সেদিন অনেক মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে।
Some faces that Day shall be Nâdirah (shining and radiant).
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاضِرَةٌ
Wujoohun yawma-ithin nadiratun
YUSUFALI: Some faces, that Day, will beam (in brightness and beauty);-
PICKTHAL: That day will faces be resplendent,
SHAKIR: (Some) faces on that day shall be bright,
KHALIFA: Some faces, on that day, will be happy
২২। কিছু মুখ সেদিন [সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতায় ] দ্যুতি বিকিরণ করবে ; – ৫৮২২
২৩। তাদের প্রভুর দিকে তাকিয়ে থাকবে,
৫৮২২। অধিকাংশ ইসলামিক পন্ডিতগণের মতে এই আয়াতটি দ্বারা শেষ বিচারের দিনের পূর্ববর্তী ছোট বিচারকে বা অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে। বিশেষতঃ [ ২৬ – ২৮] নং আয়াতের প্রসঙ্গ থেকে এই ধারণা লাভ করা যুক্তিসঙ্গত। এই ছোট বিচার বা অবস্থা যাকে কবর আযাব নামে আখ্যায়িত করা হয়, সংঘটিত হবে মৃত্যুর পরপরই যা চূড়ান্ত নয়। চূড়ান্ত বিচার হবে শেষ বিচারের দিনে, যার বর্ণনা আছে ৫৪ নং সূরাতে। অন্যান্য আরও সূরাতে মৃত্যুর পর পরই পাপীরা যে অবস্থা প্রাপ্ত হবে তাদের বর্ণনা আছে যেমন আছে [ ৭ : ৩৭ ] আয়াতে। মওলানা ইউসুফ আলীর মতে চূড়ান্ত বিচারের পূর্বে পাপীরা তিন ভাবে শাস্তির সম্মুখীন হবে :
১) তাদের পাপের শাস্তি এই পৃথিবীতেই শুরু হয়ে যেতে পারে অথবা তাদের আল্লাহ্ অবসর দেবেন যেনো তারা অনুতপ্ত হয়ে আত্মসংশোধনের সুযোগ লাভ করে। এটা হলো মৃত্যু পূর্ববর্তী অবস্থা।
২) মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থায় তাদের হবে প্রাপ্ত যন্ত্রণা যা কবর আযাব নামে অভিহিত। চূড়ান্ত বিচারের পূর্বেই এই যন্ত্রণার শুরু হবে। এবং
৩) শেষ বিচারের দিনে। তাদের পুনরুত্থান ঘটবে, যখন এই চেনা পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে। [ ১৪ : ৪৮] আয়াত।