যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, আপনি তার আনুগত্য করবেন না।
And obey not everyone who swears much, and is considered worthless,
وَلَا تُطِعْ كُلَّ حَلَّافٍ مَّهِينٍ
Wala tutiAA kulla hallafin maheenin
YUSUFALI: Heed not the type of despicable men,- ready with oaths,
PICKTHAL: Neither obey thou each feeble oath-monger,
SHAKIR: And yield not to any mean swearer
KHALIFA: Do not obey every lowly swearer.
১০। এসব ঘৃণ্য [ চরিত্রের ] লোকের কথা শুনো না ৫৫৯৯, যারা [ সর্বদা মিথ্যা ] শপথ করতে প্রস্তুত থাকে, ৫৬০০,
৫৫৯৯। এই আয়াতে ও পরবর্তী আয়াতে মানুষের যে সব ঘৃণ্য দোষের বিবরণ দেয়া হয়েছে তা আজকে বাংলাদেশের সমাজে খুব একটা অসাধারণ কিছু নয়। এ সব ঘৃণ্য দোষ সমূহ যখন কোনও ব্যক্তির চরিত্রে প্রকাশ পায়, তখন তাঁকে করে তোলে জঘন্য চরিত্রের ব্যক্তিরূপে। ওয়ালিদ ইবনে মুগাইর ছিলেন এরূপ একজন ব্যক্তি, যে রাসুলের (সা ) চরিত্র সম্বন্ধে মিথ্যা কলঙ্ক রটনা করার প্রয়াস পেতো। এই কলঙ্ক রটনায় তার ভূমিকা ছিলো প্রধান। তার কথাই এই আয়াতে বলা হয়েছে, ” যে ঘৃণ্য চরিত্রের।” বদরের যুদ্ধের সময়ে মুগাইর আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং তার শেষ পরিণতি হয় অত্যন্ত লাঞ্ছনাদায়ক।
৫৬০০। যারা মিথ্যাবাদী, সত্যের প্রতি যাদের সামান্যতম শ্রদ্ধাও নাই, শুধু তারাই পারে কথায় কথায় শপথ করতে। কারণ সাধারণ লোক তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুধাবন করার ফলে তাকে বিশ্বাস করে না। লোকের বিশ্বাস হারানোর ফলে তারা বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রতি কথায় শপথ বাণী উচ্চারণ করে। প্রবাদ আছে প্রকৃত সত্যাশ্রয়ী ব্যক্তির মৌখিক কথা লিখিত দলিলের থেকেও উত্তম।