আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি,
And have sent down from the rainy clouds abundant water.
وَأَنزَلْنَا مِنَ الْمُعْصِرَاتِ مَاء ثَجَّاجًا
Waanzalna mina almuAAsirati maan thajjajan
YUSUFALI: And do We not send down from the clouds water in abundance,
PICKTHAL: And have sent down from the rainy clouds abundant water,
SHAKIR: And We send down from the clouds water pouring forth abundantly,
KHALIFA: We send down from the clouds pouring water.
১৪। এবং আকাশ থেকে কি প্রচুর বারি বর্ষণ করি নাই, ৫৮৯৫
৫৮৯৫। আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও সদয় তত্বাবধানকে চারটি শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা হয়েছে। ১) আমাদের চারিপার্শ্বের দৃশ্যমান জগত ও প্রকৃতির বিন্যাস [ আয়াত ৬-৭ ]। ২) মানুষের সৃষ্টি ; মানুষের দৈহিক, আধ্যাত্মিক ও মনোজগতের বৈশিষ্ট্য [ আয়াত ৮ – ১১ ]। ৩) নক্ষত্র খচিত আকাশ ও প্রদীপ্ত সূর্য [ আয়াত ১২ – ১৩ ]। ৪) আকাশ, পৃথিবী ও বায়ুর পরস্পর নির্ভরশীলতা যার প্রকাশ ঘটে পানি চক্রে যা মেঘ ও বৃষ্টির মাধ্যমে, পৃথিবীর উদ্ভিদ জগত ও শষ্য উৎপাদনের মাধ্যমে। এক কথায় বলতে হয় যে, আকাশ, পৃথিবী, বিশ্ব প্রকৃতি, সকল কিছুই আল্লাহ্র পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে শৃঙ্খলার সাথে কাজ করে চলেছে।
যার মন আছে, যে দেখতে জানে সেই বুঝতে পারে সমগ্র সৃষ্টির মাঝে বিশ্ববিধাতার অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ, মঙ্গলময় হাতের স্পর্শ, সদয় তত্বাবধান বিদ্যমান। এর পরেও কি তারা বিশ্বাস করবে না যে, যে বিধাতা এত কিছু করতে সক্ষম, তিনি নির্দ্দিষ্ট দিনে বা কেয়ামত দিবসে ভালোকে মন্দ থেকে আলাদা করতেও সক্ষম এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম ?