যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।
(It will be) the Day when no person shall have power (to do) anything for another, and the Decision, that Day, will be (wholly) with Allâh.
يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَيْئًا وَالْأَمْرُ يَوْمَئِذٍ لِلَّهِ
Yawma la tamliku nafsun linafsin shay-an waal-amru yawma-ithin lillahi
YUSUFALI: (It will be) the Day when no soul shall have power (to do) aught for another: For the command, that Day, will be (wholly) with Allah.
PICKTHAL: A day on which no soul hath power at all for any (other) soul. The (absolute) command on that day is Allah’s.
SHAKIR: The day on which no soul shall control anything for (another) soul; and the command on that day shall be entirely Allah’s.
KHALIFA: That is the day when no soul can help another soul, and all decisions, on that day, will belong to GOD.
১৯। [ এটা হবে ] সেদিন যেদিন কোন আত্মার অন্যের জন্য কিছু করার ক্ষমতা থাকবে না ৬০১০। সেদিন সমস্ত কর্তৃত্ব হবে[ সম্পূর্ণ ] আল্লাহ্র।
৬০১০। ‘ শেষ বিচার দিবস বা কর্মফল দিবসের ‘ সম্বন্ধে যে জিজ্ঞাসা পূর্বের আয়াত সমূহে করা হয়েছে। এই আয়াতে তারই উত্তর দান করা হয়েছে। শেষের সে দিন বড়ই ভয়ঙ্কর। ” সেদিন একের অপরের জন্য কিছু করার সামর্থ্য থাকবে না। ” এই সংক্ষিপ্ত বাক্যটি যে ভয়ঙ্কর পরিবেশের উপস্থাপন করে তার প্রকাশ করা কোন লেখকের পক্ষেই সম্ভব নয়। এই সে দিন, যেদিন ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হবে। পৃথিবীর জীবনে আমরা একে অপরের উপরে নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা আছে ব্যক্তিগত, রাষ্ট্রীয়, জাতিগত ভাবে। পৃথিবীতে কেউই সম্পূর্ণ একা জীবনের পথ অতিক্রম করতে পারে না। আমাদের নির্ভর করতে হয় আত্মীয়, স্বজনের উপরে পাড়া প্রতিবেশীর উপরে, সহকর্মীদের উপরে, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের উপরে ইত্যাদি। তবে শেষ নির্ভরশীলতা হচ্ছে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র উপরে। পৃথিবীর জীবনে পিতা তাঁর সন্তানকে পৃথিবীর কর্মজীবনে অগ্রসরমান করে দিতে সাহায্য করেন, স্বামী ও স্ত্রী পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য সহযোগীতার মাধ্যমে নির্দিষ্ট
লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহযোগীতা করেন, প্রশাসন জনসাধারণকে একই আইনের আওতাভূক্ত করে ইত্যাদি। পার্থিব জীবনের চিত্রে আমরা আরও দেখি যে, পাপী ও অন্যায়কারীরা পার্থিব জীবনে সমৃদ্ধি লাভ করে থাকে – কারণ তারা তাদের সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিকে অপব্যবহারের দ্বারা তা লাভ করে থাকে। “কর্মফল দিবসে” মানুষের সব স্বাধীনতাকে হরণ করা হবে। পৃথিবীর জীবনে যা সে লাভ করেছিলো, ” শিক্ষানবীশকালের ” যথার্থতা প্রমাণের জন্য, তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। কর্মফল দিবসের চিত্র হবে ভিন্নরূপ। সেদিন ভালো ও পূণ্যাত্মাদের বিদ্রোহী, অন্যায়কারী ও পাপীদের থেকে আলাদা করা হবে। শেষোক্তদের নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হবে। পূর্বোক্তরা আল্লাহ্র বিশ্বজনীন ইচ্ছার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হবেন। সমস্ত আদেশ আল্লাহ্র একক কর্তৃত্ব।