2 of 3

066.003

যখন নবী তাঁর একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপনে বললেন, অতঃপর স্ত্রী যখন তা বলে দিল এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নবী সে বিষয়ে স্ত্রীকে কিছু বললেন এবং কিছু বললেন না। নবী যখন তা স্ত্রীকে বললেন, তখন স্ত্রী বললেনঃ কে আপনাকে এ সম্পর্কে অবহিত করল? নবী বললেন,ঃ যিনি সর্বজ্ঞ, ওয়াকিফহাল, তিনি আমাকে অবহিত করেছেন।
And (remember) when the Prophet (SAW) disclosed a matter in confidence to one of his wives (Hafsah), so when she told it (to another i.e. ’Aishah), and Allâh made it known to him, he informed part thereof and left a part. Then when he told her (Hafsah) thereof, she said: ”Who told you this?” He said: ”The All-Knower, the All-Aware (Allâh) has told me”.

وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا فَلَمَّا نَبَّأَتْ بِهِ وَأَظْهَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ عَرَّفَ بَعْضَهُ وَأَعْرَضَ عَن بَعْضٍ فَلَمَّا نَبَّأَهَا بِهِ قَالَتْ مَنْ أَنبَأَكَ هَذَا قَالَ نَبَّأَنِيَ الْعَلِيمُ الْخَبِيرُ
Wa-ith asarra alnnabiyyu ila baAAdi azwajihi hadeethan falamma nabbaat bihi waathharahu Allahu AAalayhi AAarrafa baAAdahu waaAArada AAan baAAdin falamma nabbaaha bihi qalat man anbaaka hatha qala nabbaaniya alAAaleemu alkhabeeru

YUSUFALI: When the Prophet disclosed a matter in confidence to one of his consorts, and she then divulged it (to another), and Allah made it known to him, he confirmed part thereof and repudiated a part. Then when he told her thereof, she said, “Who told thee this? “He said, “He told me Who knows and is well-acquainted (with all things).”
PICKTHAL: When the Prophet confided a fact unto one of his wives and when she afterward divulged it and Allah apprised him thereof, he made known (to her) part thereof and passed over part. And when he told it her she said: Who hath told thee? He said: The Knower, the Aware hath told me.
SHAKIR: And when the prophet secretly communicated a piece of information to one of his wives– but when she informed (others) of it, and Allah made him to know it, he made known part of it and avoided part; so when he informed her of it, she said: Who informed you of this? He said: The Knowing, the one Aware, informed me.
KHALIFA: The prophet had trusted some of his wives with a certain statement, then one of them spread it, and GOD let him know about it. He then informed his wife of part of the issue, and disregarded part. She asked him, “Who informed you of this?” He said, “I was informed by the Omniscient, Most Cognizant.”

৩। নবী যখন গোপনে তার কোন এক পত্নীর নিকট বিষয়টি প্রকাশ করেছিলো ৫৫৩২, এবং সে আবার তা [ অন্যের নিকট ] প্রকাশ করেছিলো; তখন আল্লাহ্‌ নবীকে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন। নবী [ সেই স্ত্রীকে ] কিছু অংশ জানালো ৫৫৩৩, এবং কিছু অংশ বর্জন করলো। যখন নবী তার স্ত্রীকে তা বললো, সে বলেছিলো, ” কে আপনাকে ইহা অবহিত করলো? ” নবী বলেছিলো, ” আমাকে অবহিত করেছেন তিনি, যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবগত। ”

৫৫৩২। কারা হযরতের গোপন কসমকে প্রকাশ করেছিলো সেটা মুসলিম উম্মার জন্য বড় কথা নয়। সে সম্বন্ধে কোরাণ শরীফে বিশদ বিবরণ লিপিবদ্ধ করে নাই। উপরের টিকা নং ৫৫২৯ এ ব্যাপারে পাঠককূলকে সাহায্য করবে। প্রকৃতপক্ষে, এরূপ তুচ্ছ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে আলোচনার প্রয়োজন নাই। আমাদের উচিত এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ্‌ আমাদের যে মৌলিক নীতির প্রতি যে আদর্শ ও উপদেশের প্রতি আকর্ষণ করেছেন তার প্রতি দৃষ্টিপাত করা। গোপন কথাটি কি ছিলো সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে আদর্শগত দিক থেকে কসম ভঙ্গ করার কারণ। পরবর্তী আয়াত দেখুন।

৫৫৩৩। এই আয়াতগুলির নৈতিক উপদেশমালা নিম্নরূপ :

১ ) যদি কেউ তার গোপন কথা আমাদের নিকট প্রকাশ করে তবে তা কারও নিকট প্রকাশ করা উচিত নয়। এমন কি নিকটতম বন্ধুর নিকটও নয়।

২) যদি কেউ কারও গোপন কথা খুব নিকটতম বন্ধুর নিকটও প্রকাশ করে তবে আল্লাহ্‌র পরিকল্পনা হচ্ছে তিনি তা প্রকাশ করে দেবেন।

৩) গোপন কথা একবার প্রকাশ হলে আর গোপন থাকে না – তা প্রচারিত হয়ে পড়ে। যদি কেউ গোপন কথাটিকে প্রচারিত কথার সাথে তুলনা করে তবে দেখতে পাবে যে, সেক্ষেত্রে প্রচারিত কথাটি বহুলাংশে রঞ্জিত। প্রবাদবাক্য হচ্ছে, ” কথার হাত পা গজানো।” যারা মানুষের গোপন কথাকে গোপন রাখে না তারা লজ্জাজনক অপরাধে অপরাধী। দেখুন পরবর্তী টিকা।