এটা লিখিত আছে সম্মানিত,
(It is) in Records held (greatly) in honour (Al-Lauh Al-Mahfûz).
فِي صُحُفٍ مُّكَرَّمَةٍ
Fee suhufin mukarramatin
YUSUFALI: (It is) in Books held (greatly) in honour,
PICKTHAL: On honoured leaves
SHAKIR: In honored books,
KHALIFA: In honorable scriptures.
১৩। [ ইহা ৫৯৫৬ ] লিখিত আছে মহা সম্মানীয় কিতাবের পাতায়,
৫৯৫৬। “কিতাবের পাতায় ” অর্থাৎ পূর্ববর্তী সূরা সমূহ। যখন এই সূরাটি অবতীর্ণ হয়, সে সময়ে মুসলমানদের হাতে সর্বমোট সূরার সংখ্যা ছিলো ৪২ থেকে ৪৫ টি। তবে সংখ্যার স্বল্পত্ব কোন ব্যাপার ছিলো না ; কারণ সূরাগুলি ছিলো আধ্যাত্মিক উপদেশে সমৃদ্ধ। সে সব উপদেশ এই সূরাটির জন্যও প্রযোজ্য হতে পারে। এই সূরাগুলি মুসলমানদের অন্তরের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছিলো। তা ছিলো তাদের হৃদয়ে উচ্চ ও মহিমান্বিত সর্বোচ্চ সম্মানের বস্তু। কারণ তা হচ্ছে আল্লাহ্র পবিত্র বাণী। ইসলামের প্রথম যুগে যারা আল্লাহ্র বাণী বা সূরা সমূহ লিখে রাখতেন তাঁরা ছিলেন পূণ্যাত্মা, ন্যায়বান ও সম্মানীয়। অনেকে বলেন যে, প্রাথমিক সূরাগুলি লেখার ও সংরক্ষণ করার সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করা হয় নাই। তাদের এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা।
প্রথম ও তৃতীয় খলিফার সময়ে যে সংশোধনী আনা হয়, তা ছিলো কোরাণের বিশুদ্ধতা সংরক্ষণের জন্য এবং সুবিন্যস্ত করার নিরাপদ কৌশল হিসেবে। কারণ সে সময়ে ইসলাম আরবের সীমান্ত অতিক্রম করে আরবীতে কথা বলেন না তাদের মাঝেও প্রসার লাভ করেছে। সুতারাং সেই বিশাল বিস্তৃতির মাঝে কোরাণের প্রচার ও প্রসারের জন্য সাবধানতার প্রয়োজন ছিলো বৈকি।