তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন?
Are you more difficult to create, or is the heaven that He constructed?
أَأَنتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاء بَنَاهَا
Aantum ashaddu khalqan ami alssamao banaha
YUSUFALI: What! Are ye the more difficult to create or the heaven (above)? (Allah) hath constructed it:
PICKTHAL: Are ye the harder to create, or is the heaven that He built?
SHAKIR: Are you the harder to create or the heaven? He made it.
KHALIFA: Are you more difficult to create than the heaven? He constructed it.
রুকু – ২
২৭। কি ! তোমাদের সৃষ্টি করা বেশী কঠিন না [ উপরের ] আকাশ ? ৫৯৩৪ [আল্লাহ্ ] তা সৃষ্টি করেছেন।
৫৯৩৪। নগন্য মানুষ উদ্ধত অহংকারে তাঁর ক্ষুদ্রত্ব ভুলে যায়। অজ্ঞতা ও অবিমৃষ্যকারীতার জন্য সে ভুলে যায় যে, আল্লাহ্র নিকট সে ইহকালের কাজের জবাবদিহিদার জন্য আবদ্ধ। এই আয়াত সমূহে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ্র সৃষ্টি বিশ্বব্রহ্মান্ডের বিশালত্বের সৃষ্টির তুলনায় মানুষ একটি ক্ষুদ্র বিন্দুর ন্যায় নগন্য। এই ক্ষুদ্র ও অসহায় মানুষ, সৃষ্টির সকল কিছুর উপরে যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পেরেছে, তা শুধুমাত্র আল্লাহ্র করুণাতেই সম্ভব হয়েছে। মানুষের বিভিন্ন মানসিক দক্ষতা সমূহ যেমন বুদ্ধিমত্তা,মেধা, সৃজনক্ষমতা প্রতিভা ইত্যাদি যার দ্বারা সে বিশ্বকে জয় করতে সক্ষম হয়েছে, তা আল্লাহ্রই বিশেষ অনুগ্রহ, মানুষের জন্য। মানুষকে আল্লাহ্ সৃষ্টির সকল বস্তুর উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, তার প্রতিনিধিত্ব দান করেছেন [২ : ৩০ – ৩৯ ]। পরবর্তী আয়াত সমূহ লক্ষ্য করুন। যেখানে সৃষ্টির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন আকাশ ও পৃথিবীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য সমূহ তুলে ধরা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, এ সমস্তকেই মানুষের অধীন করে দেয়া হয়েছে।