এর মধ্যে আছে শপথ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্যে।
There is indeed in them (the above oaths) sufficient proofs for men of understanding (and that, they should avoid all kinds of sins and disbeliefs, etc.)!
هَلْ فِي ذَلِكَ قَسَمٌ لِّذِي حِجْرٍ
Hal fee thalika qasamun lithee hijrin
YUSUFALI: Is there (not) in these an adjuration (or evidence) for those who understand?
PICKTHAL: There surely is an oath for thinking man.
SHAKIR: Truly in that there is an oath for those who possess understanding.
KHALIFA: A profound oath, for one who possesses intelligence.
৫। নিশ্চয়ই এর মাঝে শপথ রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য, ৬১১২
৬১১২। এ সব পবিত্র শপথের মাধ্যমে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে আমাদের আধ্যাত্মিক জীবনের গুরুত্বের প্রতি। আধ্যাত্মিক অজ্ঞতা, বিভ্রান্তি ও ধ্বংসের অন্ধকার থেকে মানব আত্মা কিভাবে প্রত্যাদেশের আলোতে গৌরবময় আলোকজ্জ্বল আধ্যাত্মিক আলোর সন্ধান লাভ করবে, তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে সে সব জাতির প্রতি যারা আল্লাহ্র বিধানকে অস্বীকার করার ফলে নিজেদের ধ্বংস নিজেরাই ডেকে এনেছিলো। উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়েছে আ’দ ও সামুদ জাতির কথা যারা নিজেদের গৌরব ও শ্রেষ্ঠত্ব সত্ত্বেও তাদের ধ্বংস কেউ রোধ করতে পারে নাই। এ সব উদাহরণের মাধ্যমে আল্লাহ্ মানুষের সীমিত পার্থিব জ্ঞানের সীমানার সীমারেখাকে বিস্তৃত করতে চেয়েছেন। যতক্ষণ আত্মা নশ্বর দেহকে ধারণ করে থাকে ততক্ষণ আত্মা তার জ্ঞানের সীমারেখাকে পরলোক পর্যন্ত বিস্তৃত করতে পারে না। শুধুমাত্র উপলব্ধি ও অনুভবই পারে এই সীমাকে অতিক্রম করে সসীমকে অসীমে পরিণত করতে। সুতারাং আমাদের সেই বিশ্ব স্রষ্টার নিকট প্রার্থনা করা প্রয়োজন যেনো আমরা আমাদের সসীম জ্ঞানের সীমারেখাকে অতিক্রম করে “বোধ জ্ঞান সম্পন্ন মানুষে পরিণত হতে পারি।