অতঃপর তাকে শৃঙ্খলিত কর সত্তর গজ দীর্ঘ এক শিকলে।
”Then fasten him with a chain whereof the length is seventy cubits!”
ثُمَّ فِي سِلْسِلَةٍ ذَرْعُهَا سَبْعُونَ ذِرَاعًا فَاسْلُكُوهُ
Thumma fee silsilatin tharAAuha sabAAoona thiraAAan faoslukoohu
YUSUFALI: “Further, make him march in a chain, whereof the length is seventy cubits!
PICKTHAL: And then insert him in a chain whereof the length is seventy cubits.
SHAKIR: Then thrust him into a chain the length of which is seventy cubits.
KHALIFA: In a chain that is seventy arms long, tie him up.
৩১। ” এবং তাকে জ্বলন্ত আগুনে পোড়াও।
৩২। ” উপরন্তু তাকে শৃঙ্খলিত কর সত্তর কিউবিট দীর্ঘ শৃঙ্খলে। ৫৬৬১
৫৬৬১। পাপের পরিণতি সমূহ রূপক বর্ণনার মাধ্যমে জ্বলন্ত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, ধাপে ধাপে।
১) “ধর” – পাপীদের শাস্তির এটা হবে প্রথম ধাপ। “ধর” শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, পাপীদের আধ্যাত্মিক স্বাধীনতাকে হরণ করা হবে, ফলে তারা প্রচন্ড আবেগ, কুসংস্কার, ঘৃণা, বিদ্বেষ, হিংসা অর্থাৎ সকল রীপুর দাসে পরিণত হবে। যারা রীপুর দাসে পরিণত হয় তারা আত্মার স্বাধীনতাকে হারায়।
২) “বেড়ী পরাও ” – অর্থাৎ পাপীদের হাতকে গলদেশে বেড়ির ন্যায় আবদ্ধ করা হবে যেনো সে তার সকল ক্ষমতা ও ভালো কাজ করার শক্তি হারায়। হাত এখানে সকল ক্ষমতার প্রতীক।
৩) “নিক্ষেপ কর জাহান্নামে ” – আত্মবিধ্বংসী আগুনে তার সর্বসত্ত্বা জ্বলতে থাকবে। যে আগুনের লেলিহান শিখার সে উপযুক্ত।
৪) ” পুণরায় তাকে শৃঙ্খলিত কর ” – অর্থাৎ পাপের পরিণতি হবে বহুবিধ। তা শাখা প্রশাখা বিস্তার করবে। যার রূপক বর্ণনা হচ্ছে ” সত্তর হস্ত এক দীর্ঘ শৃঙ্খল”, যে শৃঙ্খল তাকে আষ্টে-পৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে, তাকে ক্রীতদাসে পরিণত করে। এর উপমা হচ্ছে মাকড়সার জালে ধৃত পতঙ্গের ন্যায় – যার মৃত্যু অবধারিত। যে পাপের জাল সে বুনেছে সে জালে সে নিজেই ধরা পড়ে। ” সত্তর হাত” শব্দটি দ্বারা সুদীর্ঘ বা বহুসংখ্যক বুঝানো হয়েছে, যেরূপ ব্যবহার করা হয়েছে সূরা [৯ : ৮০ ] আয়াতে।