2 of 3

089.001

শপথ ফজরের,
By the dawn;

وَالْفَجْرِ
Waalfajri

YUSUFALI: By the break of Day
PICKTHAL: By the Dawn
SHAKIR: I swear by the daybreak,
KHALIFA: By the dawn.

=================
সূরা ফজর বা ঊষা – ৮৯
৩০ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এই সূরাটি প্রথমে অবতীর্ণ হওয়া সূরাগুলির অন্যতম। সম্ভবতঃ ধারাবাহিকতায় এই সূরাটি প্রথম দশটি সূরার অন্তর্গত।

মানুষের সুদীর্ঘ ইতিহাস এবং মানুষের প্রকৃতির মধ্যে তুলনা দ্বারা এই সূরার বিষয়বস্তুকে তুলে ধরা হয়েছে। যার ফলে যারা পরলোকের ধারণায় বিশ্বাসী তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিকে আরও শক্ত করা হয়েছে। ইতিহাসে উদ্ধৃত কল্পকাহিনী আমাদের এই শিক্ষা দেয় যে, কোনও বীরত্ব বা শ্রেষ্ঠত্ব চিরদিন টিকে থাকে না এবং উদ্ধত ও অহংকারীরা ধ্বংস হয়েছে যুগে যুগে। ইতিহাসের কাহিনী যুগে যুগে নৈতিক নীতিমালার এই অভ্রান্ত সত্যকেই তুলে ধরেছে। প্রকৃত পক্ষে ঐতিহাসিক কাহিনী সব সময়ই নৈতিক নীতিমালার এক অপূর্ব সৃষ্টিকর্ম যার প্রত্যেকটি কাহিনীকে জীবনের বিশেষ বিশেষ প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরে।

মানুষ সব সময়েই সৌভাগ্যের বিপরীত অবস্থানকে ভয় পায়। ভয় পায় দুর্ভাগ্যকে। তবুও সে অন্যের দুঃখ দুর্দ্দশাতে ক্ষমা ও দয়া প্রদর্শনের শিক্ষা লাভ করে না, এবং ভালো কাজের মাধ্যমে পরলোকের উন্নত জীবনের সন্ধান করে না। পৃথিবীর কর্মব্যস্ত জীবন তাকে পরকালকে ভুলিয়ে দেয়। এই পৃথিবীর যা কিছু পার্থিব চিন্তা ভাবনা মানুষের মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলো, তা যখন মৃত্যুর সাথে সাথে অদৃশ্য হয়ে যাবে তখন সে প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করতে পারবে। আল্লাহ্‌র ক্ষমতা,মহিমা, ভালোবাসা, মহত্ব এবং সৌন্দর্য্য হবে বেহেশতের বাগানের আলো স্বরূপ।

সূরা ফজর বা ঊষা – ৮৯
৩০ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

১। শপথ ঊষার ; ৬১০৮

৬১০৮। আল্লাহ্‌র শক্তি ও ন্যায়পরায়ণতাকে, চারটি আকর্ষণীয় তুলনামূলক শপথের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। ” বোধশক্তি সম্পন্নদের জন্য।” প্রথমটি : ঊষার লগ্নের রহস্য ও সৌন্দর্য্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ঊষা হচ্ছে রাত্রির সুচীভেদ্য অন্ধকার ভেদ করে প্রথম আলোক রশ্মী যখন দিক্‌চক্রবালকে আলোকিত করে, সেই সময়। এই সময়টাকে মুসলমানেরা বলে সুবে সাদেকের সময় এবং হিন্দুরা বলে ব্রহ্মমূহুর্ত। দিন রাত্রির সন্ধিক্ষণের এই সময়টি মানুষের মনের উপরে গভীরভাবে রেখাপাত করার ক্ষমতা রাখে। যে ব্যক্তিগত ভাবে উম্মুক্ত প্রান্তরে কখনও সূর্যদয়ের পূর্বে এরূপ সময়কে অবলোকন করেছে সে জানে এই মূহুর্তের কি ক্ষমতা মনোজগতের উপরে। এই সময়টি হচ্ছে রাত্রির সূচীভেদ্য অন্ধকারের শঙ্কা ও দিনের আলোর সৌন্দর্য্যের মধ্যবর্তী অবস্থা যা আশা আকাঙ্খার প্রতীক। সুবেহ সাদেক হচ্ছে অন্ধকারের সমাপ্তি ঘোষণা ও আলোর যাত্রা শুরুর র্বাতা, যা অত্যন্ত পবিত্র সময়। সুবেহ্‌ সাদেকের শপথের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জগতের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, যে জগতে অবিশ্বাসের অন্ধকারের থেকে আত্মার জাগরণ ঘটে বিশ্বাসের আলোতে ; মৃত্যু থেকে জাগরণ ঘটে পুণরুত্থানের মাধ্যমে।