114.001

বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,
Say: ”I seek refuge with (Allâh) the Lord of mankind,

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
Qul aAAoothu birabbi alnnasi
YUSUFALI: Say: I seek refuge with the Lord and Cherisher of Mankind,
PICKTHAL: Say: I seek refuge in the Lord of mankind,
SHAKIR: Say: I seek refuge in the Lord of men,
KHALIFA: Say, “I seek refuge in the Lord of the people.

সূরা নাস্‌ বা মানব জাতি -১১৪
৬ আয়াত, ১ রুকু, মাদানী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এটি একটি মাদানী সূরা। পূর্বোক্ত সূরাকে যদি গলার হারের সাথে তুলনা করা হয়, তবে এই সূরাটি হবে সেই হারের লকেট। পবিত্র কোরাণ শরীফের এটিই শেষ সূরা এবং সূরাটিতে মানুষকে উপদেশ দান করা হয়েছে মানুষের প্রতি আস্থা স্থাপন না করে আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে। কারণ আল্লাহ্‌-ই হচ্ছেন একমাত্র রক্ষাকারী বিপদ বিপর্যয় থেকে। এই সূরাতে বিশেষ ভাবে সাবধান করা হয়েছে অন্তরের মাঝে পাপের বা মন্দের প্রলোভনের হাতছানি সম্বন্ধে। অর্থাৎ মানুষের রীপুসমূহ যা আত্মাকে বিপথে চালিত করে।

সূরা নাস্‌ বা মানব জাতি -১১৪
৬ আয়াত, ১ রুকু, মাদানী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

১। বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ৬৩০৭ মানব জাতির প্রভু ও প্রতিপালকের ৬৩০৮, –

২। মানব জাতির রাজা [ এবং শাসন কর্তার ],

৩। মানব জাতির ‘ইলাহের ‘ নিকট। ৬৩০৮

৬৩০৭। সূরা ফালাক, বাইরের পৃথিবীর বিপদ বিপর্যয় থেকে নিজেকে নিরাপদ করার জন্য আল্লাহ্‌র সাহায্য প্রার্থনার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। এই সূরাতে আভ্যন্তরীন বিপদ বিপর্যয় থেকে অর্থাৎ আত্মর বিপদ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য আল্লাহ্‌র নিরাপত্তা প্রার্থনা করা হয়েছে। সূরা ফালাকে জাগতিক বিপদ থেকে আশ্রয় প্রার্থনার শিক্ষা রয়েছে, সূরা নাসে পারলৌকিক বিপদ আপদ ও মুসীবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

৬৩০৮। আল্লাহ্‌র সাথে মানুষের সম্পর্ক হচ্ছে স্রষ্টা ও সৃষ্টির। স্রষ্টা ও সৃষ্টির সম্পর্ক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত।

১) আল্লাহ্‌ আমাদের প্রভু, সৃষ্টিকর্তা এবং প্রতিপালক। আল্লাহ্‌ মানুষকে প্রতিপালন করেন এবং অনুগ্রহ দান করেন। তিনি মানুষকে বিভিন্ন নেয়ামতে ধন্য করে থাকেন যার সাহায্যে সে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ সাধনে সক্ষম হয় এবং মন্দ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।

২) আল্লাহ্‌ হচ্ছেন বিশ্বভূবনের অধিপতি, সুতারাং মানুষেরও অধিপতি ও শাসক। পৃথিবীর যে কোন অধিপতি থেকে তিনি প্রচন্ড শক্তিশালী। আল্লাহ্‌ মানুষকে সঠিক পথে পরিচালনার ক্ষমতা রাখেন -যে পথে মানুষের জন্য কল্যাণ নিহিত আছে। তিনি মানুষকে জীবনধারণের জন্য বিধান দান করেছেন।

৩) “মানুষের ইলাহ্‌ ” অর্থাৎ মানুষের একমাত্র উপাস্য, পৃথিবীর কর্মজগত শেষ করে প্রতিটি মানুষকে আল্লাহ্‌র নিকট ফিরে যেতে হবে কর্ম জীবনের জবাবদিহিতার জন্য [২ : ১৫৬ ]।

সে বিচার সভায় আল্লাহ্‌-ই হবেন একমাত্র বিচারক। পরলোকের জীবনে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য লাভই হচ্ছে মানুষের ইহ জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আল্লাহ্‌-ই মানুষের একমাত্র উপাস্য বা ইলাহ্‌। এ সব দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেই মানুষ শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র নিকট তার ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সর্ব নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করবে।