2 of 3

072.027

তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। তখন তিনি তার অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন
Except to a Messenger (from mankind) whom He has chosen (He informs him of unseen as much as He likes), and then He makes a band of watching guards (angels) to march before him and behind him.

إِلَّا مَنِ ارْتَضَى مِن رَّسُولٍ فَإِنَّهُ يَسْلُكُ مِن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ رَصَدًا
Illa mani irtada min rasoolin fa-innahu yasluku min bayni yadayhi wamin khalfihi rasadan

YUSUFALI: “Except a messenger whom He has chosen: and then He makes a band of watchers march before him and behind him,
PICKTHAL: Save unto every messenger whom He hath chosen, and then He maketh a guard to go before him and a guard behind him
SHAKIR: Except to him whom He chooses as a messenger; for surely He makes a guard to march before him and after him,
KHALIFA: Only to a messenger that He chooses, does He reveal from the past and the future, specific news.

২৭। ” তাঁর মনোনীত রসুল ব্যতীত ৫৭৫০। সেক্ষেত্রে আল্লাহ্‌ রাসুলের অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন ; ৫৭৫১

৫৭৫০। দেখুন সূরা [ ৩ : ১৭৯ ] আয়াত এবং টিকা ৪৮২। আরও দেখুন উপরের টিকা।

৫৭৫১। এই আয়াতের উপদেশবাণী রহস্যে আবৃত। আল্লাহ্‌র প্রত্যাদেশ কোন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তু নয় যে চোরে চুরি করে নেবে। কিন্তু প্রত্যাদেশের নিরাপত্তা বুঝানোর জন্য বস্তুগত নিরাপত্তার ন্যায় প্রহরীর উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ্‌র প্রত্যাদেশ হচ্ছে অদৃশ্য কায়াহীন এক উপদেশ বাণীর সমারোহ যার স্থান মানুষের অন্তরে। বস্তু জগতে তার স্থান নাই, তবে প্রত্যাদেশের প্রতিফলন ঘটে মনুষ্য সমাজে, মানুষের জীবনে। যুগে যুগে আল্লাহ্‌ প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছেন মানুষের কল্যাণের জন্য, কিন্তু মানুষের স্বার্থপরতা, হীনমনোবৃত্তি, অজ্ঞতা, পাপিষ্ঠ মন, প্রত্যাদেশের সত্যকে বিকৃত করে ফেলেছে। মানুষের এই নির্বুর্দ্ধিতা ও পাপচক্র থেকে কিভাবে প্রত্যাদেশের পবিত্রতাকে রক্ষা করা যায় ? এই রক্ষা করার উপায়কে মানুষের বোঝার সুবিধার জন্য মানুষের বোধমগ্যতার স্তরে প্রকাশের জন্য মানুষের ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। প্রত্যাদেশ হচ্ছে মানব সম্প্রদায়ের জন্য অমূল্য সম্পদ। কিভাবে এই অমূল্য সম্পদকে রক্ষা করা যায়? যে কোন অমূল্য সম্পদকে রক্ষা করার উপায়কে বস্তুগত অমূল্য সম্পদের উদাহরণের মাধ্যমে কল্পনা করা যায়। মনে করুন কোন সম্পদ একস্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হচ্ছে। পথের তষ্কর ও ডাকাতদের থেকে তা রক্ষা করার জন্য শক্তিশালী প্রহরীর প্রয়োজন, যারা সম্পদের যাত্রাপথে সম্মুখে ও পশ্চাতে থেকে সম্পদকে সকল দিক থেকে রক্ষা করবে। যখন সম্পদের চালানকে সেটির নির্দ্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো হয় এবং গ্রহীতাকে মালামালের হিসাব সঠিক ভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়, তখন গ্রহীতা সম্পূর্ণ মালামাল অক্ষত ভাবে প্রাপ্তিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এই উপমার সাহায্যে আল্লাহ্‌ আধ্যাত্মিক জগতের জন্য প্রেরিত অমূল্য প্রত্যাদেশ সমূহের পবিত্রতা, অপব্যবহার ও বিকৃতি থেকে রক্ষার প্রকৃত দৃশ্যকে তুলে ধরেছেন।

আল্লাহ্‌র রাসুল এই পবিত্র বাণীর বাহক। তাঁর প্রহরী হচ্ছে তাঁর আত্মা, বিবেক, ও অন্তর্দৃষ্টি যা আল্লাহ্‌ তাঁকে দান করেছেন। এরই কষ্টিপাথরে আল্লাহ্‌র রাসুল আল্লাহ্‌র প্রেরিত সম্পদের হেফাজত করে থাকেন বাইরের পৃথিবীর বিকৃত ধ্যান ধারণা এবং স্বার্থপর ও পাপীদের প্ররোচনা থেকে। আল্লাহ্‌ তাঁর রাসুলদের দিব্য জ্ঞানে ধন্য করেন যার আলোতে তাঁরা অন্ধকার পৃথিবীর বুক চিরে পথ চলতে পারেন। আল্লাহ্‌র দেয়া সম্পদের আলোয় পৃথিবীকে আলোকিত করেন।