সে বিশ্বাস করেনি এবং নামায পড়েনি;
So he (the disbeliever) neither believed (in this Qur’ân, in the Message of Muhammad SAW) nor prayed!
فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلَّى
Fala saddaqa wala salla
YUSUFALI: So he gave nothing in charity, nor did he pray!-
PICKTHAL: For he neither trusted, nor prayed.
SHAKIR: So he did not accept the truth, nor did he pray,
KHALIFA: For he observed neither the charity, nor the contact prayers (Salat).
৩০। সেদিন তোমার প্রভুর নিকট সমস্ত কিছু প্রত্যানীত হবে।
রুকু – ২
৩১। সে দান করে নাই এবং প্রার্থনাও করে নাই ৫৮২৬,
৫৮২৬। এই আয়াতটির [ ৭৫: ৩১ ] ইংরেজী ও বিভিন্ন বাংলা অনুবাদে বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। ইংরেজী অনুবাদ নিম্নরূপ : “So he gave nothing in charity , nor did he pray.” ইংরেজী অনুবাদ অনুযায়ী ইউসুফ আলী সাহেবের তফসীর অনুবাদ করা হলো। এই আয়াতে ও পরবর্তী আয়াতে পাপীদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।
১) তারা আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করে না,
২ ) তারা দান করে না ;
৩) তারা সত্যকে প্রত্যাখান করে ; এবং
৪) দম্ভভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
অনুরূপ আয়াত হচ্ছে [ ৭৪ : ৪৩ – ৪৬ ] যেখানে চারটি অভিযোগ হচ্ছে নিম্নরূপ :
১) নামাজ বা প্রার্থনাকে অবহেলা করে,
২) দানকে অবহেলা করে,
৩) নিজের সম্বন্ধে গর্ব প্রকাশ করে
৪) শেষ বিচারের দিনকে অস্বীকার করে।
দেখুন টিকা ৫৮০৩। দুটি সূরারই ১) ও ২ ) নম্বর অভিযোগ একই। ৩) ও ৪) নম্বর অভিযোগ সমূহ পরস্পরের সহিত অনুরূপ সাদৃশ্যযুক্ত। অর্থাৎ সত্যকে প্রত্যাখান করার অর্থ আল্লাহকে ও শেষ বিচার দিবস’ যা মৃত্যুর ন্যায় নিশ্চিত সত্যকে অস্বীকার করা। দম্ভ ভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার অর্থ নিজের সম্বন্ধে গর্ব প্রকাশ করা। এই দম্ভটাকে ৩৩নং আয়াতে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।