আর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন এমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ থেকে জীবন ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং সে তার পালনকর্তার বানী ও কিতাবকে সত্যে পরিণত করেছিল। সে ছিল বিনয় প্রকাশকারীনীদের একজন।
And Maryam (Mary), the daughter of ’Imrân who guarded her chastity; and We breathed into (the sleeve of her shirt or her garment) through Our Rûh [i.e. Jibrael (Gabriel)], and she testified to the truth of the Words of her Lord [i.e. believed in the Words of Allâh: ”Be!” and he was; that is ’Iesa (Jesus) son of Maryam (Mary); as a Messenger of Allâh], and (also believed in) His Scriptures, and she was of the Qanitîn (i.e. obedient to Allâh).
وَمَرْيَمَ ابْنَتَ عِمْرَانَ الَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهِ مِن رُّوحِنَا وَصَدَّقَتْ بِكَلِمَاتِ رَبِّهَا وَكُتُبِهِ وَكَانَتْ مِنَ الْقَانِتِينَ
Wamaryama ibnata AAimrana allatee ahsanat farjaha fanafakhna feehi min roohina wasaddaqat bikalimati rabbiha wakutubihi wakanat mina alqaniteena
YUSUFALI: And Mary the daughter of ‘Imran, who guarded her chastity; and We breathed into (her body) of Our spirit; and she testified to the truth of the words of her Lord and of His Revelations, and was one of the devout (servants).
PICKTHAL: And Mary, daughter of ‘Imran, whose body was chaste, therefor We breathed therein something of Our Spirit. And she put faith in the words of her Lord and His scriptures, and was of the obedient.
SHAKIR: And Marium, the daughter of Imran, who guarded her chastity, so We breathed into her of Our inspiration and she accepted the truth of the words of her Lord and His books, and she was of, the obedient ones.
KHALIFA: Also Mary, the Amramite. She maintained her chastity, then we blew into her from our spirit. She believed in the words of her Lord and His scriptures; she was obedient.
১২। এবং আরও দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন ইমরান কন্যা মারইয়ামের ৫৫৫১, যে তার সতীত্ব্ রক্ষা করেছিলেন ; তখন আমি [ তার দেহে ] রুহু ফুঁকে দিয়েছিলাম ৫৫৫২; বস্তুতঃ সে তার প্রভুর বাণী এবং তার প্রত্যাদেশকে সত্য বলে গ্রহণ করেছিলো; এবং সে ছিলো অনুগত [ বান্দাদের ] মধ্যে একজন ৫৫৫৩।
৫৫৫১। সাধারণ ভাবে বলা হয়েছে থাকে যে, বিবি মরিয়মের পিতার নাম ছিলো ইমরান। আবার মরিয়ম ছিলেন হযরত ঈসার মাতা। দেখুন আয়াত [ ৩ : ৩৫ ] ও টিকা ৩৭৫। বিবি মরিয়ম ছিলেন পূত, পবিত্র পূণ্যাত্মা নারী, যদিও ইহুদীরা তাঁর সম্বন্ধে অপবাদ রটনা করে। [ দেখুন ১৯ : ২৭-২৮ ] আয়াত।
৫৫৫২। দেখুন [ ২১ : ৯১ ] বিবি মরিয়মের কুমারী অবস্থায় পুত্র সন্তানের জন্মের বিবরণের জন্য দেখুন [ ১৯: ১৬-২৯ ] আয়াত। সূরা [৩২ : ৯] আয়াতে আল্লাহ্ আদম সন্তানের সৃষ্টির বর্ণনা করেছেন নিম্নলিখিত ভাবে ; ” পরে তিনি উহাকে করেছেন সুঠাম এবং উহাতে ফুঁকে দিয়েছেন তাঁর রুহু থেকে।” আদম সৃষ্টির বর্ণনাতেও অনুরূপ রুহু ফুঁকে দেয়ার উল্লেখ আছে দেখুন সূরা [ ১৫ : ২৯ ] আয়াত। সুতারাং কুমারী মরিয়মের গর্ভধারণ সম্বন্ধে যে রুহু ফুঁকে দেয়ার উল্লেখ আছে তা দ্বারা এ কথা ধারণা করা অবিমৃষ্যকারীতা যে আল্লাহ্ হযরত ঈসার পিতা ছিলেন। তাদের এই ধারণার সাথে গ্রীক পৌরাণিকের মিল খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে তারা বলে এ্যাপোলোর পিতা ছিলেন দেবতা জিউস। মাতা ছিলেন ধরিত্রীর কন্যা। ঠিক সেই ভাবধারাই খৃষ্টানরা হযরত ঈসা সম্বন্ধে প্রচারে আগ্রহী।
৫৫৫৩। আয়াতটি শেষ করা হয়েছে বিবি মরিয়মের আধ্যাত্মিক গুণাবলীর বর্ণনা করে। মরিয়ম তাঁর বিশ্বস্ততা নিবেদন করেছিলেন ঈসা নবীর প্রতি ও তাঁর নিকট প্রেরিত আল্লাহ্র কিতাবের প্রতি। আল্লাহ্র বলেছেন যে, মরিয়ম ছিলেন সকল যুগের অনুগতদের অন্যতম। এখানে আরবীতে যে ‘Qanitin’ বা অনুগত শব্দটি আছে স্ত্রী লিংগের জন্য আরবীতে তা ব্যবহার হয় না। কিন্তু এখানে ব্যবহৃত হয়েছে এ কারণে যে পার্থিব জগতের বাইরে পরলোকের জীবনে লিঙ্গের কোনও আস্তিত্ব নাই। ইহলোকের জীবনে পুনঃ সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় সমাজ জীবনের শান্তি শৃঙ্খলার জন্য, আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য উভয় লিঙ্গের সমন্বিত জীবনের প্রয়োজন আছে। তবে পার্থিব জীবনের শেষ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে অনন্ত পরলোকের জীবনের শেষ পরিণতিতে সফল লাভ করা। পরলোকের জীবনে কোনও লিঙ্গের ভেদাভেদ নাই; সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক জীবনে সকলেই এক আদম সন্তান।
আল্লাহ্ [ ২১ : ৯১ – ৯২ ] আয়াতে বলেছেন, ” এই যে তোমাদের জাতি – ইহা তো একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক, অতএব আমার এবাদত কর।” এই সূরাটি শেষ করা হয়েছে এই ভাবধারার মাধ্যমে যে, আধ্যাত্মিক জগতে নারী ও পুরুষ সম অধিকার ভূক্ত এবং বিবি মরিয়মের উদাহরণের মাধ্যমে তাঁকে সম্মানীত করার মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে।