আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের ছিল, তারা প্রত্যাবর্তন করত না যতক্ষণ না তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসত।
Those who disbelieve from among the people of the Scripture (Jews and Christians) and among Al-Mushrikûn, were not going to leave (their disbelief) until there came to them clear evidence.
لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ مُنفَكِّينَ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ الْبَيِّنَةُ
Lam yakuni allatheena kafaroo min ahli alkitabi waalmushrikeena munfakkeena hatta ta/tiyahumu albayyinatu
YUSUFALI: Those who reject (Truth), among the People of the Book and among the Polytheists, were not going to depart (from their ways) until there should come to them Clear Evidence,-
PICKTHAL: Those who disbelieve among the People of the Scripture and the idolaters could not have left off (erring) till the clear proof came unto them,
SHAKIR: Those who disbelieved from among the followers of the Book and the polytheists could not have separated (from the faithful) until there had come to them the clear evidence:
KHALIFA: Those who disbelieved among the people of the scripture, as well as the idol worshipers, insist on their ways, despite the proof given to them.
================
সূরা বাইয়্যিনাহ বা সুস্পষ্ট প্রমাণ – ৯৮
৮ আয়াত, ১ রুকু, মাদানী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এই সূরাটি সম্ভবতঃ প্রাথমিক মাদানী সূরা অথবা শেষদিকে অবতীর্ণ মক্কী সূরা।
এই সূরার বিষয়বস্তু পূর্বের সূরার ধারাবাহিকতা স্বরূপ। কদরের রাত্রি প্রকৃতপক্ষেই মানুষের জন্য রহমত স্বরূপ। কিন্তু যারা সত্যকে প্রত্যাখান করে ; আল্লাহ্র বাণী তাদের হৃদয়ে কোন রেখাপাত করতে পারে না। এ বাণীর স্বপক্ষে যত যুক্তিই থাকুক না কেন, বক্তব্য যত সুষ্পষ্টই হোক না কেন তা সত্য প্রত্যাখানকারীদের হৃদয়ে রেখাপাত করে না ; সত্যের আলোর প্রবেশ ঘটে না।
সূরা বাইয়ানা বা সুস্পষ্ট প্রমাণ – ৯৮
৮ আয়াত, ১ রুকু, মাদানী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। কিতাবীদের ৬২২১ মধ্যে এবং মুশরিকদের মধ্যে ৬২২২ যারা [ সত্যকে] অস্বীকার করেছিলো, তারা [তাদের পথ ] পরিত্যাগ করবে না,যতক্ষণ না তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসবে ৬২২৩
৬২২১। কিতাবী জাতি দ্বারা ইহুদী ও খৃশ্চিয়ানদের বুঝানো হয়েছে। এই দুই জাতিই আল্লাহ্র কিতাব লাভ করে এবং তাঁদের নবুয়তের ধারাতেই শেষ নবীর আগমন ঘটে। তাদের শেষ নবীর আগমন বার্তা পূর্বাহ্নেই দান করা হয়েছে। ইহুদীদের কিতাবে বলা হয়েছে, ” যে হযরত মুসার ন্যায় রাসুল প্রেরণ করা হবে। “The Lord thy God will raise up unto thee a prophet from the midst of thee , of thy brethren, like unto me, unto ye shall hearken.” [Deut xviii : 15]। হযরত ঈসা শেষ নবীর আগমন উল্লেখ করে তাঁর নাম পর্যন্ত বলেছেন। [John xiv : 16 ; xv : 26 and xv : 7]। দেখুন কোরাণের [ ৬১ : ৬ ] আয়াতের টিকা ৫৪৩৮। কিতাবী জাতিরা তাদের কিতাবের শিক্ষাকে ভুলে গিয়েছিলো ফলে তারা ধর্মের সাধারণ সত্যগুলি থেকে দূরে সরে যায় এবং বিভ্রান্তির বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ে। তারা তাদের ভ্রান্ত পথকে ত্যাগ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের কিতাবে বর্ণিত অঙ্গীকারের রাসুল তাদের মাঝে আবির্ভূত হন। কিন্তু যখন প্রতিশ্রুত নবী হযরত মুহম্মদ (সা) এর আগমন ঘটলো পৃথিবীতে, তারা তাঁকে প্রত্যাখান করলো। কারণ তারা কখনও প্রকৃত সত্যের অন্বেষণ করে নাই। তারা নিজেদের মনগড়া, তত্ব ও তথ্য নিয়েই খুশী ছিলো।
মন্তুব্যঃ নৈতিক অবক্ষয় ও সত্য বিচ্যুতির কবল থেকে রক্ষা কল্পে মানুষের চারিদিকে যে আবেস্টন সৃষ্টি বা প্রতিরক্ষা ব্যুহ রচনা করে, তাকেই ধর্ম বলা হয়। কিন্তু যারা সত্য থেকে বিচ্যুত হয়, তারা ধর্মের মূল বিষয়কে ত্যাগ করে সংস্কার ও আনুষ্ঠানিকতার উপরে অধিক গুরুত্ব আরোপ করে এবং একেই ধর্ম বলে মনে করে। কারণ তা তাদের নিজস্ব ইচ্ছা এবং প্রাধান্যকে স্বীকৃতি দেয়।
৬২২২। প্যাগান আরবদের মুশরিক বলা হয়েছে। এরা পূর্বাহ্নে কোনরূপ কিতাব প্রাপ্ত হয় নাই। কিন্তু তাদের নিকট যখন সুস্পষ্ট প্রমাণ উত্থাপন করা হলো, তাদের উচিত ছিলো বিশ্বাস করা। কিন্তু তা না করে তারা মহানবীকে ও তাঁর শিক্ষাকে প্রত্যাখান করে। কারণ তারাও প্রকৃত সত্যের সন্ধানী ছিলো না। তারাও ছিলো নিজস্ব ধ্যান ধারণার পূঁজারী।
৬২২৩। সুস্পষ্ট প্রমাণ দ্বারা পবিত্র মহানবীকে বুঝানো হয়েছে। শেষ নবীর ব্যক্তিত্ব,চরিত্র, শিক্ষা কর্মজীবন সব কিছুই হচ্ছে তাঁর নবুয়তের সুস্পষ্ট প্রমাণ।