ভূপাশ্চ বভূবুদেবপূজকাঃ।।৯৪।। দ্বিশতাব্দং পদং কৃত্বা স্বৰ্গলোকমুপাযযুঃ। একাদশশ্চ যো মৌনঃ পত্রগারিরিতি শ্রুতঃ।।৯৫।। চত্বারিংশচ্চবর্ষানি রাজ্যং কৃত্বা প্রযত্নতঃ। স্বর্গলোকং গতো রাজা পন্নগৈমরণং গতঃ।।৯৬।। এবং চ মৌনজাতীয়ৈ কৃতং রাজ্যং মহীতলে।।৯৭।।
সেখানে সেই পর্বত চোটীতে নিজরাজ্য বিশেষ বৃদ্ধির জন্য ১২ বর্ষ ঘোর তপস্যা করেছিলেন। তখন তার তপস্যাতে ভগবতী গংগা তুষ্ট হন। তখন তিনি নিজ ইচ্ছাতে স্বরূপ প্রাপ্ত হয়ে ব্রহ্মলোকে চলে যান। সেই সময় কুবের এসে তাকে আর্যগণের মন্ডলীক মহৎপদ প্রদান করেন। তখন মন্ডলীক দেবকর্ণ জনপালক হয়েছিলেন। সেই রাজা ৭ বর্ষ পর্যন্ত মহীতলের রাজত্ব করেন। তার বংশে ৮ রাজা অনেক দেব পূজা কারী ছিলেন। তারা সকলে ২০০ বছর নিজ পদ প্রাপ্ত হয়ে স্বর্গলোকে চলে যান। একাদশ যিনি মৌন ছিলেন তিনি পন্নগারি নামে প্রসিদ্ধ হন।। তিনি ৪০ বছর রাজ্যসুখ উপভোগ করেন এবং প্রযত্নের সঙ্গে রাজ্য শাসন করে পন্নগগনের সঙ্গে স্বর্গলোকে চলে যান।। এই প্রকারে মৌন জাতি গণ এই মহীতলে রাজত্ব করেন।। ৯১-৯৭।