কখনই নয়, আমি তাদেরকে এমন বস্তু দ্বারা সৃষ্টি করেছি, যা তারা জানে।
No, that is not like that! Verily, We have created them out of that which they know!
كَلَّا إِنَّا خَلَقْنَاهُم مِّمَّا يَعْلَمُونَ
Kalla inna khalaqnahum mimma yaAAlamoona
YUSUFALI: By no means! For We have created them out of the (base matter) they know!
PICKTHAL: Nay, verily. Lo! We created them from what they know.
SHAKIR: By no means! Surely We have created them of what they know.
KHALIFA: Never; we created them, and they know from what.
৩৮। তাদের প্রত্যেক ব্যক্তি কি বেহেশতে প্রবেশের আকাঙ্খা করে ?
৩৯। কখনও না, তারা জানে, আমি তাদের সৃষ্টি করেছি নিকৃষ্ট পদার্থ থেকে ৫৬৯৯
৫৬৯৯। মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অতি নিম্ন্ উপাদান থেকে। মানুষের এই দেহ মৃত্তিকা দ্বারা সৃষ্ট, যার প্রয়োজন পশুর প্রয়োজনের ন্যায়। এই দেহের মাঝে আল্লাহ্ রূহুকে ফুৎকারের সাহায্যে প্রবেশ করিয়েছেন যা স্বর্গীয় ও পরমাত্মার অংশ [ ১৫ : ২৯]। পূত পবিত্র পার্থিব জীবন যাপনের ফলে, আল্লাহ্র জীবন বিধান অনুযায়ী পৃথিবীর পথ অতিক্রমের ফলে আধ্যাত্মিক জীবনের সফলতা লাভ করা যায়। পূত পবিত্র আত্মায় আল্লাহ্র নূর প্রতিফলিত হয়। এ ভাবেই স্রষ্টা মানুষকে নশ্বর দেহের মাধ্যমে দান করেছেন পাশবিক অংশ বা পশুর মনোবৃত্তি এবং আত্মার মাধ্যমে দান করেছেন ঐশ্বরিক গুণাবলী যা তাকে ফেরেশতাদের উর্দ্ধে স্থান দান করেছে। মানুষ স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি – এই আত্মিক উৎকর্ষতার জন্যই। এভাবেই আল্লাহ্ মানুষের জন্য মহত্তর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সৃষ্টি করেছেন পরলোকের জীবনের প্রতিশ্রুতিতে। মানুষ নশ্বর দেহ সৃষ্টির উপাদান তার পাশবিক প্রয়োজন সম্বন্ধে সম্যক অবগত।