অনেক ইন্ধনের অগ্নিসংযোগকারীরা;
Fire supplied (abundantly) with fuel,
النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ
Alnnari thati alwaqoodi
YUSUFALI: Fire supplied (abundantly) with fuel:
PICKTHAL: Of the fuel-fed fire,
SHAKIR: Of the fire (kept burning) with fuel,
KHALIFA: They ignited a blazing fire.
৪। দুভার্গ্য কুন্ডের অধিপতির, ৬০৫৫
৫। জ্বালানিপূর্ণ যে কুন্ডে ছিলো [ অফুরন্ত ] অগ্নি
৬০৫৫। কে এই ব্যক্তি ছিলো যে মুমিনদের কেবল ঈমানের কারণে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করেছিলো ? এই ব্যক্তির পরিচয়ের জন্য আমাদের খুব বেশী সন্ধান করার প্রয়োজন নাই, কারণ মধ্য যুগে এরূপ বহু ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রাচীন ইতিহাস বলে যে, মধ্যযুগে ইউরোপে বহু লোককে পুড়িয়ে মারা হয় কারণ তাদের প্রচলিত ধর্মীয় মতের সাথে ঐ সব হতভাগ্যের ধর্মীয় মতবাদের মিল ছিলো না। কোরাণে বর্ণিত আছে যে, প্রাচীন আরবে নমরূদ বাদশা হযরত ইব্রাহীমকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন। কারণ প্রচলিত ধর্মীয় বিশ্বাসের তিনি বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু আল্লাহ্ আগুনকে আদেশ দিয়েছিলেন,” হে অগ্নি,তুমি ইব্রাহীমের উপরে শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।” [ ২১ : ৬৯ ] আয়াত ও টিকা ২৭২৫। আর একটি উদাহরণ হচ্ছে ‘ইয়েমেনের শেষ হিমাইরাইট [ Himayarite] রাজা, যিনি ধর্মীয় বিশ্বাসে ছিলো ইহুদী। এই রাজা নাজরানার খৃষ্টানদের পুড়িয়ে মারার নির্দ্দেশ দান করেন। সম্ভবতঃ তার সময়কাল ছিলো ৬ষ্ঠ শতাব্দীর শেষ ভাগ অর্থাৎ ৫৭০ খৃষ্টাব্দে রাসুল হযরত মুহম্মদ মুস্তফার (সা) আবির্ভাবের পূর্ববর্তী সময়ে। এই আয়াতের আবেদন কোনও নির্দ্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য নয়, এর আবেদন সার্বজনীন। মোশরেক আরবদের নও মুসলিমদের উপরে যে অত্যাচার তাও এর সাথে তুলনীয়। যেমন তারা নওমুসলিমদের নগ্ন করে উম্মুক্ত প্রান্তরে গ্রীষ্মের দ্বিপ্রহরেরর মরুসূর্যের প্রচন্ড তাপের মাঝে বেঁধে রেখে দিত। এই অত্যাচার অগ্নিকুন্ডে পুড়িয়ে মারার থেকে কম যন্ত্রণাদায়ক নয়।