আমি জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতাই রেখেছি। আমি কাফেরদেরকে পরীক্ষা করার জন্যেই তার এই সংখ্যা করেছি-যাতে কিতাবীরা দৃঢ়বিশ্বাসী হয়, মুমিনদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং কিতাবীরা ও মুমিনগণ সন্দেহ পোষণ না করে এবং যাতে যাদের অন্তরে রোগ আছে, তারা এবং কাফেররা বলে যে, আল্লাহ এর দ্বারা কি বোঝাতে চেয়েছেন। এমনিভাবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথে চালান। আপনার পালনকর্তার বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন এটা তো মানুষের জন্যে উপদেশ বৈ নয়।
And We have set none but angels as guardians of the Fire, and We have fixed their number (19) only as a trial for the disbelievers, in order that the people of the Scripture (Jews and Christians) may arrive at a certainty [that this Qur’ân is the truth as it agrees with their Books i.e. their number (19) is written in the Taurât (Torah) and the Injeel (Gospel)] and the believers may increase in Faith (as this Qur’ân is the truth) and that no doubts may be left for the people of the Scripture and the believers, and that those in whose hearts is a disease (of hypocrisy) and the disbelievers may say: ”What Allâh intends by this (curious) example ?” Thus Allâh leads astray whom He wills and guides whom He wills. And none can know the hosts of your Lord but He. And this (Hell) is nothing else than a (warning) reminder to mankind.
وَمَا جَعَلْنَا أَصْحَابَ النَّارِ إِلَّا مَلَائِكَةً وَمَا جَعَلْنَا عِدَّتَهُمْ إِلَّا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُوا لِيَسْتَيْقِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَيَزْدَادَ الَّذِينَ آمَنُوا إِيمَانًا وَلَا يَرْتَابَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَالْمُؤْمِنُونَ وَلِيَقُولَ الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ وَالْكَافِرُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَذَا مَثَلًا كَذَلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ مَن يَشَاء وَيَهْدِي مَن يَشَاء وَمَا يَعْلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَ وَمَا هِيَ إِلَّا ذِكْرَى لِلْبَشَرِ
Wama jaAAalna as-haba alnnari illa mala-ikatan wama jaAAalna AAiddatahum illa fitnatan lillatheena kafaroo liyastayqina allatheena ootoo alkitaba wayazdada allatheena amanoo eemanan wala yartaba allatheena ootoo alkitaba waalmu/minoona waliyaqoola allatheena fee quloobihim maradun waalkafiroona matha arada Allahu bihatha mathalan kathalika yudillu Allahu man yashao wayahdee man yashao wama yaAAlamu junooda rabbika illa huwa wama hiya illa thikra lilbashari
YUSUFALI: And We have set none but angels as Guardians of the Fire; and We have fixed their number only as a trial for Unbelievers,- in order that the People of the Book may arrive at certainty, and the Believers may increase in Faith,- and that no doubts may be left for the People of the Book and the Believers, and that those in whose hearts is a disease and the Unbelievers may say, “What symbol doth Allah intend by this?” Thus doth Allah leave to stray whom He pleaseth, and guide whom He pleaseth: and none can know the forces of thy Lord, except He and this is no other than a warning to mankind.
PICKTHAL: We have appointed only angels to be wardens of the Fire, and their number have We made to be a stumbling-block for those who disbelieve; that those to whom the Scripture hath been given may have certainty, and that believers may increase in faith; and that those to whom the Scripture hath been given and believers may not doubt; and that those in whose hearts there is disease, and disbelievers, may say: What meaneth Allah by this similitude? Thus Allah sendeth astray whom He will, and whom He will He guideth. None knoweth the hosts of thy Lord save Him. This is naught else than a Reminder unto mortals.
SHAKIR: And We have not made the wardens of the fire others than angels, and We have not made their number but as a trial for those who disbelieve, that those who have been given the book may be certain and those who believe may increase in faith, and those who have been given the book and the believers may not doubt, and that those in whose hearts is a disease and the unbelievers may say: What does Allah mean by this parable? Thus does Allah make err whom He pleases, and He guides whom He pleases, and none knows the hosts of your Lord but He Himself; and this is naught but a reminder to the mortals.
KHALIFA: We appointed angels to be guardians of Hell, and we assigned their number (19) (1) to disturb the disbelievers, (2) to convince the Christians and Jews (that this is a divine scripture), (3) to strengthen the faith of the faithful, (4) to remove all traces of doubt from the hearts of Christians, Jews, as well as the believers, and (5) to expose those who harbor doubt in their hearts, and the disbelievers; they will say, “What did GOD mean by this allegory?” GOD thus sends astray whomever He wills, and guides whomever He wills. None knows the soldiers of your Lord except He. This is a reminder for the people.
৩১। এবং আমি ফেরেশতাগণকেই জাহান্নামের প্রহরী নিযুক্ত করেছি ৫৭৯৪। আমি তাদের সংখ্যাকে নির্দ্দিষ্ট করেছি ৫৭৯৫ অবিশ্বাসীদের পরীক্ষা স্বরূপ যেনো কিতাব প্রাপ্তদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে,বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং কিতাবীগণ ও বিশ্বাসীগণের যেনো মনে কোন সন্দেহ না থাকে। [ এর ফলে ] যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তারা এবং অবিশ্বাসীরা যেনো বলতে পারে, ” এই প্রতীক দ্বারা আল্লাহ্ কি বুঝাতে চেয়েছেন ” ? ৫৭৯৬ এ ভাবেই আল্লাহ্র যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথ প্রদর্শন করেন। তোমার প্রভুর বাহিনী সম্পর্কে তিনি ব্যতীত আর কেহ জানে না। ৫৭৯৭ এবং ইহা মানুষের জন্য সাবধানবাণী ব্যতীত অন্য কিছু নয়।
৫৭৯৪। দেখুন সূরা [ ৬৬ : ৬ ] ও টিকা ৫৫৪০।
৫৭৯৫। ঊনিশ সংখ্যাটির জটিল এবং তাত্বিক আলোচনাতে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আগ্রাহান্বিত দেখা যায়। কিন্তু মওলানা ইউসুফ আলী মনে করেন এ ব্যাপারে অধিক গুরুত্ব না দেওয়াই বাঞ্ছনীয়। যেমন খৃস্টানরা মনে করে শয়তানের সংখ্যা হচ্ছে ৬৬৬। আবার রোমানদের নিকট ১৮ হচেছ গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ইত্যাদি। সুতারাং সংখ্যাতত্বের উপরে অধিক গুরুত্ব প্রদান না করাই উচিত কারণ তাতে অনুমানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহ্র বাণীর প্রকৃত মর্ম থাকে অনুদ্ঘাটিত।
৫৭৯৬। এই আয়াতটিতে চার শ্রেণীর লোকের উল্লেখ আছে।
১) মুসলিম, আল্লাহ্র আয়াতের বক্তব্য যাদের বিশ্বাসের দৃঢ়তাকে আরও বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে আল্লাহ্র করুণাধারা তাদের উপরে বর্ষিত হয়।
২) কিতাবী জাতিরা অর্থাৎ যারা পূর্বেই আল্লাহ্র কিতাব প্রাপ্ত হয়েছে। ইহুদী ও খৃষ্টানেরা আল্লাহ্র কিতাব প্রাপ্ত জাতি। এরা সময়ের পরিক্রমায় কিতাবের বহু অংশই ভুলে গেছে এবং সামান্য ও ক্ষুদ্র মতবাদের উপরে তারা বৃহৎ তর্কে লিপ্ত থাকে। কিন্তু যদি তাদের প্রকৃত ঈমান থাকে এক আল্লাহ্র উপরে তাহলে কোরাণের মাধ্যমে তাদের সকল বিবাদ বিসংবাদ দূর হয়ে যাবে ও বিশ্বাসের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পাবে।
৩) যাদের অন্তরে ব্যধি [ ২ : ৮ – ১০ ] আয়াত ও টিকা ৩৩ – ৩৪ এরা হলো মোনাফেক বা মিথ্যাবাদী। ফলে তারা হয় অবিশ্বস্ত। মোনাফেকরা কোনও কিছুই বিশ্বাস করে না ফলে তারা শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র করুণা বঞ্চিত হয়।
৪) অবিশ্বাসী বা কাফের যাদের অবস্থা মোনাফেকদের অনুরূপ।
৫৭৯৭। আল্লাহ্ মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। সে ইচ্ছা করলে ভালোকে গ্রহণ ও মন্দকে বর্জন করতে পারে, বা মন্দকে গ্রহণ ও ভালোকে বর্জন করতে পারে। যদি আল্লাহ্ এই “ইচ্ছাশক্তি” না দিতেন তবে কেউই পথভ্রষ্ট হতো না এর পরেও যারা পথভ্রষ্ট তারা সৎপথে ফিরে আসতে চাইলে আল্লাহ্ তাদের পথ দেখান। মানুষের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির সদ্ব্যবহার করা। আল্লাহ্র নিদর্শন ও সাবধান বাণী এবং তাঁর আধ্যাত্মিক জগত পরিচালনার বিশাল বাহিনীর সংবাদ জানেন একমাত্র আল্লাহ্ -যা তাঁর অসীম ক্ষমতার স্বাক্ষর। কোন মানুষের পক্ষেই সেই ক্ষমতার সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। সুতারাং জাহান্নামের এই বর্ণনা বিশ্বমানবের সকলের জন্য সাবধান বাণী।
সব কিছুই শেষ পর্যন্ত প্রত্যাবর্তন করবে আল্লাহ্র দিকে। মানুষের উচিত অনুধাবন করা যে আল্লাহ্ অসীম করুণার আঁধার। কোন ক্ষতি বা মন্দ আল্লাহ্র নিকট থেকে আসে না। সূরা [ ৪ : ৭৯] আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, যা কল্যাণকর ও মঙ্গলময় তা আল্লাহ্র নিকট থেকে আসে আর যা মন্দ তা আমাদের কৃতকর্মেরই ফল।