113.001

বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
Say: ”I seek refuge with (Allâh) the Lord of the daybreak,

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
Qul aAAoothu birabbi alfalaqi

YUSUFALI: Say: I seek refuge with the Lord of the Dawn
PICKTHAL: Say: I seek refuge in the Lord of the Daybreak
SHAKIR: Say: I seek refuge in the Lord of the dawn,
KHALIFA: Say, “I seek refuge in the Lord of daybreak.

==============
সূরা ফালাক বা ঊষা – ১১৩
৫ আয়াত, ১ রুকু, মাদানী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এটি একটি মাদানী সূরা। এই সূরাটি মানুষের কুসংস্কার ও ভয়ের প্রতিশোধক। এই সূরাতে শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, মানুষের থেকে অনিষ্টের ভয়, এবং অন্ধকারে যারা পদচারণা করে তাদের ভয় এবং মন্দ ও দুষ্টের ষড়যন্ত্রের ভয়, এবং হিংসা ও দ্বেষের ভয় ইত্যাদি বিভিন্ন ভয় থেকে আল্লাহ্‌র আশ্রয় প্রার্থনা করতে।

সূরা ফালাক বা ঊষা – ১১৩
৫ আয়াত, ১ রুকু, মাদানী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

১। বল, আমি ঊষার আলোর প্রভুর আশ্রয় প্রার্থনা করছি, ৬৩০১, ৬৩০২

৬৩০১। আল্লাহ্‌র সৃষ্টি জগতে ভালো ও মন্দ এই দ্বিবিধ শক্তির ধারা পাশাপাশি বিরাজমান। ভালো ও কল্যাণের শক্তিকে আলোর সাথে তুলনীয়, অপর পক্ষে মন্দ বা অমঙ্গলের শক্তিকে অন্ধকারের সাথে তুলনীয়। গভীর রাত্রির অন্ধকার যেরূপ ঊষার আগমনে বিদূরীত হয়, ঠিক সেরূপ অমঙ্গলের অন্ধকার বিদীর্ণ করে মঙ্গলের আলোক রশ্মী বিচ্ছুরিত করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্‌র [ ৬ : ৯৬ ]। সুতারাং আমাদের ভয়ের কিছুই নাই যদি আমরা সেই মহাশক্তিধর প্রভুর স্মরণাপন্ন হতে পারি।

৬৩০২। ‘Falaq’ – অর্থ ঊষা, ভোর, দিনের প্রথম সূচনা, রাত্রির অন্ধকারকে বিদীর্ণ করে প্রথম আলোক রেখার বিচ্ছুরণ। এই উপমাটির দ্বারা বিভিন্ন অর্থকে বুঝানো হয়ঃ

১) সুদীর্ঘ রাত্রি শেষে ; রাত্রির অন্ধকার বিদীর্ণ হয় প্রথম আলোর রশ্মী ঊষার আগমন ঘোষণা করে।

২) অজ্ঞতার অন্ধকার যখন সমগ্র আত্মাকে আচ্ছাদিত করে ফেলে, আল্লাহ্‌র হেদায়েতের আলো তখন সেই সূচীভেদ্য অন্ধকারকে বিদীর্ণ করে আত্মাকে আলোকিত করে [ ২৪ : ৩৫ ]।

৩) অন্ধকার অস্থায়ী। কর্মচঞ্চল জীবনকে আলোর প্রতীক হিসেবে কল্পনা করা যায়। আর এই জীবনের মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে আল্লাহ্‌র হেদায়েতের আলো।

“ঊষার আলোর প্রভু” ‘ বাক্যটি দ্বারা আল্লাহ্‌র হেদায়েতের এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডলীকে তুলে ধরা হয়েছে। যদি আমরা আমাদের সর্ব অস্তিত্বের জন্য, বিপদ বিপর্যয়ে শুধুমাত্র এক আল্লাহ্‌র শরণাপন্ন হই, তবে আমাদের সকল অজ্ঞতা, দূর হয়ে যাবে এবং আমরা কুসংস্কার ও সকল অমঙ্গলের ভয় থেকে মুক্ত থাকতে পারবো ; ঠিক সেই ভাবে যে ভাবে পৃথিবী ঊষার আলোক দ্বারা রাত্রির অন্ধকার থেকে মুক্ত হয়।