এবং এই ওহীও করা হয়েছে যে, মসজিদসমূহ আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহ তা’আলার সাথে কাউকে ডেকো না।
And the mosques are for Allâh (Alone), so invoke not anyone along with Allâh.
وَأَنَّ الْمَسَاجِدَ لِلَّهِ فَلَا تَدْعُوا مَعَ اللَّهِ أَحَدًا
Waanna almasajida lillahi fala tadAAoo maAAa Allahi ahadan
YUSUFALI: “And the places of worship are for Allah (alone): So invoke not any one along with Allah;
PICKTHAL: And the places of worship are only for Allah, so pray not unto anyone along with Allah.
SHAKIR: And that the mosques are Allah’s, therefore call not upon any one with Allah:
KHALIFA: The places of worship belong to GOD; do not call on anyone else beside GOD.
১৮। ” এবং মসজিদসমূহ শুধুমাত্র আল্লাহ্র এবাদতের জন্য ৫৭৪২। সুতারাং আল্লাহ্ সাথে তোমরা অন্য কাউকে ডাকবে না।
৫৭৪২। এইটি একটি মক্কী সূরা। ‘মসজিদ’ শব্দটি দ্বারা কাবা শরীফ বা পরবর্তীতে বিভিন্ন মসজিদকেই শুধুমাত্র বোঝায় না। শব্দটির মূল অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্র এবাদতের জন্য যে কোনও স্থান বা উপলক্ষ, অথবা আল্লাহ্র কাজে ভক্তিবনতভাবে আত্মসমর্পন অথবা মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা মেধা মননশক্তি অর্থাৎ আল্লাহ্র এবাদতের জন্য যাই করা হোক না কেন তাকেই এই মসজিদ শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা হয়, এর অর্থ সেজদাও হতে পারে। যে অঙ্গ আল্লাহ্র আনুগত্যের জন্য বিনয়বনত হয় যথা : হস্ত, পদ, ঠোঁট, স্বর উপলব্ধি ইত্যাদি আবার জনসমষ্ঠি একতাবদ্ধভাবে আল্লাহ্র এবাদতে যখন আত্মনিয়োগ করে এ সমস্তই ‘মসজিদ সমূহ ‘ শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। এই শব্দটি বিভিন্ন ভাবকে প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। যথাঃ
১) মসজিদ দ্বারা এমন স্থানকে বুঝানো হয় যেখানে এক আল্লাহ্ ব্যতীত আর কারও এবাদত হয় না। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে কাবা শরীফ এক আল্লাহ্র এবাদতের পরিবর্তে বহু দেব দেবীতে পূর্ণ ছিলো।
২) আল্লাহ্র এবাদত হতে হবে আন্তরিক ও একাগ্র। এবাদত যেনো কোনও অবস্থাতেই মিথ্যা দ্বারা কলুষিত না হয় সেজদা হচ্ছে এরূপ এক এবাদত।
৩) আমাদের সকল সমৃদ্ধি ঐশ্বরিক দান। সুতারাং আমাদের সকল কিছুই আল্লাহ্র সেবায় অর্থাৎ তাঁর সৃষ্টির সেবায় নিয়োজিত করতে হবে। সেখানে দম্ভ বা অসার আত্মশ্লাঘার কোন স্থান নাই। অর্থাৎ মসজিদ শব্দটি দ্বারা আল্লাহ্র এবাদতের বিভিন্ন ধারাকে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।