তারা আল্লাহর প্রেমে অভাবগ্রস্ত, এতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে।
And they give food, inspite of their love for it (or for the love of Him), to Miskin (poor), the orphan, and the captive,
وَيُطْعِمُونَ الطَّعَامَ عَلَى حُبِّهِ مِسْكِينًا وَيَتِيمًا وَأَسِيرًا
WayutAAimona alttaAAama AAala hubbihi miskeenan wayateeman waaseeran
YUSUFALI: And they feed, for the love of Allah, the indigent, the orphan, and the captive,-
PICKTHAL: And feed with food the needy wretch, the orphan and the prisoner, for love of Him,
SHAKIR: And they give food out of love for Him to the poor and the orphan and the captive:
KHALIFA: They donate their favorite food to the poor, the orphan, and the captive.
৮। আল্লাহ্র প্রতি ভালোবাসা [ প্রকাশের জন্য ] তারা অভাবগ্রস্থ,এতিম, এবং বন্দীদের আহার করায় ৫৮৩৯।
৫৮৩৯। ‘বন্দী’ শব্দটি দ্বারা সে যুগের যুদ্ধবন্দীদের বুঝানো হয়েছে। ইসলাম পূর্ব যুগে ও ইসলামের যুগে যুদ্ধ বন্দীদের নিজেদের খাদ্যের সংস্থান নিজেদেরই করতে হতো এবং নিজেদের মুক্তিপণ নিজেদেরই সংগ্রহ করতে হতো। এমন কি সাধারণ অপরাধী যারা জেলখানাতে থাকতো, তাদেরও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করতো তাদের আত্মীয় স্বজন বা বন্ধু বান্ধব অথবা বন্দীদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে সেই খরচ বহন করা হতো। তবে ‘বন্দী’ শব্দটি সংকীর্ণাথে ব্যবহার না করে ব্যপক অর্থে ব্যবহার করা প্রয়োজন।
মানুষ শুধু যে কারাগারেই বন্দী থাকে তা সত্য নয়। বন্দী এই শব্দটি প্রতীকধর্মী যা বৃহত্তর মানবগোষ্ঠির জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। যেমন আধ্যাত্মিক ভাবে বন্দী যাদের নৈতিক বা আধ্যাত্মিক মুক্তি ঘটে নাই। কিন্তু যারা মুক্তির জন্য ব্যকুল। এরূপ ক্ষেত্রে পূণ্যাত্মাদের দায়িত্ব তাদের আত্মিক মুক্তির জন্য সাহায্য করা। ‘বন্দী’ শব্দটি ব্যপক অর্থে মূক প্রাণীজগতকেও বুঝানো যায় যারা মানুষের দয়ার উপরে নির্ভরশীল। এরূপক্ষেত্রে এদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব মানুষের। এ ভাবেই প্রকৃতিকে সংরক্ষণের দায়িত্ব এসে যায় মানুষের উপরে। দেখুন [ ৯০ : ১৩] আয়াত ও টিকা ৬১৪০।