আবার ধ্বংস হোক সে, কিরূপে সে মনঃস্থির করেছে!
And once more let him be cursed, how he plotted!
ثُمَّ قُتِلَ كَيْفَ قَدَّرَ
Thumma qutila kayfa qaddara
YUSUFALI: Yea, Woe to him; How he plotted!-
PICKTHAL: Again (self-)destroyed is he, how he planned! –
SHAKIR: Again, may he be cursed how he plotted;
KHALIFA: Miserable indeed is what he decided.
২০। হ্যাঁ, দুর্ভাগ্য তার; কেমন করে সে [ ষড়যন্ত্রের ] সিদ্ধান্তে উপনীত হলো।
২১। অতঃপর সে চর্তুদ্দিকে তাকালো;
২২। অতঃপর সে ভ্রূকুঞ্চিত এবং মুখ বিকৃত করলো ;
২৩। অতঃপর সে পিছন ফিরলো এবং দম্ভ প্রকাশ করলো।
২৪। অতঃপর সে বলেছিলো, ৫৭৯০, ” এটা তো প্রাচীনকাল হতে প্রাপ্ত যাদু ব্যতীত অন্য কিছু নয় ;
২৫। ” এটা তো মরণশীল মানুষের কথা।”
৫৭৯০। তফসীরকারদের মতানুসারে এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয় ওয়ালীদ বিন্ মুগাইরের আচরণ উপলক্ষে। ওয়ালিদ বিন মুগাইর ছিলো প্রাচীন ইটালীর নগরী সিবারিসের অধিবাসী বা সিবারাইট। তার মর্মস্থল পর্যন্ত ছিলো মোশরেকীতে পরিপূর্ণ। সে ছিলো এক আরব যার মোশরেকী ছিলো সংশোধনের অতীত। ফলে আল্লাহ্র রাসুলের জন্য সে ছিলো এক জঘন্য ব্যক্তি ও চিরশত্রু। সে এবং আবু জহল প্রথম থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে রাসুলকে (সা) সর্বপ্রকারে নির্যাতন করতে এবং ইসলামের প্রচারে বাঁধার সৃষ্টি করতে। রাসুল (সা) ও রাসুলের অনুসারী সাহাবাদের উপরে তারা যত প্রকার সম্ভব অত্যাচার ও নির্যাতন চালাতো। এরই পটভূমিতে এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। কিন্তু এই আয়াতের আবেদন ব্যপক ও বিশ্বজনীন। ওয়ালিদের ন্যায় ব্যক্তি পৃথিবীর সর্বস্থানে সর্বকালে বিদ্যমান ছিলো, আছে এবং থাকবে। এরা ঐশ্বরিক বাণীর মর্ম অনুধাবনে অক্ষম সুতারাং ঐশ্বরিক বাণীর যে অলৌকিক প্রভাব সাধারণ মানুষের উপরে তা দর্শনে তারা হতভম্ব হয়ে পড়তো এবং তা ছিলো তাদের জন্য ব্যাখ্যার অতীত। সুতারাং তারা তা ব্যাখ্যা করতো যাদু হিসেবে। পরলোকের অনন্ত জীবন এবং সে জীবনের প্রত্যাশাকে তারা বিভ্রান্তি ব্যতীত অন্য কিছুই ধারণা করতো না।