যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন,
Who has taught (the writing) by the pen [the first person to write was Prophet Idrees (Enoch) ],
الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ
Allathee AAallama bialqalami
YUSUFALI: He Who taught (the use of) the pen,-
PICKTHAL: Who teacheth by the pen,
SHAKIR: Who taught (to write) with the pen
KHALIFA: Teaches by means of the pen.
৩। পড় ! এবং তোমার প্রভু সুন্দরতম, –
৪। যিনি কলমের [ব্যবহার ] শিক্ষা দিয়েছেন, ৬২০৬
৬২০৬। দেখুন [ ৬৮ : ১ ] আয়াতের টিকা নং ৫৫৯৩। এই সূরাতে তিনটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। ‘পড়া ‘ ‘কলম’ ও ‘জ্ঞান’। ‘জ্ঞান’ শব্দটিকে এ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ”শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যাহা সে জানিত না।” কারণ “শিক্ষা দান করা ” ও “জ্ঞান” এই শব্দ দুটির মূল শব্দ একটাই। ‘কলম’ শব্দটি বই, লেখা, অধ্যয়ন,গবেষণা ইত্যাদির প্রতীক। ‘জ্ঞান ‘ শব্দটি ‘বিজ্ঞান’, প্রজ্ঞা, সাধারণ জ্ঞান, আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রতীক এবং পড় বা ‘ঘোষণা কর’ শব্দটির অপর অর্থ নিজে পড়া ও অন্যকে জানানো। প্রকৃত পক্ষে শব্দগুলি এতটাই গভীর অর্থবোধক এবং পরস্পর সম্পর্কযুক্ত যে এগুলির সঠিক অনুবাদ এক কথায় করা প্রায় অসম্ভব। পড়া, শিক্ষা দান করা, কলম জ্ঞান ঘোষণা করা এই শব্দগুলি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত শব্দ যা অর্কেষ্ট্রার ঐক্যতানের মত; আলাদা করে দেখার অবসর নাই।
‘ পাঠ কর ‘ বা ‘ঘোষণা কর ‘ এই বাক্যটির অর্থ সার্বজনীন। যদিও রাসুলের (সা) প্রতি আয়াতটি সর্বপ্রথমে অবতীর্ণ করা হয়, কিন্তু এ কথা মনে রাখতে হবে যে কোরাণের উপদেশ বিশ্বজনীন -স্থান-কাল ও সময়ের উর্দ্ধে। সুতারাং আল্লাহ্র বাণী সমূহ প্রচারের মহান দায়িত্ব শুধুমাত্র তার নবী ও রসুলদের এ কথা ঠিক নয়। এ দায়িত্ব তাদের সকলের যারা এই বাণীর মর্মার্থ ও গুঢ় অর্থ অনুধাবনে সক্ষম। কারণ Iqraa শব্দটি দ্বারা ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে বুঝানো হয় না। এর অর্থ সামগ্রিক, বিশ্বজনীন, কোরাণের বহু স্থানে এরূপ গভীর অর্থবোধক শব্দ পাওয়া যায় যা জ্ঞানীদের উপলব্ধির বিষয় বস্তু। প্রকৃত পক্ষে এই একটি ‘পড়’ শব্দের মাধ্যমে আল্লাহ্র বিশ্বজনীন ঘোষণা হচ্ছে তাঁর কালামকে পড়তে হবে উপলব্ধির মাধ্যমে এবং সেই উপলব্ধি শুধুমাত্র নিজের মাঝে সীমাবদ্ধ করে রাখলেই চলবে না ; তা করতে হবে বিশ্বজনীন প্রচার। রাসুলের (সা) মাধ্যমে এই-ই হচ্ছে সার্বজনীন উপদেশ।