2 of 3

089.027

হে প্রশান্ত মন,
(It will be said to the pious): ”O (you) the one in (complete) rest and satisfaction!

يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ
Ya ayyatuha alnnafsu almutma-innatu

YUSUFALI: (To the righteous soul will be said:) “O (thou) soul, in (complete) rest and satisfaction!
PICKTHAL: But ah! thou soul at peace!
SHAKIR: O soul that art at rest!
KHALIFA: As for you, O content soul.

২৭। [ পূণ্যাত্মাদের বলা হবে ] : ” হে প্রশান্ত চিত্ত আত্মা ৬১২৭ ;

৬১২৭। পৃথিবীর অন্ধ নিয়ম, নীতি, কুসংস্কার বা প্রথার বন্ধন মুক্ত যে আত্মা, অন্যায়, অপরাধ থেকে পবিত্র যে আত্মা, সেই আত্মা হচ্ছে প্রভাতের আলোর ন্যায় উজ্জ্বল পবিত্র মুক্ত আত্মা, যার মাঝে আল্লাহ্‌র নূর বা সত্যের আলো হীরক খন্ডের ন্যায় প্রতিফলিত হয়। এ সব চিত্ত আল্লাহ্‌র স্মরণেই শান্তি লাভ করে। এদেরকেই স্বাগত জানানো হয়েছে। এ সব আত্মাকেই বলা হয়েছে প্রশান্ত আত্মা যারা পার্থিব সকল যন্ত্রণা, দুঃখ, সন্দেহ, ভয়, দ্বিধা, ঈর্ষা, হিংসা দ্বেষ ইত্যাদি মুক্ত। অসীম উন্মুক্ত নীল আকাশের মত উদার ও মুক্ত যে আত্মা। যে আত্মার মাঝে হতাশা ছায়া ফেলতে পারে না, আবেগের তীব্রতা যে আত্মার মাঝে বিবেককের প্রকাশকে অবরুদ্ধ করতে পারে না, পাওয়ার আকাঙ্খা বা লোভ যে আত্মার ন্যায় অন্যায় বোধকে অবলুপ্ত করতে পারে না; সে সব আত্মার মাঝে বিরাজ করে অপার প্রশান্তি যার উৎপত্তি আল্লাহ্‌র উপরে সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা থেকে।

মুসলিম দর্শনে আত্মার এই অবস্থাকে বলা হয় পরিপূর্ণ শান্তি বা প্রশান্তির অবস্থা [Bliss ]। সাধারণ মানুষ দেহের বাইরে, পার্থিব জগতের বাইরে যে আধ্যাত্মিক জগত সে সম্বন্ধে কোনও চিন্তাই বা ধারণা করতে পারে না। যাদের জীবনে পার্থিব সুখ স্বাচ্ছন্দ ও সন্তুষ্টিই একমাত্র কাম্য। যারা পৃথিবীর এই সহজবোধ্য জীবনের বাইরে কিছু চিন্তা করতে অক্ষম এরাই হচ্ছে কোরাণের ভাষায় ‘Ammara’ দেখুন [ ১২ : ৫৩ ] আয়াত ও [ ৭৫ : ২ ] আয়াতের টিকা ৫৮১০। এরা পাপ ও পূণ্যের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। যারা বিবেকবান তারা পাপকে সনাক্ত করতে সক্ষম এবং চেষ্টা করে পাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে। এদের কোরাণের ভাষাতে বলা হয় ‘Lawama’ দেখুন আয়াত [ ৭৫ : ২] এবং টিকা ৫৮১০।