একব্যক্তি চাইল, সেই আযাব সংঘটিত হোক যা অবধারিত-
A questioner asked concerning a torment about to befall
سَأَلَ سَائِلٌ بِعَذَابٍ وَاقِعٍ
Saala sa-ilun biAAathabin waqiAAin
YUSUFALI: A questioner asked about a Penalty to befall-
PICKTHAL: A questioner questioned concerning the doom about to fall
SHAKIR: One demanding, demanded the chastisement which must befall
KHALIFA: A questioner may question the inevitable retribution.
==========
সূরা মা’আরিজ বা আরোহণের সোপান – ৭০
৪৪ আয়াত, ২ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা : এই সূরাটির বিষয়বস্তু পূর্ববর্তী সূরার সমগোত্রীয়, ধৈর্য ও সময়ের রহস্য বেহেশতের আরোহণের পথ প্রদর্শন করবে। মন্দ বা পাপ এবং ভালো বা পূণ্য প্রত্যেকেই তার শেষ পরিণতি লাভ করবে।
সময়ের ক্রমপঞ্জি অনুযায়ী এই সূরাটি মক্কাতে অবতীর্ণ প্রথম দিকের সূরাগুলির শেষ দিকে অথবা মক্কাতে অবস্থানের মধ্যবর্তী সময়ের প্রথম দিকে অবতীর্ণ হয়। মক্কী সূরাগুলির মধ্যে এই সূরাটির অবস্থান সম্ভবতঃ ৬৯ নং সূরা অবতীর্ণ হওয়ার স্বল্প দিন পরেই।
সূরা মা’আরিজ বা আরোহণের সোপান – ৭০
৪৪ আয়াত, ২ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। একজন জিজ্ঞাসাকারী শাস্তিকে আহ্বান করেছিলো ৫৬৭৫, –
২। অবিশ্বাসীদের জন্য, যা প্রতিরোধ করার কেহ নাই, – ইহা আসবে আল্লাহ্র নিকট থেকে,
৫৬৭৫। যারা জিজ্ঞাসা করে কেয়ামত কবে সংঘটিত হবে ? এই প্রশ্নের মধ্য দিয়ে তাদের অন্তরের সন্দেহই ব্যক্ত হয়। এর উত্তর হচ্ছে সময়ের রহস্যের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ্র নিকট বর্তমান যা সাধারণ মানুষের উপলব্ধির সীমার বাইরে। কিন্তু কিছু কিছু জিনিষ আছে যা মানুষকে অন্তরঙ্গ ভাবে স্পর্শ করে,যার প্রভাবে তার নৈতিক চরিত্র এবং ভবিষ্যতের কল্যাণ প্রভাবিত হয়। এগুলি হচ্ছে বিশ্বাস করা যে :
১) শেষ বিচার অবশ্যই সংঘটিত হবে, কেহ তা প্রতিরোধ করতে পারবে না।
২) কাফেরদের জন্য তা হবে ভয়াবহ শাস্তি ; কিন্তু পূণ্যাত্মাদের ভয়ের কোন কারণ থাকবে না।
৩) এটা হবে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে দেয় শাস্তি, যিনি ন্যায় বিচার ও দয়া উভয়েরই মালিক। এ শাস্তি অন্ধ দুর্যোগ হবে না তা হবে ন্যায়ের উপরে প্রতিষ্ঠিত। এবং
৪) এরই প্রেক্ষাপটে আল্লাহ্র আর একটি উপাধিকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে, আর তা হচ্ছে “উর্দ্ধে আরোহণের সোপান সমূহের প্রভু” যার অর্থ যদিও তাঁর সিংহাসনের অবস্থান উর্দ্ধে, কিন্তু তাঁর করুণাধারা তাঁর সিংহাসনের বাইরে নয়। আল্লাহ্র অসীম করুণা ধারাই হচ্ছে তাঁর নিকট পৌঁছানোর সিঁড়ি।