2 of 3

074.032

কখনই নয়। চন্দ্রের শপথ,
Nay, and by the moon,

كَلَّا وَالْقَمَرِ
Kalla waalqamari

YUSUFALI: Nay, verily: By the Moon,
PICKTHAL: Nay, by the Moon
SHAKIR: Nay; I swear by the moon,
KHALIFA: Absolutely, (I swear) by the moon.

রুকু – ২

৩২। কখনই না, শপথ চন্দ্রের ৫৭৯৮

৫৭৯৮। আমাদের দৈনন্দিক জীবনে আমরা এমন কিছুর শপথ করি যা আমাদের নিকট অত্যন্ত পবিত্র। আল্লাহ্‌র বাণীকে যখন মানুষের ভাষায়, মানুষের জন্য প্রেরণ করা হয়, তখন এমন কিছুর শপথ উচ্চারণ করা হয় যার পবিত্রতা মানুষের মনে প্রগাঢ় প্রভাব এবং গভীর রেখাপাত করবে। যা সরাসরি মানুষের হৃদয়ের দুয়ারে আঘাত হানবে। শপথের জন্য তাই-ই প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে যার আবেদন নির্দ্দিষ্ট যুক্তিকে সমুজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। এই আয়াতে তিনটি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ব্যাপারের প্রতি চিন্তা করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে, এবং শপথের বিষয়বস্তুকে দেয়া আছে ৩৮নং আয়াতে।

১) চন্দ্র হচ্ছে সূর্যের পরেই যার অবস্থান পৃথিবীকে আলোকিত করার ক্ষমতা। চাঁদের আলো আমাদের দৃষ্টিতে অতি মনোহর। চাঁদের আলোর বন্যা আমাদের করে বিমোহিত,মুগ্ধ, চাঁদের আলোর আলো আঁধারি বিশ্ব চরাচরে এক স্বপ্নের মায়াজাল বিস্তার করে যা সূর্যের অত্যুজ্জ্বল আলোকচ্ছটা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন, যে আলো আমাদের নিকট স্বপ্নীল মনে হয়। চেনা পৃথিবীকে মনে হয় কোন স্বপ্নপুরীর রহস্যে ঘেরা। এ কারণে পৌত্তলিকদের অনেকেই চন্দ্রকে পূঁজনীয় হিসেবে গণ্য করতো। যদিও চাঁদের আলো পৃথিবীকে কোমলতায় ভরিয়ে দেয় – কোমল আলোর বন্যায় সমগ্র বিশ্বচরাচর ডুবে যায়। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে এই আলো চাঁদের কোনও নিজস্ব আলো নয়। এই আলো সে সূর্যের নিকট থেকে লাভ করে পৃথিবীতে প্রতিফলিত করে থাকে, যার ফলে চাঁদের আলোতে উষ্ণতা ও পৃথিবীর প্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় জীবনীশক্তি থাকে না, যা থাকে সূর্যের আলোতে। ঠিক সেরূপ অবস্থা হচ্ছে যারা আল্লাহ কে প্রত্যাখান করে আল্লাহ্‌র পরিবর্তে অন্য কোন শক্তির বা আল্লাহ্‌র সৃষ্ট বস্তুর উপাসনা করে আত্মার মুক্তির জন্য,বা আত্মার অন্ধকার দূর করার জন্য তাদের অবস্থা। এসব উপাস্য হচ্ছে চাঁদের মত, যাদের নিজস্ব ক্ষমতা নাই। কারণ সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌। যিনি সকল আধ্যাত্মিক আলোর উৎস।

২)নম্বর শপথ হচ্ছে রাত্রির এবং

৩) নম্বর শপথ হচ্ছে প্রভাতের।

এ জন্য দেখুন নিচের টিকা সমূহ।