আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থে বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জলন্ত উল্কাপিন্ড ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে।
’And verily, we used to sit there in stations, to (steal) a hearing, but any who listens now will find a flaming fire watching him in ambush.
وَأَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ فَمَن يَسْتَمِعِ الْآنَ يَجِدْ لَهُ شِهَابًا رَّصَدًا
Waanna kunna naqAAudu minha maqaAAida lilssamAAi faman yastamiAAi al-ana yajid lahu shihaban rasadan
YUSUFALI: ‘We used, indeed, to sit there in (hidden) stations, to (steal) a hearing; but any who listen now will find a flaming fire watching him in ambush.
PICKTHAL: And we used to sit on places (high) therein to listen. But he who listeneth now findeth a flame in wait for him;
SHAKIR: And that we used to sit in some of the sitting-places thereof to steal a hearing, but he who would (try to) listen now would find a flame lying in wait for him:
KHALIFA: ” `We used to sit there in order to spy. Anyone who listens is pursued by a powerful projectile.
৯। ” আর পূর্বে আমরা [ চুরি করে ] সংবাদ শুনবার জন্য, [ গোপন ] ঘাটিতে বসতাম, কিন্তু এখন কেহ শুনতে চেষ্টা করলে ৫৭৩৪, সে তার উপরে নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত জ্বলন্ত আগুনের সম্মুখীন হয়,
৫৭৩৪। এই আয়াতে “এখন কেহ ……………….. ” এই লাইনটিতে “এখন ” শব্দটি দ্বারা কি বুঝাতে চাওয়া হয়েছে ? এই সূরাটি মক্কাতে ইসলামের প্রথম দিকে অবতীর্ণ হয়। ইসলাম পূর্বে মানুষ অদৃশ্য শক্তির কাছে নতি স্বীকারের জন্য অদৃশ্য শক্তিকে সন্তুষ্টি করার জন্য, অদৃশ্য জগতের সংবাদ আহরণের জন্য জ্বিন ও অন্যান্য শক্তির সাহায্য গ্রহণ করতো ও চেষ্টা করতো। এই আয়াতে পরিষ্কার ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে যে, পবিত্র কোরাণে সকল সত্যকে পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সুতারাং কোরাণ অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে জ্বিন বা যাজকশ্রেণী বা ভন্ড পীর শ্রেণীর লোকেরা অদৃশ্য জগতের যে সংবাদের দাবীদার ছিলো তার আর কোনও যৌক্তিকতা রইল না। পবিত্র কোরাণ আল্লাহ্র একত্বের বাণীকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে এবং মৃত্যু পরবর্তী জগতের সংবাদ দান করেছে। ; ইসলামের অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে ধর্মের নামে যে সব বিভ্রান্তি,ধূম্রজাল, রহস্য, অলৌকিক কল্প কাহিনী, মিথ্যা প্রচারে তথাকথিত পূণ্যাত্মা নামধারী ভন্ডেরা লিপ্ত ছিলো, ইসলামের আগমনে, কোরাণের আবির্ভাবে মিথ্যার সেই ধূম্রজাল, বা উর্ণনাভ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কোরাণের এই ঐশ্বরিক ক্ষমতাকেই উল্কাপিন্ডের উপমার সাহায্যে তুলে ধরা হয়েছে। যারা এতদিন যাদুটোনা, বা অন্যান্য উপায়ে অদৃশ্য জগতের সংবাদের জন্য চেষ্টা করতো, তাদের সেই কলুষিত, অন্ধকার জ্ঞানের সময়সীমা শেষ ; কারণ কোরাণের ঐশী আলোকের উজ্জ্বল আভায় যাদু বা অন্যান্য অশুভ শক্তির অন্ধকার ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে কোরাণের উপমা হচ্ছে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডের ন্যায়। যেখানেই ধর্মের নামে যাজকবৃত্তি বা পীরের মাজার বা অলৌকিক কর্মকান্ড বা যাদুটোনার অবতারণা করা হয়, সেখানেই কোরাণের আলো বা জ্ঞান, তা ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়। সুতারাং কোরাণ ব্যতীত অন্য কোন জ্ঞান বা শক্তি ইসলাম অনুমোদন করে না।