অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ-তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।
Then look again and yet again, your sight will return to you in a state of humiliation and worn out.
ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِأً وَهُوَ حَسِيرٌ
Thumma irjiAAi albasara karratayni yanqalib ilayka albasaru khasi-an wahuwa haseerun
YUSUFALI: Again turn thy vision a second time: (thy) vision will come back to thee dull and discomfited, in a state worn out.
PICKTHAL: Then look again and yet again, thy sight will return unto thee weakened and made dim.
SHAKIR: Then turn back the eye again and again; your look shall ‘~ come back to you confused while it is fatigued.
KHALIFA: Look again and again; your eyes will come back stumped and conquered.
৪। পুণরায় বারে বারে তুমি দৃষ্টি ফেরাও, সেই দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে ৫৫৬০।
৫৫৬০। বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে অসীম আকাশের উপমার মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে আল্লাহ্র জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ক্ষমতার ও বিশালত্বের প্রতি। বিশ্ব ব্রহ্মান্ড আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রতীক। বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের এই প্রতীকের মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে আল্লাহ্র ক্ষমতার প্রতি যা নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্ত। আমাদের বলা হয়েছে অনন্ত নীলাকাশ এবং এর মাঝে বিরাজমান নক্ষত্রপুঞ্জ পুনঃপুনঃ গভীর অভিনিবেশ সহকারে পর্যবেক্ষণ করি না কেন আল্লাহ্র সৃষ্টির মাঝে আমরা কোন ত্রুটি বা বিশৃঙ্খলা বের করতে পারবো না। তাঁর সৃষ্টি করার ক্ষমতা, সমন্বিত, নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্ত। আল্লাহ্র সৃষ্ট সপ্ত আকাশ এত বিশাল যে সে বিশালত্বের ধারণা করা আমাদের মত ক্ষুদ্র মানুষের পক্ষে অসম্ভব। পর্যবেক্ষণ আমাদের দৃষ্টিকে ক্লান্ত করে দেবে তবুও আমরা এর শেষ দেখতে পাব না। এমনকি জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ টেলিস্কোপের সাহাযেও আকাশের শেষ প্রান্ত দেখা সম্ভব নয়। বর্তমানে বিজ্ঞানীগণ হাবেল টেলিস্কোপ স্থাপন করেছেন মহাশূন্যে – যার সাহায্যে প্রতিনিয়ত অনন্ত নক্ষত্র বীথির, নিঃসীম নীল আকাশের ছবি পৃথিবীর মানুষ প্রাপ্ত হচ্ছে। মানুষ আশ্চর্য হয়ে যায় আকাশের সীমাহীন ব্যপ্তি লক্ষ্য করে। যত মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি পাচ্ছে, তত মানুষ মহাকাশের বিশালত্বের ধারণাতে হতবাক হয়ে পড়ছে। মহাকাশের রহস্যের কোন সীমা নাই। এই বিশাল সৃষ্টি কৌশলের মধ্যে কোনও ত্রুটি নাই। যদি সামান্যতম ত্রুটিও থাকতো তবে গ্রহ নক্ষত্র পরস্পর সংঘর্ষে মহাকাশে বিপর্যয় ঘটে যেতো। এ থেকে মানুষকে তার ক্ষুদ্রতা ও অসহায়ত্বের ধারণা করতে বলা হয়েছে।