2 of 3

072.016

আর এই প্রত্যাদেশ করা হয়েছে যে, তারা যদি সত্যপথে কায়েম থাকত, তবে আমি তাদেরকে প্রচুর পানি বর্ষণে সিক্ত করতাম।
If they (non-Muslims) had believed in Allâh, and went on the Right Way (i.e. Islâm) We should surely have bestowed on them water (rain) in abundance.

وَأَلَّوِ اسْتَقَامُوا عَلَى الطَّرِيقَةِ لَأَسْقَيْنَاهُم مَّاء غَدَقًا
Waallawi istaqamoo AAala alttareeqati laasqaynahum maan ghadaqan

YUSUFALI: (And Allah’s Message is): “If they (the Pagans) had (only) remained on the (right) Way, We should certainly have bestowed on them Rain in abundance.
PICKTHAL: If they (the idolaters) tread the right path, We shall give them to drink of water in abundance
SHAKIR: And that if they should keep to the (right) way, We would certainly give them to drink of abundant water,
KHALIFA: If they remain on the right path, we will bless them with abundant water

১৬। [ এবং আল্লাহ্‌র উপদেশ হলো ] : ” তারা যদি [ কেবলমাত্র ] সৎ পথে থাকতো, তবে আমি তাদের প্রচুর বৃষ্টি দ্বারা সমৃদ্ধ করতাম। ৫৭৪০

৫৭৪০। বৃষ্টি শব্দটি এই আয়াতে প্রতীক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। বৃষ্টি শব্দটি পানির বারতা বহন করে আনে। পানির অপর নাম জীবন। এখানে পানিকে প্রতীক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে আল্লাহ্‌র সকল নেয়ামতকে প্রকাশ করার জন্য। জগৎ সংসারে আর্থিক, নৈতিক, এবং আধ্যাত্মিক সকল নেয়ামত আল্লাহ্‌র দান এবং “বৃষ্টি” প্রতীক শব্দটি দ্বারা আল্লাহ্‌র সকল নেয়ামতকে বোঝানো হয়েছে। এর মাঝে আল্লাহ্‌র সর্বোচ্চ দান হচ্ছে বান্দার জন্য আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি দান করা। যাকে আল্লাহ্‌ আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি দান করেছেন তাঁর আত্মার মাঝে জন্মলাভ করে অন্তর্দৃষ্টি, জীবনের বৃহত্তর ব্যপ্তিকে উপলব্ধির ক্ষমতা, বিচক্ষণতা,দূরদৃষ্টি ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ইত্যাদি। আল্লাহ্‌র ইচ্ছার নিকট পরিপূর্ণ আত্মসমর্পনের মাধ্যমে বান্দা এসব দুর্লভ চারিত্রিক গুণাবলীর অধিকারী হয়ে থাকেন যার সাথে পার্থিব সম্পদ বা ক্ষমতার কোনও অংশই তুলনীয় হয় না। বান্দা যখন দৃঢ়ভাবে আল্লাহ্‌র দেয়া প্রাকৃতিক, নৈতিক, এবং আধ্যাত্মিক আইন বা বিধানকে বা সত্য পথকে একাগ্রভাবে ও কঠোরভাবে জীবনে অনুশীলন করে থাকে, তখনই বান্দার চরিত্র আল্লাহ্‌র আর্শীবাদে ধন্য হয়। এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, আল্লাহ্‌র আর্শীবাদ দুঃখের দুর্গম পথকে পদদলিত করেই লাভ করা যায়, এই হচ্ছে বান্দার জন্য আল্লাহ্‌র পরীক্ষা। মনে রাখতে হবে পথ [আল্লাহ্‌র পরীক্ষা ] যত দুর্গম হবে, পথের শেষে মঞ্জিল হবে তত মনোরম, আরামদায়ক। আল্লাহ্‌ তাঁর অনুগ্রহ দান করে থাকেন পরীক্ষার মাধ্যমে। এই পরীক্ষাতে যে যত সাফল্যলাভ করবে সে তত আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ লাভে ধন্য হবে। বান্দার স্বাভাবিক গুণরাজি, প্রতিভা, দূরদৃষ্টি,অন্তর্দৃষ্টি সকল কিছু নিজস্ব ক্ষুদ্র গন্ডিকে অতিক্রম করে বিশ্বমানবতার বিস্তৃত অংগনে প্রসারিত হবে। তাঁর ভালোবাসা জীবনের ক্ষুদ্র গন্ডীকে অতিক্রম করে বিশ্ব মানবতাতে পরিব্যপ্ত হয়ে যাবে। মানব কল্যাণের জন্য তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা জগত সংসারকে করবে সুরভিত, আলোকিত। যেহেতু তারা আল্লাহ্‌র বিশেষ অনুগ্রহ ভাজন, সুতারাং যারা অল্প অনুগ্রহ ভাজন তাদের জন্য তাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দুয়ার থাকে উন্মুক্ত। যেমন ধনী ব্যক্তির দায়িত্ব থাকে গরীবের জন্য ধন সম্পদ ব্যয় করার।