দ্বিতীয় খন্ড
উত্তরপর্ব
2 of 3

অধর্ম ও পাপের ভেদ

।। অধৰ্ম পাপস্য চ ভেদ।।

অধোধঃ পতনং পুংসামধঃকর্ম প্রকীর্তিতম্। নরকার্ণবঘোরেষু যাতনা পাপমুচ্যতে।।১। অধর্মভেদা বিজ্ঞেয়াশ্চিত্তবৃত্তি প্রভেদতঃ। স্থূলাঃ সূক্ষ্মা সুসূক্ষ্মাশ্চ কোটি ভেদৈরনেকধা।।২। ত্রয়য়েপাপনিচয়াঃ স্থূলা নরকহেতবঃ। তে সমাসেন কথ্যন্তে মনোবাক্যকায়সাধনাঃ।।৩।। পরস্ত্রীত্বথ সংকল্পশ্চেতসানিষ্টচিন্তনম্। অকার্যাভিনিবেশশ্চ চতুধা কৰ্ম মানসম্।।৪। অনিবদ্ধ প্রলাপিবমত্যং চাপ্রিয়ং চ যৎ। পরাপবাদপৈশুন্যং চতুধা কৰ্ম বাচিকম্।।৫। অভক্ষ্যভক্ষণং হিংসামিথ্যা কামস্য সেবনম্। পরস্বানামুপাদানং চতুর্দ্ধা কর্ম কায়িকম্।।৬।

।। অধর্ম ও পাপের ভেদ।।

এই অধ্যায়ে অধর্ম ও পাপের ভেদ বর্ণনা করা হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণ বললেন পুরুষের নীচকর্ম দ্বারা তার অধঃপতন হয়। নরক সমুদ্রে যে মহা ঘোর তাতে যাতনা পাওয়া হল পাপ।।১।।

অধর্মের ভেদ চিত্ত বৃত্তির প্রভেদ দ্বারা জানার যোগ্য স্থূল-সূক্ষ্ম এবং সূসূক্ষ্ম অনেক প্রকার ভেদ হয়। তারমধ্যে প্রভূত পাপযুক্ত যা তা নরক প্রাপ্তির হেতু। সেগুলি এখন সংক্ষেপে বলব। তা মন, বাণী ও শরীর সাধন স্বরূপ।।২- ৩।।

পরস্ত্রী চিন্তন, কুচিন্তন, অনিষ্টকর্ম ইত্যাদি চার প্রকার মানসকর্ম। সম্বন্ধ রহিত প্রলাপ, অসত্য ভাষণ, অপ্রিয় কথন এবং অপরকে দোষারোপ, অপরের ক্ষতি করা ইত্যাদি চারপ্রকার বাচিককর্ম। ভক্ষণের অযোগ্য বস্তু ভক্ষণ করা, হিংসা করা, মিথ্যা কামের সেবন এবং অপরের ধন-সম্পত্তি গ্রহণ— এই চার প্রকার কায়িক কর্ম।।৪-৬।।

যে দ্বিষন্তি মহাদেবং সংসারার্ণবতারণম্। সমস্তপাতকোপেতাস্তে যান্তি নরকাগ্নিষু।।৭। ব্রহ্মঘ্নশ্চ সুরাহশ্চ স্তেয়ী চ গুরুতল্পগঃ। মহাপাতকিনশ্চৈতে তৎসংসর্গী চ পঞ্চমঃ।।৮। ক্রোধাদ্বেষাক্তয়াল্লোভাব্রাহ্মণং বিশসংতি যে। প্রাণাং তিকো মহাদোষো ব্রহ্মঘ্নাস্তে প্রকীর্তিতাঃ।।৯।। ব্রাহ্মণং চ সমায় যাচমানমকিঞ্চনম্। পঞ্চান্নস্তীতি তং ব্রুয়াৎস চৈবং ব্রহ্মহাস্মৃতঃ।।১০। যস্তু বিদ্যাভিমানেন নিত্যং জয়তি বৈ দ্বিজান্। সমাসীনঃ সভামধ্যে ব্রহ্মহা সোহপি কীর্তিতঃ।।১১। মিথ্যাগুনৈঃ স্বমাত্মানং নয়ত্যুৎকর্মনং বলাৎ। গুরুর্ণাং চ বিরুদ্ধো যঃ স চৈব ব্রহ্মহা স্মৃতঃ।।১২। ক্ষুতৃষ্ণসংতপ্তদেহানাং দ্বিজানাং ভোক্তুমিচ্ছতাম্। সমাচরতি যোবিঘ্নং তমাহুব্রহ্মঘাতকম্।।১৩।

যে ব্যক্তি এই সংসার সাগর থেকে ত্রাণকারী মহাদেবকে দ্বেষ করেন তিনি সকলপ্রকার পাতকযুক্ত নরকে অগ্নিকুন্ডে পতিত হন।।৭।।

ব্রাহ্মণ হত্যা, সুরাপান, চৌর্যবৃত্তি এবং গুরুপত্নী সংসর্গকারী— এই চার প্রকার মহাপাতক আছেন। এদের সংসর্গকারী পঞ্চম মহাপাতক।।৮।।

ক্রোধ দ্বারা, দ্বেষ দ্বারা, লোভ দ্বারা যিনি ব্রাহ্মণকে তাড়ন করেন তাঁর প্রাণান্তিক মহাদোষ হয় এবং তিনি ব্রহ্মঘাতী হন। ব্রাহ্মণকে ডেকে যিনি কিছু দান করেন না তিনিও ব্রহ্মঘ্ন হন।।৯-১০।।

যিনি নিজ বিদ্যার অতিমানে নিত্য ব্রাহ্মণকে পরাজিত করেন তিনি ব্রহ্মহত্যাকারী বলে পরিচিত হন।।১১।।

মিথ্যা গুণ দ্বারা যিনি নিজেকে বলপূর্বক উৎকৃষ্টতা দেন, যিনি গুরুজনের বিরুদ্ধাচারণ করেন তিনিও ব্রহ্মঘাতী হন।।১২।।

ক্ষুধা-তৃষ্ণাতুর ব্রাহ্মণকে যিনি খাওয়ানোর ইচ্ছা করেন, তাকে যিনি বাধা দেন তিনি ব্রহ্মঘাতক।।১৩।।

পিশুনঃ সর্বলোকানাং ছিদ্রান্বেষনতৎপরঃ। উদ্বেগজননঃ ক্রুরঃ স চৈব ব্ৰহ্মহা স্মৃতঃ।।১৪। গবাং তৃষ্ণাভিভূতানাং জলার্থমুপসর্পনাম্। সমাচরতি যো বিঘ্নং স চৈব ব্ৰহ্মহা স্মৃতঃ।।১৫। পরদোষমভিজ্ঞায় নৃপকর্ণে করোতি যঃ। পাপীয়ান্ পিশুনঃ ক্ষুদ্রঃ স চৈব ব্ৰহ্মহা স্মৃতঃ।।১৬। দেবদ্বিজগব্বাং ভূমিং পূর্বভুক্তা হরেও যঃ। প্রনষ্টামপি কালেন তমাহুব্রহ্মঘাতকম্।।১৭। দ্বিজবিত্তাপহরণে ন্যায়তঃ সমুপার্জিতে। ব্রহ্মহত্যাসমং জ্ঞেয়ং পাবকং নাত্রসংশয়ঃ।।১৮। অগ্নিহোত্রপরিত্যাগো যস্তু যাজ্ঞিককৰ্মনাম্। মাতাপিতৃ পরিত্যাগঃ কূটসাক্ষ্যং সুহৃদ্বধঃ।।১৯।। গবাং মার্গে বনে চাগ্নিং পুরে গ্রামে চ দীপযযেৎ। ইতি পাপনি ঘোরাণি সুরাপন সমানি তু।।২০।।

সমস্ত লোকের যিনি অনিষ্ট করেন, যিনি লোকে ছিদ্র অন্বেষণে ব্যস্ত থাকেন, লোকের মনে যিনি উদ্বেগ উৎপন্ন করেন সেই নির্দয়ী পুরুষ ব্রহ্মঘাতী হন।।১৪।।

তৃষ্ণায় আকুল গোসমূহের জলপানে যিনি বাধা দেন তিনি ব্রহ্মহা হন অপরের দোষ ঠিকমতো না জেনে যিনি রাজার কাছে নালিশ করেন তিনি বড় পাপী পিশুন তথা ব্রহ্মহা হন। ব্রাহ্মণ, দেবতা এবং গো এই সকলের ভোগের ভূমি যিনি হরণ করেন তিনি ব্রাহ্মণ ঘাতক হন।।১৫-১৭।।

যে ব্যক্তি ব্রাহ্মণের ন্যায়পথে উপার্জিত অর্থ চুরি করে তিনি ব্রহ্মহত্যা তুল্য পাপ করেন।।১৮।।

যাজ্ঞিক কর্মকারীকে অগ্নিহোত্রে বাধা দেওয়া, মাতা-পিতাকে ত্যাগকারী, মিথ্যা সাক্ষ্যদানকারী, মিত্রকে বধকারী, গোগণের মার্গে ও বনে অগ্নি সংযোগ তথা গ্রাম ও নগরকে অগ্নি দ্বারা ভষ্মীভূত করা মহা ঘোর পাপ এবং তা সুরাপান তুল্য হয়।। ১৯-২০।।

বৃষাণাং বৃষণান্যেব পাপিষ্ঠা গালয়ন্তি যে। বাহয়ন্তি চ গাং বধ্যাংতে মহ নারকাঃ স্মৃতাঃ।।২১। আশ্ৰমং সমনুপ্রাপ্তং ক্ষুতৃষ্ণাশ্রমপীড়িতম্। যেহতিথিং নাভিমন্যতে তে বৈ নিরয়গাসিনঃ।।২২। অনাথং বিকলং দীনং বালং বৃদ্ধং কুশাতুরম্ নানুকম্পতি সে মূঢ়াস্তে যান্তি নিরয়ার্নবম্।।২৩। অজাবিকো মাহিষকঃ সামুদ্ৰো বৃষলীপতিঃ। শূদ্রবিক্ষত্রবৃত্তিশ্চ নারকী স্যাদ্বিজাধমঃ।।২৪। শিল্পিনঃ কারুকা বৈদ্যা হেমকারা নটাদ্বিজাঃ। কৃতকৌক্ষেয় সংযুক্তাস্তমান্যে নারকা স্মৃতাঃ।। ২৫। যশ্চোদিতমতিক্রম্য স্বেচ্ছয়া বা হরেৎ করম্। নরকে তু স পচ্যেত যশ্চ দন্ডরুচির্ভবেৎ।।২৬।

বৃষগণের বৃষণকে যে মহাপাপী গালন করেন এবং বধ্য গোগণকে যিনি বহন করেন তিনি মহানারকী হন।।২১।।

ক্ষুধা, তৃষ্ণায় কাতর ও পথশ্রমে ক্লান্ত ব্যক্তি সম আশ্রমে উপস্থিত হলে সেরূপ অতিথিকে যিনি যথাযথ সৎকার করেন না সেই মনুষ্য নরকগামী হন।।২২।।

অনাথ, বিকল, দীন, বালক, বৃদ্ধ, কৃশ ও আতুরকে যে ব্যক্তি দয়া করেন না সেই মহামূঢ় নরকগামী হয়।।২৩।।

ভেড়াপালনকারী, মহিষপালনকারী, সমুদ্রযাত্রাকারী, বৃষপালনকারী তথা শূদ্র, বৈশ্য ও ক্ষত্রিয়ের বৃত্তি পালনকারী অধম দ্বিজ নরকগামী হয়। শিল্পী কারক, বৈদ্য, হেমকার এবং নটের ভূমিকা পালনকারী দ্বিজ কৃত কৌক্ষেয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তা নারকীয় বলে পরিগণিত হয়।।২৪-২৫।।

যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বা প্ররোচিত হয়ে রাজকর হরণ করেন, দন্ডযোগ্য সে ব্যক্তি নরকে পচে মরেন।।২৬।।

উৎকোচ কৈরধিকৃতৈস্তস্করৈশ্চ প্রপীড়য়তে। যস্য রাজ্ঞ প্রজা রুষ্টা পচ্যেত নরকেষু সঃ।।২৭। যে দ্বিজাঃ প্রতিগৃহ্নন্তি নৃপস্যান্যায়য়বর্তিনঃ। প্রয়াত্তি তেপি ঘোরানি নরকানি ন সংশয়।।২৮। পারদারিকচৌরানাং যৎপাপং পার্থিবস্য তৎ। তাবেদরক্ষতস্তস্মাদ ঘোরস্তস্য প্রতিগ্রহঃ।।২৯। অচৌরং চৌরবৎ পশ্যেচ্চৌরং বাহচৌররূপবৎ। অবিচার্য নৃপস্তস্মাদ্ ধাতয়ন্নরকং ব্রজেৎ।।৩০। ঘৃততৈলান্ন পানানি মধুমাং সসুরাসবম্। গুড়েক্ষুক্ষারশাকানি দধিমূল ফলানি চ।।৩১। তৃণং কাষ্ঠং পুষ্প পত্রমৌষধং কাংস্যভাজনম্।। উপানচ্ছত্র শকটমাসনং শয়নাম্বরম্।।৩২। তাম্রং সীসং ত্রপুংকাচং শংখাদ্যং চ জলোদ ভবম্। বাহ্মং বা বৈষ্ণবাদ্যং বা গৃহেयूপ স্করানি চ।৩৩।

যে ব্যক্তি উৎকোচ গ্রহণকে নিজ অধিকার বলে দাবী করেন, উৎকোচ গ্রহণ করে প্রজাপীড়ন করেন সে রাজা নরকগামী হয়ে বেদনাসহন করেন।।২৭।

অন্যায় শাসনকারী রাজার দান যে দ্বিজ গ্রহণ করেন সেই ব্রাহ্মণও ঘোর নরকে গমন করেন-এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।।২৮।।

পরস্ত্রী হরণকারীর যে পাপ হয় সেই পাপ রাজাকেও আশ্রয় করে, যদি তিনি সেই স্ত্রীকে রক্ষা না করেন। এই পাপের প্রতিগ্রহ অতি ভীষণ হয়।।২৯।। যে রাজা অচোর ব্যক্তিকে চোরতুল্য শাসন করেন এবং চোরকে অচোর তুল্য শাসন করেন তিনি নরক গমন করেন।।৩০।।

উর্ণাকার্পাস কৌশেয়ভংগ পট্রোদ্ ভবানি চ। স্থূল সূক্ষ্মানি বস্ত্রানি যে ব লোভাদ্ ধরন্তি চ।।৩৪। এবমাদীনি চান্যানি দ্রব্যানি বিবিধানি চ। নরকানি এবং যান্তি নরা বা নাত্র সংশয়ঃ।।৩৫।। যদ্বা তদ্বা পরদ্রব্যমপি সপমাত্রকম্। অপহৃত্য নরো যাতি নরকং নাত্র সংশয়ঃ।।৩৬। এবমাদ্যৈর্নরঃ পাপৈরুৎ ক্রান্তেঃ সমস্তরম্। শরীরং যাতনার্থায় পূর্বকারমবানুয়াৎ।।৩৭। যমলোকং ব্ৰজতেন শরীরেণ মনসজ্ঞয়া। যমদূতৈর্মহাঘোরৈনীয়মানঃ সুদুঃখিতঃ।।৩৮। তির্যমানুষদেহানামধর্মনিরতাত্মনাম্। ধর্মরাজঃ স্মৃতঃ শাস্তা সুঘোরৈবিবিধৈবধৈঃ।।৩৯। বিনয়াচারযুক্তানাং প্রমাদাৎ স্খলিতাত্মনাম্। প্রায়শ্চিত্তৈ গুরুঃ শাস্তা ন চ তৈদৃশ্যতে যমঃ।।৪০।

ঘৃত-তেল-অন্নপান-মধু-মাংস-সুরাসব-গুড়-ইক্ষু-ক্ষার-শাক-দধি-মূল- ফল-তৃণ-কাষ্ঠ-পুষ্প-পত্র-ঔষধ-কাংসপাত্র-উপানৎ-ছত্র-শকট-আসন- শয়নবস্ত্ৰ-তাম্র-সীসা-ত্ৰপু-কাঁচ- শংখাদি জলজ দ্রব্য- বাৰ্ম্ম- বৈনবাদি গৃহ উপস্কর-কার্পাস বস্ত্র-রেশমী বস্ত্র-ভঙ্গ পট্ট উদ্ভূত সূক্ষ্ম ও স্থূল বস্ত্র ও অন্যান্য সকল দ্রব্য যিনি হরণ করেন তিনি নরকগামী হন–তা নিঃসংশয়ে বলা যায়। যে কোনো দ্রব্য তা সর্ষপতুল্য হলেও হরণ করলে মনুষ্যকে নরকগমন করতে হয়।।৩১-৩৬।।

এই প্রকার অন্য পাপযুক্ত মনুষ্য প্রথমে শরীর ধারণ করে যাতনা ভোগ করে।।৩৭।।

যমরাজের আজ্ঞাতে সেই পাপী যমলোকে গমন করে এবং মহাঘোর যমরাজের দূতের দ্বারা অত্যন্ত দুঃখ যাতনা ভোগ করে।।৩৮।।

অধর্মেলিপ্ত মনুষ্য ও তির্যক যোনি প্রাণীগণের বধের দ্বারা ধর্মরাজ শাসন করেন।।৩৯।

যে ব্যক্তি বিনয় ও আচারযুক্ত ও প্রমাদ বশরহিত হন তিনি প্রায়শ্চিত্ত দ্বারা পাপের নিভৃত্তি ঘটান এবং ধর্মরাজের সাক্ষাৎ তার হয়না।।৪০।।

পারদারিক চৌরাণামন্যায় ব্যবহারিণাম্। নৃপতিঃ শাসক স্তেষাং প্রচ্ছন্নানাং চ ধর্মরাষ্ট্র।।৪১। তস্মাৎ কৃতস্য পাপস্য প্রায়শ্চিতং সমাচরেৎ। নাভুক্তস্যন্যথা নাশঃ কল্পকোটিশতৈরপি।।৪২। যঃ করোতি স্বয়ং কর্ম কারয়ে বাপি মোদয়েৎ। কায়েন মনসা বাচা তস্য চাধোগতিঃ ফলম্।।৪৩। ইতি সংক্ষেপতঃ প্রোক্তাঃ পাপভেদাঃ সমাধনাঃ কথ্যন্তে গতয়শ্চিত্রা নরাণাং পাপকর্মণাম্।।৪৪। বাক্কায়চিত্তজনিতৈবহুভেদভিন্নৈঃ। কৃত্যৈঃ শুভাশুভফলোদয়হেতুভূতৈঃ। ভাস্বৎ সুরেশভুবনং নরকাননেকান্। সংপ্রাপুবস্তি মনুজা মনুজেন্দ্ৰচন্দ্ৰ।। ৪৫।।

পারদারিদ চৌর্যবৃত্তি গ্রহণকারী, অন্যায়কারী ব্যক্তি রাজার দৃষ্টির অন্তরালে থাকলেও ধর্মরাজ স্বয়ং তার শাস্তি বিধান করে। সুতরাং পাপ করলেও প্রায়শ্চিত্ত অবশ্য করা উচিৎ। নচেৎ পাপের ফল শতকোটি বৎসরেও বিনষ্ট হয়না। তা অবশ্যই ভোগ করতে হয়।।৪১-৪২।।

যে ব্যক্তি স্বয়ং পাপ কর্ম করেন বা কাউকে দিয়ে করান বা সমর্থন করেন অথবা শরীর, মন বা বচনের দ্বারা তা করেন তা হলে অবশ্য তার ফলে তিনি অধোগতি প্রাপ্ত হন।।৪৩।।

এই প্রকারে সাধনসহিত পাপের ভেদ সংক্ষেপে বললাম। পাপ কর্মের দ্বারা মানুষের বিচিত্রগতি প্রাপ্তি ঘটে। হে মনুজেন্দ্র চন্দ্র, বচন, শরীর এবং চিত্ত থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন কর্মানুসারে মানুষ শুভাশুভ ফলের দ্বারা স্বর্গ ও নরক প্রাপ্ত হয়।। ৪৪-৪৫।।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *