সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম!
He will say: ”Alas! Would that I had sent forth (good deeds) for (this) my life!”
يَقُولُ يَا لَيْتَنِي قَدَّمْتُ لِحَيَاتِي
Yaqoolu ya laytanee qaddamtu lihayatee
YUSUFALI: He will say: “Ah! Would that I had sent forth (good deeds) for (this) my (Future) Life!”
PICKTHAL: He will say: Ah, would that I had sent before me (some provision) for my life!
SHAKIR: He shall say: O! would that I had sent before for (this) my life!
KHALIFA: He will say, “Oh, I wish I prepared for my (eternal) life.”
২৪। সে বলবে, ” হায় ! আমার [ এই ভবিষ্যত ] জীবনের জন্য যদি কিছু [ সৎ কাজ ] পূর্বে প্রেরণ করতাম। ”
২৫। কেন না, সেদিন তাঁর শাস্তির মত শাস্তি কেহ দিতে পারবে না, ৬১২৬
২৬। এবং তাঁর বন্ধনের মত বন্ধন কেহ করতে পারবে না।
৬১২৬। এই আয়াতে ‘শাস্তি’ ও পরের আয়াতে ‘বন্ধন ‘ এই দুটি হচ্ছে শাস্তিরই দুটি বিভিন্ন ধারা। ‘শাস্তি ‘ দ্বারা বুঝানো হয়েছে যন্ত্রণা, উদ্বেগ, যে যন্ত্রণা বা উদ্বেগের পরিণাম এই পৃথিবীতে বসে কল্পনা করাও অসম্ভব। এই উদ্বেগের ও যন্ত্রণার তীব্রতা এতটাই গভীর হবে যে, তা অন্তরের অন্তঃস্থলকে তীব্র দহনে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবে – যার তুলনায় শারীরিক যন্ত্রণাকে মনে হবে অতি নগণ্য। এ যন্ত্রণা প্রকাশের ভাষা পৃথিবীর কারও নাই, কোনও লেখনীও তা প্রকাশে সক্ষম নয়। ‘বন্ধন’ দ্বারা বুঝানো হয়েছে,আত্মার বন্ধন। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে সত্যকে প্রত্যাখান করে তাদের জন্য সত্যকে ধারণ করা,অনুভব করা ও উপলব্ধি করার সকল দরজা বন্ধ হয়ে যায়। এরা পরিণত হয়ে পড়ে সংস্কার ও নীতি বা প্রথার দাসে যার সাথে সত্যের কোন সর্ম্পক নাই। ধর্মীয় দিক থেকে এরা হয় মৌলবাদী, আবার নাস্তিকেরা হয়ে পড়ে কোনও অন্ধ নীতি বা প্রথার দাস কারণ ধর্মহীনতা তাদের আত্মার মাঝে অবলম্বনহীনতার সৃষ্টি করে। এদের আত্মা সত্যের আলোর বিচ্যুতির ফলে সামাজিক প্রথা বা ধমীর্য় আনুষ্ঠানিকতা ও সংস্কারের দাসে পরিণত হয়। আত্মার এই বন্ধনের নিকট পৃথিবীর সকল বন্ধন বা বন্দীত্ব অতি তুচ্ছ। পৃথিবীর জীবনে আত্মার এই বন্ধনের ফলে এরা ন্যায় ও সত্যকে অনুধাবনের ক্ষমতা হারাবে এরা হচ্ছে মূক ও বধির [ ২ : ৭]। ‘মূক’ কারণ প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি না করার দরুণ তারা সত্য ভাষণে বা প্রচারে হবে অপারগ এবং ‘বধির ‘ কারণ সত্যের আহ্বান তাদের শ্রবণে পৌঁছাবে না। এই আত্মিক অন্ধত্ব তাদের মাঝে ইহলোকেই যন্ত্রণার সৃষ্টি করবে। পরলোকে সে যন্ত্রণা আরও বৃদ্ধি পাবে।