সে বলেঃ আমি প্রচুর ধন-সম্পদ ব্যয় করেছি।
He says (boastfully): ”I have wasted wealth in abundance!”
يَقُولُ أَهْلَكْتُ مَالًا لُّبَدًا
Yaqoolu ahlaktu malan lubadan
YUSUFALI: He may say (boastfully); Wealth have I squandered in abundance!
PICKTHAL: And he saith: I have destroyed vast wealth:
SHAKIR: He shall say: I have wasted much wealth.
KHALIFA: He boasts, “I spent so much money!”
৬। সে [ অহংকার করে ] বলতে পারে, ” আমি তো রাশি রাশি ধন ব্যয় করেছি।” ৬১৩৫
৬১৩৫। মক্কার কোরাইশ সরদারগণ ইসলাম ও মুসলিমকে ধ্বংস করার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতো। আর তা নিয়ে গর্ব করতো। তবে এই আয়াতের আবেদন বিশ্বজনীন সর্বকালের, সর্বযুগের জন্য প্রযোজ্য। যারা অজ্ঞ তারাই আল্লাহ্র দেয়া নেয়ামত সমূহের যোগ্য হতে পারে না। তারা মনে করে এ সব নেয়ামত তার নিজস্ব এবং সে এর দ্বারা যা খুশী করার ক্ষমতা রাখে। এ সম্বন্ধে তার কোনও জবাবদিহিতা নাই। সে তার সম্পদের জন্য গর্ব করে,তা সে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করে এবং মনে করে এভাবেই সে পৃথিবীতে তার প্রভাব প্রতিপত্তি ও সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হবে। হয়তো তার এই ধারণা স্বল্পকালের জন্য স্থায়ী হতে পারে। সময়ের বৃহত্তর পরিসরে তাকে কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হবে। কারণ প্রকৃত সত্যের উপরে ভিত্তি না করে সে মিথ্যার উপরে তার কর্ম প্রচেষ্টার ভিত্তি স্থাপন করেছিলো। সে তার নেয়ামত সমূহ ও সম্পদকে শুধুমাত্র নিজস্ব ইচ্ছা চরিতার্থ করার জন্য ব্যয় করেছে, তার ফলে নিজের মাঝে সংযমের যে পরিশুদ্ধতার ছাঁকনী তা সে নষ্ট করে ফেলেছে। কারণ আত্ম সংযমই মানুষকে প্রবৃত্তির ফাঁদ থেকে অব্যহতি দান করতে সক্ষম এবং পরিণতিতে আত্মা মুক্তি লাভ করে। যে এই আত্মসংযমের ক্ষমতা রাখে না সে হতভাগ্য। কারণ এর ফলে তার চরিত্র ধীরে ধীরে উচ্ছৃঙ্খল ও সংযমহীন হয়ে ওঠে এবং জীবনের সর্ব প্রচেষ্টা শুধুমাত্র আত্মসুখের পিছনে ব্যয় করে যা হচ্ছে পৃথিবীতে শয়তানের ফাঁদ। আর একবার যে শয়তানের ফাঁদে পড়ে সে নিজেকে ধ্বংস করে ফেলে। মানুষের মনঃস্তাত্বিক বিশ্লেষণ এই আয়াতে করা হয়েছে।