ভয় সমগ্র – হেমেন্দ্রকুমার রায়
৬৩ টি ভয়ের গল্পের বৃহত্তম সংকলন
সম্পাদনা – পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়
প্রথম প্রকাশ : জানুয়ারি ২০২০
প্রচ্ছদ : সপ্তদীপ দে সরকার
সহযোগিতায় : বিশ্বদেব গঙ্গোপাধ্যায়
প্রসঙ্গকথা
‘বুক ফার্ম’ প্রকাশনের ‘ভয় সমগ্র’ সিরিজের নতুন সদস্য হেমেন্দ্রকুমার রায়ের ‘ভয় সমগ্র’। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগতে হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৮৮৮-১৯৬৩) ছিলেন এক প্রকৃত বিদগ্ধ ব্যক্তিত্ব। তাঁর প্রতিভা ছিল বহুমুখী। গল্পকার হিসাবে, কবি ও গীতিকার হিসাবে এবং শিল্প ও নৃত্যকলার সমজদার হিসাবে তিনি সৃজনী শক্তির নানা পরিচয় রেখে গেছেন। রবীন্দ্র ও শরৎচন্দ্রের অনুরাগী হেমেন্দ্রকুমার ‘ভারতী’ পত্রিকার যুগ থেকে বয়স্কদের জন্য গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও কবিতা লিখে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তাঁর কিছু গল্প অনূদিত হয়ে ইউরোপের সাহিত্য রসিকদের প্রশংসা পেয়েছিল। পরবর্তীকালে কিশোর সাহিত্যের ক্ষেত্রে তিনি এক অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি গতানুগতিকতার গণ্ডি থেকে বেরিয়ে গিয়ে কিশোরদের জন্য নতুন ধারার সাহিত্য অর্থাৎ অ্যাডভেঞ্চার, গোয়েন্দা, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও ভয়াল, নানা ধরনের কাহিনি লিখেছিলেন। এই প্রসঙ্গে ড আশা দেবী লিখেছেন, ‘ভাষার সাহিত্যিক সৌন্দর্য এবং গল্প জমিয়ে তুলবার কুশলতায় হেমেন্দ্রকুমার যেন শিশুরাজ্যে এইচ জি ওয়েলস এবং স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের দ্বৈত ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।’ সাহিত্যিক ধীরেন্দ্রলাল ধরের মতে, ‘আমি এর সঙ্গে আরও দুটি লেখকের নাম যোগ করতে চাই; তাঁরা হলেন রবার্ট লুই স্টিভেনসন এবং এডগার অ্যালেন পো। এই চার জন বিদেশি লেখক রচনার যে মাধুর্যের জন্য আজ বিশ্বের পাঠক সমাজে শ্রদ্ধেয় ও আদৃত, হেমেন্দ্রকুমারের রচনা তাঁদের কারো চেয়ে কোনো দিকে ন্যূন নয়।
অ্যাডভেঞ্চার ও গোয়েন্দা গল্পের মতো হেমেন্দ্রকুমারের রচিত অলৌকিক ও ভয়াল কাহিনিগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। রবীন্দ্রনাথের পরবর্তীতে বাংলায় অলৌকিক গল্প রচনায় তিন জন লেখক মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁরা হলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ও হেমেন্দ্রকুমার রায়। বিভূতিভূষণ তাঁর গল্পের ভাষা, ভাব ও সুর সম্পর্কে ছিলেন উদাসীন; কারণ স্বরলিপি নির্ভর সংগীত তিনি অপছন্দ করতেন। তাঁর অলৌকিক গল্পগুলোতে নিপুণ কর্ণধারের ভাটিয়ালি সুরের মতো তিনি লোককাহিনি, জনশ্রুতি ও নিসর্গকে অবলম্বন করে এক মায়াবী আবহের সৃষ্টি করতেন। শরদিন্দুর অতিপ্রাকৃত গল্পে অলৌকিকের কোনো নির্দিষ্ট রূপ ছিল না। রবীন্দ্রনাথের প্রদর্শিত ধারায়, রোমান্টিকতার মোড়কে এবং অস্পষ্ট ইঙ্গিতের আঙ্গিকে রচিত তাঁর ভৌতিক কাহিনিগুলো কল্পকুহেলির মায়াজাল সৃষ্ট করেছে। পক্ষান্তরে হেমেন্দ্রকুমার প্রধানত বিদেশি গল্পের প্লট অবলম্বনে বহু রোমাঞ্চকর, আতঙ্কঘন ও শিহরন জাগানো ভয়াল কাহিনি লিখেছেন। ভয়ের বা আতঙ্কের পরিবেশ বর্ণনায় অসাধারণ, সার্থক ও চিত্তাকর্ষক।
তাঁর রচিত অধিকাংশ অলৌকিক ও ভয়াল গল্পগ্রন্থ যেমন, ‘যাদের নামে সবাই ভয় পায়’, ‘সন্ধ্যার পর সাবধান’, ‘রাত্রে যারা ভয় দেখায়’, ‘ভূত ও অদ্ভুত’, ‘মোহনপুরের শ্মশান’, ‘প্রেতাত্মার প্রতিশোধ’, ‘মড়ার মৃত্যুতে’, আতঙ্ক, নৃশংসতার প্রতিশোধ, মনোবিকলনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। দৃষ্টান্তস্বরূপ, ‘দিঘীর মাঝে বাংলো’ গল্পে পথভ্রান্ত পথিক নিশীথে দিঘীর মাঝের বাংলোয় এসে উনিশ শতকের সময় পরিবেশ, আসবাব এবং পাঠরতা এক সুন্দরীর সম্মুখীন হন; ‘পিশাচ’ গল্পে নিশীথ উদ্যানে প্রস্ফুটিত এক বিদেশি অর্কিড ফুল সুতীব্র ঝাঁঝালো গন্ধের মাধ্যমে জীবন্ত প্রাণীকে আকৃষ্ট করে তাঁর রক্তশোষণ করত; ‘কে’ গল্পে ওড়িশার এক ডাকবাংলোতে আকস্মিক আগতা এক বিপন্না তরুণী অকস্মাৎ মাংসলোলুপ বাঘিনীতে রূপান্তরিত হয়; কুয়াশা ঘেরা চাঁদনি রাতে কুমুদিনী চৌধুরীর সজীব মৃতদেহ অতৃপ্ত রক্তলিপ্সা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়; ‘চিলের ছাতের ঘরে’ মানুষ সমান ছবির থেকে মৃতা মেমের প্রেত নেমে আসে; ‘বাজলে বাঁশি কাছে আসি’ গল্পে চন্দ্রভাগা নদীর বালুচরে পাওয়া পাথরের বাঁশির আহ্বানে অমঙ্গল মূর্তি পরিগ্রহ করে; ‘কঙ্কাল সারথি’ গল্পে জরাক্লান্ত যাত্রী চোখ মেলে দেখে সে বাসের চালক এক কঙ্কাল; ‘খামেনের মমি’ গল্পে যুগযুগান্তের তন্দ্রা ভেঙে জাগ্রত খামেনের ম্যমি জনৈক মর্তবাসীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে; ‘শয়তান’ গল্পে গুলিতে নিহত শয়তান নামক বাঘ অলৌকিক পরিবেশে জীবন্ত হয়ে ওঠে; ‘বন্দি আত্মার কাহিনি’-তে মরণোন্মুখ ব্যক্তির আত্মা সম্মোহনের মাধ্যমে দেহের মধ্যে বন্দি থাকে এবং প্রশ্নের উত্তর দেয়। ‘মোহনপুরের শ্মশানে’ প্রেতাত্মার অতৃপ্ত ভোগবাসনার আগুনে লীলার আত্মাহুতি ও তরুণ শিল্পী আনন্দের মনবেদনার কাহিনি ব্যক্ত হয়েছে। বিদেশি ছায়া অবলম্বনে রচিত হলেও ভাষা, বুনন ও উপস্থাপনের নৈপুণ্যে গল্পগুলো পড়তে গিয়ে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।
তাঁর সব ভয়াল গল্পগুলো মৌলিক, একথা বলা যায় না। তাঁর বহু সিরিয়াস অলৌকিক ও ভয়াল কাহিনিগুলো বাংলা ভাষায় উপস্থাপনের ক্ষেত্রে তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। দৃষ্টান্ত স্বরূপ তিনি ড. এম আর জেমসের ‘ও হুইসিল অ্যান্ড আই শ্যাল কাম টু ইউ মাই ল্যাড’ অবলম্বনে ‘বাজলে বাঁশি কাছে আসি’; ই এফ বেনসনের ‘মিসেস অ্যামওয়ার্থ’ অবলম্বনে ‘মিসেস কুমুদিনী চৌধুরী’; ‘দ্য রুম ইন দ্য টাওয়ার’ অবলম্বনে ‘চিলের ছাতের ঘর’; ডব্লু ডব্লু জেকবসের ‘মাংকিস প’ অবলম্বনে ‘বাঁদরের পা’, ফ্রাঙ্ক বেলন্যাপ লং-এর ‘আ ভিজিটার ফ্রম ইজিপ্ট’ অবলম্বনে ‘খামেনের মমি’;এডমন্ড হ্যামিলটনের ‘দ্য মনস্টার গড অফ মামুর্থ’ অবলম্বনে ‘মামুর্তের দানব দেবতা’; ফিটজ জেমস ও ব্রিয়েনের ‘হোয়াট ওয়াজ ইট’ অবলম্বনে ‘কি?’; এইচ জি ওয়েলসের ‘দ্য ফ্লাওয়ারিং অফ দ্য স্ট্রেনজ অর্কিড’ অবলম্বনে ‘পিশাচ’; কোনান ডয়েলের ‘লট নং টু ফরটি নাইন’ অবলম্বনে ‘মড়ার মৃত্যু’; ফ্রেডরিক ম্যারিয়েটের ‘হোয়াইট উলফ অফ হার্জ মাউন্টেন’ অবলম্বনে ‘প্রেতাত্মার প্রতিশোধ’ এবং সেরিডান লে ফানুর ‘স্কালকেন দ্য পেইন্টার’ অবলম্বনে ‘মোহনপুরের শ্মশান’ রচনা করেন। তাঁর দুটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘বিশালগড়ের দুঃশাসন’ ও ‘মানুষ পিশাচ’ ব্রাম স্টোকারের ‘ড্রাকুলা’র প্রভাবে রচিত; প্রথমটির রক্তলোলুপতা ও প্রেত-বিহ্বল আতঙ্ক এবং দ্বিতীয়টির রোমহর্ষক আবহ পাঠক মনকে প্রকৃতই শঙ্কাশিহর করে তোলে। তাঁর ‘বিভীষণের জাগরণ’ নামের উপন্যাস এবং ‘অলৌকিক’ ও ‘মহিষাসুরের খাঁড়ার রক্ত’ নামের নাটিকা দুটির পেছনে রয়েছে ড. এম আর জেমসের ‘কাস্টিং দ্য রুনস’ গল্পের প্রভাব। পো-র ‘ভ্যালডেমার’ নামক গল্প ও তার ‘বন্দি আত্মার কাহিনি’-র রস স্বতন্ত্র; যদিও তিনি পো-কে অনুসরণ করেছেন।
হেমেন্দ্রকুমারের রচনা সম্পর্কে সমালোচকদের অভিযোগ ছিল দুটি। প্রথমত, তিনি গল্প বা উপন্যাস রচনার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিদেশি প্লট গ্রহণ করেছেন। এর ফলে তার রচনায় মৌলিকতার স্ফুরণ পরিলক্ষিত হয় না। এই অভিযোগের বিপক্ষে বলা যায় যে উনিশ শতকের অধিকাংশ সাহিত্যই যেখানে পাশ্চাত্য প্রেরণায় রচিত সেখানে বিদেশি সাহিত্যের প্লট গ্রহণ তার পক্ষে অযৌক্তিক নয়। তা ছাড়া তিনি বিদেশি ভয়াল কাহিনিগুলোকে অনুবাদের পরিবর্তে ভাবানুবাদ বা ট্রানসক্রিয়েশন করেছিলেন। তিনি মূল কাহিনির ছায়া কিংবা ভাব নিয়ে দেশীয় ছাঁচ, পরিবেশ এবং উপকরণের মাধ্যমে কাহিনিগুলোকে ঈষৎ নবরূপ দিতেন। এক্ষেত্রে হরর সাহিত্যের চকমপ্রদ তথ্য, উপাদান ও আখ্যান সংগ্রহ করে নিপুণ পরিবেশনের জন্য তাঁর অন্তত সুদক্ষ রাঁধুনির মর্যাদা পাওয়া উচিত। দ্বিতীয়ত হেমেন্দ্র বিরোধীদের অভিযোগ ছিল যে অনর্থক বিভীষিকা সৃষ্টি করে তিনি তরুণদের কাপুরুষ করে তুলছেন। ইউরোপ ও মার্কিন মুলুকে বাংলার চেয়ে অনেক বেশি ‘সিরিয়াস ও হরর’ গল্প সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে কিশোর-কিশোরীরাও আগ্রহ সহকারে ওইসব গল্প পড়েছে এবং পড়ছে, কিন্তু তাতে তারা বিভীষিকাগ্রস্থ হয়ে লেখাপড়ায় অমনোযোগী অথবা জীবনে কাপুরুষ এবং নৈতিকক্ষেত্রে অধঃপথে গেছে এমন প্রমাণ মেলে না। তা ছাড়া সাহিত্য যদি রসোত্তীর্ণ হয়ে থাকে তাহলে এই অভিযোগের বিশেষ গুরুত্ব নেই। কোনো লেখকের সব লেখা সমভাবে চিত্তাকর্ষক হয় না। হেমেন্দ্রকুমারের ক্ষেত্রেও তা সত্য, তবে তাঁর ভয়াল গল্পগুলো পড়তে শুরু করলে শেষ না করে পারা যায় না। কারণ ভাষা, ভঙ্গি, গল্পের বুননের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন এক সুনিপুণ বিশেষজ্ঞ। সাহিত্যিক ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্যের কথায়, ‘সাহিত্য ছাড়াও আরও কত বিষয়ে ছিল তাঁর অগাধ জ্ঞান, অগাধ পড়াশোনা, আর সেই সঙ্গে অবাধ অভিজ্ঞতা এবং প্রচণ্ড কৌতূহল। আর স্বভাবতই তাঁর রচিত সাহিত্যেও এগুলির প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল।’
বর্তমান গ্রন্থ প্রস্তুতের ক্ষেত্রে সম্পাদক হেমেন্দ্রকুমারের দুর্লভ, দুষ্প্রাপ্য ও সহজপ্রাপ্য ভৌতিক, অলৌকিক ও ভয়াল গল্পের গ্রন্থাদি ও পত্রপত্রিকার সাহায্য নিয়েছেন। গল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে সম্পাদকের বিচারে তেষট্টিটি ভয়াল, রোমহর্ষক ও রোমাঞ্চকর গল্প এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। ফ্যান্টাসি জাতীয় কৌতূককর ও লোককাহিনি নির্ভর গল্প যথাসম্ভব পরিহার করে সিরিয়াস ভয়াল গল্পগুলোকে গ্রন্থে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। গ্রন্থটির নাম ‘ভয় সমগ্র’ হওয়ায় লেখকের ছোটো বড়ো গল্পগুলোকে বইতে অন্তর্ভুক্ত করে উপন্যাসগুলি বর্জিত হয়েছে।
এই সংকলনটির প্রসঙ্গে পাঠকসমাজের মনে হওয়া স্বাভাবিক যে হেমেন্দ্রকুমার রায়ের রচনাবলি এবং একাধিক খণ্ডে ভৌতিক গল্প প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও আবার স্বতন্ত্র একটি নতুন ভয়ের সংকলনের কী প্রয়োজন ছিল? উত্তরে বলা যায় যে, প্রথমত, বাংলা ভাষায় ‘ভয় সমগ্র’ সিরিজ হেমেন্দ্রকুমারের সংকলন ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে কারণ বাংলায় অ্যাডভেঞ্চার ও ভয়াল সাহিত্যের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন পথিকৃৎ। দ্বিতীয়ত, সংকলনে অন্তর্ভুক্ত গল্পগুলোর মধ্যে এগারোটি দুর্লভ গল্প পত্রপত্রিকা ঘেঁটে আহরিত হয়েছে, যেগুলো ইতিপূর্বে হেমেন্দ্রকুমারের কাহিনি সংকলনে স্থান পায়নি। দুষ্প্রাপ্য গল্পগুলি সংগ্রহ করে কৃতজ্ঞভাজন করেছেন দেবাশীস গুপ্ত ও বিশ্বদেব গঙ্গোপাধ্যায়। তৃতীয়ত, এখনকার গতি ও ব্যস্ততার যুগে একটি অখণ্ড বইয়ে, তার অধিকাংশ ভয়াল গল্পগুলো এই উদ্দেশে সংকলিত হয়েছে যাতে পাঠকসমাজ অবসরে, অবকাশে বইটি পড়েন বা সুদীর্ঘ ভ্রমণপথে বইটি পড়তে পড়তে যান। চতুর্থত, প্রতিযোগীতার বাজারে গুণমান বজায় রেখে বইটি যথাসম্ভব ন্যায্যমূল্যে রাখার প্রচেষ্টা করা হয়েছে।
কৃতজ্ঞতা জানাই এশিয়া পাবলিশিং ও পত্রভারতী-কে। তাঁদের প্রকাশিত সংকলন থেকে কিছু লেখা আহরিত করা হয়েছে।
এখন, বইটি পড়ে পাঠক-পাঠিকারা শিহরিত, রোমাঞ্চিত ও আনন্দিত হলেই সম্পাদকের শ্রম সার্থক হবে।
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়
Leave a Reply