কখনও না, বরং তোমরা পার্থিব জীবনকে ভালবাস
Not [as you think, that you (mankind) will not be resurrected and recompensed for your deeds], but (you men) love the present life of this world,
كَلَّا بَلْ تُحِبُّونَ الْعَاجِلَةَ
Kalla bal tuhibboona alAAajilata
YUSUFALI: Nay, (ye men!) but ye love the fleeting life,
PICKTHAL: Nay, but ye do love the fleeting Now
SHAKIR: Nay! But you love the present life,
KHALIFA: Indeed, you love this fleeting life.
২০। না, [ হে মানুষ ] তোমরা প্রকৃত পক্ষে বহমান [ এই ] জীবনকে ভালোবাস ৫৮২১,
২১। এবং পরলোককে উপেক্ষা কর।
৫৮২১। এই আয়াতটি পূর্ববর্তী ১৫, আয়াতের সাথে সম্পর্কিত। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ২১ : ৩৭]। প্রকৃতিগত ভাবেই মানুষের ধৈর্য্য কম। যে কোন ব্যাপারেই সে তাড়াহুড়ো করতে চায়। সে কারণেই সে পার্থিব অস্থায়ী জিনিষ,যা খুব সহজলভ্য তারই উপরে নিশ্চিতরূপে ভরসা করে, নির্ভর করতে চায়। কারণ সহজলভ্য জিনিষ খুব তাড়াতাড়ি অর্জন করা সম্ভব, তবে পার্থিব সকল কিছুই ক্ষণস্থায়ী। মৃত্যুর সাথে সাথে তার পরিসমাপ্তি ঘটে। পরলোকের অনন্ত জীবন হচ্ছে স্থায়ী জীবন। যে জীবনের ব্যপ্তি ইহলোকের আধ্যাত্মিক জীবনের ধারাবাহিকতা থেকে অনন্ত পরলোকের জীবন পর্যন্ত পরিব্যপ্ত। কিন্তু পারলৌকিক জীবনের সাফল্য লাভ ঘটে ধীরে ধীরে। এই সাফল্যের শেষ পরিণতি লাভ হবে পরলোকের জীবনে। সুতারাং মানুষ আধ্যাত্মিক জীবনের এই ধীর সাফল্য অপেক্ষা পার্থিব জীবনের দ্রুত সাফল্যের প্রতি অধিক আগ্রহী। পূর্বের আয়াত সমূহে রাসুলকে (সা) উপদেশের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি ধৈর্য ও দৃঢ়তা এই উপদেশকে সার্বজনীন করা হয়েছে।