বরং মানুষ নিজেই তার নিজের সম্পর্কে চক্ষুমান।
Nay! Man will be a witness against himself [as his body parts (skin, hands, legs, etc.) will speak about his deeds].
بَلِ الْإِنسَانُ عَلَى نَفْسِهِ بَصِيرَةٌ
Bali al-insanu AAala nafsihi baseeratun
YUSUFALI: Nay, man will be evidence against himself,
PICKTHAL: Oh, but man is a telling witness against himself,
SHAKIR: Nay! man is evidence against himself,
KHALIFA: The human being will be his own judge.
১৪। বরং মানুষ নিজেই নিজের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য দেবে, ৫৮১৯
১৫। যদিও সে নানা অজুহাতের অবতারণা করে।
৫৮১৯। দেখুন সূরা [ ২৪ : ২৪ ] আয়াত ও টিকা ২৯৭৬। যেখানে বলা হয়েছে, ” যেদিন প্রকাশ করে দেবে তাদের জিহ্বা, তাদের হাত ও তাদের পা, যা কিছু তারা করতো।” প্রতিটি মানুষের দ্বৈত সত্ত্বা বিদ্যমান। একটি সত্ত্বা তার বিবেক যা তাকে সত্য ও ন্যায়ের পথে সর্বদা আহ্বান করে ও পাপ কাজে বিরত রাখতে চেষ্টা করে। অন্য সত্ত্বা পাপের পথে প্রলোভিত করে এটা হচ্ছে ব্যক্তির অন্ধকার সত্ত্বা। সুতারাং ভালো মন্দ সকল কাজের প্রমাণ মানুষ নিজেই। মানুষ নিজেই নিজের সম্বন্ধে সম্যক অবগত বা প্রমাণ স্বরূপ। পৃথিবীতে পাপীদের বিবেক থাকে অর্দ্ধমৃত অবস্থায় ; পাপের প্রচন্ড চাপে বিবেক থাকে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে। কিন্তু কেয়ামত দিবসের চিত্র হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। মানুষ তার কৃত পাপ কর্মকে অস্বীকার করলেও, বিবেক সেদিন হবে জাগ্রত ও শক্তিশালী। এই বিবেকের অনুশাসনে পাপীদের নিজস্ব অংগ প্রত্যঙ্গ যার মাধ্যমে সে পাপ কার্য সমাধা করেছে তারা পৃথিবীর পাপ কার্যের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপিত হবে। মানুষ নিজের সম্বন্ধে কি বলে, বা অন্যে তার সম্বন্ধে কি ধারণা করে তার দ্বারা তার বিচার হবে না তার বিচার হবে প্রকৃতপক্ষে সে কিভাবে নিজেকে পৃথিবীর জীবনে প্রতিষ্ঠিত করেছে প্রকাশ্যে বা গোপনে যে ভাবেই হোক না কেন, তারই প্রেক্ষাপটে। অর্থাৎ মানুষ হিসেবে প্রকৃতপক্ষে সে কি ছিলো সেটাই হবে তার বিচারের বিবেচ্য বিষয়। আর এ ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা প্রধান সাক্ষী হবে সে নিজে অর্থাৎ তার বিবেক বা ব্যক্তিত্ব যা তার প্রতিটি পাপ কাজের বিরুদ্ধাচারণ করবে ও নিন্দা জ্ঞাপন করবে।