তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না।
”(He Alone) the All-Knower of the Ghâ’ib (unseen), and He reveals to none His Ghâ’ib (unseen).”
عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَدًا
AAalimu alghaybi fala yuthhiru AAala ghaybihi ahadan
YUSUFALI: “He (alone) knows the Unseen, nor does He make any one acquainted with His Mysteries,-
PICKTHAL: (He is) the Knower of the Unseen, and He revealeth unto none His secret,
SHAKIR: The Knower of the unseen! so He does not reveal His secrets to any,
KHALIFA: He is the Knower of the future; He does not reveal the future to anyone
২৬। ” তিনিই [ একমাত্র ] অদৃশ্য সম্বন্ধে জানেন। তিনি তাঁর [ অদৃশ্যের ] রহস্য সম্বন্ধে কাউকে অবহিত করেন না ৫৭৪৯, –
৫৭৪৯। অদৃশ্যের রহস্যকে দুটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা যায়। বস্তু জগতে কোন বস্তু যখন কোন ব্যক্তির নিকট অদৃশ্য থাকে তা নির্ভর করে সময়, স্থান, পরিবেশ, আপেক্ষিক অবস্থানের উপরে। উদাহরণ দিয়ে বুঝানো যায়,যেমন : গত বছর যে গৃহ আমি দেখেছিলাম আজ সেখানে সে গৃহের অবস্থান নাই। কারণ তা ভেঙ্গে ফেলে সুউচ্চ অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে সময়ের পার্থক্যের কারণে বস্তুটি দৃষ্টিগোচর নয়। ঢাকাতে বসে আমার পক্ষে নিউইর্য়কের স্ট্যাচু অফ লিবার্টি দর্শন করা সম্ভব নয়, যদিও সেটির অবস্থান নিউইয়র্কে রয়েছে এবং যে কেউ নিউইর্য়কে থেকে তা দর্শন করতে পারে। এখানে স্থানের দূরত্বের কারণে বস্তু অদৃশ্য থেকে যায়। আবার বৃহস্পতি গ্রহটি খালি চোখে দেখা যায় না বা অদৃশ্য থাকে, আবার শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যে তা দৃশ্যমান। এখানে পরিবেশর কারণে বস্তুটি অদৃশ্য থেকে যাচ্ছে। ঠিক সেরূপ হচ্ছে রোজ কেয়ামতের সংবাদ যা চরম অদৃশ্য সংবাদ বা শ্রেষ্ঠ রহস্য অথবা আল্লাহ্র গূঢ় রহস্য যা পৃথিবীর মানুষের পক্ষে জানা বা দেখা কোনভাবেই সম্ভব নয়। মানুষ ততটুকুই জানতে পারবে যতটুকু আল্লাহ্ তাদের জানাতে চান। আল্লাহ্ মানুষকে ততটুকুই জানতে দেন যতটুকু জানা তার জন্য মঙ্গলজনক। এভাবেই আল্লাহ্ তাঁর মনোনীত রাসুল, জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ পয়গম্বর হযরত মুহম্মদ মুস্তফার (সা) মাধ্যমে আমাদের অদৃশ্য জগত বা পরলোকের সংবাদ অবহিত করেছেন। কিন্তু শেষ বিচারের দিনের নির্দ্দিষ্ট দিন ক্ষণ আমাদের অবহিত করা হয় নাই। কারণ তা হলে পৃথিবীর সকল কাজ কর্ম স্তব্ধ হয়ে যেতো। জীবন তার গতিময়তা ও ছন্দ হারিয়ে ফেলতো। কিন্তু আমাদের বলা হয়েছে যে, তা যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে। সুতারাং আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেকে সেই মূহুর্তের জন্য প্রস্তুত করবো। দেখুন পূর্ববতী ও পরবর্তী টিকা সমূহ।