।। অক্ষয় তৃতীয়া ব্ৰতস্য মাহাত্ম্য।।
বহুনাত্র কিমুক্তেন কিং বহুক্ষরমালয়া। বৈশাখস্য সিতামেকাং তৃতীয়াং শৃণু পান্ডব।।১।। স্নানং দানং জপোহোমঃ স্বাধ্যায়ঃ পিতৃতর্পণম্। যদস্যাং ক্রিয়তে কিঞ্চিৎসর্বং স্যাত্তদিহাক্ষয়ম্।।২।। আদৌ কৃতযুগস্যেয়ং যুগাদিস্তেন কথ্যতে। সর্বপাপ প্রশমনী সর্বসৌখ্যপ্রদায়িনী।।৩।।
।। অক্ষয় তৃতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য।।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন, হে পান্ডব, অধিক কথন, অক্ষর মালা প্রয়োগ নিষ্প্রয়োজন। এখন বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথির কথা শ্রবণ কর। স্নান দান জপ হোম স্বাধ্যায় পিতৃতর্পণ ইত্যাদি এই তিথিতে করলে তা অক্ষয় হয়।।১-২।।
শাকলে নগরে কশ্চিদ্ ধৰ্মনামাভবদ্ বনিক্। প্রিয়ংবদঃ সত্যরতো দেবব্রাহ্মণপূজকঃ।।৪।। তেন শ্রুতং বাচ্যমানং তৃতীয়ারোহিনী পুরা। যদা স্যাদবধুসংযুক্তা তদা সাচ মহাফলা।। ৫।। তস্যাং যদ্দীয়তে কিঞ্চিতৎসর্বং চাক্ষয়ং ভবেৎ। ইতি শ্রুত্বা স গংগায়াং সন্তপ্য পিতৃদেবতাঃ।।৬।। গৃহমাগত্য করকান্ সান্নানুদকসংযুতান্। অম্বুপূর্ণান্ গৃহে কুম্ভান্ ক্ৰমান্নিঃ শেষতস্তদা।।৭। যবগোধূমচণক সক্তদধৌধনং তথা। ইক্ষুক্ষীরবিকারাংশ্চ সহিরন্যাংশ্চ শক্তিতঃ।।৮।। শুচি শুদ্ধেন মনসা ব্রাহ্মনেভ্যো দদৌ বণিক্। ভার্যয়া বামমানোপি কুটুম্বাসক্তচিন্তয়া।।৯।। তাবৎ স চ স্থিতঃ সত্ত্বে মত্বা সর্বং বিনশ্বরম্। ধর্মার্থকাম শক্তস্তু কালেন বহুনা ততঃ।।১০।। জগাম পঞ্চত্বসসৌ বাসুদেবং স্মরন্ মুহুঃ। ততঃ স ক্ষত্ৰিয়ো জাতঃ কুশবত্যাং নরেশ্বরঃ।।১১।। বভূব চাক্ষয়া তস্য সমৃদ্ধি ধর্মনির্জিতা। ইষাজ স মহাযজ্ঞৈঃ সমাপ্তবরদক্ষিনৈঃ।।১২।।
এই তিথি কৃতযুগ আরম্ভের দিন। তাই এই তিথি সকলপ্রকার পাপ প্রশমনকারী ও সৌখ্য প্রদানকারী। শাকলনগরে ধর্ম নামক কোনো এক বণিক ছিল। তিনি ছিলেন সত্যবাদী ও প্রিয়ভাষী। দেব তথা ব্রাহ্মণ পূজনকারী। তিনি শ্রবণ করেছিলেন যে রোহিনী নক্ষত্রযুক্ত ও বুধবার যুক্ত তৃতীয়া তিথি মহাফল দানকারী। সেদিন যা কিছু দান করা হয় তা অক্ষয় হয়। সে কথা শুনে তিনি গঙ্গায় গিয়ে দেবগণ ও পিতৃগণকে তর্পণ করলেন। তারপর ব্রাহ্মণকে অন্নজলদান করলেন। যব-গোধূম চনক ছাতু দধি ওদন ইক্ষু ক্ষীর ইত্যাদি পদার্থ হিরণ্য সহিত ব্রাহ্মণকে দান করলেন। নিজ আত্মীয়গণের প্রতি আসক্তচিত্ত তাঁর পত্নী তাঁকে বাধা দিলেন। কিন্তু সকল কিছুই নশ্বর মনে করে তিনি সত্ত্বতে স্থিত ছিলেন। ধর্ম-অর্থ-কামাদি দ্বারা ও বাসুদেবকে স্মরণ করে অবশিষ্ট জীবন ব্যতীত করলেন। এইভাবে তাঁর মৃত্যু হলে তিনি কুশবতী নগরের রাজা রূপে জন্মগ্রহণ করলেন। সেখানেও তিনি দানাদি কর্মের মাধ্যমে আর্ত, দীনজনের দুঃখহরণ করলেন। ভূমি- গো- সুবর্ণাদি দান করে তিনি বৈভব শূন্য হলেন।।৩-১৪।।
দদৌ গোভূহিরন্যাদি দানান্ যস্যামহর্নিশম্। বুভুজে কামতো ভোগান দীনার্তাংস্তপয়জ্ঞনান।।১৩।। তথাপ্যক্ষয়মেবাস্য ক্ষয়ং যাতি ন তদ্ববচনম্। শ্রদ্ধাপূর্বং তৃতীয়ায়াং যদুত্তং বিভবং বিনা।।১৪।। এতদ্তং ময়াখ্যাতং ক্রয়তামত্র যো বিধিঃ। উদকুম্ভান্ সকরকান্ স্নানসর্বরসৈযুতান্।।১৫।। গ্রৈস্মিকং সর্বমেবাত্র সস্যদানং প্রশস্যতে। ছত্রোপানৎ প্রদানং চ গোভূকাঞ্চনবাসসাম্।।১৬।। যচ্ছদিষ্টতমং চান্যত্তদ্দেয়মবিংশকয়া। এতত্তে সর্বসাখ্যাতং কিমন্যচ্ছোতুমিচ্ছসি।।১৭।।। অনাক্ষ্যেয়ং ন মে কিঞ্চিদস্তি স্বস্ত্যস্ত তেহনঘ।।১৮।। অস্যাং তিথৌ ক্ষয়মুপৈতি হুতং ন দত্তং তেনাক্ষয়া। চ মুনিভিঃ কথিতা তৃতীয়া। উদ্দিশ্য যৎসুরপিতৃক্রিয়তে মনুষ্যেস্ত। চ্চাক্ষয়ং ভবতি ভারত সর্বমেব।।১৯।।
ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ এবার বললেন, জলপূর্ণ করযুক্ত কুম্ভ স্নানপূর্বক দান করবে। গ্রীষ্মকালের উপযোগী সবকিছু তথা শস্য দান করবে। ছত্র, উপানত, গো, ভূমি, সুবর্ণ, বস্ত্র ইত্যাদি দান করবে। ইষ্টতম সকল পদার্থ ও অন্যান্য সকল দান করবে। হে অনঘ সকল কিছুই আমি বললাম। তোমার কল্যাণ হোক। এই তিথিতে দান ক্রিয়া অক্ষয় তাই মুনিগণ এই তিথিকে অক্ষয় তৃতীয়া বলেছেন।।১৫-১৯।।